Monday, 20 January 2020

আপনি মানসিক ভাবে সুস্থ নাকি অসুস্থ ? জেনে নিন...



পদার্থবিদ মিসিও কাকু একটি কথা বলেছেন ; প্রতিটি মানুষ জন্ম নেয় বিজ্ঞানী হয়ে...
আশে পাশের সব কিছু নিয়ে তার কৌতূহল... এটা কী ? ওটা কী ?
আমি লক্ষ করেছি তাদের প্রশ্ন গুলো অত্যন্ত কঠিন প্রকৃতির হয়ে থাকে...
বাবা এটা কী রং?’
নীল’
নীল রঙের নাম নীল হল কেন’ ?
বুড়ো বয়সে রবীন্দ্রনাথের মাথায় যে চিন্তাটা এসেছে সেই একই চিন্তা শিশুরাও করে... ‘আকাশের শেষে কী আছে’?
' এর কোন শেষ নেই ' বললেই হল নাকি... যে জিনিসের শুরু আছে তার শেষ থাকবে না কেন ? আচ্ছা এর কী আদৌ কোন শুরু আছে ?
শুরু নেই শেষ নেই ! বিষয়টা কী ?
.......বছর কয়েক পর শিশুদের স্কুলে ভর্তি করানো হয়... তারা জেনে যায় সামনে পরীক্ষা... পড়া মুখস্ত করে মা কে দিতে হবে...
মুখস্ত করার বীজ ঢুকিয়ে দেয়া হল ; বের হয়ে গেল তার সারাক্ষণ জানতে চাওয়ার রোগটা...
মানুষ জন্ম নেয় বিজ্ঞানী হয়ে... যেদিন থেকে সে স্কুলে যায় সেদিন থেকে সে অবৈজ্ঞানী হতে শুরু করে...
...... আমাদের সিস্টেমটা এমন যে এখানে কেউ যদি মুক্ত ভাবে চিন্তা করতে শুরু করে তার ভেতরে এক ধরনের অটিসটিক ডিসঅর্ডার চলে আসে...
.......আইনস্টাইন মানুষের সঙ্গ পছন্দ করতেন না...
তার নিজের ফোন নাম্বার অথবা বাসার ঠিকানা ভুলে যাবার গল্প কে না জানে... এই মানুষটার এস্পারজার’স সিনড্রোম ছিল... যা এক ধরনের অটিসটিক ডিসঅর্ডার... .
.....নিউটনের ভেতরেও অটিসটিকের প্রবণতা দেখা গেছে... ঘণ্টার পর ঘণ্টা নিজের সাথে কথা বলার মত রোগ (?) তার ভেতরে ছিল... খুব প্রয়োজন না হলে কারো সাথে মিশেন নি...
মানুষের সাথে না মেশার সমস্যা চার্লস ডারউইনের ভেতরেও ছিল... স্কুলে ভর্তি হয়ে মুকস্ত বিদ্যার ভয়ে এক পর্যায় লেখা পড়া ছেড়ে দেন...
এই ধরনের উদাহারণ আরও অনেক দিতে পারব...
.......আমরা জন্ম নেই সুস্থ ভাবে... স্কুলে ভর্তি করিয়ে মানুষদের অসুস্থ বানানো হয়... গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করলে বুঝতে হবে সে এখন পুরাপুরি অসুস্থ !! রাষ্ট্রের প্রথম শ্রেণীর নাগরিক...
কোটি কোটি অসুস্থ মানুষের ভিড়ে কেউ কেউ সুস্থ থাকলে তাকে সবাই অসুস্থ মনে করতে শুরু করে... এটাই স্বাভাবিক... এটাই হচ্ছে...
একারণেই মফস্বলের কোন যুবক নিজের কম্পিউটারের টাকা দিয়ে কোন ভিক্ষুককে রিকশা কিনে দিলে সেটা তার পরিবার পছন্দ করে না... ছেলের মাথায় সমস্যা আছে...
......বুয়েটে চান্স পাওয়া কোন মেয়ে চারুকলায় ভর্তি হলে বুঝতে হবে তার মাথায় সমস্যা আছে... সে অসুস্থ...
চাকরী না পাওয়া নতুন নতুন শহরে আসা কেউ যদি রাত দিন উপন্যাস লিখতে শুরু করে সে অসুস্থ...
সব্বাই তোমাকে সামনে যেতে বলবে... তবু কেউ কেউ মাঝপথে দাড়িয়ে থাকে... আকাশের দিকে তাকিয়ে নক্ষত্র গণনা করে... সে আর সামনে যেতে চায় না... সে নিশ্চয়ই অসুস্থ... !
...আপনি ?





No comments:

Post a Comment

অভিশপ্ত রজনী

  মৃত মেয়েটিকে ধর্ষণ করার সময় মেয়েটি যে জীবিত হয়ে ওঠে সেটা খেয়াল করেনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় কাব্য।ধবধবে সাদা চামড়ার মেয়েটিকে ভোগ করার...