Monday 18 January 2021

ওয়ান টাইম ইউজ

 কি সময় যে চলছে বলা কঠিন। ডিজিটাল যুগের সাথে তালে তাল মিলিয়ে চলাটা যেন আরো কঠিন। দুই বছর যেতে না যেতেই ইলেক্ট্রনিক্স জিনিস গুলো তে বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দেয়। দুই বছরের গ্যারান্টি দিয়ে যদি ঠিক দুই বছর পর ই সেটার মান আর গুনে সম্যস্যা দেখা দেয় , তাহলে এতো কষ্ট করে এই জিনিস গুলো তৈরী কেন করছে ? হয়তোবা কোম্পানীগুলো অধিক লাভের জন্য ,অনেক বেশি বিক্রি বাড়ানোর জন্য এমন ভাবে জিনিসগুলো তৈরী করছে যার টেকসই ক্ষমতা দুই বছর , একজন মানুষ দুই বছর পর আরেকটা নতুন জিনিস ক্রয় করছে। একটা সময় ছিল ,দীর্ঘদীন টেকসই হবেই আর তার সকল গুন্ নিয়ে ,সেটাই ছিল ভাল কুয়ালিটি আর ভাল কোম্পানীর বৈশিষ্ট্য ,এখন যেন সেই ধারণাটা ব্যাক ডেটেড । ব্যবসায়িক মানুষগুলো তাদের বাণিজ্যিক লাভের জন্য সেটা না হয় করলো কিন্তু আমরা ও কি প্রশ্ন করতে পারি না ? কেন আমরা দুই বছর পর পর নতুন ডিভাইস কিনবো ?

মূলত সাধারণ মানুষদের সাইকোলজী ভেবে এই সব কোম্পানীগুলো কাজ করে। প্রচলিত কথা ' নতুন বোতলে পুরোনো মদ ' সাথে আরো দুই একটা উপাদান বা প্রোগ্রাম ঢুকিয়ে দিয়ে নতুন ভাবে বাজারে ছাড়ছে ,আর সেই জিনিসটি নিজের প্রয়োজনে লাগুক আর না লাগুক ,সেটাই কিনতে হবে। একটি মিথ্যা কথা বার বার প্রচারিত হলে সেটা ও নাকি সত্য হয়ে যায় আর প্রচার কাজে বর্তমান সময়ে মিডিয়াগুলোর ভূমিকা কি বলবো ! উদাহরণ স্বরূপ : আজকে আমাদের দেশের সকল মিডিয়াগুলো থেকে যখন একটি খবর একই ভাবে প্রচার করে ,আমরা সেটিকে সত্য বলে বিশ্বাস করি কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন গণযোগাযোগ মাধ্যমগুলো যখন ভিন্ন ভাবে প্রচার করে ,সেটি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করি। ঠিক তেমনি নতুন প্রোডাক্টগুলো সেই সব বিষয় মাথায় রেখেই কাজ করে ,সেটি যে সেকশন ই হোক , ডিভাইস কিংবা প্রসাধনী। এক যোগে সব জায়গায় যখন একটি নতুন জিনিসের ছবি দেখি ,আমরাও সেটা কেনার ইচ্ছে পোষণ করি সময়ের সাথে থাকার জন্য , নতুন জেনারেশন তো মরিয়া হয়ে উঠে।
প্রতিনিয়ত ডিজিটাল সিস্টেমে যে পরিবর্তন ,পরিবর্ধন হচ্ছে ,তাকে নিরুৎসাহিত করছি না ,নতুন জেনারেশন কে এনালগ করাও উদ্দেশ্য নয় কিন্তু 'Access ' আর 'Excess 'এর ভেতর যে পার্থক্য সেটার বিষয়ে সচেতন হওয়া প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব। একটা হচ্ছে প্রয়োজনে ব্যবহার ,আরেকটি হচ্ছে অতিরিক্ত ব্যবহার ,প্রয়োজনে কেনা ,অতিরিক্ত কেনা ,প্রয়োজনে বিক্রি আর অতিরিক্ত বিক্রি। সকল অতিরিক্তের নেগেটিভ প্রভাব সব কিছুতেই আছে। সচেতন ,অসচেতন ,সকল মানুষ ,বিশেষ করে শিশুরা সকল 'অতিরিক্ত' কিছু থেকে নিরাপদ দুরুত্বে থাকুক ,সেই প্রত্যাশা !

No comments:

Post a Comment

অভিশপ্ত রজনী

  মৃত মেয়েটিকে ধর্ষণ করার সময় মেয়েটি যে জীবিত হয়ে ওঠে সেটা খেয়াল করেনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় কাব্য।ধবধবে সাদা চামড়ার মেয়েটিকে ভোগ করার...