Wednesday 25 April 2018

জন্মদিনে মোমবাতি জ্বালানো ও নিভানো হয় কেন?



জন্মদিনে কেকের উপর মোমবাতি জ্বালানো একটি পুরোনো রীতি, যেটা শুরু হয়েছিল অনেক বছর আগে প্রাচীন গ্রীকে।
তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, মৃত মানুষের আত্মা আলো হয়ে পৃথিবীতে থেকে যায়, তাই মোম জ্বালানো হয়।
আর জন্মদিনে মোম নিভিয়ে এটা জানান দেয়া হয় যে জীবিত ব্যক্তিকে এখনও আলো হবার সময় হয়নি।
গ্রীকেরা জন্মদিনের কেকের উপর বিশেষ উপায়ে মোমবাতি স্থাপন করতেন তাদের চন্দ্রদেবী আর্টেমিসকে শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রদর্শনের জন্য।
গ্রীকদের জন্মদিনের কেকের আকৃতি সবসময় গোল হয় কারণ তারা সেটার চাঁদের প্রতিকৃতির আদলে বানাতেন।
আর কেকের মধ্যখানের মোমের আলো দ্বারা চাঁদের আলোর প্রতীকী রূপ ফুটিয়ে তোলা হতো।
গ্রীকদের এই প্রথা জার্মানদেড় বেশ ভালো লেগেছিলো এবং আস্তে আস্তে তারাও এটাতে অভস্ত্য হয়েছিল।
তবে জার্মানরা একটা পরিবর্তন এনেছিল, তারা কেকের মাঝখানে একটা লম্বা আর মোটা মোমবাতি জ্বালাতো, যেটাকে তারা আখ্যায়িত করেছিল, "জীবনের আলো" (লাইট অব লাইফ) হিসেবে।

জন্মদিনের মোমকে তাই কখনো পুরোপুরি জ্বলতে দিতে নেই, তাড়াতাড়ি নিভিয়ে দেয়া হয় কারণ সেটা যেন বার বার জ্বলতে পারে।
আর সেই থেকেই জন্মদিনের কেকে মোমবাতি জ্বালানো এবং কেক কাটার আগে ফুঁ দিয়ে নেভাবার প্রচলন শুরু হয়েছিল।
শুধু তাই নয়, জন্মদিনের মোমবাতি নিয়ে আরো অনেক মিথ রয়েছে।
অনেকের ধারণা মোমবাতির আলো ও ধোঁয়ায় সেই ব্যক্তির আশপাশ থেকে সকল প্রকার অশুভশক্তি দূরে সরে যেতে বাধ্য হয়।
বরং মোমবাতির আলো এবং নিভানোর ধোঁয়া তাকে পরিশুদ্ধ করে।
আবার অনেকের মনে, অনেকের ধর্মে এই বিষয় নিয়ে অনেক মত বিরোধও রয়েছে, রয়েছে অনেক কুসংস্কার।
আবার অনেকের এমন বিশ্বাস রয়েছে কেকের উপর যতগুলো মোমবাতি দেয়া হয়, এক ফুঁ তে যদি সব মোমবাতি এক সাথে নিভে যায়, তাহলে সেই ব্যক্তি অনেক সৌভাগ্যবান, সারাবছর তার ভাগ্য সুপ্রসন্ন থাকবে।
আবার অনেকে যত তম জন্মবার্ষিকী ততটাই মম লাগায়।
তবে যথার্থ কারণ যাই হোক না কেন, বর্তমান যুগে আমরা সভ্য জাতিরা জন্মদিনের এই প্রথায় পুরোদস্তুর আঠার মত লেগে গেছি।
জন্মদিনের এই প্রথা এখনো পৃথিবীর প্রায় সকল ঘরে ঘরে।
এই হলো জন্মদিনে মোমবাতি জ্বালানোর পর নিভানোর কারণ।
একইভাবে মোমবাতি জ্বালিয়ে মৃত ব্যক্তিটিকে স্বরণ করার অর্থ হচ্ছে, তাকে আলোর মধ্যে দিয়ে স্বরন করা, তিনি মরে গিয়েও প্রিয়জনদের কাছে আলো হয়ে বেঁচে থাকে আজীবন।
এসবই আসলে রীতি আর প্রচলিত বিশ্বাস থেকেই আসে।

No comments:

Post a Comment

অভিশপ্ত রজনী

  মৃত মেয়েটিকে ধর্ষণ করার সময় মেয়েটি যে জীবিত হয়ে ওঠে সেটা খেয়াল করেনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় কাব্য।ধবধবে সাদা চামড়ার মেয়েটিকে ভোগ করার...