Sunday, 1 April 2018

আস্তিক /নাস্তিক বড় কথা নয়, রুচিশীল মানুষ হওয়াটা জরুরী।

গুগলে কখনো মা ছেলে বাবা মেয়ে অথবা ভাই বোন লিখে সার্চ দিয়ে দেখেছেন? না দেখলে এখনই দেখুন। হাজার হাজার চটি কাহিনী পেয়ে যাবেন।

ভাবতেই অবাক লাগে!

ওয়াজ মাহফিলে বলা হয় ৯৯% মুসলমানের দেশে একজন নাস্তিককেও বাঁচতে দেয়া হবে না। নাস্তিকরে ইসলাম বিরোধী কাজ করে, তারা আল্লাহ্‌ মানে না।

নাস্তিকরে কি ধরণের ইসলাম বিরোধী কাজ করে?

ব্যক্তি জীবনে তারা কোন ধর্মীয় নিয়ম কানুন মেনে চলে না, অনেকে আবার পারিবারিক কারণে বাধ্য হয়ে মেনে চলে। অনেক নাস্তিক ব্লগে, ফেসবুকে তাদের মত প্রকাশ করে, যুক্তি তর্ক করে। এগুলো এতই ভয়াবহ কাজ যে, এসকল কাজের জন্য তাদেরকে হত্যা করাই যায়।

কিন্তু এই যে হাজার হাজার চটি পেইজ, ওয়েব সাইট, ইউটিউব চ্যানেল, ভিসিডি, রাস্তার ধারে বিক্রি হওয়া চটি বই গুলোতে যে ধরণের নোংরামি করা হয়; সেসব কি ইসলাম বিরোধী কাজ? মোটেই না। কারণ এই সব চটি পেইজ, ওয়েব সাইট, ইউটিউব চ্যানেল গুলোর লাখ লাখ ভিউয়ার। রাস্তাঘাটে বিক্রি হওয়া এইসব চটি বই গুলো নিষিদ্ধ করার দাবী উঠে না। এই বইয়ের পাঠকেরা ধর্ম মেনে চলে, চটি পেইজ গুলোর লাইকাররা অধিকাংশি আস্তিক। গ্রুপ সেক্স, বাবা,  ভাই, মা, বোন ও এনিমেল সেক্স ভিডিওগুলোর অধিকাংশই ধর্ম মেনে চলা আস্তিক। এসব পড়ে কারো কোন অনুভুতিতে আঘাত লাগে না। চটি লিখার জন্য কাউকে এখনো হত্যা করা কিংবা হত্যার হুমকি দেয়া হয় নাই। সেই হিসেবে চটি লিখা এক ধরণের ইসলাম সম্মত কাজ।

নায়লা নাঈম, সানি লিওন বা মিয়া খানের নাম শুনে ছি ছি করলেও প্রয়োজনে এরাই কিন্তু তাদের ভরসা।

মাদ্রাসাগুলোতে ছেলেশিশু, মেয়েশিশু উভয়ের উপরেই যৌন নির্যাতন চলে। এইসব নিয়ে পত্রিকায় খবর হয় বটে কিন্তু এইসব নিয়ে কোন আন্দোলন হয় না, দোষীদের শাস্তির দাবীতে মিছিল হয় না। মিছিল হয় নাস্তিকের ফাসির দাবীতে। একসময় নাস্তিক তসলিমা নাসরীনের ফাসির দাবীতে মিছিল হয়েছিলো। মিছিল, মিটিং, ফতোয়া সব তসলিমার ভুলের কারণে হয়েছে, এসব তার ব্যক্তিগত কিছু ধরে নিয়ে নিজেরা গা বাচিয়ে দূরে থেকে তামাশা দেখেছি। প্রতিবাদ  না করে তামাশা দেখার ফল আজ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি ।

জামাতের নেতা মওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী ওয়াজের জন্য বিখ্যাত। তার অয়াজে নারীদের চরিত্র ঠিক রাখার জন্য, বোরখা হিজাব পড়ার কথা বলা হতো। ইউটিউবে প্রকাশিত হয়েছে সেই হুজুরের ফোনে সেক্স আলাপ কাহিনী। আমি জানিনা সেটা আসলেই সাঈদী সাহেবের কিনা, তবে আমি শুনেছি। কিন্তু এটা নিয়েও কোন আন্দোলন হয় নাই।

ধর্ষণের ভিডিও দেখে হস্তমৈথুন করা বাঙ্গালী আমরা। ধর্মানুভুতি ছাড়া বাকী সব অনুভুতি আমাদের মধ্যে বিলুপ্ত প্রায়। চোখের ভাষায় অন্যের বোনকে ধর্ষণ  করে রোজার মাসে ১২ ঘন্টা না খেয়ে থেকে আমরা বিশাল ত্যাগ ও সংযম করি আবার মা দুর্গা, লক্ষী, স্বরস্বতীর চরণে মাথা নত করি মুক্তির আশায়।   

তাই আসুন আমরা ঐ সমস্ত চটি পেইজ, ওয়েব সাইট, ইউটিউব চ্যানেল, ভিসিডি, রাস্তার ধারে বিক্রি হওয়া চটি বই গুলো দেখা বন্ধ করি। নিজ নিজ ধর্ম এবং কর্মের প্রতি মনযোগী হই। নাস্তিক নিধনের পিছনে না লেগে নতুন প্রজন্মকে সুন্দর পথের নির্দেশনা দেই, যা কিনা সকল ধর্মেই বিদ্যমান।

আস্তিক /নাস্তিক বড় কথা নয়, রুচিশীল মানুষ হওয়াটা জরুরী।



1 comment:

অভিশপ্ত রজনী

  মৃত মেয়েটিকে ধর্ষণ করার সময় মেয়েটি যে জীবিত হয়ে ওঠে সেটা খেয়াল করেনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় কাব্য।ধবধবে সাদা চামড়ার মেয়েটিকে ভোগ করার...