Monday, 5 October 2020

আমি আমাকে ঘৃণা করি

 শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত।

মুক্তিযুদ্ধে পাকবাহিনীর গুলিতে মরে গিয়ে এক অর্থে বেঁচেই গিয়েছেন।
আপনিতো সেই মালাউন যিনি কিনা পূর্ব- পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদে সর্বপ্রথম বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন?
জবাবে নুরুল আমিন বলেছিলেন, কলকাতা থেকে কতিপয় ধুতিপড়া হিন্দু পাকিস্তানের সংহতি নষ্ট করতে অনুপ্রবেশ করেছে।
ইতিহাস বলে, আপনার প্রিয় পোশাক ছিল ধুতি আর পাঞ্জাবি। সেই পোশাকেই ছাত্রহত্যার খবর পেয়ে ১৯৫২ এর ২১ ফেব্রুয়ারি পার্লামেন্ট বর্জন করে চলে এসেছিলেন রাস্তায়।
বড্ডো বেঁচে গেছেন আপনি মরে গিয়ে। আজ এই স্বাধীন বাংলাদেশে জীবিত থাকলে আমাদের প্রগতিশীল, আধুনিক এবং রবীন্দ্রধারায় সিক্ত বন্ধুরা আপনার ধুতি খুলে নিতো।
সুপ্রীতি ধর, বোন আমার। কারনে অকারণে অনেকেরই পাশে দাঁড়ান। একবার তাকিয়ে
দেখুন তাদের মুখোশের আড়ালের মুখের দিকে।
আপনার বাবা একাত্তরে মুসলমান বাঁচাতে গিয়ে আরো বড়ো পাকি মুসলমানের গুলিতে বিদীর্ণ হয়েছিলেন।
কাকাবাবু বেঁচে থাকলে হয়তো আমাদের প্রিয় বন্ধুরা তার শরীরের উপর উদ্বাহু নৃত্য করতো। আপনার বন্ধুরা!
প্রিয় ছোটভাই জয়দেব নন্দী, এ যাত্রায় বেঁচে গেছিস! তুইতো আর ধুতি পড়িসনা।
তোর বন্ধুরা বঞ্চিত হলো ধুতি খোলা উৎসবের বিমলানন্দ থেকে।
চট্টগ্রামের নন্দন-কাননের শৈবাল তালুকদারের সাহস দেখে বলিহারি যাই!
সম্ভ্রান্ত মুললিম ঘরের ছয় বছরের মেয়ে জেসিকা ইরফানের সাথে এক্কা-দোক্কা
খেলা? সাহস খাকলে আসো বাংলাদেশে, তীক্ষ ছুরির নীচে।
অঞ্জন রায়, বারবার তোমার মৃত বাবার কথা বলো? প্রসাদ রায়? রাজশাহী জেলের
খাপড়া ওয়ার্ড়ের বন্দী? চিনিবার সময়তো নাই!
তোমার কাকাবাবু নাকি মুক্তিযোদ্ধা ছিলো?
সব বোগাস! তোমরা মালাউন! এর চেয়ে চিরসত্য নাই।
প্রসাদবাবু, বেঁচে থাকলে নব্য বাংলাদেশ প্রেমিকেরা পাবনার ইন্দারাপট্টির
মোড়ে আপনার ধুতি খুলে নিতো।
এক মধ্যম মাপের সরকারী আমলাকে দেখলাম, তার ষ্ট্যাটাসের ভাষায় ছদ্মবেশি ইনডিয়ান সাপোর্টারদের অর্থাৎ মালাউনদের পারলে ভারতে ফেরত পাঠান!
আরেক তথাকথিত মিডিয়া তারকা যার নামের পাশে ইসলামি ব্যাংক আর গণজাগরণ একসাথে গান গায় তাকে দেখলাম ধুতি খোলার কাব্য লেখায় মশগুল!
ঘৃণা করি নিজেকে যখন দেখি তাদের সাথেই আমার দীর্ঘ পথচলা যাদের লাল- সবুজ পতাকার আড়ালে হাসতে থাকে চান- তারা।
চিরদিন তোমার আকাশ, তোমার বাতাস এক অদ্ভূত ফিউশনে হয়ে যায় পাক সরজমিন সাদ বাদ।
আমি আমাকে ঘৃণা করি।

Thursday, 1 October 2020

ইজ্জতের সাথে বেইজ্জত হওয়া

 লিফট এর দরজা বন্ধ হবার আগেই এক অল্পবয়সী সুন্দরী মোহময়ী যুবতী মোবাইলে কথা বলতে বলতে লিফ্ট এ প্রবেশ করলো। 


আমি আমার কলপ করা চুলে হাত বুলিয়ে নার্ভাস নেস ঢাকতে আড় চোখে তাকালাম।

আমার দিকে তার পটল চেরা চাউনির এক ঝলক সামান্য তীর্যক আঘাত দিয়ে সে তার বান্ধবীকে বললো, "ছাড়, আমি এখন মোবাইল রাখছি। এখন আমি লিফ্টের মধ্যে আছি। লিফ্টে এক দূর্দান্ত, হ্যান্ডসাম, মেয়েদের ক্রাস্ হওয়ার মত একজনকে পেয়েছি। তাকে একটু বাজিয়ে দেখতে হবে। তোকে আপডেট্ পরে জানাবো।বাই... সি ইউ "। এই বলে সে মোবাইল রেখে দিল।


এর আগে আমি কিছু বলি, মেয়েটি আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বলল......


"সরি আঙ্কল, আমার বান্ধবী কখন থেকে জোঁকের মত মোবাইলের সাথে চিপকে রয়েছে এবং আমার সাথে কথা বলেই যাচ্ছে তো বলেই যাচ্ছে, তাই পেছন ছাড়ানোর জন্যে এই মিথ্যেটুকু বলতেই হোলো। কিছু মনে করবেন না।"


সত্যি কথা বলতে কি...

আজ পর্যন্ত এইরকম ইজ্জতের সাথে বেইজ্জত কখনও হতে হয়নি।


তাইতো বলি, বয়স হলে, শান্ত থাকুন, সুস্থ থাকুন, আর সব সময় সিড়ি ব্যবহার করে ফিট্ থাকুন। লিফ্ট ব্যবহার করবেন না।

😀😀😀😀😀

অভিশপ্ত রজনী

  মৃত মেয়েটিকে ধর্ষণ করার সময় মেয়েটি যে জীবিত হয়ে ওঠে সেটা খেয়াল করেনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় কাব্য।ধবধবে সাদা চামড়ার মেয়েটিকে ভোগ করার...