অথেন্টিক
তথ্য পেতে তাই পত্র-পত্রিকা, উইকিপিডিয়া ঘাঁটা শুরু করতে হলো। পুরো
রোহিঙ্গা ইস্যুতে খুব চমৎকার একটা বিস্তারিত লিখা পাওয়া গেলো কারেন্ট এফেয়ার্সের
রাজশাহী বিভাগীয় প্রধাণ এস এম আতিকের একটা আর্টিকেলে। সেটা “সংক্ষিপ্ত
সম্পাদকীয়”
নামক একটা ম্যাগাজিনে ছাপা হয়েছে। সেটা পড়ে যা
বুঝা গেলো-
১. রোহিঙ্গারা রাখাইন রাজ্যের প্রাচীন আদিবাসী না। ৭৮০-৮১০ সালের ভিতর বিভিন্ন আরব দেশ থেকে মুসলিমরা এখানে এসে বসবাস শুরু করে। নানা জাতির সাথে সংমিশ্রনেই রোহিঙ্গা জাতির উদ্ভব।
২. ১৭৮৪ সাল পর্যন্ত আরাকান ছিলো স্বাধীন। এরপর বার্মার রাজা বোডপায়া আরাকান দখল করে নেয় ও মায়ানমারের অংশ করে ফেলে।
৩. ১৯২৪ সালে বার্মা বৃটিশ শাসনের অধীনে চলে যায়। তখন বার্মার ১৩৯টি জাতি গোষ্ঠীর তালিকা করা হলেও তাতে স্থান হয়নি রোহিঙ্গাদের। সেটাই মূলত রোহিঙ্গাদের দুঃসময়ের সূচনা। বার্মায় আরো মুসলিম জাতি আছে। রোহিঙ্গাদের বাদ পরার ইস্যু তাহলে ধর্মীয় বলা যাচ্ছে না। আর রোহিংগা জাতিদের মধ্যে হিন্দুও আছে (wiki)।
৪. ১৯৩৯-৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মান বাহিনীর আগ্রাসনে প্রায় ২২হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে চট্টগ্রামে চলে আসে।
এতটুকু পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের কোন দোষ পাওয়া যায় না। কিন্তু ১৯৪৭ সালে ভারত পাকিস্তান সৃষ্টির সময় তারা বিরাট এক ভুল করে বসে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জিন্নাহের সাথে একাধিক বৈঠক করে পাকিস্তানের সাথে থাকার ইচ্ছা ব্যক্ত করে। আর শুরু হয় রোহিংগাদের কপাল পোড়া। তাদের এই কাজটা আরাকানের অন্য জাতিগোষ্ঠিরা মেনে নিতে পারে নি। তাদের কপালে “বেঈমান” তকমা লেগে যায়। এদিকে জিন্নাহ শেষমেশ অস্বীকৃতি জানায়। তখন তারা নিজেরাই রোহিঙ্গা মুসলিম পার্টি গঠন করে আরাকান স্বাধীন করার জন্য সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু করে। আর তারা একদম ব্ল্যাকলিস্টেড হয়ে যায় বার্মার সরকারের কাছে।
১. রোহিঙ্গারা রাখাইন রাজ্যের প্রাচীন আদিবাসী না। ৭৮০-৮১০ সালের ভিতর বিভিন্ন আরব দেশ থেকে মুসলিমরা এখানে এসে বসবাস শুরু করে। নানা জাতির সাথে সংমিশ্রনেই রোহিঙ্গা জাতির উদ্ভব।
২. ১৭৮৪ সাল পর্যন্ত আরাকান ছিলো স্বাধীন। এরপর বার্মার রাজা বোডপায়া আরাকান দখল করে নেয় ও মায়ানমারের অংশ করে ফেলে।
৩. ১৯২৪ সালে বার্মা বৃটিশ শাসনের অধীনে চলে যায়। তখন বার্মার ১৩৯টি জাতি গোষ্ঠীর তালিকা করা হলেও তাতে স্থান হয়নি রোহিঙ্গাদের। সেটাই মূলত রোহিঙ্গাদের দুঃসময়ের সূচনা। বার্মায় আরো মুসলিম জাতি আছে। রোহিঙ্গাদের বাদ পরার ইস্যু তাহলে ধর্মীয় বলা যাচ্ছে না। আর রোহিংগা জাতিদের মধ্যে হিন্দুও আছে (wiki)।
৪. ১৯৩৯-৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মান বাহিনীর আগ্রাসনে প্রায় ২২হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে চট্টগ্রামে চলে আসে।
এতটুকু পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের কোন দোষ পাওয়া যায় না। কিন্তু ১৯৪৭ সালে ভারত পাকিস্তান সৃষ্টির সময় তারা বিরাট এক ভুল করে বসে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জিন্নাহের সাথে একাধিক বৈঠক করে পাকিস্তানের সাথে থাকার ইচ্ছা ব্যক্ত করে। আর শুরু হয় রোহিংগাদের কপাল পোড়া। তাদের এই কাজটা আরাকানের অন্য জাতিগোষ্ঠিরা মেনে নিতে পারে নি। তাদের কপালে “বেঈমান” তকমা লেগে যায়। এদিকে জিন্নাহ শেষমেশ অস্বীকৃতি জানায়। তখন তারা নিজেরাই রোহিঙ্গা মুসলিম পার্টি গঠন করে আরাকান স্বাধীন করার জন্য সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু করে। আর তারা একদম ব্ল্যাকলিস্টেড হয়ে যায় বার্মার সরকারের কাছে।
১৯৭৮
সালে অনেক রোহিঙ্গারা আশ্রয় নেয় বাংলাদেশে
১৯৬২ সালে সামরিক সরকার বার্মায় ক্ষমতা পেলে রোহিঙ্গাদের উপর অত্যাচার বেড়ে যায়। ১৯৭৮ আর ১৯৯২ সালে দুইবার তাদের উপর সামরিক অভিযান চালানো হলে মেজর জিয়া ও পরে খালেদা জিয়ার সরকার দুইবারই রোহিঙ্গাদের এদেশে আশ্রয় দেয়। সংখ্যাটা প্রায় ৫ লাখ- তারা আর ফিরে যায় নি। এদেশেই রয়ে গেছে। সাম্প্রতিক সময়ে ২০১২ সালে এক রাখাইন মেয়েকে তিনজন রোহিঙ্গা মিলে ধর্ষণ করে হত্যা করেছে- এই অভিযোগে আড়াই হাজার বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। ৯০ হাজার রোহিঙ্গা এদেশে উদ্বাস্তু হয়। আর ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর রোহিঙ্গা সশস্ত্র দল একটা সেনা ক্যাম্পে আক্রমণ করে ৯ জন সেনাকে মেরে ফেললে আবার শুরু হয় নির্যাতন। এবার প্রায় এক লাখ রোহিংগা এদেশে চলে আসে, যেটার স্রোত এখনও চলছে।
১৯৬২ সালে সামরিক সরকার বার্মায় ক্ষমতা পেলে রোহিঙ্গাদের উপর অত্যাচার বেড়ে যায়। ১৯৭৮ আর ১৯৯২ সালে দুইবার তাদের উপর সামরিক অভিযান চালানো হলে মেজর জিয়া ও পরে খালেদা জিয়ার সরকার দুইবারই রোহিঙ্গাদের এদেশে আশ্রয় দেয়। সংখ্যাটা প্রায় ৫ লাখ- তারা আর ফিরে যায় নি। এদেশেই রয়ে গেছে। সাম্প্রতিক সময়ে ২০১২ সালে এক রাখাইন মেয়েকে তিনজন রোহিঙ্গা মিলে ধর্ষণ করে হত্যা করেছে- এই অভিযোগে আড়াই হাজার বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। ৯০ হাজার রোহিঙ্গা এদেশে উদ্বাস্তু হয়। আর ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর রোহিঙ্গা সশস্ত্র দল একটা সেনা ক্যাম্পে আক্রমণ করে ৯ জন সেনাকে মেরে ফেললে আবার শুরু হয় নির্যাতন। এবার প্রায় এক লাখ রোহিংগা এদেশে চলে আসে, যেটার স্রোত এখনও চলছে।
১৯৯২
সালে বাংলাদেশে রোহিঙ্গারা
এখানে খুবই ইম্পর্ট্যান্ট একটা পয়েন্ট- ১৯৮২ সালে মায়ানমার সরকার নতুন নাগরিকত্ব আইন করলে তাতে রাখাইন প্রদেশেরই কামান নামক মুসলিমরা নাগরিকত্ব পেলেও রোহিঙ্গারা পায় নি। কারণ সেই একটাই- তাদের বিশ্বাসঘাতক মনে করে মায়ানমার অথরিটি।
মোটামুটি তাহলে ক্লিয়ার হয়ে গেলো- রোহিঙ্গা ইস্যুটা মুসলিম বৌদ্ধ লড়াই না। বার্মার অধিবাসী হয়েও পাকিস্তানের সাথে হাত মেলাতে চাওয়াটাই তাদের কপালে শনি হয়ে এসেছে। রাখাইন প্রদেশের অন্য সব জাতি তাদের বিশ্বাসঘাতক জাতি হিসেবে দেখে। তাই তারা শিক্ষা, চাকুরি সব কিছুতেই বঞ্চিত, কিছুদিন পরপরই চলে তাদের উপর নির্যাতনের ছুতায় মায়ানমার থেকে তাড়িয়ে বাংলাদেশে পাঠানো। গত কয়েকদিনে তারা যেন ফেরত না যেতে পারে তাই মায়ানমার বর্ডারে ফিল্ড মাইন পুঁতছে সেনাবাহিনী!
এখানে খুবই ইম্পর্ট্যান্ট একটা পয়েন্ট- ১৯৮২ সালে মায়ানমার সরকার নতুন নাগরিকত্ব আইন করলে তাতে রাখাইন প্রদেশেরই কামান নামক মুসলিমরা নাগরিকত্ব পেলেও রোহিঙ্গারা পায় নি। কারণ সেই একটাই- তাদের বিশ্বাসঘাতক মনে করে মায়ানমার অথরিটি।
মোটামুটি তাহলে ক্লিয়ার হয়ে গেলো- রোহিঙ্গা ইস্যুটা মুসলিম বৌদ্ধ লড়াই না। বার্মার অধিবাসী হয়েও পাকিস্তানের সাথে হাত মেলাতে চাওয়াটাই তাদের কপালে শনি হয়ে এসেছে। রাখাইন প্রদেশের অন্য সব জাতি তাদের বিশ্বাসঘাতক জাতি হিসেবে দেখে। তাই তারা শিক্ষা, চাকুরি সব কিছুতেই বঞ্চিত, কিছুদিন পরপরই চলে তাদের উপর নির্যাতনের ছুতায় মায়ানমার থেকে তাড়িয়ে বাংলাদেশে পাঠানো। গত কয়েকদিনে তারা যেন ফেরত না যেতে পারে তাই মায়ানমার বর্ডারে ফিল্ড মাইন পুঁতছে সেনাবাহিনী!
No comments:
Post a Comment