Monday 10 December 2018

আমি কিনলাম ওরস্যালাইন আর সে কিনল প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিট !!!

আমি কিনলাম ওরস্যালাইন আর সে কিনল প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিট !!!
মেয়েটা কোন ক্লাশে পড়ে !!!
সেভেন - এইট, বড় জোড় নাইন হতে পারে এর বেশী হবার কোন কারণ নেই। মায়া কাড়া চেহারা আর বিখ্যাত এক স্কুলের ড্রেস গায়ে চাপানো। ভার্সিটি পড়ুয়া হবে এমন একটা ছেলেসহ মেয়েটি দাঁড়িয়ে আছে ফার্মেসীর সামনে, ইতস্তত এদিক ওদিক তাকাচ্ছে আর নিচু গলায় কথা বলছে। মেয়েটা ব্যাগ খুলে ছেলেটার হাতে টাকা ধরিয়ে দিয়ে বাইরেই দাঁড়িয়ে থাকল, আমি এমন জায়গায় দাঁড়ানো চোখে না পড়ে উপায় নেই। সিগারেট শেষ হওয়ায় আমিও ফার্মেসীতে ঢুকে পড়লাম, ছেলেটি সেখানে এদিক ওদিক তাকাচ্ছে ।
বিশেষ জিনিসগুলো সব সামনেই ঝোলানো থাকে। প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিট দেখিয়ে ছেলেটা দাম জানতে চাইল, তারপর বলল একটা দিন। নিয়ে বের হয়ে গেল, মেয়েটাকে দেয়ায় সে ব্যাগে ঢুকিয়ে রাখল। পুরোটা সময় আমি মনে হয় ভাষা হারিয়ে ফেলছিলাম,

এ কি দেখছি আমি !!! এই টুকুন মেয়ে, যাকে বাসায় এখনও হয়ত সকালের নাস্তা আর রাতের খাবার মা না খাইলে দিলে সে খেতে চায় না !!!!
এই মেয়ে এই প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিট নিয়ে বাসায় যাচ্ছে !!!!
সে কি জানে সে কি করে বসেছে, যদি পজেটিভ হয় তাহলে !!!!
যে কাজের জন্য এই প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিট সে কিনল -- ওটাই-বা কতটুকু বোঝে সে ???
সম্বিত পেলাম দোকানদারের কথায়, কি লাগবে আপনার।
দুটো ওরস্যালাইন কিনে নিয়ে বাইরে আসলাম,
শরীর পানি শূন্য হয়ে যাচ্ছে , চিন্তা চেতনায়ও শূন্যতা বোধ করলাম................... বড্ড বেশী পিছিয়ে পড়ছি আমরা এই সমাজের সাথে তাল মেলাতে গিয়ে ....

Saturday 24 November 2018

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ?


প্রায়ই পত্রিকায় "বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ' নাম দিয়ে এক ধরণের নিউজ দেখা যায়।
এই নিউজগুলো দেখে আমি একটু বিরক্তই হই। কারণ কথাটা আমার কাছে পরস্পরবিরোধী মনে হয়। কেন? বলছি। প্রথমে দেখা যাক ধর্ষণ এর সংজ্ঞা কি:
অধিকাংশ বিচারব্যবস্থায় ধর্ষণ বলতে, "কোনো ব্যক্তি কর্তৃক অন্য কোনো ব্যক্তির অনুমতি ব্যতিরেকে তার সঙ্গে যৌনসঙ্গমে লিপ্ত হওয়া কিংবা অন্য কোনোভাবে তার দেহে যৌন অনুপ্রবেশ ঘটানোকে বুঝায়।"
এখন এই ঘটনা ভাবুন,
কোন পুরুষ একজন নারীর সাথে রিলেশনশিপ এ আছেন। প্রেমিক পুরুষটি যথাযথ সময় পর তার প্রেয়সীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে চাইলেন। প্রেয়সী রাজি হলেন। তবে একটা শর্ত দিয়ে যে, তাকে গ্যারান্টি দিতে হবে বিয়ে করার। প্রেমিক মহাশয় রাজি হলেন। এবং তারা করলেন শারীরিক সম্পর্ক। এবং তাদের সম্পর্কও চালিয়ে যেতে থাকল। সম্পর্ক ভালই চলছিল এবং কিছুদিন পর কোন এক কারণে তাদের ব্রেকাপও হয়ে গেল। ধরুন ব্রেকাপটা পুরুষটিই করল কোন কারণে।
আমাকে এবার বলুন। এটা কি ধর্ষণ??
এখানে তো সম্মতি দেয়াই হয়েছে। আর এই ধরণের শর্ত দিয়ে যৌনসঙ্গমকে আমি ধর্ষণ বলতে রাজি না। বড়জোর এটাকে হয়ত প্রতারণা বলা যেতে পারে।

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আমার নারী ও পুরুষ উভয়ের কাছেই কিছু বলার আছে।
বিয়ের আগে আপনার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে হলে যদি বিয়ের প্রতিশ্রুতি লাগে তাহলে আমার মনে হয় না আপনার বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্কে জড়ানো উচিত হবে। কারণ রিলেশনশিপ যে টিকেই থাকবে এটা কেউ গ্যারান্টি দিতে পারে না। অনেক সময় পাঁচ ছয় বছর রিলেশনশিপ এ থেকেও কেউ কাউকে সত্যিকার অর্থে বুঝতে পারে না। তাই সম্পর্ক হলেই যে এটা বিয়ে পর্যন্ত গড়াবে সেটা ধরে নেয়া হবে বোকামি। আমাকে বলুন, শুধুমাত্র শারীরিক সম্পর্কের কারণেই কি কাউকে বিয়ে করে ফেলা উচিত??
যদি সেই লোকটা আপনার সাথে কম্পাইটেবল না হয় তবে? এমন কাউকে আপনি বিয়ে করতে চান যাকে আপনি "বাধ্য" হয়ে বিয়ে করছেন বা সদিচ্ছায় করছেন না??
শুধুমাত্র "ওকে আমার সব দিয়ে দিয়েছি। তাই ও চোর বাটপার, চিট যাইই হোক ওকে বিয়ে করতে হবে।" এই ধরণের মেন্টালিটিতে আমার গা গুলিয়ে আসে।
কারণ,You are not a thing. You are a human being. কারো সাথে যৌনসঙ্গম করা মানেই তাকে "সব দিয়ে দেয়া" নয়। তাই এই ধরণের মেন্টালিটি ত্যাগ করুন।
যদি শারীরিক সম্পর্ক করতে চান তাহলে এই কথাটি মাথায় নিয়েই করুন যে এই সম্পর্ক হয়ত নাও ঠিকতে পারে। আর যৌনসম্পর্ককে যদি খুবই Sacred কিছু ভাবেন তাহলে আপনি বিয়ে পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। You can't have it both ways.... It's just a fact.

যদি এইরকম শর্তের মুখোমুখি হন তাহলে, প্রথমত আপনার দেখতে হবে,
১) এই রিলেশিনশীপে দুজনের লক্ষ্য ও প্রত্যাশা কি একই রকম?
২) শারীরিক সম্পর্ক আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ?
৩) এবং, এই শর্ত মেনে নিয়ে কাজটি করতে পারবেন কিনা?
যদি প্রত্যেকটি প্রশ্নের উত্তর হ্যাঁ হয়। তাহলে বলব, Go ahead. আর যদি একটা প্রশ্নের উত্তরও না হয়। তাহলে আমি বলব ভাই, "Run. Run as fast as you can." এই রিলেশনশিপ আপনার জন্য নয়।
ব্যক্তিগত ভাবে আমি মনে করি শর্ত দিয়ে ভালোবাসা হয় না। ভালোবাসা হয় নিঃশর্ত ভাবে। ভালোবাসায় Trust জিনিসটা থাকতে হয়। আর যদি Trust না থাকে তাহলে সেটা ভালবাসা হতে পারে না। এরকম শর্ত মেনে যদি রাখতে না পারেন এবং সেই মেয়েটি আইনানুযায়ী প্রতারণা কিংবা ধর্ষণ মামলা দিয়ে দেয় তাহলে কিন্তু সারাজীবনের জন্য ফেঁসে যাবেন।
আদালতের কাছে আপনি "Innocent until proven guilty" হলেও মানুষের কাছে আপনি "Guilty no matter what" বলেই বিবেচিত হতে পারেন। এটাই বাস্তব।
তাই এই ধরণের শর্ত একসেপ্ট করার আগে ভেবে চিন্তে নিন যে এই রিস্ক আপনি নিতে চান কিনা। কারণ রিলেশনশিপের প্রথম দিকে নিজের প্রেমিক বা প্রেমিকাকে সকল খুঁতবিহীনই মনে হয়। এসব খুঁত এবং আপনার সাথে অপর পক্ষের সামঞ্জস্যতা, অসামঞ্জস্যতা ধীরে ধীরে প্রকাশ পায়। তাই হয়ত আরো কয়েকবছর বাদ Honeymoon Phase কেটে যাওয়ার পর যদি দেখেন যে, সে আপনার জন্য নয় তাহলে কি করবেন??
আমার এই কথাগুলো হয়ত আপনাদের শুনতে ভাল লাগছে না। কিন্তু এগুলো বাস্তব সত্য। আবেগ দিয়ে চিন্তা না করে মস্তিষ্ক দিয়ে চিন্তা করুন।
আমার এক বন্ধু সবসময় বলে, 'দোস্ত, সব সময় উপরের মাথা দিয়ে চিন্তা করবি। নিচের মাথা দিয়ে না। কারণ নিচের মাথার কোন ব্রেইনই নাই।'

আরেকটা ঘটনা দেখতে পারেন।
ধরুন আমি আপনাকে চা খাওয়ার আমন্ত্রণ জানালাম। আপনি রাজিও হলেন। তারপর আপনাকে চা দেয়ার পর আপনি দুই চুমুক দিয়ে চা ফেলে দিলেন। এর পর পরই আপনি দাবি করলেন আমি আপনাকে জোর করে চা খাইয়েছি। এটা কি যৌক্তিক দাবি হল??
আপনি চা খেতে না চাইলে আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করতে পারতেন। আবার চুমুক দিয়েও ফেলে দিতে পারতেন। এটা আপনার অধিকার।
কিন্তু চা খেতে চেয়ে জোর করে চা খাইয়েছি বলতে পারেন না।

কি? এই ঘটনা শুনে রাগে গা কিলবিল করছে??
তাহলে আপনাকে আমি একটা কথাই বলব,
Facts don't care about your feelings..

ধর্ষণ তখনই বলা যেতে পারে যখন যৌনসঙ্গম এ সম্মতি থাকবে না। 'ও আমার অমুক শর্ত ভেঙেছে, তাই এটা ধর্ষণ' কোন ন্যায়বিচারপূর্ন আদালতেই ধর্ষণ বলে বিবেচিত হবে না।
আপনাকে consensual sex একজন বোধবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের মতোই নিতে হবে। আর যদি আপনি সেটা নিতে না পারেন তাহলে ওটা আপনার জন্য নয়। আমি দুজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সম্মতিপূর্বক শারীরিক সম্পর্কে আপত্তি করছি না। আপত্তি করছি এর অসচ্ছতায়। দুজনকেই সেম পেজে থেকে এই কাজটা করা উচিত। আপনাদের পার্সোনাল লাইফে আপনারা যা ইচ্ছা করতে পারেন। তবে অন্ততপক্ষে সব কিছু পরিষ্কার করে নিয়ে যাতে করেন এটাই চাওয়া। না হলে অযথাই ঝামেলা বাড়ানো হবে। আপনার জন্য ও আপনার পরিবারের জন্যও। একটাই লাইফ আপনার। Make good decisions.

Friday 19 October 2018

একজন আইয়ুব বাচ্চু বনাম জান্নাত -জাহান্নাম


আজ মরলে কাল দু'দিন। সৃষ্টি জগতের অমোঘ নিয়মে সদ্য প্রয়াত হলেন বাংলার সঙ্গীত জগতের আরেক দিকপাল আইয়ুব বাচ্চু। আমরা অনেকেই তাকে ইতোমধ্যেই জাহান্নামী করে দিয়েছি এমনই ভাবে যেন তিনি মৃত্যুর পর আমার কাছে এসেছেন আর আমিই জান্নাত-জাহান্নামের মালিক (নাউজুবিল্লাহ )। নচেৎ জান্নাত-জাহান্নামের মালিক আমাকে ওহীর মাধ্যমে জানিয়েছেন (নাউজুবিল্লাহ )। ভাই, কোরাণ-হাদিসে মিথ্যা বলে মানুষকে আনন্দ দেয়া, মদ্যপান এগুলো নিষেধ। এর জন্য আমি আল্লাহর শাস্তি বা ক্ষমা যে কোনটাই পেতে পারি। এটা একান্তই আল্লাহর ইচ্ছা। আইয়ুব বাচ্চু হয়তো তা করেছেন কিন্তু আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাসী ছিলেন বলেই জানি। বিভিন্ন ধরণের শির্ক থেকে মুক্ত ছিলেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু। তিনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করবেন। এই জ্ঞান যার নাই সে-ই কেবল যখন-তখন যে কাউকে জাহান্নামে পাঠায় অথচ নিজের পরিনতি-ই জানে না।


তাই আসুন, আমরা কৃপণ না হয়ে কায়মনোবাক্যে আল্লাহর কাছে তার জন্য মাগফিরাত ও জান্নাত কামনা করি এবং আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ না হই। দয়াময় আল্লাহর ক্ষমা অপরিসীম। জীবনে অনেক আনন্দ পেয়েছি তার কাছে। আজ ঋণ শুধবার দিন। আমি অন্ততঃ তা করি।

Thursday 11 October 2018

পরকীয়ায় সংসার জীবনে অশান্তি আসতে পারে

গত কয়েকদিন যাবত একটা শ্রেণীকে দেখছি ফেসবুক তোলপাড় করে তুলছে ভারতীয় সুপ্রীম কোর্ট পরকীয়াকে বৈধতা দিয়েছে বলে৷ এই শ্রেণীতে আস্তিক, নাস্তিক, প্রগতিশীল প্রতিক্রিয়াশীল পলিগামী মনোগামী, নারী পুরুষ সকলেই সরব৷ আমি আইনের লোক নই তবু জানার বুঝাপ চেষ্টা করলাম আসলেই ঘটনা কি? কেন অমন জাত গেল জাত গেল রব চারদিকে৷ যা জানলাম তা হলো:
ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট পরকীয়ায় বৈধতা দেয়নি। একটা সেকেলে অনুপযোগী আইনকে সংস্কার করেছে মাত্র। ১৮৬০ সালে ব্রিটিশদের তৈরি ৪৯৭ ধারা অনুযায়ী -কোন ব্যক্তি যদি অন্য কোনো ব্যক্তির স্ত্রীর সঙ্গে তার অজ্ঞাতে বা অসম্মতিতে পরকীয়া করে তবে তার পাঁচ বছর জেল এবং জরিমানা হতে পারে। এক্ষেত্রে মহিলাটির কোনো শাস্তি হবে না। এক্ষেত্রে একটি লিঙ্গ বৈষম্য দেখা যায়। এই আইনটিকে বন্ধ করা হয়েছে । সুপ্রীম কোর্টের মতে- এই আইনটি মেয়েদের স্বাতন্ত্র্য ও ব্যক্তিস্বাধীনতা খর্ব করছে। এই আইন স্ত্রীকে স্বামীর সম্পত্তি এবং স্বামীকে স্ত্রীর প্রভু হিসেবে প্রতিষ্ঠা করায়। কিন্তু স্ত্রী পরকীয়া করলে স্বামীর সম্পূর্ণ অধিকার আছে তাকে ডিভোর্স দেওয়ার।
পরকীয়ায় সংসার জীবনে অশান্তি আসতে পারে। কিন্তু এটি কোন অপরাধ নয় যদি না এটি ৩০৬ ধারা অনুযায়ী আত্মহত্যায় প্ররোচনার প্রভাবক না হয়। এটি কোন ফৌজদারি অপরাধ নয়। তাই ভারতীয় সংবিধানে যুক্ত ব্যভিচার ধারাটি অসাংবিধানিক বলে সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে
* ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট বললো, ‘ নারী পুরুষের অধীন নয়, নারীর শরীরের মালিক নারী নিজে।‘ অর্থাৎ এখানে নারীকে পূর্ণ মানুষের সম্মান দেওয়া হয়েছে।
আর আপনারা বললেন, ‘ ভারত পরকীয়া বৈধ করে দিয়েছে। ‘
* ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট বললো, ‘ পরকীয়ায় শাস্তি আগে শুধু পুরুষ পেত, এটা গ্রহণযোগ্য নয়। এখানে একটা বৈষম্য থাকে ‘।
আপনারা বললেন, ‘ভারত পরকীয়া বৈধ করে দিয়েছে।
* ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট বললো, ‘ পরকীয়া রাষ্ট্রের সমস্যা নয়। এখানে রাষ্ট্র বা পুলিশের নাক গলানোর কিছু নেই। এটা ওই নারী ও পুরুষের ব্যক্তিগত বিষয়। আপনারা বললেন, ‘ ভারত পরকীয়া বৈধ করে দিয়েছে।‘
* ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট বললো, ‘ শুধু পরকীয়ায় জড়িত নারীর স্বামীর অধিকার ছিলো আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার। কিন্তু জড়িত পুরুষের স্ত্রীর সেই অধিকার ছিলোনা। এখন নিতে পারবে।
আপনারা বললেন, ‘ ভারত পরকীয়া বৈধ করে দিয়েছে।‘
* ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট বললো, ‘মানুষ কার সাথে সম্পর্ক বা যৌন সম্পর্ক করবে তা সমাজ ঠিক করে দিতে পারেনা। এই ধারাটি স্বেচ্ছাচারিতার সমান‘।
আপনারা বললেন,’ ভারত পরকীয়া বৈধ করে দিয়েছে।‘

আমরা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পারি, শিখতে পারি, দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আনতে পারি। মানুষের ভাবনা আর তথ্য দিয়ে নিজেকে সমৃদ্ধ করে চলেছি। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যমে আমাদের আরো বেশি সচেতন হওয়া উচিত।

শুধু নিজের মনের জোর নিয়ে যুদ্ধ করতে থাকুন- আপনি জিতবেনই।

বিজ্ঞান বলে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক সুস্থ্য পুরুষ একবার সহবাস করলে যে পরিমান বীর্য নির্গত হয় তাতে ৪০ কোটি শুক্রাণু থাকে। তো, লজিক অনুযায়ি মেয়েদের গর্ভে যদি সেই পরিমান শুক্রানু স্থান পেতো তাহলে ৪০ কোটি বাচ্চা তৈরি হতো!
এই ৪০ কোটি শুক্রাণু, মায়ের জরায়ুর দিকে পাগলের মত ছুটতে থাকে, জীবিত থাকে মাত্র ৩০০-৫০০ শুক্রাণু।
আর বাকিরা ? এই ছুটে চলার পথে ক্লান্ত অথবা পরাজিত হয়ে মারা যায়। এই ৩০০-৫০০ শুক্রাণু, যেগুলো ডিম্বানুর কাছে যেতে পেরেছে। তাদের মধ্যে মাত্র একটি মহা শক্তিশালী শুক্রাণু ডিম্বানুকে ফার্টিলাইজ করে, অথবা ডিম্বানুতে আসন গ্রহন করে। সেই ভাগ্যবান শুক্রাণুটি হচ্ছে আপনি কিংবা আমি, অথবা আমরা সবাই।
কখনও কি এই মহাযুদ্ধের কথা মাথায় এনেছেন?
১। আপনি যখন দৌড় দিয়েছিলেন" তখন ছিলনা কোন চোঁখ হাত পা মাথা, তবুও আপনি জিতেছিলেন।
২। আপনি যখন দৌড় দিয়েছিলেন"তখন আপনার ছিলোনা কোন সার্টিফিকেট, ছিলোনা মস্তিষ্ক তবুও আপনি জিতেছিলেন।
৩। আপনি যখন দৌড় দিয়েছিলেন তখন আপনার ছিলনা কোন শিক্ষা, কেউ সাহায্য করেনি তবুও আপনি জিতেছিলেন।
৪। আপনি যখন দৌড় দিয়েছিলেন তখন আপনার একটি গন্তব্য ছিলো এবং সেই গন্তব্যের দিকে উদ্দেশ্য ঠিক রেখে একা একাগ্র চিত্তে দৌড় দিয়েছিলেন এবং শেষ অবধি আপনিই জিতেছিলেন।
- এর পর, বহু বাচ্চা মায়ের পেটেই নষ্ট হয়ে যায় । কিন্তু আপনি মারা যান নি, পুরো ১০ টি মাস পূর্ণ করতে পেরেছেন ।
- বহু বাচ্চা জন্মের সময় মারা যায় কিন্তু আপনি টিকেছিলেন ।
- বহু বাচ্চা জন্মের প্রথম ৫ বছরেই মারা যায়। আপনি এখনো বেঁচে আছেন ।
- অনেক শিশু অপুষ্টিতে মারা যায়। আপনার কিছুই হয় নি ।
- বড় হওয়ার পথে অনেকেই দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছে, আপনি এখনো আছেন ।
আর আজ......
আপনি কিছু একটা হলেই ঘাবড়ে যান, নিরাশ হয়ে পড়েন, কিন্তু কেন? কেনো ভাবছেন আপনি হেরে গিয়েছেন ? কেন আপনি আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছেন ? এখন আপনার বন্ধু বান্ধব, ভাই বোন, সার্টিফিকেট, সবকিছু আছে। হাত-পা আছে, শিক্ষা আছে, প্ল্যান করার মস্তিষ্ক আছে, সাহায্য করার মানুষ আছে, তবুও আপনি আশা হারিয়ে ফেলেছেন। যখন আপনি জীবনের প্রথম দিনে হার মানেননি। ৪০ কোটি শুক্রাণুর সাথে মরণপণ যুদ্ধ করে, ক্রমাগত দৌড় দিয়ে কারো সাহায্য ছাড়াই প্রতিযোগিতায় একাই বিজয়ী হয়েছেন।
কেনো একজন আপনার লাইফ থেকে চলে গেলে,
সেটা মেনে নিতে পারেন না?
কেনো আপনি একটা কিছু হলেই ভেঙে পড়েন??
কেনো বলেন আমি আর বাচতে চাইনা?
কেনো বলেন আমি হেরে গিয়েছি?
এমন হাজারো কথা তুলে ধরা সম্ভব, কিন্তু আপনি কেনো হতাশ হয়ে পড়েন?
আপনি কেন হারবেন? কেন হার মানবেন? আপনি শুরুতে জিতেছেন, শেষে জিতেছেন, মাঝপথেও আপনি জিতবেন। নিজেকে সময় দিন, মনকে প্রশ্ন করুন কি প্রতিভা আছে আপনার। মনের চাওয়া কে সব সময় মূল্য দিন। দেখবেন আপনি জিতে যাবেন।
শুধু নিজের মনের জোর নিয়ে যুদ্ধ করতে থাকুন- আপনি জিতবেনই।
ইনশা আল্লাহ্

Monday 11 June 2018

পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে হলে মানুষের করুণা এবং অবহেলার প্রয়োজন আছে।


ঢাকা ভার্সিটির হলে একটা সীট পাওয়া মানে ভয়ংকর ঘটনা। আমি একজনকে চিনি যিনি গর্ব করে বলতেন, পোপুলেশন সাইন্স হলে আমার একটা সীট আছে। তবে সেটা চকির নিচে
জায়গা না পাবার কারণে যুবক বালিশ তোষক নিয়ে চকির নিচে শুয়ে পড়ে। এতে তার কোনই সমস্যা হয় না। চকির নিচে ছোট ডিম লাইট, মিনি টেবিল ফ্যান, সব মিলিয়ে ছোট খাট এক সংসার পেতে বসেছেন !
যুবকটির নাম রবিউল ইসলাম। এখনো আছেন সেই হলে; প্রোফেসর হিসেবে !
ম্যাট্রিক পরীক্ষা পাশ করতে তার সাত বছর লেগেছে। প্রতিবার রেসাল্ট আঊট হবার পর তার ধারণা হত প্রিন্টিং মিস্টেইকের কারণে তার নাম আসেনি। তাকে নিয়ে হাসাহাসি লেগেই থাকত।
যুবক চিটাগাং কলেজে ভর্তি হতে গেলে তখনকার প্রিন্সিপ্যাল তাকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়। যুবকটি চলে যেতে যেতে প্রিন্সিপ্যালকে শুধু একটি কথা জানিয়ে যায়- একদিন আমি এই কলেজে প্রিন্সিপ্যাল হয়ে আসব।
যুবকটির নাম রেজাউল করিম। পরবর্তীতে তিনি এই কলেজে প্রিন্সিপ্যাল হয়ে যোগ দেন।
এই গল্পটি অনেকেই জানেন।
এক তরুণের জামা কাপড় খুব ময়লা থাকার কারণে পার্কের সিকিউরিটি গার্ড তাকে প্রবেশ করতে দেয় নি। বাচ্চা বয়সের সেই ছেলেটি আবার একদিন এই পার্কে আসে। তখন সে পার্কটির মালিক।
তাকে ঢুকতে না দেবার অপমানটাই তাকে সফল করে তুলেছে।
কিছুদিন আগে জ্যাক মা'কে নিয়ে একটি আর্টিকেল পড়লাম।
'' প্রাইমারিতে দুইবার ফেল, মাধ্যমিকে তিনবার ফেল, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরিক্ষায় তিনবার ফেল, চাকরির জন্য পরিক্ষা দিয়ে ৩০ বার ব্যর্থ হয়েছি আমি।
চীনে যখন কেএফসি আসে তখন ২৪ জন চাকরির জন্য আবেদন করে৷ এর মধ্যে২৩ জনের চাকরি হয়৷ শুধুমাত্র একজন বাদ পড়ে, আর সেই ব্যক্তিটি আমি৷
এমনও দেখা গেছে চাকরির জন্য পাঁচ জন আবেদন করেছে তন্মধ্যে চার জনের চাকরি হয়েছে বাদ পড়েছি শুধুই আমি৷
প্রত্যাখ্যানের পর প্রত্যাখ্যানই দেখেছি আমি৷ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ১০বার আবেদন করে ১০বারই প্রত্যাখ্যাত হয়েছি৷''
যার কথা বলছি তিনি হলেন পৃথিবীর ৩৩ তম ধনী ব্যক্তি - জ্যাক মা।
লক্ষ করলে দেখবে তিনি খুব বেশি ট্যালেন্ট ছিলেন না। ট্যালেন্ট হলে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে দশবার ফেল করতেন না। তার সফলতার মন্ত্র কী জানো ?
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে তুমিও পরীক্ষা দিলে হয়ত টিকবে না। সেও টিকে নি। কিন্তু তুমি প্রত্যাখ্যান হবার পর হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে দশবার পরীক্ষা দিতে না। তার এবং আমাদের মাঝে পার্থক্যটা এখানেই।
তিনি লেগে ছিলেন। হাল ছাড়েন নি। আমরা একটুতে না হলেই হাল ছেড়ে কেটে পড়ি।
সবাই মেধা নিয়ে জন্মায় না। আলাদীনের চেরাগ নিয়ে ফু দিলেই সবার সামনে একটা দৈত্য এসে হু হা হা হা হা করে ওঠে না।
লাইফে স্ট্রাগল করতে গিয়ে সবাইকেই অবহেলিত হতে হয়। তবে সবাই অপমান গুলোকে ' জেদ' এ পরিণত করতে পারে না।
ধাক্কা খেয়ে বের হয়ে লাইট বন্ধ করে হা হুতাশ করাটা সহজ। ধাক্কাটাকে দাঁত চিপিয়ে জেদ বানানোটাই কঠিন...
দুঃখ, কষ্ট, অবহেলা- অপমান এইসব জিনিস একদল মানুষকে দুর্বল করে দেয়। জীবনের আশা পানসে করে দেয়। বাঁচতে ইচ্ছে করে না। সব কিছু নিষ্ঠুর মনে হয়।
আরেকদল মানুষকে কঠিন করে তোলে... বাঁচার আগ্রহ বাড়িয়ে দেয়। শোধ নেবার অদম্য এক ইচ্ছে তাকে সুন্দর করে তোলে।
পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে হলে মানুষের করুণা এবং অবহেলার প্রয়োজন আছে। কিছু একটা করার প্রেরণা তো এখান থেকেই আসে।

Sunday 29 April 2018

হৃদয় জানে যুক্তির মূল্য কিন্তু যুক্তি হৃদয় সম্পর্কে কিছুই জানে না'


একটা রেললাইনে যেরকম দুটো লাইন থাকে, গন্তব্যে যাবার জন্য দুটো লাইনকেই যেরকম আকড়ে ধরে এগোতে হয় ; আমাদের জীবনেও এরকম দুটো রেল লাইন আছে। একটা ইমোশন আরেকটি রিয়্যালিটি !
বেশিরভাগ মানুষ যেকোন একটাতে আটকে যায়। হয় খুব বাস্তববাদী হয়; কর্পোরেট ভালোবাসায় নিয়ম করে ঘড়ি ধরে চুমো খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে ! আর নাহয় চোখের দিকে তাকানোই যায় না- আবেগে থরথর করে কাঁপতে থাকে।
যে কবিতা পড়ার পর প্রবল আবেগে আপনার মরে যেতে ইচ্ছে করে, কর্পোরেট লাইফের এই দুনিয়াটাকে অনর্থক নিরর্থক মনে হয় সেই কবিতারও একটা মজবুত রিয়্যালিটি আছে। কবি কিন্তু তার পংক্তিমালা ব্যাগে করে নিয়ে প্রকাশকের সাথে আলাপ করেছেন। যে পংক্তিমালা পাঠ করে আপনি ফ্লোরে চিত হয়ে পড়েছিলেন, সেই পংক্তিমালার আবেগের দামে টেবিলের উপরে রাখা ক্যালকুলেটর দিয়ে কবি তার প্রাপ্য কমিশনের হিসেব কষেছেন ! বেঁচে থাকার জন্য দুটোরই দরকার আছে। তানাহলে বোকাচোদা সংবিধান আপনাকে বাঁচতে দেবে না।
খুব সামাজিক কিংবা খুব অসামাজিক কোনটাই আসলে ভালো না। কারো চিন্তা চেতনা আমার সাথে মেলে না তাই আমার চিন্তার অংশে আমি কাউকে রাখব না - এসব অনেক মান্ধাতা আমলের ফিলোসফি। কিছু সয়ে যেতে হয়, কিছু আপনাতেই সয়ে যায়। সব কিছু নিয়েই জীবন।
অফিস পাড়ায় রোদে দর কষাকষি আর শ্রাবণের বৃষ্টিতে কাউকে লং রোডে নিয়ে সব বিলিয়ে দেয়া - দুটোই জীবনের সুন্দর অংশ। বৃষ্টির রাতে লং রোডে ঘুরতে বের হবার পয়সাটা অফিস পাড়ায় রোদে দর কষাকষি থেকেই আসে। দুটোই সুন্দর। দুটোকে আলাদা করে দেখতে গেলেই যত দ্বন্দ্ব।
কোনদিনও নিজের ইমোশনের কাছে হেরে যাবেন না। যখন এই পৃথিবীটাকে একটা স্বার্থপর গ্রহ মনে হবে; সব কিছু ছেড়ে ছুড়ে হেরে যেতে ইচ্ছে করবে তখন সেই রেললাইনের কথা মনে করে পা ফেলতে হবে রিয়্যালিটিতে। শেষমেশ কিন্তু আবেগেরই জয় হয়।
নিৎসে দারুণ বলেছেন, ' হৃদয় জানে যুক্তির মূল্য কিন্তু যুক্তি হৃদয় সম্পর্কে কিছুই জানে না'

আমার ভাল থাকার জন্য কোন কিছু না , কোন কেউ না '' আমার আল্লাহই যথেষ্ট।


আবেগের বিকার বলে একটা ব্যাপার আছে। সকালে ঘুম ভাঙ্গার পর বালিশের নিচ থেকে মোবাইল বের করে তার জানতে ইচ্ছে করছে না, এখন কতটা বাজে। বিছানা থেকে উঠতে ইচ্ছে করে না। চোখ মেলে রাখতেও ইচ্ছে করে না। চোখে ঘুম এবং স্বপ্ন কোনটাই নেই।
কেউ দরজায় কড়া নাড়লে উঠে গিয়ে দরজা খুলতেও কষ্ট হয় অনেক। কেউ কিছু বললে সেটা শুনতে ভাল লাগে না। মাথা কেমন ভারী ভারী লাগে। মনে হয় মাথার ভেতরে কেমন জট বেঁধে আছে। এই জট খুলতেও ইচ্ছে করে না।
জীবনের প্রতি একটা বিতৃষ্ণা চলে আসে। কোন সুসংবাদ এবং প্রাপ্তিতে কিছুই আসে যায় না। একা থাকতে ইচ্ছে করে কিন্তু একা একা ভাল লাগে না। সে Affective Disorder এ ভুগছে। খিদে পেলে উঠে গিয়ে কিছু খেতে ইচ্ছে করে না। নিজেকে শারীরিক এবং মানসিক ভাবে কষ্ট দিতে তার ভাল লাগে। কষ্টের গান শুনে শুনে সে ভাবে গানের এই লাইনটি তার জন্যই লেখা হয়েছে। খুঁজে খুঁজে পুরনো দুঃখ কষ্টের কথা ভেবে ফ্লোরে চিত হয়ে শুয়ে থাকতে তার ভাল লাগে। কান্না ভাল লাগে না কিন্তু দুয়োর বন্ধ করে কাঁদতে ইচ্ছে করে। কেমন একটা দোদুল্যমান অবস্থা...
একসময় তার আশে পাশের সবার উপর রাগ জন্মাতে শুরু করে। সে রাগ চেপে রাখে। এই ব্যাপারটি তাকে আরও বেশি কষ্ট দেয়। সে জানে সে ভেঙ্গে পড়ছে, তার এখান থেকে উঠে আসাটা জরুরী। সে ভেঙ্গে পড়তে চায় না; আবার চায়। একসময় সে খুব অভিমানী হয়ে উঠে। সবাই জিততে চায় না; কেউ কেউ হারতে চায়। তার খুব হেরে জেতে ইচ্ছে করে।
একসময় এভাবে বেঁচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়াই ভাল, এইরকম নানান চিন্তা আসতে শুরু করে। সে মরে যাবার পর কোন কোন মানুষ তার জন্য কাঁদবে এরকম কিছু মানুষের চেহারা চিন্তা করতে তার ভাল লাগে।
ছাদের উপর থেকে নিচের রাস্তায় নিজের থেঁতলানো শরীর কল্পনা করতে তার খুব ভয় লাগে। কিছু ঘুমের ওষুধ নিজের সাথে রেখে দেয়।
মাঝে মাঝে রাতে ওষুধের গোপন ডিব্বা বিছানায় নিয়ে বসে। কত রকমের চিন্তা আসে। কখনো ধর্ম চিন্তা আসে। সে মরে গেলে কী জাহান্নামে যাবে? আল্লাহ নিশ্চয়ই তাকে ভুল বুঝবে না, এই জাতীয় চিন্তাও তার মনের ভেতরে খেলে। কখনো নিজেই নিজের গলা চেপে ধরে।
দেখতে চায় শরীরের কতটুকু যন্ত্রণা সে সহ্য করতে পারবে। মানুষ এই একটা জায়গায় এসে হেরে যায়। মানুষ অনেক ভাবেই নিজেকে নিঃস্বেষ করে ফেলতে পারে। তবে কেউই কখনো নিজেকে সজ্ঞানে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলতে পারবে না।
ব্রীজ থেকে ঝাপ দিয়ে যে মাঝনদীতে অক্সিজেনের অভাবে হাবুডুবু খাচ্ছে সে চাইলেও নিজেকে কয়েক সেকেন্ড আগের অবস্থানে নিয়ে যেতে পারে না। রাইফেলে একবার চাপ দিয়ে দিলে তার আর কিছু করার থাকে না। সব নিয়ন্ত্রণ বুলেটের কাছে চলে যায়। গায়ে কেরাসিন লাগিয়ে ম্যাচের কাঠি জ্বালিয়ে দেবার কয়েক মুহূর্ত পরে সে চাইলেও এর থেকে নিস্তার পায় না।
তানাহলে সেই চিত্রটাই দেখা যেত যেটা নিজেকে নিজে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলতে যাবার সময় ঘটে। নিজের ফুসফুসে একটু ব্যথা শুরু হলেই হাত গুটিয়ে নেয়। জীবনের প্রতি যতই বিতৃষ্ণা চলে আসুক না কেন, নিজের জীবনের চাইতে বেশি সে আর কোন কিছুকেই ভালোবাসে নি।
টাইম ইজ দ্যা মেইন হিলার। সব কিছু সময়ের উপর ছেড়ে দিন। সময় সব ক্ষত মুছে দেবে। নিজেকে এভাবে বোঝান যে - আমার ভাল থাকার জন্য কোন কিছু না , কোন কেউ না '' আমার আল্লাহই যথেষ্ট।

অভিশপ্ত রজনী

  মৃত মেয়েটিকে ধর্ষণ করার সময় মেয়েটি যে জীবিত হয়ে ওঠে সেটা খেয়াল করেনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় কাব্য।ধবধবে সাদা চামড়ার মেয়েটিকে ভোগ করার...