Saturday, 23 September 2017

এভাবেই নাহয় আপনারাও আমাকে চিনুন। পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া রইলো........



এই ভার্চুয়ালের অনেককিছুই বুঝিনা জানেন! না না,আমি জানি আমি বিশাল বোদ্ধা নই, আর সবকিছু যে আমাকে বুঝতে হবে এমন দিব্যিও তো কেউ দেয়নি। কিন্তু ঐ যে একটা আলপিন লুকিয়ে আছে এককোণে, সেটাতো আর ভার্চুয়াল নয়, সবার আছে-আমার-আপনার সব্বার, মাঝে মাঝেই অস্তিত্ব জানান দেয়, দংশায়। তাই ইগনোরও তো করতে পারিনা। এই যেমন, ফেসবুকে একটু বেশিই সক্রিয় বলে, অনেকেই তো বলে, "বাব্বা! কতো ছবি দাও / দিস?" রাগ হয়না, বিরক্তও হইনা। বেদম হাসি পায়। যে বা যারা এই কথা বললেন, তাদের উগ্র-এডিটেড ছবিতো চারবেলা করে দেখি। সঙ্গে উপরি পাওনা ছবির সাথে বেমানান সব ক্যাপশন। এই যেমন, সেদিনই জিন্স-সানগ্লাস সহযোগে এক সেলফি, আর তার সাথে "কতোবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া"। সত্যিই তো, সবকিছু ভুলে না গেলে এ বোধহয় হয়না। তা হোকনা বাপু! যা মন করো, কিন্তু অন্যকে বলা ক্যনো?
আবার, আরেক শ্রেণির মানুষ আছেন, যারা আনন্দতেও স্টেটাস, রাগ হলেও স্টেটাস, আবার দুঃখেও স্টেটাস। আর কারো সাথে যদি একটু মতান্তর হলো, সেক্ষেত্রে তো যাকে বলে মারাত্মক বিষধর স্টেটাস। আমার আবার এদের ভীষণ ভয় করে। তাই সাত হাত নয়, বেশ বেশ বেশ কয়েক হাত দূরে থাকি তেনাদের থেকে। হুঁ-হুঁ বাওয়া! "কি যাতনা বিষে বুঝিবে সে কিসে, কভু আশীবিষে দংশেনি যারে।"
আরেকটা জিনিসও খুব দেখছি আজকাল, অন্যের চরিত্রের চচ্চড়ি করে দেওয়া। সব্বাই তা দেখে, কেউ কেউ সহমত পোষণ ক'রে লাইকায়, কমেন্টায়। কিন্তু কেউ বলেনা, " হে চরিত্রের ধ্বজাধারী, আয়নায় মুখটা দেখো একবার, নিজের চরিত্র তো চৈত্র সেলে বিক্রী করে বসে আছো।" অবশ্য বলে ফেললেও তো আবার বিপদ। 'স্তাবক' তকমাই বা ক'জন নিতে পারে? তার থেকে বরং তেলা মাথায় তেলও দি, আর আড়ালে একটু-আধটু নিন্দে-বান্দা করলেও ক্ষতি নেই। তাকে আর কেই বা বলতে যাবে?
আসল কথাটাইতো ভুলে গেছিলাম। এটা আমার মাথায় কিছুতেই ঢোকেনা। এই যেমন,একটা লেখা, যেমন ধরুন এই যেটা পড়ছেন, আমার লিখতে বেশ খানিকটা সময় লেগেছে। কিন্তু যেইনা পোস্টালাম, একমিনিটও হলোনা, লাইকের সাথে-সাথেই কমেন্ট "নাইস"। কীভাবে পড়লেন দাদা, রহস্যটা একটু বলবেন, আমি শিখতে চাই। অনেক অনেক বই সময়ের অভাবে পড়া হয়ে ওঠেনি এখনো।
আরেকটা জিনিসও মনে পড়ে গেল। প্রোফাইল নামক একটা বস্তু আছে, যেখানে সব লেখা থাকে, মানে ঐ নাম-ধাম-কাজকম্মো এইসব আরকি! তবু বারে বারে ইনবক্সে ক্যানো জিজ্ঞেস করে সবাই, "কোথায় থাকো?", "কী করো?" অবশ্য আপনাদের বলার একটা শক্তপোক্ত যুক্তিও আছে নিশ্চয়। হয় নিজেদেরটা আসল লেখেননি,কিংবা পরিচিত কাউকে নকল লিখতে দেখেছেন। আমিও দেখেছি " বোদায় থাকি" বলতে লজ্জা করে বলে অনেকের প্রোফাইলেই লেখা আছে, "lives in London/Canada/Dhaka। কারণটা কী? জানিনা, বুঝিনা তো। তবে বলে রাখি, আমার প্রোফাইলের সমস্তটুকুই আসল--একদম নাম থেকে বয়স পর্যন্ত। তাই রিকোয়েস্ট অ্যাকসেপ্ট করার পর বা অন্যন্য নানান সময়েও "ধন্যবাদ মিষ্টি বন্ধু" বা এইধরনের চ্যাটচেটে কথাগুলো বলেন না, ক্যামন? আরে এসবে গলে জল হওয়ার বয়সও নেই, আর আমি এতো মিষ্টি খাইওনা, ডায়বেটিসের ভয় পাই তো।
দেখছেন, সক্কাল-সক্কাল কতোকিছু বলে ফেললাম। হাতে একটু সময় ছিলোতো তাই। আর একটু বোঝার ইচ্ছে ছিল। সব দেখছি, মুখ খুলতে আজকাল বড্ড আলসেমি লাগে। তাই দেখা আর চেনা। চিনছি-চিনছি-চিনছি। তবে বেশিদিন চুপ থাকতে হয়তো পারবোনা--আমার আবার ওল খাওয়া মুখ কিনা!
এভাবেই নাহয় আপনারাও আমাকে চিনুন। পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া রইলো........

Friday, 15 September 2017

সায়েদাবাদ থেকে দূরপাল্লার বাসে উঠে বসে আছি; হঠাৎ এক যুবক ‘ ৩০ দিনে ইংরেজি শিখুন’ টাইপ কোন বই নিয়ে যাত্রীদের মনোযোগ আকর্ষণ করছে


সায়েদাবাদ থেকে দূরপাল্লার বাসে উঠে বসে আছি; হঠাৎ এক যুবক ৩০ দিনে ইংরেজি শিখুন টাইপ কোন বই নিয়ে যাত্রীদের মনোযোগ আকর্ষণ করছে। বাস ভর্তি যাত্রী মন লাগিয়ে যুবকের কথা শুনল। তারপর একজন যাত্রীকে দেখা গেল জানালা দিয়ে আমড়া ওয়ালাকে ডাকছে।
ছেলেটি মানুষের এটেনশন পাবার জন্য ইংরেজিতে কথা বলছিল। ইংরেজি বই বিক্রি করার জন্য ইংরেজি জানা ছেলে চাই; এই হল প্রকাশকের মার্কেটিং পলিসি।
আমি সাধারণত কোন মানুষের দিকে তাকালে মনে মনে মানুষটার একটা গল্প দাড় করিয়ে ফেলি।
ছেলেটি রোজ কতটা বাসে দাড়িয়ে এভাবে নির্বিকার ইংরেজি বলে যায়; পরিচিত কোন মানুষকে দেখলে লজ্জা পায় কিনা; প্রতিটা বইতে সে কত টাকা কমিশন পায় ; রোজ কতটা বই বিক্রি হলে তার তিন বেলা খাবারের টাকা উঠে আসে আমি জানি না।
এই ছেলেটির সাথে আমার কথা হয়েছে। সে ন্যাশনাল ভার্সিটি থেকে অনার্স থার্ড ইয়ারে পড়ছে। আমার চমকে উঠা আঁচ করতে পেরে সে জানাল তার মত এরকম অনেকেই আছে। একটা রেস্টুরেন্টের নাম বলে জানাল, তার দুজন ক্লাসমেট এখানে থালাবাসন ধুয়ে গ্রামে টাকা পাঠায়।
আমাদের দেশটা আমরা যাদের হাতে তুলে দিয়েছি আমি নিজে কোনদিন তাদের ক্ষমা করতে পারব না।
আমাদের এই দেশটা
চাকরি নাই নামে এক মানসিক রোগে ভুগছে। একজনের কথা জানি, যে মাত্র তিন হাজার টাকার জন্য মিরস্বরাই ( ফেনির কাছাকাছি) থেকে চিটাগাং শহরে গিয়ে রোজ অফিস করে।
যাওয়া আসার ভাড়া এবং দুপুরের খাবার মিটিয়ে মাস শেষে এই ছেলেটা হয়ত তার বাবার হাতে পাঁচশ টাকার একটা নোট তুলে দেয়।
ছেলেটা এক পর্যায় আসা যাবার খরচ মেটাতে অফিসের পাশে এক মসজিদে রাত কাটানো শুরু করল। এক মাস মসজিদে রাত কাটিয়ে বাবার হাতে হাজার দেড়েক টাকা তুলে দেবার যন্ত্রণা গুলো পাশ কাটিয়ে মধ্যম আয়ের দেশ বলে চিৎকার করলেই সেটা প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায় না।
একজনের কথা জানি যে অনেক মাস ধরে দুপুরে এবং রাতে ভাত খাওয়া ছেড়ে দিছে। লাঞ্চ টাইমে দুইটা বন খেয়ে দুই গ্লাস পানি খেলে নাকি আট ঘণ্টা পেট ভরা থাকে!!
বেতনের অর্ধেক মেসে দিতে হয়। বাকি অর্ধেক মা ' কে। মা পেরালাইসিস। বাবা মাছ ধরতে গিয়ে ট্রলার ডুবে নিখোঁজ। মায়ের ওষুধ খরচ বেড়ে যাওয়াতে মেস ছেড়ে রাতে ছাউনিতে থাকা শুরু।
সকালে এমন ভাবে পরিপাটি হয়ে অফিসে আসে; দেখে বোঝার উপায় নেই !
বহু রাত সে বালিশে ঘুমায় না। মেস ছাড়া যায়; মা' কে তো আর ছাড়া যাবে না।
এই ছেলে গুলাকে তুমি কী সাইকোথেরাপি দিবে ? এ মাসে মেসের টাকা দিতে না পারলে যাকে রাস্তায় নামতে হবে; তাকে হেলাল হাফিজের কবিতার বই দিলে সে শান্ত হবে না।
বাসা থেকে আর টাকা চাইবার মুখ নাই; বন্ধুরা সিগারেট ধরালে সেটা কখন দু টান দেয়া যাবে...; অসুস্থ মা... এই ঈদে ভাগে হলেও গরু কিনতে হবে। মানুষের মাথায় কিলবিল করছে এরকম অসংখ্য যন্ত্রণা...
এদের তুমি সিনেমা হলে অস্কারপাওয়া মুভি দেখিয়ে ; কে কবে কেন নোবেল পেয়েছে এই সব জ্বালাময়ী বক্তৃতা দিয়ে কিংবা ঘোরগ্রস্ত গান শুনিয়ে শান্ত করতে পারবে না।
সত্যিকার অর্থে এই ব্যাপারটি এড়িয়ে যাবার আর কোন অপশন নেই। নতুন প্রজন্ম...বিপ্লব... ট্যালেন্ট হান্টের বাজার পরেও দেয়া যাবে; আগে মানুষ বাঁচাই।
প্যারাসিটামল ট্যাবলেট দিয়ে ক্যান্সারের রোগীকে সুস্থ করা যাবে না।

রোহিঙ্গারা রাখাইন রাজ্যের প্রাচীন আদিবাসী না।


অথেন্টিক তথ্য পেতে তাই পত্র-পত্রিকা, উইকিপিডিয়া ঘাঁটা শুরু করতে হলোপুরো রোহিঙ্গা ইস্যুতে খুব চমৎকার একটা বিস্তারিত লিখা পাওয়া গেলো কারেন্ট এফেয়ার্সের রাজশাহী বিভাগীয় প্রধাণ এস এম আতিকের একটা আর্টিকেলেসেটা সংক্ষিপ্ত সম্পাদকীয় নামক একটা ম্যাগাজিনে ছাপা হয়েছেসেটা পড়ে যা বুঝা গেলো-
. রোহিঙ্গারা রাখাইন রাজ্যের প্রাচীন আদিবাসী না। ৭৮০-৮১০ সালের ভিতর বিভিন্ন আরব দেশ থেকে মুসলিমরা এখানে এসে বসবাস শুরু করে। নানা জাতির সাথে সংমিশ্রনেই রোহিঙ্গা জাতির উদ্ভব।
. ১৭৮৪ সাল পর্যন্ত আরাকান ছিলো স্বাধীন। এরপর বার্মার রাজা বোডপায়া আরাকান দখল করে নেয় ও মায়ানমারের অংশ করে ফেলে।
. ১৯২৪ সালে বার্মা বৃটিশ শাসনের অধীনে চলে যায়। তখন বার্মার ১৩৯টি জাতি গোষ্ঠীর তালিকা করা হলেও তাতে স্থান হয়নি রোহিঙ্গাদের। সেটাই মূলত রোহিঙ্গাদের দুঃসময়ের সূচনা। বার্মায় আরো মুসলিম জাতি আছে। রোহিঙ্গাদের বাদ পরার ইস্যু তাহলে ধর্মীয় বলা যাচ্ছে না। আর রোহিংগা জাতিদের মধ্যে হিন্দুও আছে (wiki)

. ১৯৩৯-৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মান বাহিনীর আগ্রাসনে প্রায় ২২হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে চট্টগ্রামে চলে আসে।
এতটুকু পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের কোন দোষ পাওয়া যায় না। কিন্তু ১৯৪৭ সালে ভারত পাকিস্তান সৃষ্টির সময় তারা বিরাট এক ভুল করে বসে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জিন্নাহের সাথে একাধিক বৈঠক করে পাকিস্তানের সাথে থাকার ইচ্ছা ব্যক্ত করে। আর শুরু হয় রোহিংগাদের কপাল পোড়া। তাদের এই কাজটা আরাকানের অন্য জাতিগোষ্ঠিরা মেনে নিতে পারে নি। তাদের কপালে
বেঈমান তকমা লেগে যায়। এদিকে জিন্নাহ শেষমেশ অস্বীকৃতি জানায়। তখন তারা নিজেরাই রোহিঙ্গা মুসলিম পার্টি গঠন করে আরাকান স্বাধীন করার জন্য সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু করে। আর তারা একদম ব্ল্যাকলিস্টেড হয়ে যায় বার্মার সরকারের কাছে
১৯৭৮ সালে অনেক রোহিঙ্গারা আশ্রয় নেয় বাংলাদেশে
১৯৬২ সালে সামরিক সরকার বার্মায় ক্ষমতা পেলে রোহিঙ্গাদের উপর অত্যাচার বেড়ে যায়। ১৯৭৮ আর ১৯৯২ সালে দুইবার তাদের উপর সামরিক অভিযান চালানো হলে মেজর জিয়া ও পরে খালেদা জিয়ার সরকার দুইবারই রোহিঙ্গাদের এদেশে আশ্রয় দেয়। সংখ্যাটা প্রায় ৫ লাখ- তারা আর ফিরে যায় নি। এদেশেই রয়ে গেছে। সাম্প্রতিক সময়ে ২০১২ সালে এক রাখাইন মেয়েকে তিনজন রোহিঙ্গা মিলে ধর্ষণ করে হত্যা করেছে- এই অভিযোগে আড়াই হাজার বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। ৯০ হাজার রোহিঙ্গা এদেশে উদ্বাস্তু হয়। আর ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর রোহিঙ্গা সশস্ত্র দল একটা সেনা ক্যাম্পে আক্রমণ করে ৯ জন সেনাকে মেরে ফেললে আবার শুরু হয় নির্যাতন। এবার প্রায় এক লাখ রোহিংগা এদেশে চলে আসে, যেটার স্রোত এখনও চলছে
১৯৯২ সালে বাংলাদেশে রোহিঙ্গারা
এখানে খুবই ইম্পর্ট্যান্ট একটা পয়েন্ট- ১৯৮২ সালে মায়ানমার সরকার নতুন নাগরিকত্ব আইন করলে তাতে রাখাইন প্রদেশেরই কামান নামক মুসলিমরা নাগরিকত্ব পেলেও রোহিঙ্গারা পায় নি। কারণ সেই একটাই- তাদের বিশ্বাসঘাতক মনে করে মায়ানমার অথরিটি।
মোটামুটি তাহলে ক্লিয়ার হয়ে গেলো- রোহিঙ্গা ইস্যুটা মুসলিম বৌদ্ধ লড়াই না। বার্মার অধিবাসী হয়েও পাকিস্তানের সাথে হাত মেলাতে চাওয়াটাই তাদের কপালে শনি হয়ে এসেছে। রাখাইন প্রদেশের অন্য সব জাতি তাদের বিশ্বাসঘাতক জাতি হিসেবে দেখে। তাই তারা শিক্ষা, চাকুরি সব কিছুতেই বঞ্চিত, কিছুদিন পরপরই চলে তাদের উপর নির্যাতনের ছুতায় মায়ানমার থেকে তাড়িয়ে বাংলাদেশে পাঠানো। গত কয়েকদিনে তারা যেন ফেরত না যেতে পারে তাই মায়ানমার বর্ডারে ফিল্ড মাইন পুঁতছে সেনাবাহিনী!

অভিশপ্ত রজনী

  মৃত মেয়েটিকে ধর্ষণ করার সময় মেয়েটি যে জীবিত হয়ে ওঠে সেটা খেয়াল করেনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় কাব্য।ধবধবে সাদা চামড়ার মেয়েটিকে ভোগ করার...