Sunday 29 April 2018

আমার ভাল থাকার জন্য কোন কিছু না , কোন কেউ না '' আমার আল্লাহই যথেষ্ট।


আবেগের বিকার বলে একটা ব্যাপার আছে। সকালে ঘুম ভাঙ্গার পর বালিশের নিচ থেকে মোবাইল বের করে তার জানতে ইচ্ছে করছে না, এখন কতটা বাজে। বিছানা থেকে উঠতে ইচ্ছে করে না। চোখ মেলে রাখতেও ইচ্ছে করে না। চোখে ঘুম এবং স্বপ্ন কোনটাই নেই।
কেউ দরজায় কড়া নাড়লে উঠে গিয়ে দরজা খুলতেও কষ্ট হয় অনেক। কেউ কিছু বললে সেটা শুনতে ভাল লাগে না। মাথা কেমন ভারী ভারী লাগে। মনে হয় মাথার ভেতরে কেমন জট বেঁধে আছে। এই জট খুলতেও ইচ্ছে করে না।
জীবনের প্রতি একটা বিতৃষ্ণা চলে আসে। কোন সুসংবাদ এবং প্রাপ্তিতে কিছুই আসে যায় না। একা থাকতে ইচ্ছে করে কিন্তু একা একা ভাল লাগে না। সে Affective Disorder এ ভুগছে। খিদে পেলে উঠে গিয়ে কিছু খেতে ইচ্ছে করে না। নিজেকে শারীরিক এবং মানসিক ভাবে কষ্ট দিতে তার ভাল লাগে। কষ্টের গান শুনে শুনে সে ভাবে গানের এই লাইনটি তার জন্যই লেখা হয়েছে। খুঁজে খুঁজে পুরনো দুঃখ কষ্টের কথা ভেবে ফ্লোরে চিত হয়ে শুয়ে থাকতে তার ভাল লাগে। কান্না ভাল লাগে না কিন্তু দুয়োর বন্ধ করে কাঁদতে ইচ্ছে করে। কেমন একটা দোদুল্যমান অবস্থা...
একসময় তার আশে পাশের সবার উপর রাগ জন্মাতে শুরু করে। সে রাগ চেপে রাখে। এই ব্যাপারটি তাকে আরও বেশি কষ্ট দেয়। সে জানে সে ভেঙ্গে পড়ছে, তার এখান থেকে উঠে আসাটা জরুরী। সে ভেঙ্গে পড়তে চায় না; আবার চায়। একসময় সে খুব অভিমানী হয়ে উঠে। সবাই জিততে চায় না; কেউ কেউ হারতে চায়। তার খুব হেরে জেতে ইচ্ছে করে।
একসময় এভাবে বেঁচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়াই ভাল, এইরকম নানান চিন্তা আসতে শুরু করে। সে মরে যাবার পর কোন কোন মানুষ তার জন্য কাঁদবে এরকম কিছু মানুষের চেহারা চিন্তা করতে তার ভাল লাগে।
ছাদের উপর থেকে নিচের রাস্তায় নিজের থেঁতলানো শরীর কল্পনা করতে তার খুব ভয় লাগে। কিছু ঘুমের ওষুধ নিজের সাথে রেখে দেয়।
মাঝে মাঝে রাতে ওষুধের গোপন ডিব্বা বিছানায় নিয়ে বসে। কত রকমের চিন্তা আসে। কখনো ধর্ম চিন্তা আসে। সে মরে গেলে কী জাহান্নামে যাবে? আল্লাহ নিশ্চয়ই তাকে ভুল বুঝবে না, এই জাতীয় চিন্তাও তার মনের ভেতরে খেলে। কখনো নিজেই নিজের গলা চেপে ধরে।
দেখতে চায় শরীরের কতটুকু যন্ত্রণা সে সহ্য করতে পারবে। মানুষ এই একটা জায়গায় এসে হেরে যায়। মানুষ অনেক ভাবেই নিজেকে নিঃস্বেষ করে ফেলতে পারে। তবে কেউই কখনো নিজেকে সজ্ঞানে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলতে পারবে না।
ব্রীজ থেকে ঝাপ দিয়ে যে মাঝনদীতে অক্সিজেনের অভাবে হাবুডুবু খাচ্ছে সে চাইলেও নিজেকে কয়েক সেকেন্ড আগের অবস্থানে নিয়ে যেতে পারে না। রাইফেলে একবার চাপ দিয়ে দিলে তার আর কিছু করার থাকে না। সব নিয়ন্ত্রণ বুলেটের কাছে চলে যায়। গায়ে কেরাসিন লাগিয়ে ম্যাচের কাঠি জ্বালিয়ে দেবার কয়েক মুহূর্ত পরে সে চাইলেও এর থেকে নিস্তার পায় না।
তানাহলে সেই চিত্রটাই দেখা যেত যেটা নিজেকে নিজে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলতে যাবার সময় ঘটে। নিজের ফুসফুসে একটু ব্যথা শুরু হলেই হাত গুটিয়ে নেয়। জীবনের প্রতি যতই বিতৃষ্ণা চলে আসুক না কেন, নিজের জীবনের চাইতে বেশি সে আর কোন কিছুকেই ভালোবাসে নি।
টাইম ইজ দ্যা মেইন হিলার। সব কিছু সময়ের উপর ছেড়ে দিন। সময় সব ক্ষত মুছে দেবে। নিজেকে এভাবে বোঝান যে - আমার ভাল থাকার জন্য কোন কিছু না , কোন কেউ না '' আমার আল্লাহই যথেষ্ট।

No comments:

Post a Comment

অভিশপ্ত রজনী

  মৃত মেয়েটিকে ধর্ষণ করার সময় মেয়েটি যে জীবিত হয়ে ওঠে সেটা খেয়াল করেনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় কাব্য।ধবধবে সাদা চামড়ার মেয়েটিকে ভোগ করার...