Monday, 20 March 2017

"মুই তো ছিনু চালাক ...................!!"


"মুই তো ছিনু চালাক ...................!!"
মোর নাম চিমঠু , মোর বাড়ি পীরগঞ্জ
মোর একখান দেওনিয়া ছিল ---
একদিন মোর দেওনিয়া মোক কহিল -
চিমঠু তোক সাফাই দিবা যাবা হবে রে -
মুই কহেনু- সাফাই ফের কাক কহেগে দেওনিয়া !
দেওনিয়া কহিল , সাক্ষী রে সাক্ষী -
মুই কহেনু কেত্খুন যাবা হবে ?
-কাইল বেডডি বেহানে -
মুই তো বেডডি বেহানে মোর
ভাঙ্গা ছাতিখান বগলওত আর
ছিড়া পিরহান'টা ঘাড়ত নে হেনে-
চল -চল একদম পীরগঞ্জ ইশটিশোনত
ইশটিশোনত যায়ে হেনে টিকিট কাটে --
ছোটট ঘরখানত বসে আছু -
তাহার দেখেছু উত্তর ভিতিতে
আজরাইলের মতন এলগাড়িখান চলি আসিল
এলগাড়ির কাথা কি আর কহিম তোমহাক !
মাইনঝা খান সিমিট করা - চারহপাখে-
-দেওয়াললা খুটা দে হেনে বানাইছে ,
একখান ছোট কদুলার মতন.. উটা ভেলে নাইট-
আর একখান- তিন হাতওয়ালা উটা ভেলে পাখা '
ঝিকঝাক-ঝিকঝাক করি চলি আসীন দিনাজপুর -
চলে গেন কাচারী -
মোর দেওনিয়া মোক সওব বাতায় দিল
মুই ঠিক-ঠিক করে কহে দিনু হাকিমেরঠি ;
কাচারিথে বার হোনে-
মোর দেওনিয়া কহিল চল চিমঠু হোটেলত ভাত খায়েনি ;
হোটেলত যায়ে হেনে বসেছু -
একটা লোক আসে হেনে পুছিল কি খাইবেন ?
মুই কহেনু - ভাত , লোকটা কহিল -
হাফ খাইবেন না ফুল ? "মুই তো ছিনু চালাক"-
মুই কহেনু হাফ খাইম - হাফায় যাম আর খায়ে যাম -
এখন তোমরায় বুঝেন কি হইল !!
হোটেলতে বার হোনে -
মোর দেওনিয়া কহিল চল চিমঠু টুকি দেখি -
মুই কহেনু টুকি ফের কাক কহেগে দেওনিয়া ?!!!
দেওনিয়া কহিল-বাইস্কোপ রে বাইস্কোপ -
চলে গেন টুকি দেখবা - টিকিট কেটে হেনে
টুকি ঘরের ভিতর বসেছু ,
মনটা মোর খারাপ হয়ে গেল্ ...
মুই কহেনু দেওনিয়া মোক টুকি দেখাবু তো -
হয় ফাস কেলাশত নাহয় সেকেন কেলাশত
তা না করে নিকুয়ে হেনে পাছাভিতি !!!
মোর দেওনিয়া কহিল উটায় ভেলে ফাসকেলাশ ,
কি আর কহিম চুপ করে বসে সাদা কাপড়খানের-
-ভিতিবা দেখেছু--তাহার দেখেছু ---
কাপড়খানত ভক করে আগুন ধরে গেল !!
মুই তো কদদে ওঠে মালকাছ মারে হেনে কহেনু
দেওনিয়া পানি আন পানি !!
মোর দেওনিয়া কহিল চুপ বোকা-
টুকি শুরু হইল !
কি আর কহু আবারও চুপ করে সাদা কাপড়খানের ভিতিবা দেখেছু
তাহার দেখেছু অনেকলা লোক লাঠি নে হেনে আসেছে মারবা -
মুই তো দিশ পে'হেনে মোর ভাঙ্গা ছাতিটা দে'হেনে দিনু মাথাত বাড়ি --
তো ওমমা !! উ'লোগ লাগ নি'লেগে হেনে ----
মোর আগাভীতি একটা লোকের মাথা ফাটে রক্ত বার হৈছে --
তখুন সব লোগলা কদদে উঠে হেনে কহিল --
-ধর চাষাক ধর ----
মুই তো মোর ভাঙ্গা ছাতিটা বগলত নে'হেনে দিনু দৌড় ---

মানুষ কখনো ইচ্ছা করে কাঁদে না, কাঁদায় তার অতীতের স্মৃতি গুলো, কাঁদায় তার সবচেয়ে কাছের মানুষ, কাঁদায় তার প্রিয়জন

ধরে নিলাম, নীতিগত ভাবে আপনি সৎ... তবুও এমন কী হয় না...
এক সময় হঠাৎ মানুষটাকে আর ভাল লাগছে না... ! তার হাত ধরে আনন্দ পাচ্ছেন না... একসাথে রিক্সায় ঘুরে ভাল লাগছে না...
কথা বলতে ইচ্ছে করে না ; মনে হয় সব বলা হয়ে গেছে। তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করে না; তাকিয়ে থাকার আর কিছু নেই। তার চেহারা আপনার মুখস্ত।
ইম্প্রেস করতে ইচ্ছে করে না ; সে এমনিতেই দিন রাত আপনাকে নিয়ে আছে। ইম্প্রেস করার কিছু নেই।
আগে যখন লং ড্রাইভে যেতেন তখন গাড়িতে কম ভলিউমে বাজত এই পথ যদি না শেষ হয়। মিরর গ্লাস তার দিকে সেট করা রাখা হত ; যেন ড্রাইভিং সীটে বসে সহজেই তাকে দেখা যায়... 
কী চমৎকার ছিল দিন গুলো...
ইচ্ছে করে না , কোন অপরাধে না , কোন কারণ ছাড়াই মানুষটার প্রতি আবেগ ভোতা হয়ে গেছে...
একদিন ঘুম থেকে উঠে আবিষ্কার করলেন অন্য কাউকে আপনার ভাল লাগছে। 
কী করবেন আপনি ?
'ভাল লাগার' ব্যাপারটি তো আর প্ল্যানিং করে করেন নি.... !!! 
কাউকে আর ভাল না লাগলে আপনার কী করার আছে ? অন্য কাউকে ভাল লাগলে আপনার দোষ কেন হবে ???
.........এই সময়টাতেই আমরা সব থেকে বড় ভুলটা করে ফেলি...
আমাদের মনে থাকে না, যে মানুষটিকে আজ হঠাৎ খুব ভাল লাগছে... সে মানুষটিও একদিন পুরনো হবে। তার চেহারাও একদিন মুখস্ত হবে !!
শীতে কেঁপে কেঁপে তার সাথে নৌকা বাইতে আজ যেরকম ভাল লাগছে ; ঠিক এইরকম ভালই লেগেছিল কয়েক বছর আগে ছেড়ে যাওয়া মানুষটার প্রতি...
মোহ জিনিসটা বেশি দিন থাকে না...
সৌন্দর্য যদি ভালবাসার মূল উৎস হত তাহলে জগতের কোন বৃদ্ধ তার বৃদ্ধা স্ত্রীকে ভালবাসতে পারত না...
টাকা পয়সা যদি মূল উৎস হত তাহলে পৃথিবীতে কোন মেয়ে কোন মধ্যবিত্তকে মন থেকে ভালবাসতে পারত না...
মানুষটিকে সম্পূর্ণ পাবার পর আমাদের মাথায় থাকে না ; এই মানুষটিকে ছাড়াই একদিন আপনি অসম্পূর্ণ ছিলেন...
পেয়ে যাবার পর আমরা ভুলে যাই , কাছের মানুষটিকে আইরন করে রাখতে হয়... শোবার সময় বালিশের পাশে রাখতে হয়।
...মাঝে মাঝে অবাক বিস্ময়ে বলতে হয় ;
''ও আল্লাহ ! তোমাকে কী যেএএএ সুন্দর লাগতেছে !! 


আচ্ছা এখানে কাঁদার কী হল !!
মানুষ কখনো ইচ্ছা করে কাঁদে না, কাঁদায় তার অতীতের স্মৃতি গুলো, কাঁদায় তার সবচেয়ে কাছের মানুষ, কাঁদায় তার প্রিয়জন।

Monday, 13 March 2017

ও মেয়ে






মেয়ে তোর বয়স কত?
: কি জানি গো,মা থাকলে বলে দিত।
সেই যে বারে দাঙ্গা হল,শয়ে শয়ে লোক মরল,
হিন্দুদের ঘর জ্বলল, মুসলমানের রক্ত ঝরল,
তখন নাকি মা পোয়াতি,দাঙ্গা আমার
জন্মতিথি
মেয়ে তোর বাবা কোথায়?
: মা বলেছে,গরিব দের বাবা হারায়
কেউ তো বলে বাপটা আমার হারামি ছিল।
মায়ের জীবন নষ্ট করে,অন্য গাঁয়ে ঘর বাঁধল।
মা বলত, শিবের দয়াই তোকে পেলাম
শিবকেই তাই বাপ ডাকলাম

মেয়ে তোর প্রেমিক আছে?
ছেলেরা ঘোরে ধারে-কাছে?

: প্রেমিক কি গো?মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে?
স্বপ্ন দেখায় দিন দুপুরে?
চুড়ি কাজল মেলাতে কেনায়,
ঝোপের ধারে জামা খোলায়?
এসব নন্দ কাকা করেছে দুবার
প্রেমিক ওকেই বলব এবার

মেয়ে তোর পদবি কি?

: বাপই নাকি দেয় শুনেছি
পদবী থাকলে ভাত পাওয়া যায়?

বাপের আদর কাঁদায় হাসায়
ওটা কি বাজারে মেলে?
কিনব তবে দু-দশে দিলে
দামী হলে চাই না আমার
থাক তবে বাপ-ঠাকুরদার

মেয়ে তুই রূপসী?
:লোকে বলে ডাগর গতর সর্বনাশী
রুপ তো নয়, চোখের ধাঁধা।
যৌবনেতে কুকুরী রাঁধা।
পুরুষ চোখের ইশারা আসে,
সুযোগ বুঝে বুকে পাছায় হাত ঘষে।
রুপ কি শুধুই মাংসপেশী?
তবে তো আমি খুব রূপসী

মেয়ে তোর ধর্ম কি রে?
: মেয়েমানুষের ধর্ম কি গো?
সব কিছু তো শরীর ঘিরে,
সালমা বলে ধর্মই সমাজ বানায়,
সন্ধেবেলা যখন দাঁড়াই
কেউ তো বলে না,হিন্দু নাকি?
সবাই বলে,কতই যাবি?
বিছানা নাকি ধর্ম মেলায়
শরীর যখন শরীর খেলায়
তাই ভাবছি এবার থেকে ধর্ম বলব
শরীরবাদী খেলাকে




অভিশপ্ত রজনী

  মৃত মেয়েটিকে ধর্ষণ করার সময় মেয়েটি যে জীবিত হয়ে ওঠে সেটা খেয়াল করেনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় কাব্য।ধবধবে সাদা চামড়ার মেয়েটিকে ভোগ করার...