Friday, 29 January 2021

একটা ছোটো মেয়ে

 


লোকে বলে আমি একটা ছোটো মেয়ে। এ তো বাচ্চা! এইভাবে বলে, কিন্তু আমি জানি আমি মোটেই বাচ্চাটাচ্চা নই। বারো ক্লাসে উঠলুম। সতেরো বছর বয়স হলআবার বাচ্চা কী? আসলে আমি বেঁটে, চায় ফুট সাড়ে দশ ইঞ্চি মোটে হাইট। মোটাসোটা নই। তাই আমাকে ছোটো লাগে। আমার বন্ধু দেবলীনার মা বলছিলেন, হঠাৎ দেখলে তোকে লীনাদের থেকে অনেক ছোটো দেখায়, কিন্তু মুখটা ভালো করে দেখলেই যে কেউ বুঝবে।

দেবলীনা মজা পাওয়া হাসি হাসতে হাসতে বলেছিল, তবে কি ঋতুর মুখটা পাকা-পাকা, মা?

না, পাকা নয়,-ঢাক গিললেন দেবলীনার মামানে ওই ম্যাচিয়োর আর কী!

সেই মুখই এখন দেখছি আমি। গালগুলো ফুলো ফুলো। চোখ দুটো গোল মতো। পাতা নেই। নেই মানে কম। ভুরু খুব পাতলা, ঠোঁটের ওপর দিকটা সামান্য উঁচু। হেসে দেখলুম দাঁতগুলো পরিষ্কার, ঝকঝকে, কিন্তু বাঁ দিকের ক্যানাইনটা উঁচু। একটু বড়ো বড়োও দাঁতগুলো। আমার চিবুকে একটা টোল আছে। আমার আর এক বন্ধু রুবিনা বলে, তোর এই টোলটাই তোকে বাঁচাবে ঋতু।

কেন একথা রুবিনা বলল, তার মানে কী, বুঝতে হলে আমার বন্ধুদের কোনো কোনো আলোচনার মধ্যে ঢুকতে হবে।

ভুরু প্লাক করা নিয়ে কথা হচ্ছিল একদিন। দেবলীনার ভুরু খুব সরু, বাঁকানো। বৈশালী বলল, এরকম ভুরু আজকাল আউট অব ফ্যাশন।

রুবিনা বলল, না থাকলে করবেটা কী? যা আছে তার মধ্যেই তো শেপ আনতে হবে। এই যেমন ঋতু। ভুরু বলে জিনিসই নেই, তার প্লাক।

অমনি আলোচনাটা দেবলীনার থেকে আমার দিকে ঘুরে গেল। যেটাকে আমি ভয় করি। এবারে ওরা আমাকে নিয়ে পড়বে।

ঋতুর অ্যাট লিস্ট ব্রণর সমস্যা নেই। বৈশালী বলল।

হ্যাঁ, কালো হলেও ওর স্কিনটা খারাপ না—রুবিনা বলল।

এই ঋতু, স্কিনের জন্যে কী করিস রে?

আমি ক্ষীণ গলার বললুম, তুই কী করিস?

আমি? আমার তো হাজার গন্ডা ব্রণ, কোনো ক্রিম মাখার জো নেই। রেগুলার মুশুর ডাল বাটা আর চন্দন মাখতে হয়। বৈশালী কী করিস রে?

আমার আবার মিস্কড স্কিন, জানিস তো। নাক চকচক করবে, কপাল চকচক করবে, আর গাল দুটো শুকিয়ে বাসি পাউরুটি হয়ে থাকবে। আমার অনেক জ্বালা। কোথাও ভাপ লাগে, কোথাও বরফ। কোথাও মধু, কোথাও চন্দন। সে অনেক ব্যাপার, মা জানে।

তুই একটা মিস সামথিং না হয়েই যাস না। দেবলীনা খ্যাপাল।

তবু মন খুলে মিস ইউনিভার্সটা বলতে পারলি না তো? বৈশালী চোখ ছোট্ট করে হাসছে।

মিস ইউনিভার্স হোস না হোস মিস সেন্ট অ্যানথনিজ তো তুই হয়েই আছিস।

আমি বৈশালীর দিকে তাকালুম। শীতকালে ওর গাল দুটো একটু ফাটে। লালচে ছোপ পড়ে। এমনিতেই একটু লালচে ফরসা রং ওর। মুখটা এত মিষ্টি যে চোখ ফেরানো যায় না। লম্বা, দোহারা, ফুলহাতা লাল সোয়েটার আমাদের স্কুলের ইউনিফর্ম, পরেছে ব্লু স্কার্টের ওপর। ওকে দেখাচ্ছে যেন স্নেহোয়াইটের গল্প থেকে নেমে এসেছে। এখনও মিস সেন্ট অ্যানথনিজ আখ্যা ও পায়নি, কিন্তু টিচাররা ওকে আড়ালে ব্লাডি মেরি বলে ডাকেন। ইতিহাসের ওই কুখ্যাত রানির নামে ওকে ডাকা হয় কেন আমরা ভেবে পেতুম না। দেবলীনাই জ্ঞান দিল। ওটা একটা ককটেলের নাম। ভোদার সঙ্গে টম্যাটো রস পাঞ্চ করে নাকি ব্লাডি মেরি হয়। দারুণ খেতে।

রুবিনা বলল, ঘাবড়া মৎ ঋতু, তোর চিন-এর টোলটাই তোকে বাঁচাবে, মানে কাউকে ডোবাবে। ইটস ভেরি সেক্সি।

আমি এখন আয়নার দিকে তাকিয়ে আমাকে দেখছি। মস্ত বড়ো আয়না। মাঝখানে একটা, দু-পাশে দুটো। তিনটে ছায়া পড়েছে আমার। ভুরু নেই, গোল গোল চোখ, দাঁত উঁচু, বেবি ফেস, বেঁটে, কালো, সোজা সোজা চুল, সুদ্ধ-মাত্র চিবুকের টোল সম্বল। একটা গরম তরল কিছু উঠে আসে ভেতর থেকে। আমি শৌনককে চাই। কবে থেকে চাই। প্রেপ থেকে পড়ছি ওর সঙ্গে। ও আমার খাতা নিয়েছে, আমি ওর খাতা নিয়েছি। এক সঙ্গে বাড়ি ফিরেছি, ওর বাড়ি আমার একটু আগে। একটা বড়ো বড়ো ছায়াঘেরা গলিতে ওকে বেঁকে যেতে হয়। এর ওপর যেন আমার একটা জন্মগত অধিকার জন্মে গেছে। কিন্তু ও সেটা বুঝলে তো? ও আমাদের স্কুলের সেরা অ্যাথলিট। ক্রিকেট টিমের ক্যাপটেন। মিক্সড ডাবলসে ব্যাডমিন্টনে ওর পার্টনার দেবলীনা। শৌনকের চোখ কিন্তু সবসময়ে বৈশালীকে খোঁজে। এসব আমি বুঝতে পারি। খেলাধুলোয় আমি নেই। একটুআধটু টেবিল টেনিস খেলার চেষ্টা করি। ছোটো থেকে নাচ শিখছি, ফুটওয়ার্ক ভালো হওয়া উচিত, কিন্তু রুবিনা আমার চেয়ে অনেক দ্রুত, অনেক চৌখশ। নাচ শিখছি বলে যে স্কুল কনসার্টে হিরোইনের রোল পাই, তা-ও না। সেখানে বৈশালী আমার চেয়ে অনেক খারাপ নেচেও হিরোইন। আমি সখীদের দলে। বৈশালীকে খুঁটিনাটি স্টেপিং শেখাতে আমার প্রাণ বেরিয়ে যায়। বাড়ি ফিরলে মা বলে, কি রে শ্যামার রোলটা পেলি?

না, মা। এই ফিগারে শ্যামা?

সে কী? তবে? বজ্রসেন?

কী যে বল মা, চার ফুট সাড়ে দশ ইঞ্চিতে বসেন হয়?

মা যেন এই প্রথম আমাকে দেখে। ভালো করে তাকায়। চোখের দৃষ্টিতে একটা বিস্ময়। যেন মা বলতে চাইছে, সত্যি? এই ফিগারে হয় না বুঝি? ও তোর হাইট কম বুঝি? তাই তো… তাই তো…

মায়েরা স্নেহান্ধ। নিজের মেয়েকে প্রত্যেকেই হয়ত অপ্সরি ভাবে।

অত ভালো করে ভরতনাট্যমটা শিখলি! কোনো কাজেই… দীর্ঘশ্বাসের মধ্যে মিলিয়ে যায় শেষ কথাগুলো।

মাকে আমি বুঝতে পারি। আমি একমাত্র মেয়ে, একমাত্র সন্তান। আমার একটা ভাই হয়েছিল। হয়েই মারা যায়। মা বাবা কেউই সেই শোক কাটাতে পারেনি। কেমন বিষণ্ণ, সবসময়ে যেন ভাবিত, মনের মধ্যে কী একটা ভার বইছে। আমাকে নিয়ে মা-বাবার অনেক আশা। ছোট্ট থেকে মা বাড়ির সব কাজ সামলে আমাকে নিয়ে সাঁতার, নাচ, ছবি-আঁকার স্কুলে নিয়ে যাচ্ছে, আসছে। আমার একটু গা গরম হওয়ার জো নেই। সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তার, সঙ্গে সঙ্গে ওষুধ। খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারেও ভীষণ সাবধান। ব্যালান্সড ডায়েট, ব্যালান্সড ডায়েট করে দুজনেই পাগল। তা ছাড়াও আমাদের সব কিছু ছকে বাঁধা। মাসে একদিন মামার বাড়ি, দুমাসে একদিন জেঠুর বাড়ি, বছরে একবার বড়ো বেড়ানো, একবার ছোটো বেড়ানো।

মাধ্যমিক পর্যন্ত বাবা-মা মোটামুটি আমার লেখাপড়া দেখিয়ে দিয়েছে। মাধ্যমিক পর্যন্ত আমি বেশ ভালোও করেছি। কিন্তু উচ্চমাধ্যমিক থেকে আর কূল পাচ্ছি না। বাবা-মাও না। তিনজন টিউটর এখন আমার। নশো টাকা আমার টিউটরের পেছনে খরচ, নাচের স্কুলে দেড়শো, এখন স্পেশ্যাল কোচিং নিতে হয়। এ ছাড়াও আছে নাচের পোশাক, নাচের টুপে এখানে-ওখানে যাওয়ার খরচ। আমার মা তো চাকরি করে না, বাবা একা। আমার একেক সময়ে খুব খারাপ লাগে। দেবলীনা বা বৈশালীদের মতো আমরা ধনী তো নই! ওরা আমার বন্ধু বলেই বাবা-মা কয়েক বছর ধরে ভি সি আর, ওয়াশিং মেশিন কিনল, এবছর জন্মদিনে আমাকে একটা নতুন মিউজিক-সিস্টেম কিনে দিয়েছে। সি ডি প্লেয়ার পর্যন্ত আছে। জন্মদিনে বন্ধুরা এসে ওটা দেখে হুশ হাশ করছিল।

দেবলীনা বলল, ইশশ মাসি, আমি যে কেন ওনলি চাইল্ড হলাম না। দাদাটা সব মাটি করল।

আমার মা হাসতে গিয়ে কাঁদো কাঁদো মুখে বলল, কত ভাগ্যে একটা দাদা পেয়েছ তা যদি জানতে। ঋতুটা বড়ই একা।

বৈশালী বলল, দাদা তবু স্ট্যান্ড করা যায়, কিন্তু দিদি?

রুবিনা বলল, যা বলেছিস।

শৌনক বৈশালীর দিকে চেয়ে বলল, যাক বাবা, দাদা স্ট্যান্ড করতে পারিস। তাহলে অন্তত তুই ফেমিনিস্ট নোস।

জন্মদিনের উৎসবের শেষে কেমন মনমরা লাগল। মাকে বললাম, কেন যে এত দামি উপহার দাও।

মা বলল, তোকে আরও কত দিতে আমাদের সাধ যায়!

আরও? মা, আর কত দেবে? আমি কী করে তোমাদের এতসব ফেরত দেব?–মনে মনে বলি।

মা একটু দ্বিধা করে বলল, তুই যেন নিজেকে কারও থেকে ছোটো, কারও থেকে কম না ভাবিস।

কিন্তু মা ওয়াশিং মেশিন, ভি সি আর, মিউজিক সিস্টেম এই দিয়েই কি আমি ওদের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারব? হতে পারব বৈশালীর মতো সুন্দরী, দেবলীনার মতো খেলোয়াড়, রুবিনার মতো চৌখশ, বিদিশার মতো ব্রিলিয়ান্ট?

অনেক করে বাবা-মাকে বুঝিয়েছিলাম আমি সায়েন্স নেব না, অঙ্ক আমার বাঘ। খেটেখুটে মাধ্যমিকে পাঁচাত্তর পার্সেন্ট পেয়েছি বটে কিন্তু ভয় আমার ঘোচেনি। কেমিস্ট্রি আমি মুখস্থ করতে পারি না, ফিজিক্স আমার মাথায় ঢোকে না, বায়োতে প্র্যাকটিক্যাল করতে আমার ঘেন্না করে। আমি বোঝালাম। বাবা বলল, তুই একটা স্টার পাওয়া মেয়ে। ফিজিক্স-কেমিস্ট্রিতে লেটার পেলি, জিয়োগ্রাফি আর ম্যাথসে সামান্য কয়েক নম্বরের জন্য লেটার মিস করেছিস। তুই সায়েন্স পারবি না? এটা কি একটা কথা হল?

মা বলল, তাহলে কি তোর ভালো লাগে না?

ভালোও লাগে না, কঠিনও লাগে মা, কেন বুঝতে চাইছ না?

কিন্তু আমরা যে কবে থেকে ভেবে রেখেছি, তোকে এঞ্জিনিয়ার করব!

বাবা বলল, জানিস তো, আমি হেলথ পরীক্ষায় পাশ করতে পারিনি বলে এঞ্জিনিয়ারিং পড়তে পারলাম না।

মা স্বপ্ন-ভরা চোখে বলল, নিতু মাসিকে মনে আছে তো? আমার মামাতো বোন? মনে আছে?

হ্যাঁ। এখন তো কানাডায় থাকে।

শুধু থাকে? কত বড়ো এঞ্জিনিয়ার, আমার সমবয়সী বোন, সে মন্ট্রিঅলে বসে বড়ো বড়ো মেশিনের ডিজাইন করছে। আর আমি? আমি বোকার মতো সায়েন্স পড়লুম না, ফিলজফিতে দিগগজ হয়ে এখন দিনগত পাপক্ষয় করে যাচ্ছি।

কিন্তু মা, সায়েন্স পড়লেই যে আমি জয়েন্ট পারব, পারলেও যে নিতু মাসির মতো ব্রিলিয়ান্ট হব, তা কে বলল?

কে বলতে পারে কে কী হবে? মায়ের চোখ যেন শূন্যে স্বপ্নের পাহাড় দেখছে। বাবা বলল, ঠিক আছে ঋতু, তোর যা ভালো লাগে পড়। আমরা কোনো চাপ দেওয়ার ব্যাপারে নেই। তোর যা ইচ্ছে। তবে তুই যে মিথ্যে ভয় পাচ্ছিস এটা আমি তোকে বলতে পারি। ঠিক আছে ডিফিডেন্টলি কিছু করা ঠিক না। ইচ্ছের বিরুদ্ধে চাপাচাপি আমি পছন্দ করি না।

বলল বটে, কিন্তু বাবার মুখে কোনো আলো নেই। মার মুখ করুণ।

তা সে যাইহোক, একবার যখন বাবা-মার মৌখিক অনুমতি আদায় করতে পেয়েছি আমি আর্টসই পড়ব। পাখির মতো উড়ে যাচ্ছি। স্কুলে যাবার পথেই দেবলীনা, তারপর শৌনক। ওরা দুজনেই সায়েন্স। আমি আর্টস নিচ্ছি বলতে দুজনেই থেমে গেল। তারপর শৌনক বলল, ঋতু স্কুলে গিয়ে কাজ নেই। তুই ডাক্তারের কাছে যা, ওই যে ডাক্তার কাঞ্জিলাল।

দূর ওঁর কাছে গিয়ে কী করব? উনি তো…

পাগলের ডাক্তার, তা তুই কি ভেবেছিস তোের মাথাটা ঠিক আছে?

দেবলীনা বলল, হিউম্যানিটিজ নিয়ে পড়ে তুই কী করবি? কেরিয়ার তো একটা তৈরি করতে হবে।

এই সময়ে রুবিনা আর বিদিশা এসে আমাদের সঙ্গে মিশল। রীতেশ আর সৃঞ্জয়ও আসছে দেখলাম।

দেবলীনা বলল, শুনেছিস? ঋতু আর্টস নিয়ে পড়বে। হিস্ট্রি, লজিক, এডুকেশন, পল সায়েন্স…।

বিদিশা বলল, কী ব্যাপার রে ঋতু? আমাদের এবার থেকে অ্যাভয়েড করতে চাইছিস, নাকি? আমার এ পথযতোমার পথের থেকে অনেক দূরে?

বিদিশাটার আসলে আমার ওপর একটু দুর্বলতা আছে। সব সময়ে আমি ওর সঙ্গে সঙ্গে থাকি। বা বলা যায় পেছন পেছনে থাকি। বিদিশা ফার্স্ট গার্ল, সৃঞ্জয় সেকেন্ড, আমি থার্ড আসি, কখনও কখনও ফোর্থও এসে যাই। মাধ্যমিকে সেকেন্ড এসেছি। বিদিশাকে ছুঁতে পারিনি। আমাকে বিদিশা ওর সহচরী বলে মনে করে। ল্যাংবোট আর কি! আমি আশেপাশে থাকলে ওর প্রতিভাটা আরও খোল। মাধ্যমিকে সেকেন্ড এসেও আমার মান বিশেষ বাড়েনি। বিদিশাই বলে, টেন্যাসিটি থাকলে কী না হয়? ঋতুকেই দ্যাখ না।

ঋতুর মতো দিনরাত বইয়ে মুখ গুঁজে থাকা আমার দ্বারা হবে না বাবা— দেবলীনা ঘোষণা করল। বেশি না খেটেও দেবলীনা স্টার পেরেছে।

ফর্ম নিলাম। লিখতে যাচ্ছি, শৌনক একলাফে এগিয়ে এসে আমার হাতদুটো পিছমোড়া করে ফেলল। বিদিশা লিখল, কেমিস্ট্রি, ফিজিক্স, ম্যাথমেটিক্স। আমার দিকে তাকাল। ফোর্থ সাবজেক্ট কী নিবি বল, এইটা তোর পছন্দমতো দেব।

আমি বললাম, সাইকো।

সই করতে হাত ব্যথা করছিল, এমন জোরে ধরেছিল শৌনক। সই করার আগে শৌনকের দিকে তাকালুম, বিদিশার দিকে তাকালুম, দায়িত্ব কিন্তু তোদের।

ঠিক হ্যায় ভাই। কাঁধ চওড়া আছে। শৌনক ত্যাগ করল।

মা-বাবা বলল, আমরা কিন্তু জোর করিনি ঋতু, নিজের ইচ্ছেয় সায়েন্স নিলি! ভাবিস না। টিউটর, বইপত্র, লাইব্রেরি যা লাগে সব বলবি হয়ে যাবে।

সেই দৃশ্যটার কথা মনে করে আমার চোখ জ্বালা করছিল। আজ এইচ এস শেষ হল। আর সপ্তাহখানেকের মধ্যেই আমাদের চণ্ডীগড়, কুলু-মানালি বেড়াতে যাবার কথা। কিন্তু আমি কি উপভোগ করতে পারব কিছু? ম্যাথস আমার যাচ্ছেতাই হয়েছে। কেমিস্ট্রিতেও বোধহয় অনেক ভুল করেছি। এইচ এস যে এত টাফ হবে, আমি কেন আমার বন্ধুরাও বুঝতে পারেনি। কেউ খুশি না।

শৌনক বলল, আগে থেকেই তাদের গুডবাই জানিয়ে রাখছি।

কেন, কোথায় যাচ্ছিস? স্টেটস? টোয়েফল-এ বসলি নাকি?

খেপেছিস? শৌনক বলল, ড্রপ-আউট। স্কুল ড্রপ-আউট বলে একটা কথা আছে জানতাম। শৌনক বিশ্বাস কথাটা এবার রিয়্যালইজ করতে চলেছে। বাবাকে বলেছি একটা ফোটোকপি মেশিন নিয়ে বসব। কোর্টের পাশে জায়গা দেখুক।

বৈশালী বলল, ভ্যাট, তুই তো স্পোর্টস কোটাতেই যে-কোনো জায়গায় পেয়ে যাবি। আমারই হবে মুশকিল।

শৌনক শুকনো মুখ করে বলল, পাস কোর্সে বি, এসসি পড়ে কী হবে, বল?

সুমিত বলল, আগে থেকে অত ভেঙে পড়ার কী আছে? আমিও তো ফিজিক্সে

গাড্ডু খাব মনে হচ্ছে। তো কী? জয়েন্ট তো আছে এখনও। এ বারে না হয় পরের বছর।

শৌনক বলল, জয়েন্টে তো স্পোর্টস কোটা নেই।

বৈশালী আঙুল চিবোচ্ছিল। বলল, ঋতু তুই কি জয়েন্টে বসছিস?

বসতে তো হবেই। না হলে বাবার মুখ থেকে আলো নিবে যাবে। মায়ের চোখদুটো…না না সে আমি সহ্য করতে পারব না।

আস্তে আস্তে মাথা নেড়ে সরে এলুম। শুনতে পেলুম বিদিশা বলছে, ঋতুটার পরীক্ষা আসলে খুব ভালো হয়েছে। বুঝলি?

ঠিক সতেরো দিন বাদে জয়েন্ট। শেষ হলেই মনে হল মায়ের গর্ভ থেকেই যেন পরীক্ষা দিতে দিতে আসছি। কবে যে নিবে-আসা দিনের আলোয় পড়িনি, রাত জেগে লেখা প্র্যাক্টিস করিনি, কবে যে টেনশন ছাড়া, প্যানিক ছাড়া দিন কাটিয়েছি, মনে করতে পারছি না। এত দিনে কি শেষ হল? জয়েন্টে যদি এসে যাই, তো চার বছর এঞ্জিনিয়ারিং, সে মেক্যানিক্যাল থেকে আর্কিটেকচার পর্যন্ত যেটা পাই। তারপর ওঁ শান্তি। সার্টিফিকেটটা মা-বাবাকে ধরিয়ে দিয়ে বলব, কী? খুশি তত? খুশি? আর কিছু না। কিছু পারব না। থিসিস না, বিদেশ না, নিতু মাসি দীপু কাকারা নিজেদের মতো থাক, আমিও আমার মতো থাকব। একটা চাকরি তো পেয়ে যাবই। তারপর দুমদাম করে বড়ো হয়ে যাব। টিউটরদের মুখ আর দেখতে হবে না। নাচটাও ছেড়ে দেব। ধু-র ভাল্লাগে না। কী হবে আর?

আজ রেজাল্ট বেরোবে। জয়েন্টরটা আগেই বেরিয়ে গেছে। বেড়ালের ভাগ্যে শিকে আর ছিড়ল কোথায়? বিদিশা, শৌনক দুজনেরই কিন্তু হয়ে গেছে। এত দিন ছিল শৌনক-বৈশালী জুটি। এবার বোধহয় শৌনক-বিদিশা! দুজনেই ওরা বেঙ্গল এঞ্জিনিয়ারিং-এ যাচ্ছে।

এল সিক্সটিন আসছে। এই বাসটা পয়া। চড়ে পড়েছি। স্কুল স্টপে নামতেই সৃঞ্জয় একদিক দিয়ে দেবলীনা আরেক দিক দিয়ে যেন ছিটকে বেরিয়ে গেল।

দেবলীনা! এই লীনা! কী রকম হল?

দেবলীনা কাঁচুমাচু মুখ করে একটা বাসে উঠে পড়ল। লীনার কী ভালো হল না? সেকেন্ড ডিভিশন হয়ে গেল নাকি? সৃঞ্জয়ের দিকে তাকাই। কোথায় সৃঞ্জয়।

ভিড় ঠেলেঠুলে ঢুকতে থাকি। বেশিরভাগ ক্যান্ডিটেটই বাবা কি মা কি আর কাউকে সঙ্গে করে এনেছে। আমার মাও আসতে চেয়েছিল। কদিন মায়ের জ্বর হয়েছে। আমি বারণ করলাম। আজকে জাস্ট রেজাল্ট বেরোচ্ছে, আসল বাঘের খেলা মার্কশিটের দিনে। সে দিন মাকে আনব।

আমাদের নোটিস বোর্ডটা বড্ড উঁচুতে। তার ওপর কাঁচে আলো ঝলকাচ্ছে, কিছু দেখতে পাচ্ছি না।

বলো, বলো তোমার রোলটা বলো, আমি দেখে দিচ্ছি। বাবা-জাতীয় একজন বললেন।

এফ এইচ এ থ্রি টু সেভেন ওয়ান।

এফ এইচ এ থ্রি টু কী বললে?

সেভেন ওয়ান, ওয়ান, এই তো, সেভেন টু। নাঃ সেভেন ওয়ান তো নেই!

সে কী? এফ এইচ এ থ্রি টু সেভেন ওয়ান! দেখুন না!

আমি সরে যাচ্ছি, মাই গার্ল, তুমি নিজেই দেখো।

আমার পায়ের তলাটা হঠাৎ সমুদ্রের বেলাভূমি হয়ে যাচ্ছে। বালি সরছে, বালি সরছে, আমার রোল নাম্বার নেই, নেই। সত্যিই নেই। এ কী? এরকম হয় নাকি? এ রকম ঘটে? আমার…আমি…আমার ক্ষেত্রে ঘটছে এটা? ঋতুপর্ণা মজুমদার… আমার… রোল নম্বর নেই?

আমার দুপাশ থেকে সমুদ্রের তীরে বালির মতো ভিড় সরে যাচ্ছে। আমি ডান হাত বাড়িয়ে পথ করে নিচ্ছি। কিছু দেখতে পাচ্ছি না, কিন্তু সামনে চলেছি ঠিক। চোখে জল? না, না জল নয়। কেমন একটা ধোঁয়াশা, যা এই সাতসকালে থাকার কথা নয়, বুকের মধ্যেটা কেমন স্তব্ধ। আমার হৃৎপিণ্ডটাও সৃঞ্জয় আর দেবলীনার মতো ছিটকে সরে যাচ্ছে।

রাস্তা, রাস্তা…অনেক পরে খেয়াল হল আমি রাস্তা পার হচ্ছি। যন্ত্রের মতো জেব্রা ক্রসিঙে এসে দাঁড়িয়েছি। যন্ত্রের মতো পার হচ্ছি রাস্তা। আমি কোনদিকে যাচ্ছি? বুঝতে পারছি না। আমাদের গলিটা যেন কেমন? দূর, শরীর যখন আমায় এতদূর টেনে এনেছে বাকিটাও টেনে নিয়ে যাবে। প্রতিবর্ত ক্রিয়া না কি একটা বলে যেন! আমি ভাবব না। ভাবছি না তো! চলছি। চলছি শুধু। আমার হাতে এটা কী? ও এটাকে বোধহয় পার্স বলে। এর ভেতরে কী থাকে? টাকাপয়সা। টাকাপয়সা মানে কী? কত টাকায় কত পয়সা হয়। কত পয়সায় কত টাকা হয়?

আরে! এই বাড়িটা তো আমি চিনি। উঁচু বাড়ি। দশতলা বোধ হয়। তুমি দশ গুনতে জানো ঋতু, যে দশতলা বললে? আচ্ছা গুনে দেখি তো? লিফটে যাব না। আমি গুনতে গুনতে উঠব। সেই কারা যেন কী গুনতে গুনতে গিয়েছিল? দোলা, ছ পণ, হ্যাঁ হ্যাঁ দোলায় আছে ছ পণ কড়ি গুনতে গুনতে যাই।

আস্তে আস্তে উঠছি আমি। এইটাই কি আমার বাড়ি? না তো! এটা বোধহয় আমার বাড়ি না। কিন্তু এটাতে আমি আসি। রোজ আসি না। শনি-মঙ্গলবারে আসি। শনি মঙ্গলবার…এসব কথার মানেই বা কী? এই তো পেতলের নেমপ্লেটঅলা দরজাটা। ওহ, এটা সেই অঙ্ক-ফিজিক্সের স্যারের বাড়ি। এখখুনি দরজাটা খুলে যাবে, স্যার চশমা মুছতে মুছতে জিজ্ঞেস করবেন।…

আমি পড়ি কি মরি করে ওপরের দিকে ছুটতে থাকি। এতক্ষণ পরে আমার দেহে গতি এসেছে। ছুটতে ছুটতে আমি চলে যাই ছাদের শেষপ্রান্তে। তারপর নিজেকে ছুড়ে দিই শূন্যের কোলে। হে শূন্য আমায় কোল দাও।

আর ঠিক সেই সময়ে যখন আর ফেরবার কোনো উপায়ই নেই, তখনই পৃথিবী তার সমস্ত ঐশ্বর্য উজাড় করে দেয় মেয়েটির কাছে। জীবন উজাড় করে দেয় তার সমস্ত নিহিত মানে।

রোদ দেখে সে জীবনে যেন এই প্রথমবার। বুঝতে পারে রোদে এই সেঁকা হওয়া, উলটে পালটে ঘরবাড়ি গাছপালা গোরুছাগল মানুষটানুষ সমেত…এইটাই জরুরি ব্যাপার, পরীক্ষার ফলাফলটা নয়। গাছও দেখে সে। একটা গুলঞ্চ, তিনটে বটল পাম। তার জ্ঞাতি এরা, প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে এদের সঙ্গে তার, তাদের পারস্পরিক টান। একশো ফুটের কাছাকাছি উচ্চতা থেকে পড়তে পড়তে তার হৃৎপিণ্ডে ফুসফুসে মাধ্যাকর্ষণ ও হাওয়ার অমানুষিক চাপ তবু সে উলটো দিকের এগারো তলা বিল্ডিঙের সাততলার আলসেয় বসা একজোড়া ঘুঘুর গলার চিকন ময়ুরকণ্ঠি রংটা পর্যন্ত দেখতে পায় এবং সঙ্গে সঙ্গে বৈশালী বা শৌনক নয়, নিজেরই মুখের অনন্য সৌন্দর্য আর একবার দেখবার জন্য ব্যস্ত হয় পড়ে।

সমস্তটাই ভগ্নমুহূর্তের একটা ঝলক। একটা বোধ শুধু। এমনই আলোকসামান্য এই বোধ যে এর জন্য জীবন দেওয়াই যায়। কিন্তু মুশকিল এই যে জীবনটা চলে গেলে বোধটারও আর কোনো মানে থাকে না।

Monday, 18 January 2021

এই দোকান ভাড়া দেওয়া হবে।



চিঠি লিখলে এই ঠিকানায় চিঠি আসে। খুঁজে বের করতে গেলেই মুশকিল। শাহানা লিখেছিল অবশ্যি, তোর কষ্ট হবে খুঁজে পেতে লোকজনদের জিজ্ঞেস কবতে পারিস কিন্তুু লাভ হবে বলে মনে হয় না। একটা ম্যাপ একে দিলে ভাল হত। তা দিলাম না, দুর্লভ জিনিস পেতে কষ্ট করতেই হয়।এই সেই দুর্লভ জিনিস? দু’জন মানুষ পাশাপাশি চলতে পারে না। এরকম একটা গলির পাশে ঘুপসি ধরনের দোতলা বাড়ি। কত দিনের পুরনো বাড়ি সেটি কে জানে। চিতি পরে সমস্ত বাড়ি কালচে সবুজ বর্ণ ধারণ করেছে। দোতলায় একটি ভাঙা জানালায় ছেড়া চট ঝুলছে। বাড়িটির ডান পাশের দেয়ালের একটি অংশ সম্পূর্ণ ধসে গিয়েছে। সামনের নর্দমায় একটি মরা বেড়াল; দূষিত গন্ধ আসছে সেখান থেকে। মন ভেঙে গেল আমার। সুটকেস হাতে এদকি-ওদিক তাকাচ্ছি— দোতলায় যাবার পথ খুঁজছি, সিঁড়ি-ফিড়ি কিছুই দেখছি না। নিচ তলা তালাবন্ধ। নোটিশ ঝুলছে—

''এই দোকান ভাড়া দেওয়া হবে।''


ওয়ান টাইম ইউজ

 কি সময় যে চলছে বলা কঠিন। ডিজিটাল যুগের সাথে তালে তাল মিলিয়ে চলাটা যেন আরো কঠিন। দুই বছর যেতে না যেতেই ইলেক্ট্রনিক্স জিনিস গুলো তে বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দেয়। দুই বছরের গ্যারান্টি দিয়ে যদি ঠিক দুই বছর পর ই সেটার মান আর গুনে সম্যস্যা দেখা দেয় , তাহলে এতো কষ্ট করে এই জিনিস গুলো তৈরী কেন করছে ? হয়তোবা কোম্পানীগুলো অধিক লাভের জন্য ,অনেক বেশি বিক্রি বাড়ানোর জন্য এমন ভাবে জিনিসগুলো তৈরী করছে যার টেকসই ক্ষমতা দুই বছর , একজন মানুষ দুই বছর পর আরেকটা নতুন জিনিস ক্রয় করছে। একটা সময় ছিল ,দীর্ঘদীন টেকসই হবেই আর তার সকল গুন্ নিয়ে ,সেটাই ছিল ভাল কুয়ালিটি আর ভাল কোম্পানীর বৈশিষ্ট্য ,এখন যেন সেই ধারণাটা ব্যাক ডেটেড । ব্যবসায়িক মানুষগুলো তাদের বাণিজ্যিক লাভের জন্য সেটা না হয় করলো কিন্তু আমরা ও কি প্রশ্ন করতে পারি না ? কেন আমরা দুই বছর পর পর নতুন ডিভাইস কিনবো ?

মূলত সাধারণ মানুষদের সাইকোলজী ভেবে এই সব কোম্পানীগুলো কাজ করে। প্রচলিত কথা ' নতুন বোতলে পুরোনো মদ ' সাথে আরো দুই একটা উপাদান বা প্রোগ্রাম ঢুকিয়ে দিয়ে নতুন ভাবে বাজারে ছাড়ছে ,আর সেই জিনিসটি নিজের প্রয়োজনে লাগুক আর না লাগুক ,সেটাই কিনতে হবে। একটি মিথ্যা কথা বার বার প্রচারিত হলে সেটা ও নাকি সত্য হয়ে যায় আর প্রচার কাজে বর্তমান সময়ে মিডিয়াগুলোর ভূমিকা কি বলবো ! উদাহরণ স্বরূপ : আজকে আমাদের দেশের সকল মিডিয়াগুলো থেকে যখন একটি খবর একই ভাবে প্রচার করে ,আমরা সেটিকে সত্য বলে বিশ্বাস করি কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন গণযোগাযোগ মাধ্যমগুলো যখন ভিন্ন ভাবে প্রচার করে ,সেটি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করি। ঠিক তেমনি নতুন প্রোডাক্টগুলো সেই সব বিষয় মাথায় রেখেই কাজ করে ,সেটি যে সেকশন ই হোক , ডিভাইস কিংবা প্রসাধনী। এক যোগে সব জায়গায় যখন একটি নতুন জিনিসের ছবি দেখি ,আমরাও সেটা কেনার ইচ্ছে পোষণ করি সময়ের সাথে থাকার জন্য , নতুন জেনারেশন তো মরিয়া হয়ে উঠে।
প্রতিনিয়ত ডিজিটাল সিস্টেমে যে পরিবর্তন ,পরিবর্ধন হচ্ছে ,তাকে নিরুৎসাহিত করছি না ,নতুন জেনারেশন কে এনালগ করাও উদ্দেশ্য নয় কিন্তু 'Access ' আর 'Excess 'এর ভেতর যে পার্থক্য সেটার বিষয়ে সচেতন হওয়া প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব। একটা হচ্ছে প্রয়োজনে ব্যবহার ,আরেকটি হচ্ছে অতিরিক্ত ব্যবহার ,প্রয়োজনে কেনা ,অতিরিক্ত কেনা ,প্রয়োজনে বিক্রি আর অতিরিক্ত বিক্রি। সকল অতিরিক্তের নেগেটিভ প্রভাব সব কিছুতেই আছে। সচেতন ,অসচেতন ,সকল মানুষ ,বিশেষ করে শিশুরা সকল 'অতিরিক্ত' কিছু থেকে নিরাপদ দুরুত্বে থাকুক ,সেই প্রত্যাশা !

ব্যক্তিত্ত্ব

 ব্যক্তিত্ত্ব ১। বই হচ্ছে জ্ঞান ভান্ডার। সব মানুষ পাঠক হতে পারেনা। প্রতি দশ জনে একজন পাঠক হতে পারে। আর পাঠকরা সব সময় সমাজ কে বদলায়। তারা সব সময় সর্বকালে উপরের স্তরের মানুষ। যারা বই পড়ে তারা সব সময় সিরিয়াস মানুষ ,সে যদি একজন দশ বছরের বালক ও হয় ,সে ও সিরিয়াস মানুষ। সবাই বই পড়তে পারেনা। এটা অনেক কঠিন কাজ। বই পড়ার উদ্দেশ্য হলো পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ চিত্তশীল মানুষদের চিত্তের যে আলো ,সেই আলোকে নিজেকে আলোকিত করা।

পূর্ণিমা রাতে ঘাসের উপর শুয়ে আকাশের দিকে তাকালে ,চাঁদের যে স্নিগ্ধ আলো ,সেটা যেমন শরীর মনকে স্পর্শ করে। একটি ভালো বই ও তেমনি আলোয় আলোকিত করে। প্রচন্ড খড়তাপে হেটে যাওয়া একজন মানুষ যখন হাটতে হাটতে বিশালাকার বৃক্ষের নিচে আসে ,আর সেই বৃক্ষের নিচ দিয়ে পার হবার সময় ঝিরিঝিরি বাতাস যখন তার শরীর মন জুড়িয়ে দিয়ে দেহ মনের গভীরে তার পরশ বুলায় ,সেই অনুভূতিময় মানুষটি তখন আর সেই আগের মানুষ নেই। গাছের নিচে আসার পূর্বের মানুষ আর গাছের ছায়া পার হয়ে যাওয়া পরের মানুষটি পুরাই আলাদা মানুষ। গাছের সতেজ প্রাণ শক্তি তখন সেই মানুষটির ভেতর সঞ্চারিত। একটি গোলাপ গাছ হতে সুগন্ধময় পাপঁড়ি যখন দীর্ঘদিন মাটির উপর পরে সেই মাটিও সুগন্ধময় হয়ে উঠে ,তেমনি পৃথিবীর সকল মহামানব দের বইগুলো যারা ছোটবেলা থেকে পড়তে পড়তে বড় হয় ,এক সময় তারা এক একজন বড় আর বোধ সম্পন্ন মানুষে পরিণত হয়।

ব্যক্তিত্ত্ব ২। প্রতিটি মানুষ একক আর ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্য নিয়ে জন্মায়। প্রতিটি মানুষ যে বৈশিষ্ট্য নিয়ে জন্মায় ,সেই কাজটি করার জন্য তার ভেতর এক তাড়না ও কাজ করে। মানুষের সব চেয়ে বড় সমস্যা হলো সে সব সময় নিজেকে সঠিক মনে করে আমি ঠিক আর আমার বিশ্বাসটা সঠিক আর অপরের টা ভুল,এটাই মনে করে। এটাই যাবতীয় সমস্যার মূল। একজন মানুষ যা বিশ্বাস করছে সেটা হয়তোবা তার বাবা মা ,গুরুজন বা অন্য কারো কাছ থেকে তার ভেতর ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে ,আর সেটাকেই সে নিজের বিশ্বাস বলে মানছে। কিন্তু এটা তার নিজের বিশ্বাস নয়। বিশ্বাস ,ভাগ্য ,কর্ম এই তিনটির ভেতর শুধু কর্মটাই তার নিজের হাতে, বিশ্বাস এবং ভাগ্য দুটোই অপরের হাতে। তাহলে যা অপরের হাতে আর তার উপর যেহেতু নিজের কোন নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা নেই ,সেটার দায়িত্ত্ব না হয় অপরের হাতেই থাক। সেটা নিয়ে ভেবে ভেবে সময় নষ্ট করার দরকার ও নেই। যা ঘটবার তাতো ঘটবেই। তাহলে একমাত্র কর্মটাই যেহেতু নিজের হাতে , সেটাই না হয় করি আর তার প্রাপ্তি ভোগ করি। প্রতিটি মানুষের জীবন তার নিজের তৈরী। ভাল মন্দ যেভাবেই মানুষ বলুক না কেন ,সেটা তার নিজের কর্মের ফল।

ব্যক্তিত্ত্ব ৩। আমরা প্রতিটি মানুষ স্বপ্নের পেছনে ছুটছি। ড্রিম ওয়ার্ল্ড এ ড্রিম জব ,ড্রিম মানুষকে খুঁজে পাবার জন্য আমরা মরিয়া হয়ে ছুটে চলেছি কিন্তু অদৌ কি ড্রীম শব্দটি এই দুনিয়াতে 'exist' করে ? স্বপ্নের মানুষ কিংবা চাকুরীটি পাবার পর যদি সেই স্বপ্নের স্বপ্নময় অনুভূতি আর না থাকে তাহলে সেই স্বপ্নের পেছনে ছুটে চলা কেন ? অবাক ব্যাপার হলো ,বেশির ভাগ মানুষের স্বপ্নের মানুষ কিংবা চাকুরীগুলো চলমান সমাজের হিসেব নিকেশের নিক্তিতে মাপে প্রতিষ্ঠিত হয়ে সে স্বপ্নময় আর তার সাথে ব্যক্তির নিজের চাওয়ার সাথে আদৌ কোন মিল নেই। যে কারণে সেই প্রাপ্তির পর হতাশাই কাজ করে। কারণ মানুষ যদি সত্যি নিজেকে জানতো আর সেই অনুযায়ী কাজ করতো ,তার প্রাপ্তির কোন সীমা পরিসীমা থাকতো না।

ব্যক্তিত্ত্ব ৪। জীবনের প্রয়োজনীয়তা কে যদি পাচ ধাপে ভাগ করা যায় তবে প্রথম ধাপে হচ্ছে জীবনের মূল প্রয়োজন অন্ন ,বস্ত্র ,বাসস্থান ,পানি, ঘুম, প্রজনন ইত্যাদি । দ্বিতীয় ধাপে আছে নিরাপত্তা, সেটা হোক ব্যক্তিগত কিংবা চাকুরী ,স্বাস্থ্য এবং সম্পত্তি । তৃতীয় ধাপে আছে মানুষিক চাহিদা
যেমন ভালোবাসা ,বন্ধুত্ব ,পরিবার ,সামাজিক সংযোগ। চতুর্থ ধাপে আছে আত্ত্ব সম্মানবোধ ,স্ট্যাটাস,পরিচিতি ,শক্তি এবং স্বাধীনতা। আর সকল ধাপ শেষে সকল প্রাপ্তির পর যে প্রয়োজন টা সবার উপরে , সেটা হলো নিজের একক বৈশিষ্ট্য নিয়ে সবার উপরে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা, মানে নিজেকে জানা।
ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিক থেকে জীবনের সকল দিক বিশ্লেষণ করার পর একটা কথাই পাওয়া গেলো ,নিজেকে জানো। জীবন অনেক মূল্যবান ,তার প্রতিটি মুহূর্তকে নিজের স্বকীয় বৈশিষ্ট্য আর কর্মে অর্থপূর্ণ করে জীবনকে পরিপূর্ণ করাই জীবনের উদ্দেশ্য। প্রতিটি মানুষ নিজেকে জেনে তার স্বকীয় বৈশিষ্ট্য দ্বারা এক একজন মহাপুরুষ হবার ক্ষমতা রাখে আর সেটা শুধুই কর্মের দ্বারা। কিন্তু সেটা সে পারেনা অতিরিক্ত চাহিদা ,বাড়তি চাপ ,অপ্রয়োজনীয় কর্ম আর জিনিসের অতিরিক্ত ভীড় ,যা আগাছার মতো তার জীবনের নির্যাস খেয়ে ফেলে মহাপুরুষ হতে বাধা দেয়। সুখের কথা হলো ,কয়লার ভেতর থেকে যেমন হীরক খন্ড পাওয়া যায় তেমনি মহাপুরুষেরা সব সময় অন্যায় ,অত্যাচার আর অন্ধকারে নিমজ্জিত সমাজ আর সময় থেকেই আবির্ভূত হয়। সক্রেটিস ,বুদ্ধ কিংবা মোহাম্মদ সঃ ,তারা যে সময়ে এসেছিলেন এবং সবাই ২০ থেকে ৪০ বছর বয়সে মহামানব হিসেবে আত্ত্ব প্রকাশ করেছেন। তারমানে পরবর্তী মহামানব এই বয়সে আত্ত্বপ্রকাশ করবেন কিন্তু তার রূপটা কি সাধারণ মানুষের মতো হবে নাকি ডিজিটাল যুগের কল্যানে সে হবে সুপারম্যান টাইপ অন্যকোন রূপে ! সেটাই এখন দেখার বিষয় !!!

নদী কথা- খোলপেটুয়া নদী।

 খোলপেটুয়া নদী বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাতক্ষীরা এবং খুলনা জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ৫৬ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৫৫০ মিটার এবং প্রকৃতি সর্পিলাকার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা "পাউবো" কর্তৃক খোলপেটুয়া নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নদী নং ২৩। এটি গঙ্গা-পদ্মা নদী ব্যবস্থাপনার অন্যতম বৃহৎ নদী।



নদীটি সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার বুদ্ধহাটা ইউনিয়নে প্রবহমান বেতনা নদী থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে। অতঃপর নদীটি খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার বেদকাশি ইউনিয়ন পর্যন্ত প্রবহিত হয়ে অর্পণগাছিয়া নদীতে পতিত হয়েছে। অর্থাৎ এটি খুলনা বিভাগের সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি এবং শ্যামনগর উপজেলার এবং খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার প্রধান নদী। এই নদী পথিমধ্যে কাপসন্ডা, গোরালি প্রভৃতি স্থান স্পর্শ করে ঘোলা নামক স্থানে গলঘেসিয়া নদীর সাথে যুক্ত হয়েছে । অতঃপর আরও দক্ষিণে অগ্রসর হয়ে শ্যামনগর উপজেলার নওয়াবেকির পাশ দিয়ে বুড়িগোয়ালিনিতে আড়পাঙ্গাশিয়া নাম ধারণ করেছে এবং পারশেমারির নিকট কপোতাক্ষের সাথে মিলিত হয়েছে।

নদী কথা-রায়মঙ্গল নদী ।

রায়মঙ্গল নদী বাংলাদেশ-ভারতের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য বাংলাদেশ অংশের দৈর্ঘ্য ৬২ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ২২৬৫ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা "পাউবো" কর্তৃক রায়মঙ্গল নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নদী নং ৮৩।।



সুন্দরবনের কাছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার সীমান্ত ঘেঁষে প্রবাহিত হয়েছে। হিঙ্গলগঞ্জের কাছে ইছামতি নদী কয়েকটি জলধারায় বিভক্ত হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে রায়মঙ্গল নদী, বিদ্যাধরী নদী, ঝিলা নদী, কালিন্দী নদী এবং যমুনা নদী। সুন্দরবনের উপকূল জুড়ে এই নদীগুলো প্রশাখা বিস্তার করেছে। নদীটি সুন্দরবনের অভ্যন্তরস্থ নৌচলাচল পথ হিসেবে নদীটি ব্যবহৃত হয়। নদীটি উপকূলীয় জোয়ার ভাঁটার নদী।

আমাদের পৃথিবী GENERAL KNOWLEDGE

 


১। পৃথিবীর আয়তন কত?
উঃ প্রায় ৫১,০১,০০,৫০০ ঘন কি.মি. ।
২। পৃথিবীর পরিধি কত?
উঃ প্রায় ৪০,২৩৪ কি.মি. ।
৩। পৃথিবীর ব্যাস কত?
উঃ প্রায় ১২,৭৬৫ কি.মি. ।
৪। পৃথিবীর ব্যাসার্ধ কত?
উঃ প্রায় ৬,৪৩৬ কি.মি. ।
৫। পৃথিবীর স্থলভাগের আয়তন কত?
উঃ ১৪,৮৯,৫০,৩২০ বর্গ কি.মি. ।
৬। পৃথিবীর জলভাগের আয়তন কত?
উঃ ৩৬,১১,৪৮,২০০ বর্গ কি.মি. ।
৭। সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে পৃথিবীর কত সময় লাগে?
উঃ ৩৬৫ দিন ৫ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড ।
৮। পৃথিবীর নিজ অক্ষের উপর একবার আবর্তন করতে কত সময় লাগে?
উঃ ২৩ ঘণ্টা ৫৬ মিনিট ।
৯। পৃথিবী থেকে সূর্যের গড় দূরত্ব কত?
উঃ ১৪,৯৫,০০,০০০ কি.মি. ।
১০। পৃথিবী থেকে চাঁদের গড় দূরত্ব কত?
উঃ ৩,৮৪,৪০০ কি.মি. ।
১১। পৃথিবীতে কয়টি মহাদেশ রয়েছে?
উঃ ৭ টি ।
১২। পৃথিবীর বৃহত্তম মহাদেশ কোনটি?
উঃ এশিয়া ।
১৩। পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম মহাদেশ কোনটি?
উঃ ওশেনিয়া ।
১৪। আয়তনে পৃথিবীর বড় দেশ কোনটি?
উঃ রাশিয়া ।
১৫। আয়তনে পৃথিবীর ছোট দেশ কোনটি?
উঃ ভ্যাটিকান ।
১৬। জনসংখ্যায় পৃথিবীর বড় দেশ কোনটি?
উঃ চীন ।
১৭। জনসংখ্যায় পৃথিবীর ছোট দেশ কোনটি?
উঃ ভ্যাটিকান ।
১৮। পৃথিবীতে মোট রাষ্ট্র সংখ্যা কত?
উঃ ২৩৩ টি ।
১৯। পৃথিবীতে সার্বভৌম রাষ্ট্রের সংখ্যা কত?
উঃ ২০৩ টি ।
২০। পৃথিবীতে স্বাধীন রাষ্ট্রের সংখ্যা কত?
উঃ ১৯৫ টি ।
২১। পৃথিবীতে গণতান্ত্রিক দেশ কতটি?
উঃ ১২২ টি ।
২২। পৃথিবীর সবচেয়ে সরু রাষ্ট্র কোনটি?
উঃ চিলি ।
২৩। পৃথিবীর খণ্ডিত রাষ্ট্রগুলো কি কি?
উঃ জাপান, ইন্দোনেশিয়া ।
২৪। বিশ্বের সর্বাধিক দ্বীপ রাষ্ট্র কোনটি?
উঃ ইন্দোনেশিয়া ।
২৫। বিশ্বের অধিক সীমান্তবর্তী দেশ কোনটি?
উঃ চীন ।(১৪টি দেশের সাথে)
২৬। পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ কোনটি?
উঃ চাঁদ ।
২৭। পৃথিবীতে কতটি মহাসাগর রয়েছে?
উঃ ৫ টি ।
২৮। পৃথিবীর বৃহত্তম মহাসাগর কোনটি?
উঃ প্রশান্ত মহাসাগর ।
২৯। পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম মহাসাগর কোনটি?
উঃ আর্কটিক বা উত্তর মহাসাগর ।
✬ উদ্ভিদ বিদ্যা – থিওফ্রাস্টাস
✬ বিবর্তন জীববিদ্যা – চার্লস ডারউইন
✬ জীবের নামকরণ বিদ্যা – ক্যারোলাস লিনিয়াস
✬ বংশগতি বিদ্যা – গ্রেগর জোহান মেন্ডেল
✬ রক্ত সংবহনবিদ্যা – উইলিয়াম হার্ডে
✬ আধুনিক কোষতত্ত্ব – সোয়ান ও হাইডেন
✬ রোগ জীবাণু তত্ত্ব – লুই পাস্তুর
✬ বাস্তু সংস্থান – উইজেন উডাম
.
 চিকিৎসা বিজ্ঞান
▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔
✬ চিকিৎসা বিদ্যা ও ওষুদ – হিপক্রেটাস
✬ আধুনিক ওষুদ – ইবনে সিনা
✬ অ্যানাটমি – হেরোফিলাস
✬ আধুনিক সার্জারি – জাই ডি চাওলিয়েক
✬ প্লাস্টিক সার্জারি – সাসরুটা
✬ অস্থি সার্জারি – লরেন্স বলভেন
✬ হোমিও শাস্র – ডঃ স্যামুয়েল হ্যানিমেন
.
 ভূগোল ও ইতিহাস
▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔
✬ ভূগোল – ইরাটস স্থনিস
✬ খনিজ বিদ্যা – জর্জ এগ্রিকোলা
✬ আধুনিক ভূবিদ্যা – জেমস হ্যাটন
✬ আধুনিক জ্যোতির্বিদ্যা – গ্যালেলিও গ্যালিলি
✬ ইতিহাস – হেরোডেটাস
✬ আধুনিক ইতিহাস – থুকি ডাইসিস
✬ ইসলামের ইতিহাস – আল–মাসুদি
.
 অর্থনীতি ও ব্যবস্থাপনা
▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔
✬ অর্থনীতি – এডাম স্মিথ
✬ আধুনিক অর্থনীতি – পল স্যামুয়েলসন
✬ ইউরো মুদ্রা – রবার্ট মেন্ডেল
✬ ব্যবস্থাপনা – পিটার ড্রকার
✬ আধুনিক ব্যবস্থাপনা – লিলিয়ান মোলার গিলবাথ
.
 রাষ্ট্রবিজ্ঞান
▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔
✬ রাষ্ট্রবিজ্ঞান – এরিস্টটল
✬ আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞান – নিকোলো
ম্যাকেয়াভেলি
✬ গণতন্ত্র – এরিস্টটল
✬ আধুনিক গণতন্ত্র – জন লক
✬ আমলাতন্ত্র – মাক্স বেবার
✬ আধুনিক জার্মান – প্রিন্স অটভান বিসমার্ক
✬ বিশ্ব গ্রাম ধারণা – মার্শাল ম্যাকলুহান
✬ ব্যক্তি ধারনা- জন স্টুয়াট মিল
.
 ধর্ম ও তত্ত্ব
▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔
✬ মুসলিম জাতি – ইব্রাহীম (আঃ)
✬ ফিকাহ সাস্র – ইমাম আবু হানিফা
✬ বৌদ্ধ ধর্ম – গৌতম বুদ্ধ
✬ ইহুদি ধর্ম – মর্স
✬ ফ্যাসিজম – মুসলিনি
✬ কম্যুনিজম – কার্ল মার্ক্স
✬ অস্তিত্ববাদ – সরেন কিয়ারকগার্ড
✬ দ্বি–জাতি তত্ত্ব – মোহাম্মাদ আলী জিন্নাহ
.
 জ্ঞানবিজ্ঞানের অন্যান্য শাখা
▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔
✬ ক্রিকেট – ডব্লিও জি গ্রেস
✬ ফুটবল – এবনেজার মরলে
✬ বিজ্ঞান – থ্যালিস
✬ আধুনিক বিজ্ঞান – রজারবেকন
✬ মৃত্তিকা বিজ্ঞান – জ্যাসিলি ডকুচেব
✬ কৃষি বিজ্ঞান – জোন্সেটাল
✬ মৎস্য বিজ্ঞান – পেটার আর্টেডি
✬ সুপ্রজনন বিজ্ঞান – গ্রেগর মেনডেল
✬ গ্যাস বিজ্ঞান – সেসিবিয়াস
✬ আলোকচিত্র বিদ্যা – লুইস ডাগুইরে
✬ প্রত্নবিদ্যা – থমাস জেফারসন
✬ স্থাপত্য বিদ্যা – জন ভন নিউম্যান
✬ আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা – লর্ড মেকেলে
✬ সমাজ বিজ্ঞান – অগাস্ট ক্যোঁৎ
✬ সমাজ কর্ম – জন এডামস
(যে কোন পরীক্ষায় ৫-১০ টা থাকবে)
.
 বাংলা উপন্যাস
▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔
✬ বাংলা উপন্যাস – বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
✬ বাংলা সনেট – মাইকেল মধূ সূদন দত্ত
✬ আধুনিক বাংলা নাটক – মাইকেল মধূ সূদন দত্ত
✬ বাংলা গদ্য সাহিত্য – ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
✬ বাংলা ছোট গল্প – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
✬ গদ্য ছন্দ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
✬ মুক্ত ছন্দ – কাজী নজরুল ইসলাম
✬ আধুনিক বাংলা কবিতা – জীবনান্দ দাশ
✬ চলিত রীতিতে গদ্যের জনক – প্রমথ চৌধুরী
.
 ইংরেজি সাহিত্য
▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔
✬ ইংরেজি উপন্যাস – হেনরি ফিল্ডিং
✬ ইংরেজি প্রবন্ধ ও গদ্য – ফ্রান্সিস বেকন
✬ ইংরেজি রূপকথা – হ্যান্স ক্রিস্টিয়ান অ্যান্ডারসন
✬ ইংরেজি ট্রাজেডি – ক্রিস্টোফার মারলো
✬ ইংরেজি সনেট – স্যার থমাস ওয়াট
✬ আধুনিক ইংরেজি কবিতা – জিওফ্রে চসার
✬ আধুনিক ইংরেজি সাহিত্য – জর্জ বার্নাডশ
.
 বিশ্ব সাহিত্য সংস্কৃত
▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔
✬ সনেট – পেত্রাক
✬ সায়েন্স ফিকশন – মেরি শ্যালি
✬ যাত্রা – ক্লাওডিও মন্টে ভারডি
✬ রুশ সাহিত্য – ম্যক্সিম গোরকি
✬ চলচিত্র – এডওয়ার্ড মিউব্রিজ ।
✬ বাংলাদেশ চলচিত্র – আব্দুল জব্বার খান
✬ আধুনিক নৃত্য – ইসাডেরা
✬ পশ্চিমা সঙ্গীত – জোহান সেবাস্তেন বস
✬ উপমহাদেশে সুরসঙ্গীত – ওস্তাদ আলাউদ্দিন খান
✬ রেনেসীয় চিত্রকলা – জিওট্টো
✬ আধুনিক কার্টুন – উইলিয়াম হোগারথ
✬ আধুনিক সার্কাস – ফিলিপ অ্যাস্টলে
.
 গণিত
▔▔▔▔▔
✬ সংখ্যাতত্ত্ব – পিথাগোরাস
✬ গণনা – চার্লস ব্যাবেজ
✬ জ্যামিতি – ইউক্লিড
✬ বীজ গণিত ও অ্যালগারিদম –আল-খাওয়ারিজম
✬ ক্যালকুলাস – ভাসকরা
✬ ত্রিকোণমিতি – হিপ্পার চাস
✬ স্থিতিবিদ্যা – আর্কিমিডিস
✬ গতিবিদ্যা – গ্যালিলিও
.
 পদার্থ বিদ্যা
▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔
✬ পদার্থ বিদ্যা – আইজ্যাক নিউটন
✬ আধুনিক পদার্থ বিদ্যা – আলবার্ট আইনিস্টাইন
✬ পারমানবিক পদার্থ বিদ্যা – আরনেস্ট রাদারফোর্ড
✬ আলোক বিদ্যা – জগদীশ চন্দ্র বসু
✬ তেজস্ক্রিয়তা – হেনরি বেরকল
✬ পারমানবিক বোমা – যে রবার্ট ওপেনহাইমার
✬ হাইড্রোজেন বোমা – এডওয়ার্ড টেলার
✬ কোয়ান্টাম তত্ত্ব – ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক
✬ আপেক্ষিক তত্ত্ব – আলবার্ট আইনিস্টাইন
✬ টেলিফোন – আলেকজান্ডার গ্রাহাম
✬ বাষ্প ইঞ্জিন – থমাস নিউকোমেন
✬ মোটর গাড়ি – কার্ল বেঞ্জ
✬ আধুনিক টায়ার – জন বয়রড ডানলফ
✬ রেডিও – লি ডি ফরেস্ট
✬ আধুনিক টেলিভিশন – অ্যালেন বি ডুমেন্ট
✬ সেমি কন্ডাক্টর – জ্যাক কিলবি
✬ আধুনিক যোগাযোগ প্রযুক্তি – সাইরাস ফিল্ড
.
 কম্পিউটার বিজ্ঞান
▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔
✬ কম্পিউটার – চার্লস ব্যাবেজ
✬ আধুনিক কম্পিউটার বিজ্ঞান – এলান ম্যাথাসন
ডুরিং
✬ পার্সোনাল কম্পিউটার – আনড্রে থাই টুরং
✬ WWW (World Web Wide) – টিম বারনাস লি
✬ ই–মেইল – রে টমলিনসন
✬ ইন্টারনেট – ভিন্টন জি কারফ
✬ ইন্টারনেট সার্চ ইঞ্জিন – এলান এমটাজ
✬ ভিডিও গেমস – নোলেন বুশনেল
✬ অ্যানিমেশন – ওয়াল্ট জিডনি
✬ ভিজুয়েল বেসিক – এলান কুপার
✬ জাভা প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ – জেমস গসলিং
✬ উইকিপিডিয়া – জিমি ওয়েলস
.
 রসায়ন বিদ্যা
▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔
✬ রসায়ন বিদ্যা – জাবের ইবনে হাইয়ান
✬ আধুনিক রসায়ন বিদ্যা – অ্যান্টনি লরেন্ট
ল্যাভসেসিয়ে
✬ জৈব রসায়ন – ফ্রেডারিক উইলার
✬ পরমাণুবাদ – ডেমোক্রিটাস
✬ পর্যায় সারণি – দিমিত্রি মেন্ডেলিপ
১. জ্ঞান অর্জনের আগে মহাবীরের নাম কী ছিল ?
উত্তর: বর্ধমান
২. পুরাণে কোন রাজবংশ কে অন্ধ্রভৃত্য বলা হয়েছে ?
উত্তর: সাতবাহন
৩. বৈদিক যুগে সাধারণ মানুষের প্রতিনিধিমূলক প্রতিষ্ঠান ছিল কোনটি ?
উত্তর: সমিতি
৪. সিন্ধু সভ্যতা পূর্বে কোন স্থান পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল ?
উত্তর: আলমগীর পুর
৫. পঞ্চশীল কোন ধর্মের একটি মত ?
উত্তর: বৌদ্ধ
৬. শেষ জৈন সম্মেলন কোথায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল ?
উত্তর: বল্লভি
৭. কোন জাতির রাজারা ক্ষত্রপ নামে পরিচিত ছিলেন ?
উত্তর: শক
৮. পতঞ্জলি কার সমসাময়িক ছিলেন ?
উত্তর: পুষ্যমিত্র
৯. হর্ষবর্ধন রাজা হয়ে কি উপাধি গ্রহণ করেন ?
উত্তর: শিলাদিত্য
১০. সৌরসেন মহাজনপদটির রাজধানী কোথায় অবস্থিত ছিল ?
উত্তর: (A) মথুরা
১. কুনিক উপাধি কে নিয়েছিলেন?
উঃ অজাতশত্রু
২. শকাপব্দ শুরু হয় কবে থেকে ?
উঃ ৭৮ খ্রিস্টাব্দ থেকে
৩. গান্দার শিল্প কোন যুগে বিকশিত হয়?
উঃ কুষাণ ।
৪. শশাঙ্কের রাজধানী কোথায় ছিল?
উঃ কর্ণসুবর্ণে
৫. জনপদীয় যুগে এলাহাবাদ কি নাম পরিচিত ছিল?
উঃ বংস
৬. জনপদের যুগে দিল্লির কি নাম ছিল?
উঃ কুরু
৭, পারস্পরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শেষ পর্যন্ত কোন জনপদ শ্রেষ্টত্ব অর্জন করে?
উঃ মগধ
৮. মহাপনন্দকে কে “উত্তর ভারতের প্রথম ঐতিহাসিক সম্রাট" বলেছেন?
উঃ আর. কে. মুখার্জী
৯. কার শাসনকালে সুদর্শন হ্রদ খনন করা হয়?
উঃ চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য
১০. সুদর্শন হ্রদ খনন সংক্রান্ত তথ্য কোন লিপিতে পাওয়া যায়?
উঃ জুনাগড় লিপি ।
১১. প্রাচীন ভারতের ম্যাকিয়াভেলি কাকে বলা হয়?
উঃ চাণক্য বা কৌটিল্য
১২. রাজ বর্ধনকে হত্যা করেন কে ?
উঃ শশাঙ্ক
১৩. শশাঙ্কের মৃত্যুর পর বাংলার অরাজক অবস্থাকে কি বলা হয়?
উঃ মাৎস্যন্যায়
১৪. হর্ষবর্ধন কত খ্রিস্টাব্দে সিংহাসনে বসেন?
উঃ ৬০৬ খ্রিস্টাব্দে ( ১৬ বছর বয়সে)
১৫, হর্ষবর্ধনের রাজধানী ছিল কোথায় ?
উঃ কনৌজ
১৬. শিলাদিত্য কার উপাধি ?
উঃ হর্ষবর্ধন
১৭. হর্ষবর্ধন দক্ষিণ ভারতের কার কাছে পরাজিত হন?
উঃ দ্বিতীয় পুলকেশী
১৮. হিউয়েন সাং কার আমলে ভারতে আসেন?
উঃ হর্ষবর্ধন । Free Study material - টেলিগ্রামে সার্চ করো ( Boi Pen)
১৯, হর্ষচরিতের রচয়িতা কে?
উঃ হর্ষবর্ধনের সভাকবি বাণভট্ট
২০, বৌদ্ধদের কাছে কোন রাজা "পরিব্রাজকদের রাজা বলে গণ্য হতেন?
উঃ হর্ষবর্ধন
১. চিনচোলি বন্যজীবন অভয়ারণ্যটি কোন রাজ্যে অবস্থিত?
উত্তরঃ কর্ণাটক
২. উদন্তি–সীতানদী ব্যঘ্র সংরক্ষণাগার কোন রাজ্যে অবস্থিত?
উত্তরঃ ছত্তিসগড়
৩. চাবাহার বন্দরটি কোন দেশে অবস্থিত?
উত্তরঃ ইরান
৪. রানী–কি–ভাভ (কুইনস স্টেপওয়েল) ইউনেস্কোর সাইটটি কোন রাজ্যে অবস্থিত?
উত্তরঃ গুজরাট
৫. ওখলা পাখি অভয়ারণ্যটি কোন রাজ্যে অবস্থিত?
উত্তরঃ উত্তরপ্রদেশ
৬. একানা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামটি কোন রাজ্যে অবস্থিত?
উত্তরঃ উত্তরপ্রদেশ
৭. রিহান্দ বাঁধটি কোন রাজ্যে অবস্থিত?
উত্তরঃ উত্তরপ্রদেশ
৮. ওনম উৎসব কোন রাজ্যে উদযাপিত হয়?
উত্তরঃ কেরাল
৯. কানওয়ার ঝিল নামে পরিচিত কাবার্তাল ওয়েটল্যান্ডকে রামসার সাইট হিসাবে ঘোষণা করা হল। এটি কোন রাজ্যে অবস্থিত?
উত্তরঃ বিহার
১০. কোন পুরষ্কার সৌরশক্তি ক্ষেত্রে কাজের জন্য বিজ্ঞানী এবং প্রকৌশলীদের অসামান্য অবদানকে স্বীকৃতি দেয়?
উত্তরঃ কল্পনা চাওলা পুরষ্কার

Sunday, 3 January 2021

নদী কথা- মহানন্দা নদী।



মহানন্দা নদী বাংলাদেশ-ভারতের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ৩৬০ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৪৬০ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা "পাউবো" কর্তৃক মহানন্দা নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের নদী নং ৯৫।


এর উৎপত্তিস্থল হিমালয় পর্বতের ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দার্জিলিং জেলার অংশে। দার্জিলিং জেলা থেকে পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাংশ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে এটি বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এর পর আবার পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলায় প্রবেশ করে, ও পরে আবার বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহরের কাছে প্রবেশ করে পদ্মা নদীর সাথে মিলিত হয়। বৃষ্টির জল এই নদীর প্রবাহের প্রধান উৎস। ফলে গরম কাল ও শীতকালে নদীর পানি কমে যায়, আর বর্ষা মৌসুমে নদীর দুই কুল ছাপিয়ে বন্যা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত মহানন্দা নদীর অংশটির দৈর্ঘ্য ৩৬ কিমি।
পুনর্ভবা, নাগর, টাংগন, কুলিক, কালিন্দী এর উপনদী। 

নদী কথা- পুনর্ভবা নদী


পুনর্ভবা বাংলাদেশ-ভারতের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী।এটি বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের দিনাজপুর জেলা এবং পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ২২৩ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ১০২ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা "পাউবো" কর্তৃক পুনর্ভবা নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের নদী নং ৭২।

পুনর্ভবা নদী উত্তরবঙ্গে প্রবাহিত একটি গুরুত্বপূর্ণ নদী। এটির বর্তমান উৎপত্তিস্থল হচ্ছে দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার শিবরামপুর ইউনিয়নের বিলাঞ্চল। পতিত হয়েছে মহানন্দা নদীতে।

দিনাজপুর শহর এ নদীর অববাহিকায় অবস্থিত। বর্তমানে মৃত ঘাঘরা, গাবুরা, কাঁচাই প্রভৃতি নদী এক সময় পুনর্ভবারই উপনদী ছিল। নদীর গতিপথ উত্তর থেকে দক্ষিণে বিস্তৃত। আত্রাই থেকে কয়েক কিলোমিটার পশ্চিমে পুনর্ভবার উচ্চতর গতিপথ। দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হওয়ার পর পুনর্ভবা ঢেপা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে, যা করতোয়া নদীর একটি শাখা নদী। দিনাজপুর শহরের ঠিক দক্ষিণে নদীটি পশ্চিম এবং পশ্চিম-কেন্দ্রীয় বরেন্দ্রভূমির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এর নদীবিস্তৃত ভূমির প্রশস্ততা ৩ থেকে ৮ কিলোমিটার। চাপাই নবাবগঞ্জ জেলার রহনপুরের ঠিক দক্ষিণ দিকটি মহানন্দা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে। টাঙ্গন নদীর রয়েছে একটি সুরক্ষিত নদীবিস্তৃত ভৃমি, যা পর্বত পাদদেশীয় সমভূমি পর্যন্ত বিস্তৃত। কুলিক নদীর তীরবর্তী ভৃমি লক্ষণীয়ভাবে তরঙ্গায়িত। নাগর নদী দিনাজপুর জেলার পশ্চিম সীমানার বহু কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত। ভারতের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে এটি পুনরায় ভোলাহাটের কাছে বাংলাদেশের সীমান্তসংলগ্ন হয়ে প্রবাহিত হয়েছে ; অতঃপর নবাবগঞ্জ জেলার মধ্য দিয়ে নবাবগঞ্জ শহরের দক্ষিণে পদ্মার সাথে মিলিত হয়েছে। নদীটি জোয়ার ভাটা প্রভাবিত নয়।

পুনর্ভবা নদীটি জোয়ার-ভাটা প্রভাবিত নয়। পুনর্ভবা নদীর চারটি উপনদী রয়েছে, সেগুলো হলো ঢেপা নদী, টাঙ্গন নদী, কুলিক নদী এবং নাগর নদী। 

অভিশপ্ত রজনী

  মৃত মেয়েটিকে ধর্ষণ করার সময় মেয়েটি যে জীবিত হয়ে ওঠে সেটা খেয়াল করেনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় কাব্য।ধবধবে সাদা চামড়ার মেয়েটিকে ভোগ করার...