Wednesday 6 September 2023

অভিশপ্ত রজনী

 মৃত মেয়েটিকে ধর্ষণ করার সময় মেয়েটি যে জীবিত হয়ে ওঠে সেটা খেয়াল করেনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় কাব্য।ধবধবে সাদা চামড়ার মেয়েটিকে ভোগ করার সময় মাথা ঠিক ছিল না কাব্যর।কাব্য বুঝতেই পারে নি মেয়েটি ধীরে ধীরে জীবিত হয়ে উঠছে ।মেয়েটির ঠান্ডা শরীরে ধীরে ধীরে রক্ত চলাচল শুরু হতে থাকে আস্তে আস্তে মেয়েটির শরীরে তাপ আসতে শুরু করে ।ফ্রোজেন করে রাখা মেয়েটির বডি শক্ত হয়ে থাকার কথা বরফে।কিন্তু না মেয়েটির শরীর ছিলো খুব নরম আর ঠান্ডা।যার জন্য কাব্য বুঝতেই পারে নি মেয়েটি কত দিনের মৃত। হঠাৎ করে কাব্য খেয়াল করে মেয়েটি তার দিকে একভাবে তাকিয়ে আছে,গাড়ো লাল রঙের লিপিস্টিক পরা মেয়েটির।কাব্যর দিকে তাকিয়ে মিচমিচ করে হাসছে মেয়েটি। বিষয়টা দেখে কাব্যর নেশা কেটে যায়।কাব্যর বুক ধড়ফড় করে কাঁপছে।কাব্যর বুকের স্পন্দন শুনতে পাচ্ছে মেয়েটি।চারদিকে শুনশান নিরবতা কোথাও কেউ নেই।গভীর রাতের নিরবতায় চারদিক থেকে অশরীরী রা যেনো হাতছানি দিয়ে ডাকছে।তাছাড়া কাব্য এমন একটা জায়গা আছে সেখানে শুধু লাশ আর লাশ।ভয়ের চোটে কাব্যর নেশা হারিয়ে যায়।এখন তার কাছে মনে হচ্ছে চারদিক থেকে লাশ গুলো তার দিকে তাকিয়ে আছে।লাশ গুলো হাতছানি দিচ্ছে তাকে।

রোজ রাত হলেই হসপিটালের পিছনে কাব্য আর তার বন্ধুরা নেশায় মগ্ন থাকে।কোনো মেয়ে সামনে পেলে তার সাথে বাজে ব্যবহার করে।আজ কাব্য অতিরিক্ত নেশার ঘোরে হসপিটালের মাঝে ঢুকে পড়ে। কাব্যর বন্ধুরা হসপিটালের পিছনের বাগানে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় কাব্যর বন্ধু আরিফ,তনয়,আবির,বিলাল, অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে।তাদের বন্ধু কাব্য যে মিসিং নেশার ঘোরে তাদের সেটা খেয়াল ও নেই।
কাব্য নিজের অজান্তেই হসপিটালের মর্গে প্রবেশ করে।মর্গে আজ কেউ ছিলো না।পোস্ট মর্টেম এর ডাক্তার সহ,ডোম রা অন্য দিকে বিজি ছিলো।এমন সময় কাব্য ওখানে প্রবেশ করে ফ্রোজেন করা একটি লাশ দেখে কাব্যর মাথায় জঘন্য ঘৃণ্য একটি চিন্তা আসে।কাব্য তার বিকৃত মানসিকতার পরিচয় দেই।লাশ টা একটা মেয়ের থাকে।মেয়েটার শরীর এত সাদা যা দেখে কাব্যর পৈচাশিক চিন্তা মাথায় আসে।
তারপর ই ঘটে সেই অবাস্তব ঘটনা।মেয়েটি জীবিত হয়ে ওঠে।কাব্য মেয়েটিকে দেখে ভয়ে পালানোর চেষ্টা করে কিন্তু মেয়েটি কাব্যর হাত টেনে ধরে।আর কাব্যকে বলে আমাকে বাঁচিয়ে তুলেছো তুমি কোথায় যাচ্ছো এখন।কাব্য বলে আমার ভুল হয়ে গেছে।আমাকে মেরো না।মেয়েটি বলে আমি কি ভূত প্রেত যে তোমাকে মারবো।আমাকে এরা মাঝে মাঝে অক্সিজেন দেই আর এখানে আটকে রাখে লাশ পাহারা দেওয়ার জন্য।আমি একটি সাধারণ মেয়ে।আমাকে এখান থেকে মুক্ত করো কাব্য।আমাকে এরা আটকে রেখেছে।আমাকে একটা স্বাধীন জীবন দাও কাব্য।কাব্য বলে আমাকে তুমি ছেড়ে দাও।আমি ভুল করেছি আমাকে ক্ষমা করে দাও।মেয়েটি বলে তুমি কোনো ভুল করো নি।হ্যাঁ আমাকে রেপ করেছো এটা অনেক বড় অন্যায় তোমার। তবুও এ অন্যায়ের মাধ্যমে আমাকে ওই বাক্স থেকে মুক্ত করেছো তুমি।কাব্য খেয়াল করে মেয়েটির মুখ খুব ই ইনোসেন্ট।আসলেই ও সাধারণ আর পাঁচটা মানুষের মতো।মেয়েটিকে দেখে কাব্যর মায়া হলো।তাছাড়া মেয়েটি এতই সুন্দর কাব্য প্রেমে ও পড়ে যায়।
কাব্য মেয়েটিকে বলে আপনার নাম কি?
"ফারজু"
আচ্ছা কোথায় যাবেন? বাসা কোথায় বলুন।আমি এগিয়ে দিয়ে আসি।
"আমার কোনো বাড়ি ঘড় নেই।কোথায় যাবো জানিনা।"
তাহলে এখন কি করবেন।
"ফারজু বলে,,আমাকে যখন বাঁচিয়েছেন ই তাছাড়া আমার শরীর আপনি ভোগ করেছেন।আমাকে আপনার দাসি বানিয়ে রাখুন।"
কাব্য বলে,, বিয়ে করবেন আমাকে।
ফারজু মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানায়।
পরের দিন কাব্যর বন্ধুদের নিউজ পাঠায় কাব্য যে সে বিয়ে করেছে।কাব্যর বন্ধুরা অবাক হয়ে যায় হাজার খানিক মেয়েকে ভোগ করা ছেলে নির্দিষ্ট কোনো মেয়েকে নিয়ে থাকবে।
অপর দিকে হসপিটাল থেকে লাশ উধাও।চারদিকে হৈ চৈ পড়ে গেছে লাশ নিয়ে।
নাম পরিচয় হীন মেয়েটির বেওয়ারিশ লাশ টা তিন মাস ধরে ফ্রোজেন করে রাখা হয়েছে।কিভাবে মেয়েটি মারা গেলো এখনও তার কোন সন্ধান মেলেনি। হিন্দু না মুসলিম না খ্রিস্টান কোন গোত্রের মেয়েটির সেটাও বোঝার কোন উপায় নেই তাই মেয়েটির লাশের শেষ কাজ কিভাবে করবে সেটাও কেউ বুঝতে পারেনি। এছাড়া মেয়েটির লাশ যেভাবে পাওয়া গেছে তার পরিবারের সন্ধান পাওয়া না গেলে তার শেষ কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। এই নিয়ে পত্রিকা নিউজ বিভিন্ন চ্যানেলের খবর ছড়িয়ে দেয়া হয় তবুও মেয়েটির কোনো আত্মীয়-স্বজন বা কেউ এসে কোন খোঁজ খবর নেই নেই।
মেয়েটির লাশ এক ভয়ংকর অবস্হায় পাওয়া গেছিলো।
ওইদিকে কাব্যর বন্ধু বিলাল নিঁখোজ।বন্ধুরা খুজে খুজে হন্য কোথাও তাকে পাওয়া যাচ্ছে না।হটাত আরিফের ফোনে একটি এম.এম.এস আসে। এম.এম.এস টি দেখে ভয়ে আরিফ অস্বাভাবিক হয়ে যায়।ভয়ংকর এক কালো ছায়া ছিলো এম.এম.এস এ।
বধূ বেশে একটি মেয়ে বিলাল কে ডাকে।গভীর রাতে বিলালের ঘরের দরজায় নক করছে কেউ।বিলাল নেশাগ্রস্ত অবস্থায় উঠে দেখে ওর ওয়ালে একটি কালো ছায়া।বিলাল দরজা খুলে বলে কে? এত রাতে কে আমাকে ডাকে।দরজা খুলেই বধূ বেশে অপূর্ব সুন্দরী মেয়ে দেখে বিলালের মাথা ঠিক থাকে না।
আরে এ তো মেঘ না চাইতেই জল।অনেক দিন কোনো মেয়ের শরীর ছুয়ে দেখি নি আমি।বলেই চরিত্রহীনতার একটি হাসি দিয়ে মেয়েটির হাত ধরে টান দিয়ে বিছানায় নিয়ে যায়।মেয়েটি খুব গম্ভীর কন্ঠে বলে তুমি যেমন অনেক দিন কোনো মেয়েকে স্পর্শ করো না আমিও তেমনি অনেক দিন পিপাসা মিটাই না।
বলেই বিলালের বুকে বড় বড় নখ ঢুকিয়ে হৃদপিন্ড বের করে এনে খেয়ে ফেলে মেয়েটি।বিলালের শরীরের ভিতরের সব নাড়ি ভুড়ি বের করে আনে।আর দুই হাত ভরে রক্ত নিয়ে খেতে থাকে।
হসপিটাল থেকে একটা লাশ উধাও হওয়া কম কথা নয়।এর জবাবদিহীতা হসপিটাল কর্তৃপক্ষকেই দিতে হবে।খুব চিন্তায় আছে হসপিটাল অথোরিটি।এই লাশ নিয়ে অনেক বড় ইতিহাস আছে।যেটা ভাবলে তাদের শরীর হীম হয়ে আসে।
হসপিটালের নিউ ডাক্তার মাহাদ আহমেদ এসে এই লাশের রহস্য শুনে তিনি অবাক হয়ে যান।সবাই শুধু ঘটনা টা লুকানোর চেষ্টা করে কিন্তু কেউ ই বলতে চাই না আসল কাহিনী কি।মাহাদ আহমেদ এর জোরাজোরিতে হসপিটালের নার্স সুমাইয়া মিম মাহাদ আহমেদ কে ঘটনা টা খুলে বলেন।তারা একটা কফি শপে মিট করে কারণ মিম সাহস পাচ্ছিলো না হসপিটালে দাঁড়িয়ে ঘটনা টা বলতে।
কফি খেতে খেতে মিম বলতে থাকে স্যার আপনি নিউ তাই ব্যাপার টা হাস্যকর ভাবছেন।ওই লাশের মেয়েটা কোনো সাধারণ মেয়ে ছিলো না।আপনি পুরা ঘটনা জানলে ভয়ে হসপিটাল ছেড়ে পালাবেন।মাহাদ সাহেব তাচ্ছিল্যর সাথে হেসে দিলেন।আর বললেন আমাকে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত বলুন।
মিম বলে স্যার সেদিন রাতে আমরা সবাই ফ্রি ছিলাম ডাক্তার আর নার্সরা গল্প করছিলাম।হটাত দুইটা ছেলে একটা মেয়ের লাশ নিয়ে আসে পাটিতে করে মুড়িয়ে।লাশের শরীরে যে কাফন ছিলো সেটাও পঁচে গেছিলো।মাংস হাড় থেকে এড়িয়ে গিয়েছিলো।পাটির ভিতর মেয়েটির সব মাংশ খসে খসে পড়ে গেছিলো।মেয়েটির চেহেরার কোনো আকৃতি বোঝার উপায় ছিলো না।ছেলে দুইটা হাঁপাতে হাঁপাতে লাশ টা নিয়ে আসে।আমরা জানতে চেয়েছিলাম এই লাশ কার।তখন ছেলে দুইটা বলে জানিনা কার তবে এই লাশ আমাদের গ্রাম সাফ করে দিচ্ছে তাই হসপটালে নিয়ে আসলাম।
আমরা ভীষণ কৌতুহল নিয়ে জানতে চাইলাম এই আপনাদের গ্রামের মানুষদের সাফ করে দিচ্ছে মানে। তখন ছেলে দুইটা বলে কোনো সাধারণ লাশ নয় এটা। এই মেয়েটিকে আমরা এই গ্রামে একদিন পেয়েছিলাম কারা যেন মেরে ফেলে দিয়ে গিয়েছিলো।তারপর আমরা এই মেয়েটিকে আমাদের গ্রামে দাফন করে মাটির নিচে কবর দিয়ে রেখেছিলাম। কিন্তু এই মেয়েটি অস্বাভাবিকভাবে আমাদের গ্রামে রাতের বেলায় ঘুরে বেড়াতো আর মানুষের প্রাণ কেড়ে নিতো মানুষের রক্ত চুষে খেতে।
"আমরা সবাই হো হো করে হেসে উঠলাম।"
একটা মরা লাশ কখনো কারো রক্ত চুষে খেতে পারে গ্রামের মানুষ এখনও প্যারানরমাল জিনিস এত বেশি বিশ্বাস করে যে যেকোনো জিনিস কে তারা আত্মা বানিয়ে ফেলে। ছেলে দুইটস বলে আপনারা হাসবেন না এই মেয়ের ভিতর অনেক কাহিনী আছে অনেক ঘটনা আছে অনেক রহস্য ভরা এ লাশ আমরা এই মেয়েটিকে চিনিনা জানিনা কিভাবে আমাদের গ্রামে এলো। আমরা ভাল মনে করে এর দাফন শেষ করে কবর দিয়ে রাখলাম কিন্তু এ আমাদের গ্রামের মানুষকে মেরে মেরে সাফ করে দিচ্ছে। রাতের বেলা এর কবরে খুব ভয়ঙ্কর আওয়াজ হয়। চিৎকার দিয়ে কবর থেকে উঠে আসে তারপর হেঁটে বেড়ায়। প্রতিরাতে কোন না কোন মানুষের এ খেয়ে ফেলে। আমরা খুব হেসেছিলাম ঐ লোকগুলোর কথা শুনে তারপর আমরা বলেছিলাম কিন্তু যে আপনাদের মেরে ফেলছে আপনারা কিভাবে তার লাশ কাঁধে করে নিয়ে এলেন ভয় লাগল না।
তখন ছেলে দুইটা আমাদের বলে এর আত্মা তো এখন গ্রাম দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে তাই এর কবর খুঁড়ে আমরা গ্রামের সব মানুষ এর বডি বের করে এনেছি।তবে কয়েকজন হুজুর আমাদের এ ব্যাপারে সাহায্য করেছেন। এতদিনে এই মেয়েটির হাড় মাটিতে মিশে যাওয়ার কথা কিন্তু এখনো এর মাংস মাত্র পচন শুরু হয়েছে কি অদ্ভুত না ব্যাপারটা।
ছেলে দুটির কথা পাত্তা না দিয়ে আমরা লাশটাকে রেখে দিলাম। ওইটাই ছিল হয়তো আমাদের হাসপাতালের জন্য সবথেকে করা ভুল আর অভিশপ্ত একটা কাজ।
আমরা লাশ টিকে ফ্রজেন করে রেখে দেই। কিন্তু আশ্চর্যভাবে লাশটির হাড়-মাংস আবার জোড়া লাগতে শুরু করে মেয়েটির পচন কৃত মাংস আবার ঠিক হতে শুরু করে। আমরা একটা সময় দেখলাম মেয়েটি আগের মত একটি মেয়ে তে পরিণত হয়ে গেছে তখন ওর সম্পূর্ণ ফেস বোঝা যাচ্ছিল চেহারা তার আকৃতি ছিল।
মাহাদ আহমেদ বলেন,",তারপর"
মিম বলে ব্যাপার টা এ পর্যন্ত থাকলে কোনো সমস্যা ছিলো না।ব্যাপার টা অন্য পর্যায়ে চলে গেলো।
মেয়েটিঃ একটা সময় সম্পূর্ণ একটা মেয়েতে তৈরি হয়ে গেল তাকে দেখে আর বোঝার কোন উপায় ছিল না যে মেয়েটি একটি লাশ। তার ঝরে যাওয়া মাংসগুলো সব ঠিক হয়ে হাড়ের সাথে জোড়া লেগে গেল। আমরা এ ব্যাপারটা নিয়ে খুব বেশি একটা কিছু ভাবি নি এটা আমরা স্বাভাবিক মনে করেছিলাম। এরপর হঠাৎ একদিন গভীর রাতে মর্গে কর্মচারী ছিল তার চিৎকার শোনা যায়। ওর চিৎকার শুনে একজন নার্স এগিয়ে যান এবং দৌড়ে গিয়ে দেখেন এই মেয়েটির লাশ ঠায় দাঁড়িয়ে আছে নার্স মেয়েটির লাশ দেখে অবাক হয়ে যান আর প্রচণ্ড ভয় পেয়ে যান। কারণ লাশ কিভাবে বেরিয়ে এসে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে। শুধু দাঁড়িয়ে ছিল না ওই কর্মচারীর ঘাড় ধরে একটা ঝাঁকি দিয়ে ঘাড় টা ভেঙে ফেলে তারপর ওর ঘাড়ে কামড় দিয়ে ওর সমস্ত রক্ত চুষে নেয় তারপরও কে কুচি কুচি করে কাটে। কাটার পর ফ্লোরে বসে পড়ে টুকরো টুকরো মাংস গুলো খাচ্ছিল। ওই নার্সটা আমার খুব ক্লোজ ছিল।
উনি অস্বাভাবিকভাবে দৌড়াতে দৌড়াতে এসে আমাদের ঘটনাটা খুলে বলেন আমরা ঘটনাটা স্বচক্ষে দেখার জন্য ওখানে উপস্থিত হয় কিন্তু আমরা ওখানে গিয়ে দেখি পরিবেশটা স্বাভাবিকই আছে। আমরা ওই মেয়েটির লাশ যেভাবে রেখে গেছিলাম সেভাবেই আছে। ফ্লোরে রক্তের দাগ নেই কোথাও তাই সেদিন আমরা ব্যাপারটা এড়িয়ে গেলাম।বিষয় টা এতটা সিরিয়াসলি নিলাম না ব্যাপারটা আমরা মনে করেছিলাম কর্মচারী তাই হয়তো কোথাও গিয়েছ। কিন্তু একটানা ৭ দিন হয়ে গেল কর্মচারীর কোন খবর নেই তার বাড়িতে আমরা যোগাযোগ করলাম কিন্তু সেখানেও কোন খবর আমরা আর পেলাম না। এরপর আমাদের হস্পিটালের সিনিয়র ডাক্তার একদিন মর্গের রুমে প্রবেশ করে উনি আর ভয় পেয়ে যান।
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------
"একটা কফিন থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। এরপর কফিন টার মুখে নিজে নিজে খুলে যায় তারপর,, কফিনের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে একটি মেয়ে। মেয়েটি কফিনের ভিতরে শুয়া অবস্থা থেকে হঠাৎ বসে পড়ে তারপর কফিন থেকে বাইরে বেরিয়ে এসে দাঁড়ায়। মেয়েটির চোখ দিয়ে যেন আগুন জ্বলছিল সমস্ত শরীর দিয়ে কেমন একটা ধুয়া উড়ছিল। হঠাৎ করে ধোয়ার জন্য দেখে বুঝা যাচ্ছিল না এটা আসলে কার লাশ? তারপর মেয়েটির হাত ইয়া বড় লম্বা হয়ে যায় আর লম্বা হাত দিয়ে ওখানে রাখা সদ্য একটা লাশ মেয়েটি চিবিয়ে চিবিয়ে খাওয়া শুরু করে। তবুও যেন মেয়েটির খুদা মিটছিল না তারপর তার লম্বা হাতকে আরও অনেক বড় লম্বা করে পাশের রুম থেকে একজন রোগীকে টেনে নিয়ে চলে আসে হাত দিয়ে। তারপর তার ঘাড় মটকে ভেঙে দেয় আর তার রক্ত চুষে খেতে থাকে তারপর একটা ছুরি দিয়ে তাকে কুচিকুচি করে কাটতে থাকে। কাটা মাংসগুলো বীভৎসভাবে খাচ্ছিল। সিনিয়র ডাক্তার এটা দেখে ওখান থেকে ভয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। ""
মাহাদ মুখে হাত দিয়ে খুব চিন্তিত ভাবে ছিল আর মিমের কথা গুলো খুব মনোযোগ সহকারে শুনছিল। মিস মিম আপনি কোন ভৌতিক মুভি দেখে এসে তার ডায়লগ বলছেন না তো আপনি কি ভুলে যাচ্ছেন আপনি আমাকে হসপিটালে একটা লাশ উধাও হয়েছে আর কিছু কাহিনী বলার জন্য এখানে এনেছিলেন। কিন্তু আপনি তো আমাকে হরহর মুভির কাহিনী শোনাচ্ছেন।মিম বলে না ডাক্তার এটা কোন হরর মুভি না। মাহাদ আহমেদ খুব আশ্চর্য হয়ে যান এই ঘটনা কি সত্যিই ঘটেছে। মিম বলে,, তারপরে আরো ঘটনা আছে আপনাকে তো এখনো কিছুই বলিনি আমি। মিম বলে শুনুন তারপর আরো কিছু ঘটনা। ওই ঘটনার পরের দিন সিনিয়র ডাক্তার টা নিখোঁজ হয়ে যান তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায় না। পরেরদিন হসপিটালের কুকরা চিৎকার দিয়ে এসে পড়ে তাদের চোখে-মুখে অনেক ভয়ের আতঙ্ক দেখা যায় আমরা সবাই প্রশ্ন করি এভাবে ভয় পেয়ে আছো কেন? ওয়া ভয়ে কথাই বলতে পারছিলো না।তারপর বলে,, আমরা গতকাল বাজার থেকে যে মাংস এনে ফ্রিজে রেখে ছিলাম ওটাও আজ বের করেছি রান্নার জন্য।
"মাংসের বরফ গলে যাওয়ার পরে দেখি ওটা মুরগী ছিলো না।আমরা বলি তাহলে,কি ছিলো"
ওরা বলে মানুষের মাংশ ছিলো।মানুষের হাত পায়ের নখ।মানুষের চামড়া সহ মাংস কাটা। একটা মানুষের সমস্ত অংঙ্গ প্রতঙ্গ। আমরা তো কেউ বিশ্বাস ই করতে পারছিলাম না।এটা কিভাবে সম্ভব।আমরা পরে রান্নাঘরে যায় আর গিয়ে দেখি ঘটনা টা সত্য।আমরা নিজেরাই চমকে গেলাম এটা কিভাবে সম্ভব।
তখন আমাদের মনে হলো বাজারের ওই লোক কে পুলিশে দেওয়া উচিত।ও মানুষ মেরে বিক্রি করছে নাতো।
পরের দিন পুলিশ নিয়ে আমরা মাংস বাজারে পৌছে গেলাম।যে লোকটার কাছ থেকে ওরা মাংস কিনছিলো আমরা তার কাছেই যায়।লোকটা আমাদের দেখে ভীষণ ভয় পেয়ে যায় আর এদিক সেদিক তাকাতে থাকে।একটা সময় লোকটা পালানোর চেষ্টা করে।কিন্ত পুলিশ হাতে নাতে ধরে।
লোকটার ব্যাপারে আশে পাশে খোজ নিলাম।সবাই খুব রহস্য জনক কথা শোনায় লোকটাকে নিয়ে।
এরই মাঝে মাহাদের ফোন বেজে ওঠে।
স্যার দ্রুত আসুন।একজন ইমারজেন্সি রুগি এসছে হসপিটালে।
মাহাদ মিম কে বলে মিম বাকিটা রাতে শুনবো।চলো ইমারজেন্সি রুগি এসছে।
এদিকে কাব্য ওর ফ্রেন্ড দের বার বার ফোন দিচ্ছে তার বউ দেখার জন্য।এই দুই দিন কাব্যর ফোন অফ ছিলো।আর সে নতুন বউ নিয়ে হোটেলেই ছিলো।এটা ফারজুর চাওয়া ছিলো যে সে হোটেলে থাকবে।
কাব্যর ফ্রেন্ড বেলাল মারা গেছে নিউজ টা শুনেই কাব্য ভেঙে পড়ে।অনেক ক্লোজ ফ্রেন্ড ছিলো তারা।এভাবে কিভাবে মারা যেতে পারে।
এইদিকে আরিফ খুব অস্বাভাবিক হয়ে পড়ে।নিজের ফোনের এম.এম.এস টা দেখে।
আরিফ বাকিদের এম.এম.এস টা দেখানোর আগেই সেটা ডিলিট হয়ে যায়।
বেলালের মৃত্যু রহস্য কেউ জানতেও পারলো না। একমাত্র আরিফ ই জানতে পেরেছিলো কিন্ত কাউকে তার প্রমাণ দেখাতে পারে নি।
কাব্য,,আরিফ,,তনয় সবাই বেলালের দাফনে যায়।কবর জেয়ারতের সময় আরিফ দেখে বেলাল তার সাথেই দাঁড়িয়ে কবর জেয়ারত করছে।
বিলালের কবর জিয়ারতের সময় আরিফ দেখতে পায় বেলাল তার পাশে দাঁড়িয়ে কবর জেয়ারত করছে আর কাঁদছে।আরিফ প্রচন্ড ভয় পেয়ে যায় আর খুব জোরে চিৎকার দেওয়ার চেষ্টা করে কিন্তু আকস্মিকভাবে আরিফের গলার ভয়েস বের হয়না। আরিফ হাজার চেষ্টা করেও গলা দিয়ে স্বর বের করতে পারেনা। আরিফের সমস্ত শরীর যেন অবশ হয়ে আসে। তার পাশে দাঁড়িয়ে আছে তনয়,, আরিফ তনয় কে ডাকার চেষ্টা করছে কিন্তু তনয় কিছুতেই আরিফের দিকে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে না কারণ ওরা কবর জিয়ারতের বিজি আছে। এরই মাঝে বেলাল আরিফের কানের কাছে গিয়ে কথা বলে কিরে আরিফ ওদের ডাকছিস কেন? আমিতো শুধু তোর সাথে দেখা করতে এসেছি। আরিফ বলে তুই না মারা গেছিস তাহলে তুই আমার পাশে কিভাবে এলি? বেলাল হাহা করে জোরে হেসে দেয় তার হাসিতে যেন ভুবন কাঁপছিল কিন্তু ওই হাসির সাউন্ড আর কেউ শুনতে পাচ্ছিল না একমাত্র আরিফ শুনতে পাচ্ছিল। বেলাল বলে ওরাও আমাকে দেখতে পাবে যার যার সময় হলে সে ঠিকই আমাকে দেখতে পাবে। বলেই বেলাল কবরের উপর গিয়ে শুয়ে পড়ে হাসতে হাসতে মিশে যায়। আরিফ বুঝতে পারে না তার সাথে এটা কি হচ্ছে আর তার সাথেই বা কেন হচ্ছে?
হঠাৎ করে তনয়ের ফোনে একটা ফোন আসে ফোনটা কেটে দিয়ে তনয় বলে কাব্য বেলাল এর মৃত্যুর খবর শুনে সানি আর নাঈম আসছে ওরা স্টেশনে আছে ওখান থেকে এগিয়ে নিয়ে আসতে বলছে বলছে।
কাব্য বলে তাহলে ওদের জন্য গাড়ি পাঠিয়ে দেই।তনয় বলে ওকে তাই কর।
এর পরপর ই তনয় আবার ফোন দেই সানির কাছে,,, সানি কাব্যর গাড়ি পাঠাচ্ছি তোরা চলে যায় গাড়িতে উঠে।আমরা সবাই কাব্যর বাড়িতেই যাচ্ছি।সানি বলে গাড়ি নিয়ে তো কাব্যর বউ এসছে।তনয় কাব্যকে বলে এই কাব্য তুই গাড়ি নিয়ে ভাবিকে যেতে বলেছিস।কাব্য বলে কই নাতো।তনয় বলে সানি যে বললো কাব্যর বউ এসছে গাড়ি নিয়ে।
কাব্য অবাক হয়ে যায়।ও তো ফারজু কে বলেই নি গাড়ি নিয়ে যেতে।
কাব্য তনয় কে বলে হয়তো বাসার ল্যানলাইনে ফোন দিয়েছিলো তাই ফারজু ফোন টা ধরে আমাকে না পেয়ে ওদের আনতে গেছে।তনয় বলে যাক ভাবি তাহলে যথেষ্ট বুদ্ধি মতি আছে।
কাব্য,তনয়,আর আরিফ তার বাড়িতে পৌছে যায়।এখনি পৌছে যাবে সানিরা।তাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে।কাব্য বাড়িতে এসে দেখে বিভিন্ন রকমের খাবার রান্না করে রাখা।কাব্য অবাক হয়ে যায় ফারজু তো বাসায় নেই তাহলে রাঁন্না টা করলো কে।
কাব্য ফ্রেশ হওয়ার জন্য নিজের রুমে যায় সেখানে গিয়ে কাব্য আবার ও চমকে যায়।একি ফারজু এখানে সুয়ে আছে।তাহলে গাড়ি নিয়ে ওদের আনতে গিয়েছে কে?কাব্য ফারজু কে ডাকে এই ফারজু ফারজু।ফারজু গভীর ঘুমে মগ্ন আছে।অনেক ক্ষণ ডাকার পরে ফারজুর জ্ঞান ফিরেছে।ফারজু বলে আপনি।এভাবে ডাকছেন কেনো?
"তুমি এখানে সুয়ে আছো।তুমি না সানি দের আনতে গিয়েছো"
"সানি কে"
"হোয়াট সানি কে মানে।সানি আমার ফ্রেন্ড।তুমি না ওদের আনতে গেলে"
"আমি কিভাবে আনতে যাবো।আমি কি তাদের চিনি কাব্য বাবু।"
"কিন্তু সানি যে বললো আমার বউ তাদের আনতে গেছে"
"কাকে আপনার বউ ভেবেছে কি জানি।আচ্ছা ওরা এলেই তো দেখতে পাবেন আমি ওদের সাথে আছি কিনা"
"তুমি এভাবে সুয়ে ছিলে কেনো"
আসলে আমি খুব ভয় পেয়েছিলাম।আপনাকে বলা ঠিক হবে কিনা জানিনা।
কিসের ভয়।আমাকে বলো।
ওই যে আপনি বললেন না আপনার কিছু গেস্ট আসছে। তাদের জন্য রান্না করতে।তাই আমি রান্না করছিলাম।হটাত রান্না ঘরে দেখি কেউ একজন আমার চোখ বেঁধে দিলো।আমি আপনাকে মনে করেছি।কিন্ত কিছুক্ষণ পর দেখি একটা অপরিচিত মানুষের কন্ঠ।সে নাকি আমাক্ব খেয়ে ফেলতে চাই।মানুষ খাওয়া নাকি তার অভ্যাস।তারপর যে কি হলো আমি জানিনা।আপনি ডাকলেন আর আমি ঘুম থেকে উঠলাম।
আমার গায়ে একটা চিমটি কাটেন তো আমি বেঁচে আছি কিনা।
কাব্য মনে করে ফারজু ভীষণ ভয় পেয়ে এমন বলছে।কাব্য আস্তে একটা চিমটি কাটার সাথে ফারজুর শরীর কেটে কালো কুচকুচে রক্ত বেরিয়ে এলো।
কাব্য এমন কালো রক্ত দেখেই চমকে গেলো।
একি ফারজু তোমার শরীরের রক্ত কালো কেন?
ফারজু বলে দীর্ঘদিন ফ্রোজেন ছিলাম তো তাই রক্ত জমে গিয়ে এমন হয়ে গেছে।
এরই মাঝে নিচে গাড়ির হর্ণ শোনা যায়।
সানি আর নাঈম গাড়ি থেকে নেমে আসলো।
কাব্য আর ফারজু গাড়ির কাছে আসাতেই নাঈম বলে আরে ভাবি আমাদের আগেই চলে এসছেন।
ফারজু আর কাব্য একে অপরের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে।কাব্যর কাছে গভীর রহস্যর লাগে ব্যাপার টা তাই কিছু না বলেই সানিদের ভিতরে আসতে বলে।
ফারজুকে খাবার রেডি করতে বলে কাব্য।
এদিকে কাব্য সানিকে বলে আচ্ছা ফারজু তোদের আনতে গেছিলো কি কি হয়েছিলো বল তো।
সানি বলে আমরা স্টেশনে ছিলাম।হটাত ভাবি এসে বলে আমি কাব্যর বউ।কাব্য বেলালের কবর জেয়ারত এ বিজি আছে। তাই আমাকে গাড়ি দিয়ে পাঠালো।তোর গাড়িটা দেখে নিশ্চিন্ত হলাম উঠে পড়লাম।কিন্তু মাঝ রাস্তায় এসে বলে আমাদের গাড়ি নিয়ে চলে আসতে উনি কিছু বাজার রেখেছে ওগুলো নিয়ে আসবেন।
ওই দিকে হসপিটালের লাশ উধাও হওয়ার ঘটনায় আতঙ্কে আছে পুরা হসপিটালের মানুষ। রোজ রাতে পুলিশে পাহারা দিচ্ছে হসপিটাল এর চারদিক।
মাহাস আহমেদ মিম কে ডেকে পাঠান।
মিম এসে বলে স্যার ডেকেছেন।
হ্যাঁ ডেকেছি।
সেদিনের পরে কি হলো বাকিটা তো আর বললেন না।আজ পুরাটা শুনতে চাই।
মিম তারপর থেকে বলা শুরু করে।
স্যার আমরা মাংস বাজারে গেলাম যে লোকটা মুরগীর পরিবর্তে মানুষের মাংস মিশিয়ে দিয়েছিলো সেই লোকটার চোখ মুখ অন্য রকম লাগছিলো।আশে পাশের দোকান গুলাতে খোজ লাগালাম।তারা বলে ওই লোকটা কারো সাথেই মিশে না।গভীর রাতে আসে।তবে গরু বা খাসি নিয়ে আসে না একটা করে মানুষ এনে জবাই দেই আর তার ই মাংস বিক্রি করে।লোকটা কখন আসে আর কখন যায় বুঝি না।এই মাস খানিক হইছে তার এমন অদ্ভুত আচরণ।এস আই আই শুভ লোকটাতে লাঠি দিয়ে কয়েক ঘা দেওয়ার পর বেরিয়ে আসে তার কাহিনী।যার মাংশ বিক্রি করেছে তার কাটা মাথাটা বেরিয়ে নিয়ে আসে।।।
কাটা মাথা দেখে আমি সেন্সলেস হয়ে গেছিলাম।এই মাথাটা আর কারো নয় আমাদের সিনিয়র ডাক্তারের।
আশে পাশের লোকজন অদ্ভুত রহস্যময়ী কিছু জিনিস বলে।।।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------

No comments:

Post a Comment

অভিশপ্ত রজনী

  মৃত মেয়েটিকে ধর্ষণ করার সময় মেয়েটি যে জীবিত হয়ে ওঠে সেটা খেয়াল করেনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় কাব্য।ধবধবে সাদা চামড়ার মেয়েটিকে ভোগ করার...