গত কয়েকদিন যাবত একটা শ্রেণীকে দেখছি ফেসবুক তোলপাড় করে তুলছে ভারতীয়
সুপ্রীম কোর্ট পরকীয়াকে বৈধতা দিয়েছে বলে৷ এই শ্রেণীতে আস্তিক, নাস্তিক,
প্রগতিশীল প্রতিক্রিয়াশীল পলিগামী মনোগামী, নারী পুরুষ সকলেই সরব৷ আমি
আইনের লোক নই তবু জানার বুঝাপ চেষ্টা করলাম আসলেই ঘটনা কি? কেন অমন জাত গেল
জাত গেল রব চারদিকে৷ যা জানলাম তা হলো:
ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট পরকীয়ায় বৈধতা দেয়নি। একটা সেকেলে অনুপযোগী আইনকে সংস্কার করেছে মাত্র। ১৮৬০ সালে ব্রিটিশদের তৈরি ৪৯৭ ধারা অনুযায়ী -কোন ব্যক্তি যদি অন্য কোনো ব্যক্তির স্ত্রীর সঙ্গে তার অজ্ঞাতে বা অসম্মতিতে পরকীয়া করে তবে তার পাঁচ বছর জেল এবং জরিমানা হতে পারে। এক্ষেত্রে মহিলাটির কোনো শাস্তি হবে না। এক্ষেত্রে একটি লিঙ্গ বৈষম্য দেখা যায়। এই আইনটিকে বন্ধ করা হয়েছে । সুপ্রীম কোর্টের মতে- এই আইনটি মেয়েদের স্বাতন্ত্র্য ও ব্যক্তিস্বাধীনতা খর্ব করছে। এই আইন স্ত্রীকে স্বামীর সম্পত্তি এবং স্বামীকে স্ত্রীর প্রভু হিসেবে প্রতিষ্ঠা করায়। কিন্তু স্ত্রী পরকীয়া করলে স্বামীর সম্পূর্ণ অধিকার আছে তাকে ডিভোর্স দেওয়ার।
পরকীয়ায় সংসার জীবনে অশান্তি আসতে পারে। কিন্তু এটি কোন অপরাধ নয় যদি না এটি ৩০৬ ধারা অনুযায়ী আত্মহত্যায় প্ররোচনার প্রভাবক না হয়। এটি কোন ফৌজদারি অপরাধ নয়। তাই ভারতীয় সংবিধানে যুক্ত ব্যভিচার ধারাটি অসাংবিধানিক বলে সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে
* ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট বললো, ‘ নারী পুরুষের অধীন নয়, নারীর শরীরের মালিক নারী নিজে।‘ অর্থাৎ এখানে নারীকে পূর্ণ মানুষের সম্মান দেওয়া হয়েছে।
আর আপনারা বললেন, ‘ ভারত পরকীয়া বৈধ করে দিয়েছে। ‘
* ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট বললো, ‘ পরকীয়ায় শাস্তি আগে শুধু পুরুষ পেত, এটা গ্রহণযোগ্য নয়। এখানে একটা বৈষম্য থাকে ‘।
আপনারা বললেন, ‘ভারত পরকীয়া বৈধ করে দিয়েছে।
* ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট বললো, ‘ পরকীয়া রাষ্ট্রের সমস্যা নয়। এখানে রাষ্ট্র বা পুলিশের নাক গলানোর কিছু নেই। এটা ওই নারী ও পুরুষের ব্যক্তিগত বিষয়। আপনারা বললেন, ‘ ভারত পরকীয়া বৈধ করে দিয়েছে।‘
* ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট বললো, ‘ শুধু পরকীয়ায় জড়িত নারীর স্বামীর অধিকার ছিলো আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার। কিন্তু জড়িত পুরুষের স্ত্রীর সেই অধিকার ছিলোনা। এখন নিতে পারবে।
আপনারা বললেন, ‘ ভারত পরকীয়া বৈধ করে দিয়েছে।‘
* ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট বললো, ‘মানুষ কার সাথে সম্পর্ক বা যৌন সম্পর্ক করবে তা সমাজ ঠিক করে দিতে পারেনা। এই ধারাটি স্বেচ্ছাচারিতার সমান‘।
আপনারা বললেন,’ ভারত পরকীয়া বৈধ করে দিয়েছে।‘
আমরা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পারি, শিখতে পারি, দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আনতে পারি। মানুষের ভাবনা আর তথ্য দিয়ে নিজেকে সমৃদ্ধ করে চলেছি। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যমে আমাদের আরো বেশি সচেতন হওয়া উচিত।
ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট পরকীয়ায় বৈধতা দেয়নি। একটা সেকেলে অনুপযোগী আইনকে সংস্কার করেছে মাত্র। ১৮৬০ সালে ব্রিটিশদের তৈরি ৪৯৭ ধারা অনুযায়ী -কোন ব্যক্তি যদি অন্য কোনো ব্যক্তির স্ত্রীর সঙ্গে তার অজ্ঞাতে বা অসম্মতিতে পরকীয়া করে তবে তার পাঁচ বছর জেল এবং জরিমানা হতে পারে। এক্ষেত্রে মহিলাটির কোনো শাস্তি হবে না। এক্ষেত্রে একটি লিঙ্গ বৈষম্য দেখা যায়। এই আইনটিকে বন্ধ করা হয়েছে । সুপ্রীম কোর্টের মতে- এই আইনটি মেয়েদের স্বাতন্ত্র্য ও ব্যক্তিস্বাধীনতা খর্ব করছে। এই আইন স্ত্রীকে স্বামীর সম্পত্তি এবং স্বামীকে স্ত্রীর প্রভু হিসেবে প্রতিষ্ঠা করায়। কিন্তু স্ত্রী পরকীয়া করলে স্বামীর সম্পূর্ণ অধিকার আছে তাকে ডিভোর্স দেওয়ার।
পরকীয়ায় সংসার জীবনে অশান্তি আসতে পারে। কিন্তু এটি কোন অপরাধ নয় যদি না এটি ৩০৬ ধারা অনুযায়ী আত্মহত্যায় প্ররোচনার প্রভাবক না হয়। এটি কোন ফৌজদারি অপরাধ নয়। তাই ভারতীয় সংবিধানে যুক্ত ব্যভিচার ধারাটি অসাংবিধানিক বলে সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে
* ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট বললো, ‘ নারী পুরুষের অধীন নয়, নারীর শরীরের মালিক নারী নিজে।‘ অর্থাৎ এখানে নারীকে পূর্ণ মানুষের সম্মান দেওয়া হয়েছে।
আর আপনারা বললেন, ‘ ভারত পরকীয়া বৈধ করে দিয়েছে। ‘
* ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট বললো, ‘ পরকীয়ায় শাস্তি আগে শুধু পুরুষ পেত, এটা গ্রহণযোগ্য নয়। এখানে একটা বৈষম্য থাকে ‘।
আপনারা বললেন, ‘ভারত পরকীয়া বৈধ করে দিয়েছে।
* ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট বললো, ‘ পরকীয়া রাষ্ট্রের সমস্যা নয়। এখানে রাষ্ট্র বা পুলিশের নাক গলানোর কিছু নেই। এটা ওই নারী ও পুরুষের ব্যক্তিগত বিষয়। আপনারা বললেন, ‘ ভারত পরকীয়া বৈধ করে দিয়েছে।‘
* ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট বললো, ‘ শুধু পরকীয়ায় জড়িত নারীর স্বামীর অধিকার ছিলো আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার। কিন্তু জড়িত পুরুষের স্ত্রীর সেই অধিকার ছিলোনা। এখন নিতে পারবে।
আপনারা বললেন, ‘ ভারত পরকীয়া বৈধ করে দিয়েছে।‘
* ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট বললো, ‘মানুষ কার সাথে সম্পর্ক বা যৌন সম্পর্ক করবে তা সমাজ ঠিক করে দিতে পারেনা। এই ধারাটি স্বেচ্ছাচারিতার সমান‘।
আপনারা বললেন,’ ভারত পরকীয়া বৈধ করে দিয়েছে।‘
আমরা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পারি, শিখতে পারি, দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আনতে পারি। মানুষের ভাবনা আর তথ্য দিয়ে নিজেকে সমৃদ্ধ করে চলেছি। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যমে আমাদের আরো বেশি সচেতন হওয়া উচিত।
No comments:
Post a Comment