Friday, 19 October 2018

একজন আইয়ুব বাচ্চু বনাম জান্নাত -জাহান্নাম


আজ মরলে কাল দু'দিন। সৃষ্টি জগতের অমোঘ নিয়মে সদ্য প্রয়াত হলেন বাংলার সঙ্গীত জগতের আরেক দিকপাল আইয়ুব বাচ্চু। আমরা অনেকেই তাকে ইতোমধ্যেই জাহান্নামী করে দিয়েছি এমনই ভাবে যেন তিনি মৃত্যুর পর আমার কাছে এসেছেন আর আমিই জান্নাত-জাহান্নামের মালিক (নাউজুবিল্লাহ )। নচেৎ জান্নাত-জাহান্নামের মালিক আমাকে ওহীর মাধ্যমে জানিয়েছেন (নাউজুবিল্লাহ )। ভাই, কোরাণ-হাদিসে মিথ্যা বলে মানুষকে আনন্দ দেয়া, মদ্যপান এগুলো নিষেধ। এর জন্য আমি আল্লাহর শাস্তি বা ক্ষমা যে কোনটাই পেতে পারি। এটা একান্তই আল্লাহর ইচ্ছা। আইয়ুব বাচ্চু হয়তো তা করেছেন কিন্তু আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাসী ছিলেন বলেই জানি। বিভিন্ন ধরণের শির্ক থেকে মুক্ত ছিলেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু। তিনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করবেন। এই জ্ঞান যার নাই সে-ই কেবল যখন-তখন যে কাউকে জাহান্নামে পাঠায় অথচ নিজের পরিনতি-ই জানে না।


তাই আসুন, আমরা কৃপণ না হয়ে কায়মনোবাক্যে আল্লাহর কাছে তার জন্য মাগফিরাত ও জান্নাত কামনা করি এবং আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ না হই। দয়াময় আল্লাহর ক্ষমা অপরিসীম। জীবনে অনেক আনন্দ পেয়েছি তার কাছে। আজ ঋণ শুধবার দিন। আমি অন্ততঃ তা করি।

Thursday, 11 October 2018

পরকীয়ায় সংসার জীবনে অশান্তি আসতে পারে

গত কয়েকদিন যাবত একটা শ্রেণীকে দেখছি ফেসবুক তোলপাড় করে তুলছে ভারতীয় সুপ্রীম কোর্ট পরকীয়াকে বৈধতা দিয়েছে বলে৷ এই শ্রেণীতে আস্তিক, নাস্তিক, প্রগতিশীল প্রতিক্রিয়াশীল পলিগামী মনোগামী, নারী পুরুষ সকলেই সরব৷ আমি আইনের লোক নই তবু জানার বুঝাপ চেষ্টা করলাম আসলেই ঘটনা কি? কেন অমন জাত গেল জাত গেল রব চারদিকে৷ যা জানলাম তা হলো:
ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট পরকীয়ায় বৈধতা দেয়নি। একটা সেকেলে অনুপযোগী আইনকে সংস্কার করেছে মাত্র। ১৮৬০ সালে ব্রিটিশদের তৈরি ৪৯৭ ধারা অনুযায়ী -কোন ব্যক্তি যদি অন্য কোনো ব্যক্তির স্ত্রীর সঙ্গে তার অজ্ঞাতে বা অসম্মতিতে পরকীয়া করে তবে তার পাঁচ বছর জেল এবং জরিমানা হতে পারে। এক্ষেত্রে মহিলাটির কোনো শাস্তি হবে না। এক্ষেত্রে একটি লিঙ্গ বৈষম্য দেখা যায়। এই আইনটিকে বন্ধ করা হয়েছে । সুপ্রীম কোর্টের মতে- এই আইনটি মেয়েদের স্বাতন্ত্র্য ও ব্যক্তিস্বাধীনতা খর্ব করছে। এই আইন স্ত্রীকে স্বামীর সম্পত্তি এবং স্বামীকে স্ত্রীর প্রভু হিসেবে প্রতিষ্ঠা করায়। কিন্তু স্ত্রী পরকীয়া করলে স্বামীর সম্পূর্ণ অধিকার আছে তাকে ডিভোর্স দেওয়ার।
পরকীয়ায় সংসার জীবনে অশান্তি আসতে পারে। কিন্তু এটি কোন অপরাধ নয় যদি না এটি ৩০৬ ধারা অনুযায়ী আত্মহত্যায় প্ররোচনার প্রভাবক না হয়। এটি কোন ফৌজদারি অপরাধ নয়। তাই ভারতীয় সংবিধানে যুক্ত ব্যভিচার ধারাটি অসাংবিধানিক বলে সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে
* ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট বললো, ‘ নারী পুরুষের অধীন নয়, নারীর শরীরের মালিক নারী নিজে।‘ অর্থাৎ এখানে নারীকে পূর্ণ মানুষের সম্মান দেওয়া হয়েছে।
আর আপনারা বললেন, ‘ ভারত পরকীয়া বৈধ করে দিয়েছে। ‘
* ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট বললো, ‘ পরকীয়ায় শাস্তি আগে শুধু পুরুষ পেত, এটা গ্রহণযোগ্য নয়। এখানে একটা বৈষম্য থাকে ‘।
আপনারা বললেন, ‘ভারত পরকীয়া বৈধ করে দিয়েছে।
* ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট বললো, ‘ পরকীয়া রাষ্ট্রের সমস্যা নয়। এখানে রাষ্ট্র বা পুলিশের নাক গলানোর কিছু নেই। এটা ওই নারী ও পুরুষের ব্যক্তিগত বিষয়। আপনারা বললেন, ‘ ভারত পরকীয়া বৈধ করে দিয়েছে।‘
* ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট বললো, ‘ শুধু পরকীয়ায় জড়িত নারীর স্বামীর অধিকার ছিলো আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার। কিন্তু জড়িত পুরুষের স্ত্রীর সেই অধিকার ছিলোনা। এখন নিতে পারবে।
আপনারা বললেন, ‘ ভারত পরকীয়া বৈধ করে দিয়েছে।‘
* ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট বললো, ‘মানুষ কার সাথে সম্পর্ক বা যৌন সম্পর্ক করবে তা সমাজ ঠিক করে দিতে পারেনা। এই ধারাটি স্বেচ্ছাচারিতার সমান‘।
আপনারা বললেন,’ ভারত পরকীয়া বৈধ করে দিয়েছে।‘

আমরা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পারি, শিখতে পারি, দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আনতে পারি। মানুষের ভাবনা আর তথ্য দিয়ে নিজেকে সমৃদ্ধ করে চলেছি। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যমে আমাদের আরো বেশি সচেতন হওয়া উচিত।

শুধু নিজের মনের জোর নিয়ে যুদ্ধ করতে থাকুন- আপনি জিতবেনই।

বিজ্ঞান বলে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক সুস্থ্য পুরুষ একবার সহবাস করলে যে পরিমান বীর্য নির্গত হয় তাতে ৪০ কোটি শুক্রাণু থাকে। তো, লজিক অনুযায়ি মেয়েদের গর্ভে যদি সেই পরিমান শুক্রানু স্থান পেতো তাহলে ৪০ কোটি বাচ্চা তৈরি হতো!
এই ৪০ কোটি শুক্রাণু, মায়ের জরায়ুর দিকে পাগলের মত ছুটতে থাকে, জীবিত থাকে মাত্র ৩০০-৫০০ শুক্রাণু।
আর বাকিরা ? এই ছুটে চলার পথে ক্লান্ত অথবা পরাজিত হয়ে মারা যায়। এই ৩০০-৫০০ শুক্রাণু, যেগুলো ডিম্বানুর কাছে যেতে পেরেছে। তাদের মধ্যে মাত্র একটি মহা শক্তিশালী শুক্রাণু ডিম্বানুকে ফার্টিলাইজ করে, অথবা ডিম্বানুতে আসন গ্রহন করে। সেই ভাগ্যবান শুক্রাণুটি হচ্ছে আপনি কিংবা আমি, অথবা আমরা সবাই।
কখনও কি এই মহাযুদ্ধের কথা মাথায় এনেছেন?
১। আপনি যখন দৌড় দিয়েছিলেন" তখন ছিলনা কোন চোঁখ হাত পা মাথা, তবুও আপনি জিতেছিলেন।
২। আপনি যখন দৌড় দিয়েছিলেন"তখন আপনার ছিলোনা কোন সার্টিফিকেট, ছিলোনা মস্তিষ্ক তবুও আপনি জিতেছিলেন।
৩। আপনি যখন দৌড় দিয়েছিলেন তখন আপনার ছিলনা কোন শিক্ষা, কেউ সাহায্য করেনি তবুও আপনি জিতেছিলেন।
৪। আপনি যখন দৌড় দিয়েছিলেন তখন আপনার একটি গন্তব্য ছিলো এবং সেই গন্তব্যের দিকে উদ্দেশ্য ঠিক রেখে একা একাগ্র চিত্তে দৌড় দিয়েছিলেন এবং শেষ অবধি আপনিই জিতেছিলেন।
- এর পর, বহু বাচ্চা মায়ের পেটেই নষ্ট হয়ে যায় । কিন্তু আপনি মারা যান নি, পুরো ১০ টি মাস পূর্ণ করতে পেরেছেন ।
- বহু বাচ্চা জন্মের সময় মারা যায় কিন্তু আপনি টিকেছিলেন ।
- বহু বাচ্চা জন্মের প্রথম ৫ বছরেই মারা যায়। আপনি এখনো বেঁচে আছেন ।
- অনেক শিশু অপুষ্টিতে মারা যায়। আপনার কিছুই হয় নি ।
- বড় হওয়ার পথে অনেকেই দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছে, আপনি এখনো আছেন ।
আর আজ......
আপনি কিছু একটা হলেই ঘাবড়ে যান, নিরাশ হয়ে পড়েন, কিন্তু কেন? কেনো ভাবছেন আপনি হেরে গিয়েছেন ? কেন আপনি আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছেন ? এখন আপনার বন্ধু বান্ধব, ভাই বোন, সার্টিফিকেট, সবকিছু আছে। হাত-পা আছে, শিক্ষা আছে, প্ল্যান করার মস্তিষ্ক আছে, সাহায্য করার মানুষ আছে, তবুও আপনি আশা হারিয়ে ফেলেছেন। যখন আপনি জীবনের প্রথম দিনে হার মানেননি। ৪০ কোটি শুক্রাণুর সাথে মরণপণ যুদ্ধ করে, ক্রমাগত দৌড় দিয়ে কারো সাহায্য ছাড়াই প্রতিযোগিতায় একাই বিজয়ী হয়েছেন।
কেনো একজন আপনার লাইফ থেকে চলে গেলে,
সেটা মেনে নিতে পারেন না?
কেনো আপনি একটা কিছু হলেই ভেঙে পড়েন??
কেনো বলেন আমি আর বাচতে চাইনা?
কেনো বলেন আমি হেরে গিয়েছি?
এমন হাজারো কথা তুলে ধরা সম্ভব, কিন্তু আপনি কেনো হতাশ হয়ে পড়েন?
আপনি কেন হারবেন? কেন হার মানবেন? আপনি শুরুতে জিতেছেন, শেষে জিতেছেন, মাঝপথেও আপনি জিতবেন। নিজেকে সময় দিন, মনকে প্রশ্ন করুন কি প্রতিভা আছে আপনার। মনের চাওয়া কে সব সময় মূল্য দিন। দেখবেন আপনি জিতে যাবেন।
শুধু নিজের মনের জোর নিয়ে যুদ্ধ করতে থাকুন- আপনি জিতবেনই।
ইনশা আল্লাহ্

অভিশপ্ত রজনী

  মৃত মেয়েটিকে ধর্ষণ করার সময় মেয়েটি যে জীবিত হয়ে ওঠে সেটা খেয়াল করেনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় কাব্য।ধবধবে সাদা চামড়ার মেয়েটিকে ভোগ করার...