Sunday, 26 September 2021

বায়োডাটা, সিভি, রিজিউমে, প্রোফাইল ও পোর্টফোলিও-এর মধ্যে পার্থক্য কী?

বায়োডাটা, সিভি, রিজিউমে এই তিনটা প্রায় একই লাগে আমাদের শুনতে কিন্তু এদের মধ্যে আকাশ-পাতাল ফারাক আছে।

বায়োডাটা: মুলত, আপনার ব্যক্তিগত তথ্যের একটা বিবরনী, তবে বিস্তারিত আকারে। যেমন: আপনার বয়স, উচ্চতা, মা-বাবা কি করে, কয়জন ভাই-বোন; তারা কি করে বা করছে, আপনি কি করেন, লেখাপড়া কতদূর করেছেন ইত্যাদি। এর ব্যবহারও আপনার জীবনের ব্যক্তিগত কাজে। যেমন: বিয়ের সময় বর/কনে পক্ষকে আপনার বৃত্তান্ত দেখানোর প্রয়োজন পরে, তখন আমরা বায়োডাটা ব্যবহার করি।
সিভি: এর ব্যবহার হয় একাডেমিক কাজে। যদিও বাংলাদেশে গড়পড়তা চাকরির কাজেও রিজিউমেকে সিভি লিখে ভুল করে। কারিকুলাম ভিটা তথা সিভি হলো আপনার শিক্ষাজীবনের বিশদ বিবরনী এবং হয় ব্যবহার হয় যখন আপনি এক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে যান কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি বা অন্য কোন ডিগ্রিতে এনরোল করার জন্য আবেদন করেন। ব্যক্তিগত তথ্য এখানে গুরুত্বপুর্ণ নয়।
রিজিউমে: চাকরি কিংবা প্রফেশনাল কাজের জন্য লাগে রিজিউমে। এখানে একাডেমিক তথ্যের পাশাপাশি কারিগরি দক্ষতা, কর্মস্থলে কাজ করার অভিজ্ঞতা, সহশিক্ষা কার্যক্রম জাতীয় তথ্যই এখানে মুখ্য। সিভির মতো রিজিউমে-ও ফরমাল ভাবে লিখতে হয়।

অন্যদিকে, প্রোফাইল আর পোর্টফোলিও অনেক সাংঘর্ষিক শোনায়।

প্রোফাইল: অনেকটা বায়োডাটার মতোই কিন্তু এটা লিখিত কিংবা অলিখিত যেকোনভাবেই থাকতে পারে। প্রোফাইল বলতে সাধারনত একজন ব্যক্তির অতীত সম্পর্কিত সংক্ষিপ্তাকারে জানা/দেওয়া তথ্যকে বুঝায়। বর্তমানে সোশ্যাল-মিডিয়ায় থাকা একজনের তথ্যকেও প্রোফাইল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
পোর্টফোলিও: ধরুন , আপনি একজন মাল্টি-ডায়মেনশনাল পারসন। আপনি একাধারে অনেক কিছু করেন। যেমন: আপনি ভিডিওগ্রাফি করেন আবার সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারও। কিংবা, আপনি একধারে পেপারের বিজনেস, এগ্রোফুডের বিজনেস এবং ইলেকট্রনিকসের বিজনেস পরিচালনা করেন। এক্ষত্রে আপনার এতগুলো কাজের বিষয়কে একজায়গা সমন্বয় করে রাখাই হলো পোর্টফোলিও।

No comments:

Post a Comment

অভিশপ্ত রজনী

  মৃত মেয়েটিকে ধর্ষণ করার সময় মেয়েটি যে জীবিত হয়ে ওঠে সেটা খেয়াল করেনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় কাব্য।ধবধবে সাদা চামড়ার মেয়েটিকে ভোগ করার...