রোগা
হওয়ার জন্য অনেকেই নানা পদ্ধতি শুরু করে ৷ শুরু করেন নানা ডায়েটও ৷ আর
যার মধ্যে ইদানিং ওটস খাওয়ার ব্যাপারটা সবার ফেভারিট৷ কারণ, ওটস খেতেও
ভালো, পেটও ভর্তি রাখে ৷ সঙ্গে পুষ্টিগুণ এমন, যা শরীরে মেদ জমাতে দেয় না
৷
ওটসে
রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, লৌহ, প্রোটিন, ভিটামিন বি। বিশেষত ওটসে
রয়েছে ভিটামিন বি ১ যা শরীরে কার্বোহাইড্রেট হজমে সাহায্য করে। তাছাড়া
প্রতি গ্রাম ওটসে রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম, লৌহ, ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক,
কপার, ম্যাঙ্গানিজ, থিয়ামিন, ভিটামিন ই ইত্যাদি। যা অন্যান্য শস্যজাতীয়
খাবারের তুলনায় বেশি।
ওটসে প্রাকৃতিকভাবে ফ্যাটের পরিমাণ কম থাকে। তাছাড়াও রয়েছে উপকারী ফ্যাটি অ্যাসিড।
ওটসে
রয়েছে বেটা গ্লুকান নামক বিশেষ ধরনের ফাইবার যা শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ
কমাতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন এক বোল বা তিন গ্রাম ওটস খেলে তা
প্রায় আট থেকে ২৩ শতাংশ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
রয়েছে বিশেষ ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান যা ‘এলডিএল কলেস্টেরল’য়ের ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি কমায়। আর এতে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে।
অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তার কারণে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায় ওটস।
ওটসের
বেটা-গ্লুকান শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। শরীরে ব্যাক্টেরিয়া
জনিত ইনফেকশন রোধেও সাহায্য করে ওটস। তাছাড়া ডায়বেটিসের ক্ষেত্রেও উপকারি।
দিনের শুরুতে রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে উপযোগী খাবার খেয়ে দিন শুরু
করলে তা সারাদিন রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
ওটসের ফাইটোকেমিকল ক্যান্সার দমনে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
হজম ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে ওটস। যারা কোষ্ঠকাঠিন্য বা হজমের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য ওটস দারুণ উপকারী।
ওটস খাওয়ার পর দীর্ঘসময় পেট ভরা ভাব অনুভূত হয়। ফলে অনেকটা সময় খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।
মন
খারাপ থাকলে ওটস খেতে পারেন। এতে রয়েছে বিশেষ প্রাকৃতিক উপাদান যা মন ভালো
রাখতে সাহায্য করে। খানিকটা মধু দিয়ে ওটস সকালের জলখাবার হিসেবে দারুণ।
No comments:
Post a Comment