এক সময় যারা নিউ মার্কেটে গিয়ে দরদাম করে পাঞ্জাবী কিনত; নামায থেকে ফেরার সময় ভিখারিকে দিত ভাংতি পয়সা... সেমাই খেতে খেতে টিভির সামনে বসে পড়া..জানিনা কেমন আছে তারা!
সকল মৃত মানুষকে ঈদের শুভেচ্ছা।
ব্রিদ্ধাশ্রমের বাবা মায়েরা ,ডিপ্রেশনে ভুগতে থাকা মানুষেরা, সেলাইন নেয়া বৃদ্ধরা, এ্যাম্বুলেন্সে লাশ নিয়ে গোরস্থানে যাওয়া পরিবার গুলোকে কেমন করে ঈদের শুভেচ্ছা দেই !
কারাগারে থাকার অপরাধে যে বাবা দশ বছর ধরে তার ছেলেকে নিয়ে নামাজ পড়তে পারছে না সেই পরিবারকে কেমন করে আমি ঈদের শুভেচ্ছা দেই ?
টিভিতে দেখলাম একজন ৮০ হাজার টাকা দিয়ে পাঞ্জাবী কিনছে। এত দাম দিয়ে পাঞ্জাবী কেন? জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেন বছরে একবার মাত্র ঈদ আসে... না কিনলে কেমনে কী !
যে দেশে বেশিরভাগ মানুষ পুরনো কাপড় লন্ড্রিতে দিয়ে ঈদ করে সেই দেশে ৮০ হাজার টাকা দিয়ে পাঞ্জাবী কেনার মানে হল আপনে অসুস্থ ; আপনার চিকিৎসা প্রয়োজন...
আমার ক্ষুদ্র সামর্থ দিয়ে আমি কী করেছি সেই গল্প এখানে লিখতে চাই না...
এমন যদি হত...
দেশের সকল গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির মালিেকরা এক সাথে হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ত্রিশ লক্ষ নিন্মমধ্যবিত্ত পরিবারের কাছে একটি পাঞ্জাবী এবং একটি শাড়ি পৌঁছে দিবে।
বনফুল, প্রাণ এবং ফুলকলি যৌথ উদ্যেগ নিয়ে দশ লক্ষ দরিদ্র পরিবারকে দুটি করে প্যাকেট সেমাই বিতরণ করছে...
স্কয়ার গ্রপ ঘোঘণা দিল...দরিদ্রদের কাছ থেকে অন্তত রোজার মাসে সরকারী হাসপাতাল গুলোতে ওষুধের টাকা নিবে না।
বাটা- টাটা- এপেক্স সবাই মিলে কী দশ লক্ষ পথের মানুষকে এক জোড়া স্যান্ডেল দিতে পারত না?
লিজান মেহেদীর মালিক হঠাৎ করেই দল বল নিয়ে নেমে গেল রাস্তায়... পঞ্চাশ হাজার ফুল বিক্রেতার হাত রাঙিয়ে দিলে তার ব্যাংক ব্যাল্যান্স কমে যাবে না।
দেশি দশ থেকে শুধু দশটা জামাও পায়নি এরা...
দুই নেত্রী ঘোষণা দিয়েছে এদেশের প্রত্যেকটি মানুষের নতুন জামা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তারা পুরনো শাড়ি পরেই ঈদ করবে।
এতে কী হত জানেন? জামা কিনতে না পারা মানুষ গুলোর আর কোন দুঃখ থাকত না...
এমন যদি হত...
ঈদের সকালে ঘুম থেকে উঠে সবাই দেখত একটি স্বপ্নের দেশ ! জালালি কবুতর নতুন জামা পরে উড়ছে ... হেমন্তের মালবাহী ট্রেন স্বপ্ন নিয়ে রওনা দিয়েছে আনাচে কানাচে......
প্রতিটি ষ্টেশনে থামছে আর কিছু স্বপ্ন বিলিয়ে ছেড়ে যাচ্ছে পরের ষ্টেশনে !
No comments:
Post a Comment