Saturday 24 November 2018

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ?


প্রায়ই পত্রিকায় "বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ' নাম দিয়ে এক ধরণের নিউজ দেখা যায়।
এই নিউজগুলো দেখে আমি একটু বিরক্তই হই। কারণ কথাটা আমার কাছে পরস্পরবিরোধী মনে হয়। কেন? বলছি। প্রথমে দেখা যাক ধর্ষণ এর সংজ্ঞা কি:
অধিকাংশ বিচারব্যবস্থায় ধর্ষণ বলতে, "কোনো ব্যক্তি কর্তৃক অন্য কোনো ব্যক্তির অনুমতি ব্যতিরেকে তার সঙ্গে যৌনসঙ্গমে লিপ্ত হওয়া কিংবা অন্য কোনোভাবে তার দেহে যৌন অনুপ্রবেশ ঘটানোকে বুঝায়।"
এখন এই ঘটনা ভাবুন,
কোন পুরুষ একজন নারীর সাথে রিলেশনশিপ এ আছেন। প্রেমিক পুরুষটি যথাযথ সময় পর তার প্রেয়সীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে চাইলেন। প্রেয়সী রাজি হলেন। তবে একটা শর্ত দিয়ে যে, তাকে গ্যারান্টি দিতে হবে বিয়ে করার। প্রেমিক মহাশয় রাজি হলেন। এবং তারা করলেন শারীরিক সম্পর্ক। এবং তাদের সম্পর্কও চালিয়ে যেতে থাকল। সম্পর্ক ভালই চলছিল এবং কিছুদিন পর কোন এক কারণে তাদের ব্রেকাপও হয়ে গেল। ধরুন ব্রেকাপটা পুরুষটিই করল কোন কারণে।
আমাকে এবার বলুন। এটা কি ধর্ষণ??
এখানে তো সম্মতি দেয়াই হয়েছে। আর এই ধরণের শর্ত দিয়ে যৌনসঙ্গমকে আমি ধর্ষণ বলতে রাজি না। বড়জোর এটাকে হয়ত প্রতারণা বলা যেতে পারে।

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আমার নারী ও পুরুষ উভয়ের কাছেই কিছু বলার আছে।
বিয়ের আগে আপনার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে হলে যদি বিয়ের প্রতিশ্রুতি লাগে তাহলে আমার মনে হয় না আপনার বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্কে জড়ানো উচিত হবে। কারণ রিলেশনশিপ যে টিকেই থাকবে এটা কেউ গ্যারান্টি দিতে পারে না। অনেক সময় পাঁচ ছয় বছর রিলেশনশিপ এ থেকেও কেউ কাউকে সত্যিকার অর্থে বুঝতে পারে না। তাই সম্পর্ক হলেই যে এটা বিয়ে পর্যন্ত গড়াবে সেটা ধরে নেয়া হবে বোকামি। আমাকে বলুন, শুধুমাত্র শারীরিক সম্পর্কের কারণেই কি কাউকে বিয়ে করে ফেলা উচিত??
যদি সেই লোকটা আপনার সাথে কম্পাইটেবল না হয় তবে? এমন কাউকে আপনি বিয়ে করতে চান যাকে আপনি "বাধ্য" হয়ে বিয়ে করছেন বা সদিচ্ছায় করছেন না??
শুধুমাত্র "ওকে আমার সব দিয়ে দিয়েছি। তাই ও চোর বাটপার, চিট যাইই হোক ওকে বিয়ে করতে হবে।" এই ধরণের মেন্টালিটিতে আমার গা গুলিয়ে আসে।
কারণ,You are not a thing. You are a human being. কারো সাথে যৌনসঙ্গম করা মানেই তাকে "সব দিয়ে দেয়া" নয়। তাই এই ধরণের মেন্টালিটি ত্যাগ করুন।
যদি শারীরিক সম্পর্ক করতে চান তাহলে এই কথাটি মাথায় নিয়েই করুন যে এই সম্পর্ক হয়ত নাও ঠিকতে পারে। আর যৌনসম্পর্ককে যদি খুবই Sacred কিছু ভাবেন তাহলে আপনি বিয়ে পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। You can't have it both ways.... It's just a fact.

যদি এইরকম শর্তের মুখোমুখি হন তাহলে, প্রথমত আপনার দেখতে হবে,
১) এই রিলেশিনশীপে দুজনের লক্ষ্য ও প্রত্যাশা কি একই রকম?
২) শারীরিক সম্পর্ক আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ?
৩) এবং, এই শর্ত মেনে নিয়ে কাজটি করতে পারবেন কিনা?
যদি প্রত্যেকটি প্রশ্নের উত্তর হ্যাঁ হয়। তাহলে বলব, Go ahead. আর যদি একটা প্রশ্নের উত্তরও না হয়। তাহলে আমি বলব ভাই, "Run. Run as fast as you can." এই রিলেশনশিপ আপনার জন্য নয়।
ব্যক্তিগত ভাবে আমি মনে করি শর্ত দিয়ে ভালোবাসা হয় না। ভালোবাসা হয় নিঃশর্ত ভাবে। ভালোবাসায় Trust জিনিসটা থাকতে হয়। আর যদি Trust না থাকে তাহলে সেটা ভালবাসা হতে পারে না। এরকম শর্ত মেনে যদি রাখতে না পারেন এবং সেই মেয়েটি আইনানুযায়ী প্রতারণা কিংবা ধর্ষণ মামলা দিয়ে দেয় তাহলে কিন্তু সারাজীবনের জন্য ফেঁসে যাবেন।
আদালতের কাছে আপনি "Innocent until proven guilty" হলেও মানুষের কাছে আপনি "Guilty no matter what" বলেই বিবেচিত হতে পারেন। এটাই বাস্তব।
তাই এই ধরণের শর্ত একসেপ্ট করার আগে ভেবে চিন্তে নিন যে এই রিস্ক আপনি নিতে চান কিনা। কারণ রিলেশনশিপের প্রথম দিকে নিজের প্রেমিক বা প্রেমিকাকে সকল খুঁতবিহীনই মনে হয়। এসব খুঁত এবং আপনার সাথে অপর পক্ষের সামঞ্জস্যতা, অসামঞ্জস্যতা ধীরে ধীরে প্রকাশ পায়। তাই হয়ত আরো কয়েকবছর বাদ Honeymoon Phase কেটে যাওয়ার পর যদি দেখেন যে, সে আপনার জন্য নয় তাহলে কি করবেন??
আমার এই কথাগুলো হয়ত আপনাদের শুনতে ভাল লাগছে না। কিন্তু এগুলো বাস্তব সত্য। আবেগ দিয়ে চিন্তা না করে মস্তিষ্ক দিয়ে চিন্তা করুন।
আমার এক বন্ধু সবসময় বলে, 'দোস্ত, সব সময় উপরের মাথা দিয়ে চিন্তা করবি। নিচের মাথা দিয়ে না। কারণ নিচের মাথার কোন ব্রেইনই নাই।'

আরেকটা ঘটনা দেখতে পারেন।
ধরুন আমি আপনাকে চা খাওয়ার আমন্ত্রণ জানালাম। আপনি রাজিও হলেন। তারপর আপনাকে চা দেয়ার পর আপনি দুই চুমুক দিয়ে চা ফেলে দিলেন। এর পর পরই আপনি দাবি করলেন আমি আপনাকে জোর করে চা খাইয়েছি। এটা কি যৌক্তিক দাবি হল??
আপনি চা খেতে না চাইলে আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করতে পারতেন। আবার চুমুক দিয়েও ফেলে দিতে পারতেন। এটা আপনার অধিকার।
কিন্তু চা খেতে চেয়ে জোর করে চা খাইয়েছি বলতে পারেন না।

কি? এই ঘটনা শুনে রাগে গা কিলবিল করছে??
তাহলে আপনাকে আমি একটা কথাই বলব,
Facts don't care about your feelings..

ধর্ষণ তখনই বলা যেতে পারে যখন যৌনসঙ্গম এ সম্মতি থাকবে না। 'ও আমার অমুক শর্ত ভেঙেছে, তাই এটা ধর্ষণ' কোন ন্যায়বিচারপূর্ন আদালতেই ধর্ষণ বলে বিবেচিত হবে না।
আপনাকে consensual sex একজন বোধবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের মতোই নিতে হবে। আর যদি আপনি সেটা নিতে না পারেন তাহলে ওটা আপনার জন্য নয়। আমি দুজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সম্মতিপূর্বক শারীরিক সম্পর্কে আপত্তি করছি না। আপত্তি করছি এর অসচ্ছতায়। দুজনকেই সেম পেজে থেকে এই কাজটা করা উচিত। আপনাদের পার্সোনাল লাইফে আপনারা যা ইচ্ছা করতে পারেন। তবে অন্ততপক্ষে সব কিছু পরিষ্কার করে নিয়ে যাতে করেন এটাই চাওয়া। না হলে অযথাই ঝামেলা বাড়ানো হবে। আপনার জন্য ও আপনার পরিবারের জন্যও। একটাই লাইফ আপনার। Make good decisions.

অভিশপ্ত রজনী

  মৃত মেয়েটিকে ধর্ষণ করার সময় মেয়েটি যে জীবিত হয়ে ওঠে সেটা খেয়াল করেনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় কাব্য।ধবধবে সাদা চামড়ার মেয়েটিকে ভোগ করার...