Monday 25 December 2017

রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ

রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ


বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ময়মনসিংহের লোক। ময়মনসিংহের ভাষায় এবং সুরে তাঁর কিছু বক্তৃতা আমি ইউটিউবে শুনেছি এবং যথারীতি মুগ্ধ হয়েছি। আমার বাড়ি ময়মনসিংহে, সে কারণেই ময়মনসিংহের উচ্চারণে তিনি যখন কথা বলেন, তাঁকে খুব আপন মনে হয়। তাঁর সবচেয়ে বড় গুণ তাঁর সরলতা, সততা, স্বতঃস্ফূর্ততা। 
রাষ্ট্রপতি গত শুক্রবার রাজধানীর বনানী পূজামণ্ডপে বক্তৃতা দিতে গিয়ে বলেছেন– ‘বিশ্বকে অবশ্যই ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ধর্মের অপব্যাখ্যা সম্পর্কে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। অশুভ শক্তি এখনও ধর্মভিত্তিক জাতি অথবা রাষ্ট্র গঠনের চেষ্টায় লিপ্ত, যা আমরা লক্ষ করি। কিন্তু বিশ্ববাসীকে ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের এই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। অতীতে ধর্মভিত্তিকে রাষ্ট্রকে কেন্দ্র করে জাতিতে জাতিতে বহু সংঘাত হয়েছে, যুদ্ধ হয়েছে। ধর্মের নামে মনুষ্যত্ব, ভ্রাতৃত্ববোধ, সহমর্মিতা ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এখনও প্রত্যক্ষ করছি, একটি অশুভ মহল ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কোনও ধর্ম নয়, বরং ধর্মনিরপেক্ষতা হবে একটি জাতি ও দেশ গঠনের ভিত্তি। কোনও একক ধর্ম নয়, বরং সব ধর্মের অনুসারীদের নিয়ে গড়ে তুলতে হবে ধর্মীয় ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন সৌহার্দ্যময় সমাজ ও রাষ্ট্র। যেখানে সব ধর্মের লোক পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, পরমতসহিষ্ণুতা, উদার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নিজ নিজ ধর্ম পালন করবে। ধর্মীয় উৎসব উদযাপনে ভিন্নতা থাকবে; তবে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানসহ সব ধর্মের অনুসারীদের চেতনা ও মূল সুর একই। বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সব ধর্মের লোক নিজ নিজ ধর্ম পালন করে আসছে’।
প্রধানমন্ত্রীকেও এত জরুরি কথা কোনোদিন বলতে শুনিনি।রাষ্ট্রপতির রসবোধ প্রচণ্ড। যারা ভালো কৌতুক জানেন, সম্ভবত তারা মানুষ ভালো হন। মানুষ ভালো বলেই ধর্মান্ধতা যখন চারদিকে ‘হাউমাউখাউ’ করছে, তখন তিনি ধর্মকে রাষ্ট্র থেকে বিদেয় করতে চাইছেন। রাষ্ট্রের ভেতর-ঘরে ধর্মকে ঢুকিয়ে দিলে সমাজে ধর্মান্ধতা বাড়ে। ধর্মান্ধতা বাড়লে সন্ত্রাস বাড়ে। সন্ত্রাস বাড়লে দেশজুড়ে চরম অশান্তি বাড়ে, রাষ্ট্র অচল হয়ে পড়ে। এ নতুন কোনও তথ্য নয়। আমরা যথেষ্ট প্রমাণ পেয়েছি এর। এ কারণেই রাষ্ট্রকে ধর্ম থেকে আলাদা করা অত্যন্ত জরুরি। এ শুধু সব ধর্মের মানুষের, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, মুসলমানের সহাবস্থানকে শান্তিপূর্ণ করার জন্য নয়, এ মানুষের মৌলিক অধিকারের জন্য অত্যন্ত জরুরি। রাষ্ট্রে ধর্ম থাকা মানে ধর্মীয় আইন বহাল থাকা। মুসলমানদের জন্য ইসলামি আইন, খ্রিস্টানদের জন্য খ্রিস্টীয় আইন, হিন্দুর জন্য শাস্ত্র, ইত্যাদি। কোনও আইনে নারীকে সমানাধিকার দেওয়া হয়নি। মুসলমান মেয়েরা পুত্র যা সম্পত্তি পায়, তার অর্ধেক পায়; হিন্দু মেয়েরা কোনও সম্পত্তিই পায় না। হাজার হাজার বছরের পুরনো শাস্ত্র আর আইন আমদের কেন এখনও অনুসরণ করতে হবে? প্রাচীন লোকেরা যে ধরনের জীবন যাপন করতো, আমরা তো সেই জীবন যাপন করছি না। আমাদের ভাবনা চিন্তাও পুরনো মানুষের চেয়ে অনেক অগ্রসর। আমরা এখন নারীর সমানাধিকারে বিশ্বাস করি। তবে কেন নারীকে তার প্রাপ্য সম্মান দিতে এত অস্বীকৃতি? কেন পুরনো শাস্ত্র বা ধর্মে টেনে আনা হয় নারীকে বঞ্চিত করার জন্য? কিছু বিশ্বাস, যে বিশ্বাস যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে পারে না, সেগুলোকে হয় ফেলে দিতে হয়, নয়তো গড়ে পিটে  আধুনিক করতে হয়। এ না হলে তাসের ঘরের মতো যে সভ্যতা এতকাল ধরে গড়েছি আমরা, ভেঙে পড়বে।
অনেকে বলছে, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির ভোটের দরকার নেই, তিনি নির্বাচনে দাঁড়াবেন না। তাই ধর্মকে রাষ্ট্র থেকে আলাদা করার কথা বলতে পারছেন। পুরো উপমহাদেশ জুড়ে এই অবস্থা। ভোটের দরকার হলে ধর্মকে ব্যবহার করতে হয়। রাষ্ট্রে, সংবিধানে, আইনে, স্কুলে, মঞ্চে, মাটিতে ধর্মকে নামাতে হয়।
মাথায় বন্দুক রেখে ভোট নেওয়ার মতোই সেটি অগণতান্ত্রিক। একটি গণতন্ত্র গড়ে তোলার জন্য অগণতান্ত্রিক দর্শনের এমন যদি যথেচ্ছ ব্যবহার হয়, তখন, সংশয় জাগে, এভাবে আদৌ কি আমরা গণতন্ত্রের চর্চা করছি, নাকি গণতন্ত্রকে একটু একটু করে হত্যা করছি!
মানুষকে ভোঁতা বানিয়ে ভোট নেওয়ায় কি সত্যি তৃপ্তি জোটে? দূরদৃষ্টিহীন রাজনীতিবিদদের হয়তো জোটে। কিন্তু এভাবে আর চলতে দেওয়া উচিত নয়।  মানুষের ভেতর রাজনৈতিক সচেতনতা আনা গণতন্ত্রের জন্য খুব জরুরি।  রাজনৈতিক সচেতনতা না থাকলে ভোট দেওয়া আর না-দেওয়া আসলে সমান কথা। সম্ভবত আমাদের রাজনীতিবিদরা ভোট না দেওয়ার মতো করেই ভোট দেওয়াটা চান। মানুষ রাজনৈতিকভাবে সচেতন হয়ে গেলে তারা তো রাজনীতির নামে যা খুশি তাই বলতে, যা খুশি তাই করতে পারবেন না। দেশ গড়ার নামে দেশ ধ্বংস করতে পারবেন না।
জনগণকে অজ্ঞ আর অশিক্ষিত করে রাখতে চান চতুর রাজনীতিকগণ। শিক্ষিত আর সচেতন জনগণকে ভয় তাদের। কারণ শিক্ষিত আর সচেতন জনগণই দুর্নীতির, দুর্দশার, দুঃশাসনের জবাবদিহি চায়।
ধর্ম যার যার ব্যক্তিগত বিশ্বাসের ব্যাপার। একে নিয়ে যেন টানাটানি না হয়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যদি রাষ্ট্রপতির উপদেশ মেনে চলেন, তাহলে সাম্প্রদায়িক অসন্তোষ, বৈষম্যের আইন, নারী নির্যাতন ইত্যাদি থেকে সমাজ ধীরে ধীরে মুক্ত হবে। আর এটিই তো গণতন্ত্রে বিশ্বাসী সব মানুষের উচিত চাওয়া।
গণতন্ত্র মানে কিন্তু শুধু ভোট দেওয়া, ভোট গোনা, কেউ জেতা কেউ হারার একদিনের খেলা নয়। গণতন্ত্র সারা বছরের। নারীর সমানাধিকার কোনও আইনের মাধ্যমে বাতিল করা মানে নারীকে তার গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা। ভুলে গেলে চলবে না যে, গণতন্ত্রে সবার অধিকার সমান। নারী, পুরুষ, সমকামী, রূপান্তরকামী, ব্রাহ্মণ, শুদ্র, গরিব, ধনী, সুস্থ, অসুস্থ, হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, ইহুদি, নাস্তিক – সবার অধিকার সমান। সত্যিকার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয় যদি একটি মানুষেরও অধিকার সামান্যও লঙ্ঘন হয়।   ..................

"মেয়েরা তো মায়ের জাত।”...এরকম একটি কথাও প্রচলিত বেশ ।

"মেয়েরা তো মায়ের জাত।”...এরকম একটি কথাও প্রচলিত বেশ । মেয়েদের সম্মান করতে হবে কারণ তারা মা। এখানে ঠিক সম্মান করবার কথাও বােঝানাে হয় না, যেহেতু কষ্ট করে প্রসব করে তাই তাদের লাথিঝাঁটা দিও না, বেচারাকে মারধাের না করলেও তো পারো”— ব্যাপারটি এরকম। এখানে মা বলে যে গৌরব করা হয়েছে, তা অনুমান করি কোনও কন্যার মায়ের গৌরব নয়, বেটা ছেলেদের জন্মের কথা ভাবা হয়েছে। বেটা ছেলেদের জন্ম দিয়ে মেয়েরা মহৎ কাজ করে, তাই মেয়েদের একেবারে ছুড়ে না ফেললেও তো চলে... মেয়েদের মায়ের জাত বলবার পেছনে যে টোনটি কাজ করে তা এরকমই।
মেয়েদের সম্মান করাবার জন্য নানারকম যুক্তি টানা হয়, কিন্তু পুরুষকে সম্মান করবার জন্য কোনও যুক্তি টানবার দরকার পড়ে না, মস্তিস্ককে এরকম একটা ধারণা দিতে হয় না যে এরা বাপের জাত, এদের বাপ ভাই-এর মত দেখতে হবে ইত্যাদি। এসব যুক্তির প্রয়োজন হয় না। কারণ মেয়েরা কোনও যুক্তি এবং উদাহরণ ছাড়াই পুরুষকে সম্মান করে, যেহেতু পুরুষেরা ‘মানুষ’, পুরুষকে তারা মানুষের মর্যাদাটুকু দেয়।
নারী মানুষের মর্যাদা পাবে, সে তার নিজের অধিকারেই। পুরুষেরা মা বোন সম্পর্কের কারণে নয়। সেই সম্পর্কের ক্যামোফ্লেজেও নয়।
অনেক বড় বড় বুদ্ধিজীবীও বলেন নারীকে মা এবং বোনরূপে দেখতে। আমি বলি, সম্পর্কের করুণা কেন নারীকে করতে হবে? সে কি কারও মা এবং বােন না হয়েও কেবল মানুষ হয়ে মানুষের পরিচয়ে সম্মান পাবার যোগ্যতা রাখে না? আমরা সবাই জানি নারীর এই অধিকার আছে। যারা তার এই অধিকার খর্ব করতে চায় তারা কেবল লেখাপড়া না জানা মানুষই নয় লেখাপড়া জানা মানুষও ।
প্রতিক্রিয়াশীলদের চেয়ে ভণ্ড প্রগতিশীলদের ব্যাপারে নারীকে সচেতন থাকতে হবে বেশি। মুর্খ পুরুষের চেয়ে ধূর্ত পুরুষ থেকে সাবধান থাকতে হবে। কারণ এরা ধীরে ধীরে নারীকে বিভিন্ন মা-খালা-বোনের খোলসে আবৃত করে ফেলে, এইসব সামাজিক সম্পর্কের বাইরে তার পরিচয় স্বীকার করে না। নারী যেন জন্মজন্মান্তরের মেধাহীন-বুদ্ধিহীন! গোটাকয় সম্পর্কের ফাঁদে ফেলে নারীকে আটার গোলা বানানো হয়। রুটি-পুরি-লুচির মতো সময়-সুবিধামতো নারীকে মা-বোন-খালা ইত্যাদি গড়ে নেওয়া যায়,এতে নারী নামের আটার গোলা নানা আকার হয়ে কেবল সামাজিক তাওয়ায় পোড়ে।

একগামী, বহুগামী, অসমকামী, সমকামী, উভকামী– মানুষ অনেক কিছুই। নতুন কিছুতে অভ্যস্ত হতে, পুরোনো স্বভাব পাল্টাতেও মানুষের জুড়ি নেই।লেখিকাঃ তসলিমা নাসরিন

মানুষ বিয়ে করে কেন? নির্বিঘ্নে যৌন সম্পর্ক করা, সন্তান জন্ম দেওয়া-–এর জন্য বিয়ের তো দরকার নেই! মানুষ ছাড়া পৃথিবীর অন্য কোনও প্রাণীর মধ্যে বিয়ের কোনও রীতি নেই, অথচ দিব্যি তারা একত্রবাস করছে, সন্তান জন্ম দিচ্ছে, সন্তানকে খেটে খুটে বড় করছে। পরস্পরেরর প্রতি বিশ্বস্ত থাকার জন্যও বিয়েটা জরুরি নয়। অনেক প্রাণী আছে যারা যৌবনের শুরুতে যে সঙ্গী বেছে নেয়, সেই সঙ্গী নিয়েই দিব্যি সুখে শান্তিতে বাকি জী...বন কাটিয়ে দেয়।
অন্য কারও জন্য লোভ করে না, কাউকে নিয়ে আবার নতুন সংসার পাতার কোনও স্বপ্ন আর দেখে না। অবিশ্বাস্যরকম বিশ্বস্ত, একগামী। যত দূরেই যাক, যত সমুদ্রই পেরোক, যত বয়সই বাড়ুক, ঘরে ফিরে পুরোনো সেই সঙ্গীকেই চুমু খায়, তার বুকেই মাথাটা রাখে। পরকীয়া কাকে বলে, বহুগামিতা কাকে বলে, বিশ্বাসঘাতকতা কাকে বলে জানেই না। অ্যালবাট্রোস, রাজহাঁস, কালো শকুন, ন্যাড়া ঈগল, টার্টল পায়রা, ডিক-ডিক হরিণ, বনেটমাথা হাঙ্গর, গিবন, ফ্রেঞ্চ এঞ্জেলফিস, ছাইরঙা নেকড়ে, প্রেইরি ভোল–এদের কথা বলছি।

মানুষ তো বিয়ে করে একসঙ্গে সুখে শান্তিতে সারা জীবন কাটানোর জন্য কিন্তু ক’জন পারে, শুনি? বেশির ভাগের  বিয়েই হয় ভেঙে যায়, অথবা টিকে থাকলেও ভালোবাসাহীন টিকে থাকে। টিকিয়ে রাখতে হয় সন্তানের অসুবিধে হবে বা অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙে যাবে, বা লোকে কী বলবে ভয়ে। এভাবে টিকে থাকাকে ঠিক টিকে থাকা বলে না। ঘরে স্ত্রী রেখে বা স্বামী রেখে দিব্যি অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্ক গড়ছে মানুষ। সেই সম্পর্কও ভেঙে যায়, আবার নতুন সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মানুষ ন্যাড়া ঈগল নয়, বা কালো শকুন নয়। একগামিতা মানুষের চরিত্রে নেই। মানুষ বহুগামী। মানুষ বহুগামী, এও কিন্তু হলফ করে বলা যায় না। মানুষ আসলে জটিল এবং বিচিত্র। একগামী, বহুগামী, অসমকামী, সমকামী, উভকামী– মানুষ অনেক কিছুই। নতুন কিছুতে অভ্যস্ত হতে, পুরোনো স্বভাব পাল্টাতেও মানুষের জুড়ি নেই।

রাফ খাতা এবং আমার জীবন


ছোটবেলায় আমাদের দু'ধরনের খাতা থাকতো, রাফ খাতা, আর ফেয়ার খাতা। ফেয়ার খাতায় কোনও হাবিজাবি লেখা চলবে না। রাফ খাতায় চলবে। রাফ খাতায় থাকতো আমার রাজ্যির হাবিজাবি। যে কোনও লেখাই রাফ খাতায় আগে প্র্যাকটিস করে তবেই ফেয়ার খাতায় লিখতাম। রাফ খাতা ছিল স্বাধীনতা, ফেয়ার খাতা ছিল থমথমে একটা পরাধীনতা। রাফ খাতার মার্জিনে বা মাঝখানে, অংক করতে গিয়ে, বা নানা রকম ‘বাড়ির কাজ’ প্র্যাকটিস করতে গিয়ে কত যে মনের কথা লিখেছি তার কোনও হিসেব নেই। বছর শেষ হলে নতুন ক্লাসে উঠলে পুরোনো বই-খাতা সের দরে বিক্রি করে দেওয়া হত, আর বিক্রি না হলেও ওসব বাঁচিয়ে রাখা যেতো না, উইপোকা খেয়ে ফেলতো।
অনেক চেষ্টা করেছি ফেয়ার খাতার মত থাকতে। আসলেই সেটা কষ্টকর। সেই ফেয়ার খাতার মত পরাধীনতা আমি আর চাই না। আমার জীবনটা রাফ খাতার মত রাখতে চাই, স্বাধীন ভাবে চলতে চাই।

Sunday 17 December 2017

ডাক্তারঃ- কসাই গুলো এই অভিযোগ মাথা পেতে নিয়েই আমাদের জীবন বাঁচাতে মরিয়া।



এই মাত্র তার বাবা মারা গেল। মানুষটা মৃতদেহের চোখের দিকে তাকিয়ে আছেন। শরীরের সব অঙ্গ প্রত্যঙ্গের মৃত্যু হলেও চোখের কোন মৃত্যু নেই। তাকালেই দেখবে লাশটা তাকিয়ে আছে ! একদম চিরচেনা পরিচিত সেই তাকানোর ভঙ্গিটা। সাইন্টিসদের বৃদ্ধ আঙুল দেখিয়ে চোখ দুটো কথা বলতে থাকে। কলিজা শিনশিন করে ওঠে।
হঠাৎ তার ফোন বেজে উঠে। তিনি ফোন রিসিভ করলেন। তারপর উঠে ঘর থেকে বের হয়ে চলে গেলেন। কী এক জরুরী কাজ নাকি আছে!!
বলছিলাম একজন ডাক্তারের কথা। মানুষটা একজন আইসিউ তে থাকা রোগীর আত্মীয়ের ফোন পেয়ে ত্রিশ মিনিট আগে মরে যাওয়া তার বাবার মরদেহকে পাশ কাটিয়ে হসপিটালে চলে গেলেন।
ডাঃ এড্রিক বেকারের কথা মনে পড়ছে। নিউজিল্যান্ডের অধিবাসী এই ডাক্তার তার জীবন কাটিয়ে দিলেন টাঙ্গাইলের মধুপুর গ্রামে। পয়ত্রিশ বছর ধরে নীরবে একটা গ্রামে বিনা মূল্যে চিকিৎসা সেবা দেবার কথা তুমি , আমি স্কুলের রচনায় লিখতে পারব। কখনো করে দেখাতে পারব না।
এই মানুষ গুলো জানে না; বাংলাদেশের অচেনা এক যুবক কতটা আবেগ এবং শ্রদ্ধা নিয়ে তাদের কথা লিখছে।
ডাক্তারদের নিয়ে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি যখন কসাই পর্যায়ে চলে গেছে তখন এরকম কিছু লোমহর্ষক ঘটনা আমাকে যথেষ্ট বিব্রত করে। আমি নিজেও এক সময় কিছু ডাক্তারদের অনিয়ম নিয়ে লিখেছি।
কিছু অনিয়ম সব সেক্টরেই আছে। অবশ্যই এদের জিভ টেনে ছিড়ে ফেলতে হবে; তবে  কিছু সংখ্যক ডাক্তারের উপর ক্ষুদ্ধ হয়ে তুমি যখন সব ডাক্তারকে একই কাতারে নামিয়ে ফেলো তখন তোমার আর তাদের মাঝে কোন তফাৎ থাকে না।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ডাক্তারদের নিয়ে কিছু গ্রুপ আছে। আমি সেখানে প্রায় সময় তাদের লেখা গুলো পড়ি। মানুষের প্রতি তাদের প্রতিনিয়ত ভালোবাসা, অভিমান এবং ত্যাগ দেখে বিব্রত, লজ্জিত এবং অপরাধ বোধ করি। কেননা আমি জানি এই মাত্র একজন রোগীকে বাঁচাতে না পেরে যে ডাক্তার কেঁদে কেঁদে তার ইমোশনের কথা লিখছে সেই ডাক্তারটাকেও মানুষ ' কসাই' এর সাথে তুলনা করে।
ফারহানা জামান নামে এক চিকিৎসকের স্ত্রী'কে দেখলাম অভিমান নিয়ে লিখেছে, মা যখন মৃত্যূ শয্যায়, তিনি সেদিন হাসপাতালে ইমার্জেন্সি ডিউটি করছেন। মায়ের মৃত্যূর ৫ ঘন্টা পরে এসে পৌছেছেন। মায়ের মৃত্যূর কিছুদিন পরই নিজের সন্তানের শরীরে একটি অস্ত্রপ্রচার করতে হয়েছিল। সেদিনও তার ইমার্জেন্সি ডিউটি শেষ করে তিনি যথাসময়ে আসতে পারেননি।
তিনি আসলে তার জীবনে আদর্শ চিকিৎসক হতে গিয়ে আদর্শ স্বামী হতে পারেননি, আদর্শ সন্তান হতে পারেননি, আদর্শ বাবাও হতে পারেননি।
অন্য একজন চিকিৎসকের একটা লেখা আমার চোখ ভিজিয়ে দিল। হুবহু দিলাম।
'' আজ ইফতারি নেয়ার জন্যে যখন প্রস্তুত তখনই আযানের ১/২ মিনিট আগে একটি ৮ বছরের মেয়ের ডেড বডি আসে ইমার্জেন্সি তে।  প্রথম হাত দিয়েই বুঝতে পারি যে কিছু নাই। মেয়েটির বাবা বারান্দার এক কোনায় অচেতন হয়ে পরে আছে। বেশ কিছুক্ষন চেষ্টা করার পর বডি নিয়ে যেতে বললাম। আমার হাতে মেয়েটির পাকস্থলী থেকে বের হওয়া তরল লেগে রয়েছে। আমি বারান্দা দিয়ে আমার রুমের দিকে হেটে যাচ্ছি। মেয়েটির বাবা আমার দিকে শবদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। আমার রুম থেকে মরা কান্না শুনতে পাচ্ছি। এই হাসপাতালে আসার পর এটই যে প্রথম ডেথ কেইস তা নয়। এই মাসে ৬/৭টি ডেথ কেইস হ্যান্ডেল করেছি।
ইফতারি আর গলা দিয়ে নামে নি। মাগরিব এর নামায এর পরপরই মা ফোন দিয়ে জানতে চাইলো ইফতারি করেছি কি না- বললাম হুম, করেছি।''
এরকম অসংখ্য উদাহারণ তুমি আশে পাশে একটু খুঁজলেই খুঁজে পাবে। কিন্তু সাধারণত এই সব ঘটনা তোমার কান পর্যন্ত আসে না; কেননা নেতিবাচক একটা ক্ষুদ্র কিছু দেখলেও আমাদের চোখ বড় বড় হয়ে যায় কিন্তু ইতিবাচক বড় কিছু দেখার পরেও মনে হয়,... এ আর এমন কী!
প্রতিদিন শত শত ডাক্তার অক্লান্ত পরিশ্রম করে হাজার হাজার রোগীকে সুস্থ করছে এই ব্যাপারটি তোমার কাছে '..এ আর এমন  কী' বেওয়ারিশ কোন রোগীকে সারা রাত চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ করে তুলছেন একজন চিকিৎসক, এই ব্যাপারটি তোমার কাছে '..এ আর এমন কী' রোগী মারা গেলে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসা জাতীয় অভিযোগ এবং সুস্থ হলে কোনরকম আনুষ্ঠানিক ধন্যবাদ দিয়ে কেটে পরি।
একজন ডাক্তারকে দেখলাম কোন এক রোগীর নিকট আত্মীয় সামান্য চারটা আনারস দেবার পর তিনি খুশি হয়ে আনারসের চারটি ছবি আপলোড করে ক্যাপশন দিয়েছেন- ' there is a story behind every picture'
পার্থক্যটা কোথায় জানো ? আমরা তাদের কসাই বলি। কসাই গুলো এই অভিযোগ মাথা পেতে নিয়েই আমাদের জীবন বাঁচাতে মরিয়া।

Thursday 14 December 2017

বাংলাদেশের জেলা ভিত্তিক দর্শনীয় স্থান সমুহ



আমরা সবাই কম-বেশি ঘুরতে পছন্দ করি। কিন্তু অনেকে আবার ইচ্ছা থাকা শর্তেও নিজের জেলার দর্শনীয় স্থানে যেতে পারেন না এমনকি নামও জানেন না! তাদের জন্য খুব সংক্ষিপ্ত করে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি জেলার দর্শনীয় স্থানের তালিকা দেওয়া হলো। ঘুরতে যাওয়া না হোক, নামগুলোতো জানা হলো। দেখুন আপনার জেলায় কোন কোন দর্শনীয় স্থান রয়েছে ? ভালো লাগলে মন্তব্য করবেন আর কোন নাম বাদ পরলে তা মন্তব্যের ঘরে সংযুক্ত করার অনুরোধ রইলো। পরে আমি তা এডিট করে মূল পোস্টে সংযুক্ত করে দিবো। সবাই ভালো থাকবেন।





রাজশাহী বিভাগ
বগুড়া
মহাস্থানগড়, ভাসু-বিহার, গোকুল মেধ, শাহ্ সুলতান বলখি মাহী সাওয়ারের মাজার, ভবানীপুর শিবমন্দির, ভবানী মন্দির, খেড়ুয়া মসজিদ, মোহাম্মদ আলী প্যালেস মিউজিয়াম, গ্রায়েন বাঁধ, ওয়ান্ডারল্যান্ড, মহাস্থান প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ
ছোট সোনা মসজিদ, বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের সমাধি, দারসবাড়ী মসজিদ ও মাদ্রাসা, দারসবাড়ী মসজিদের প্রস্তরলিপি, খঞ্জনদীঘির মসজিদ, ধনাইচকের মসজিদ, চামচিকা মসজিদ, তিন গম্বুজ মসজিদ ও তাহখানা, তাহখানা কমপ্লেক্স, শাহ্ নেয়ামতউল্লাহ (রহ.) মাজার, শাহ নেয়ামতউল্লাহর সমাধি, কোতোয়ালি দরওয়াজা, দাফেউল বালা, বালিয়াদীঘি, খঞ্জনদীঘি, কানসাটের জমিদারবাড়ি, তরতীপুর, চাঁপাই জামে মসজিদ, মহারাজপুর জামে মসজিদ, মাঝপাড়া জামে মসজিদ, হজরত বুলন শাহর (রহ.) মাজার, সর্ববৃহৎ দুর্গাপূজা, মহারাজপুর মঞ্চ, বারঘরিয়া মঞ্চ, জোড়া মঠ।

জয়পুরহাট
আছরাঙ্গা দীঘি, নান্দাইল দীঘি, লকমা রাজবাড়ি, পাথরঘাটা নিমাই পীরের মাজার, গোপীনাথপুর মন্দির, দুওয়ানী ঘাট, বারশিবালয় মন্দির, হিন্দা-কসবা শাহী জামে মসজিদ, পাগলা দেওয়ান বধ্যভূমি, কড়ই কাদিপুর বধ্যভূমি, সেভেনথ ডে অ্যাডভেন্টিস মারানাথা সেমিনার খনজনপুর খ্রিস্টান মিশনারি স্মৃতিস্তম্ভ-৭১, শিশু উদ্যান।

পাবনা
ভাঁড়ারা শাহী মসজিদ, জোড়বাংলার মন্দির, তাড়াশ বিল্ডিং, পাবনা ক্যাডেট কলেজ, প্রশান্তি ভুবন বিনোদন পার্ক, অনুকূল ঠাকুর টেম্পল, পাবনা মানসিক হাসপাতাল, সমন্বিত লাগসই কৃষি প্রযুক্তি জাদুঘর, চাটমোহর শাহী মসজিদ, সমাজ শাহী মসজিদ, হান্ডিয়াল জগন্নাথ মন্দির, হরিপুর জমিদারবাড়ি পুকুর, মথুরাপুর মিশন, চলনবিলের সূর্যাস্ত, বড়াল ব্রিজ রেলসেতু, বৃদ্ধমরিচ শাহী মসজিদ, জমিদার রানীর পুকুরঘাট, শেখ শাহ্? ফরিদ (রহ.) মসজিদ, লর্ড হার্ডিঞ্জ রেল সেতু, লালন শাহ সেতু, ঈশ্বরদী রেলজংশন, ঈশ্বরদী ইপিজেড, ঈশ্বরদী বিমানবন্দর, কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট, শহীদনগর স্মৃতিস্তম্ভ, বেঙ্গল মিট, সুজানগর আজিম চৌধুরীর জমিদারবাড়ি, গাজনার বিল, হজরত মাহতাব উদ্দিন শাহ আউলিয়ার মাজার, তাঁতীবন্দ জমিদারবাড়ি, নাজিরগঞ্জ ফেরিঘাট, কৈটোলা নিষ্কাশন পাম্প হাউস, বেড়া পাম্প হাউস ও স্লুইসগেট, হুরাসাগর নদীর তীরে বেড়া পোর্ট।

নওগাঁ
কুশুম্বা মসজিদ, পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার, পতিসর রবীন্দ্র কাচারিবাড়ি, দিব্যক জয়সত্মম্ভ, মাহি সমেত্মাষ, বলিহার রাজবাড়ি, আলতাদীঘি, জগদলবাড়ি, হলুদবিহার, দুবলহাটি জমিদারবাড়ি।

নাটোর
উত্তরা গণভবন, রানী ভবানী রাজবাড়ি, লুর্দের রানী ধর্মপল্লী, বোর্নি মারিয়াবাদ ধর্মপল্লী।

রাজশাহী
হজরত শাহ মখদুম রূপোষের (রহ.) দরগা, পুঠিয়া রাজবাড়ি, পুঠিয়া বড় আহ্নিক মন্দির, পুঠিয়া বড় শিবমন্দির, পুঠিয়া দোলমন্দির, পুঠিয়া গোবিন্দ মন্দির, বাঘা মসজিদ, দুই গম্বুজবিশিষ্ট কিসমত মাড়িয়া মসজিদ, এক গম্বুজবিশিষ্ট রুইপাড়া (দুর্গাপুর) জামে মসজিদ, বাগধানী মসজিদ (পবা), তিন গম্বুজবিশিষ্ট ভাগনা (তানোর) জামে মসজিদ, হজরত শাহ্ সুলতান (র.)-এর মাজার, চতুর্দশ শতাব্দী), দেওপাড়া প্রশস্তি, বড়কুঠি (অষ্টাদশ শতাব্দী), তালোন্দ শিব মন্দির, রাজশাহী বড়কুঠি, বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর, রাজশাহী কলেজ, বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমী, রাজশাহী।

সিরাজগঞ্জ
বঙ্গবন্ধু যমুনা বহুমুখী সেতু, মখদুম শাহের মাজার, রবীন্দ্র কাচারিবাড়ি, চলনবিল, যাদব চক্রবর্তী নিবাস, ইলিয়ট ব্রিজ, শাহজাদপুর মসজিদ, জয়সাগর দীঘি, নবরত্ন মন্দির, ছয়আনি পাড়া দুই গম্বুজ মসজিদ, ভিক্টোরিয়া স্কুল, হার্ড পয়েন্ট, ইকো পার্ক, মিল্কভিটা, রাউতারা বাঁধ ও স্লুইসগেট, বাঘাবাড়ি নদীবন্দর।

রংপুর বিভাগ
দিনাজপুর
দিনাজপুর রাজবাড়ি, চেহেলগাজি মসজিদ ও মাজার, কান্তজিউর মন্দির, ঘোডাঘাট দুর্গ, সীতাকোট বিহার, সুরা মসজিদ, নয়াবাদ মসজিদ, রামসাগর, স্বপ্নপুরী, স্টেশন ক্লাব, কালেক্টরেট ভবন, সার্কিট হাউস ও জুলুমসাগর, সপ্নপুরী, দিনাজপুর ভবন, সিংড়া ফরেস্ট, হিলি স্থলবন্দর, বিরল স্থলবন্দর।

গাইবান্ধা
বর্ধনকুঠি, নলডাঙ্গার জমিদারবাড়ি, বামনডাঙ্গার জমিদারবাড়ি, ভতরখালীর কাষ্ঠ কালী, রাজা বিরাট, ভবানীগঞ্জ পোস্ট অফিস ও বাগুড়িয়া তহশিল অফিস।

কুড়িগ্রাম
চান্দামারী মসজিদ, শাহী মসজিদ, চন্ডীমন্দির, দোলমঞ্চ মন্দির, ভেতরবন্দ জমিদারবাড়ি, পাঙ্গা জমিদারবাড়ি ধ্বংসাবশেষ, সিন্দুরমতি দীঘি, চিলমারী বন্দর, শহীদ মিনার, স্বাধীনতার বিজয়স্তম্ভ, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিফলক, পাঙ্গা জমিদারবাড়ির কামান, বঙ্গ সোনাহাট ব্রিজ, মুন্সিবাড়ি, নাওডাঙ্গা জমিদার বাড়ী ও শিব মন্দির।

লালমনিরহাট
তিন বিঘা করিডোর ও দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা ছিটমহল, তিস্তা ব্যারাজ ও অবসর রেস্ট হাউস, বুড়িমারী স্থলবন্দর, শেখ ফজলল করিমের বাড়ি ও কবর, তুষভান্ডার জমিদারবাড়ি, কাকিনা জমিদারবাড়ি, নিদাড়িয়া মসজিদ, হারানো মসজিদ, সিন্দুরমতি দীঘি, কালীবাড়ি মন্দির ও মসজিদ, বিমানঘাঁটি, তিস্তা রেলসেতু, হালা বটের তল, লালমনিরহাট জেলা জাদুঘর, দালাইলামা ছড়া সমন্বিত খামার প্রকল্প।

নীলফামারী
ধর্মপালের রাজবাড়ি, ময়নামতি দুর্গ, ভীমের মায়ের চুলা, হরিশচন্দ্রের পাঠ, সৈয়দপুরের চিনি মসজিদ, তিস্তা ব্যারাজ প্রকল্প, নীলফামারী জাদুঘর, কুন্দুপুকুর মাজার, দুন্দিবাড়ী স্লুইসগেট, বাসার গেট, স্মৃতি অম্লান।
পঞ্চগড়
ভিতরগড়, মহারাজার দীঘি, বদেশ্বরী মহাপীঠ মন্দির, সমতলভূমিতে সম্প্রতি প্রতিষ্ঠিত চা-বাগান, মির্জাপুর শাহী মসজিদ, বার আউলিয়ার মাজার, গোলকধাম মন্দির, তেঁতুলিয়া ডাকবাংলো, তেঁতুলিয়া পিকনিক কর্নার, বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট ও বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর, রকস্ মিউজিয়াম।

রংপুর
পায়রাবন্দ, তাজহাট জমিদারবাড়ি, কেরামতিয়া মসজিদ ও মাজার, ভিন্ন জগৎ, ঝাড়বিশলা।

ঠাকুরগাঁও
জামালপুর জমিদারবাড়ি জামে মসজিদ, বালিয়াডাঙ্গী সূর্যপুরী আমগাছ, ফান সিটি অ্যামিউজমেন্ট পার্ক অ্যান্ড ট্যুরিজম লি., রাজভিটা, রাজা টংকনাথের রাজবাড়ি, হরিপুর রাজবাড়ি, জগদল রাজবাড়ি, প্রাচীন রাজধানীর চিহ্ন নেকমরদ, পীর শাহ নেকমরদের মাজার, মহালবাড়ি মসজিদ, শালবাড়ি মসজিদ ও ইমামবাড়া, সনগাঁ শাহী মসজিদ, ফতেহপুর মসজিদ, মেদিনীসাগর জামে মসজিদ, গেদুড়া মসজিদ, গোরক্ষনাথ মন্দির, কূপ ও শিলালিপি, হরিণমারী শিবমন্দির, হরিপুর রাজবাড়ি শিবমন্দির, গোবিন্দনগর মন্দির, ঢোলরহাট মন্দির, ভেমটিয়া শিবমন্দির, মালদুয়ার দুর্গ, গড়গ্রাম দুর্গ, বাংলা গড়, গড় ভবানীপুর, গড়খাঁড়ি, কোরমখান গড়, সাপটি বুরুজ, দীঘি।

সিলেট বিভাগ
হবিগঞ্জ
বিথঙ্গল আখড়া, বানিয়াচং প্রাচী রাজবাড়ির ধংসাবশেষ, বানিয়াচং পুরানবাগ মসজিদ ও খরতির জঙ্গল, সাগরদীঘি, হব্যা গোমার দারা গুটি, নাগুড়া ফার্ম, সাতছড়ি রিজার্ভ ফরেস্ট, কালেঙ্গা রিজার্ভ ফরেস্ট, রাবারবাগান, ফরুটসভ্যালি, সিপাহসালার হজরত শাহ সৈয়দ নাসির উদ্দিনের (রহ.) মাজার, লালচান্দ চা-বাগান, দেউন্দি চা-বাগান, লস্করপুর চা-বাগান, চন্ডীছড়া চা-বাগান, চাকলাপুঞ্জি চা-বাগান, চান্দপুর চা-বাগান, নালুয়া চা-বাগান, আমু চা-বাগান, রেমা চা-বাগান, দারাগাঁও চা-বাগান, শ্রীবাড়ী চা-বাগান, পারকুল চা-বাগান, সাতছড়ি চা-বাগান।

মৌলভীবাজার
চা-বাগান, মাধবকুন্ড, মাধবকুন্ড ইকো পার্ক, বর্ষিজোড়া ইকো পার্ক, হজরত শাহ মোস্তফার (রহ.) মাজার, বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি হামিদুর রহমান স্মৃতিসৌধ।

সুনামগঞ্জ
টাঙ্গুগুয়ার হাওর, হাছনরাজা মিউজিয়াম, লাউড়ের গড়, ডলুরা শহীদদের সমাধিসৌধ, টেকেরঘাট চুনাপাথর খনি প্রকল্প। বাগবাড়ি টিলা , সেলবরষ জামে মসজিদ, সুখাইড় কালীবাড়ি মন্দির, কাহালা কালীবাড়ি, মহেষখলা কালীবাড়ি, তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নে হলহলিয়া গ্রামে রাজা বিজয় সিংহের বাসস্থানের ধ্বংসাশেষ।




সিলেট
জাফলং, ভোলাগঞ্জ, লালাখাল, তামাবিল, হাকালুকি হাওর, ক্বীন ব্রিজ, হজরত শাহজালাল (রহ.) ও শাহ পরানের (রহ.) মাজার, মহাপ্রভু শ্রী চৈতন্যদেবের বাড়ি, হাছনরাজার মিউজিয়াম, মালনীছড়া চা-বাগান, এমএজি ওসমানী বিমানবন্দর, পর্যটন মোটেল, জাকারিয়া সিটি, ড্রিমল্যান্ড পার্ক, আলী আমজাদের ঘড়ি, জিতু মিয়ার বাড়ি, মণিপুরী রাজবাড়ি, মণিপুরী মিউজিয়াম, শাহী ঈদগাহ, ওসমানী শিশুপার্ক।

বরিশাল বিভাগ
বরগুনা
বিবিচিনি শাহী মসজিদ, সোনারচর, লালদিয়ার বন ও সমুদ্র সৈকত, হরিণঘাটা, রাখাইন এলাকা, বৌদ্ধ মন্দির ও বৌদ্ধ একাডেমি।

বরিশাল
দুর্গাসাগর, কালেক্টরেট ভবন, চাখার প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর, রামমোহনের সমাধি মন্দির, সুজাবাদের কেল্লা, সংগ্রাম কেল্লা, শারকলের দুর্গ, গির্জামহল্লা, বেলস পার্ক, এবাদুল্লা মসজিদ, কসাই মসজিদ, অক্সফোর্ড গির্জা, শংকর মঠ, মুকুন্দ দাসের কালীবাড়ি, ভাটিখানার জোড়া মসজিদ, অশ্বিনী কুমার টাউন হল, চরকিল্লা, এক গম্বুজ মসজিদ, সাড়ে তিন মণ ওজনের পিতলের মনসা।

ভোলা
চরকুকরিমুকরি, বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্মৃতি জাদুঘর, ওয়ান্ডার কিংডম, মনপুরা দ্বীপ।

ঝালকাঠি
সুজাবাদের কেল্লা, ঘোষাল রাজ বাড়ির ধ্বংসাবশেষ, নুরুল্লাপুর মঠ, সিভিল কোর্ট ভবন, সাতুরিয়া জমিদারবাড়ি, জীবনানন্দ দাশের মামাবাড়ি, কীর্তিপাশা জমিদারবাড়ি, গাবখান সেতু, ধানসিঁড়ি নদী, রূপসা খাল, নেছারাবাদ কমপ্লেক্স, পোনাবালিয়া মন্দির, সিদ্ধকাঠি জমিদারবাড়ি, নলছিটি পৌরভবন, মার্চেন্টস্ স্কুল, চায়না কবর, কামিনী রায়ের বাড়ি, কুলকাঠি মসজিদ, সুরিচোড়া জামে মসজিদ, শিবমন্দির, নাদোরের মসজিদ।


পটুয়াখালী
কুয়াকাটা বৌদ্ধবিহার, শ্রীরামপুর মিয়াবাড়ি মসজিদ, মিঠাপুকুর, কানাইবালাই দীঘি, কমলা রানীর দীঘি, সুলতান ফকিরের মাজার, নুরাইনপুর রাজবাড়ি, শাহী মসজিদ।

পিরোজপুর
রায়েরকাঠি জমিদারবাড়ি, মঠবাড়িয়ার সাপলেজা কুঠিবাড়ি, প্রাচীন মসজিদ, মঠবাড়িয়ার মমিন মসজিদ, শ্রীরামকাঠি প্রণব মঠ সেবাশ্রম, গোপালকৃষ্ণ টাউন ক্লাব, শেরেবাংলা পাবলিক লাইব্রেরি, মাঝের চর মঠবাড়িয়া, পাড়েরহাট জমিদারবাড়ি, বলেশ্বরঘাট শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ।

চট্টগ্রাম বিভাগ

বান্দরবান
মেঘলা পর্যটন কেন্দ্র, নীলাচল পর্যটন কমপ্লেক্স, চিম্বুক, শৈলপ্রপাত, বগালেক, স্বর্ণমন্দির, কেওক্রাডং, নীলগিরি, প্রান্তিক লেক, ঋজুক জলপ্রপাত, মিরিঞ্জা কমপ্লেক্স, নাফাখুম, সাত ভাই খুম, আমিয়া খুম, জাদিপাই ফলস, তাজিংডং, সাখাফং।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া
কালভৈরব, সৌধ হীরণ্ময়, হাতিরপুল, কেল্লা শহীদ মাজার, গঙ্গাসাগর দীঘি, উলচাপাড়া মসজিদ, কাজী মাহমুদ শাহ (রহ.) মাজার, ছতুরা শরীফ, নাটঘর মন্দির, বিদ্যাকুট সতীদাহ মন্দির।

চাঁদপুর
শ্রী শ্রী জগন্নাথ মন্দির, মনসামুড়া, দোয়াটি, সাহারপাড়ের দীঘি, উজানীতে বেহুলার পাটা, তুলাতলি মঠ, সাহেবগঞ্জ নীলকুঠি, লোহাগড় মঠ, রূপসা জমিদারবাড়ি, হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদ, হজরত মাদ্দা খাঁ (রহ.) মসজিদ, বলাখাল জমিদারবাড়ি, নাসিরকোর্ট শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সমাধিস্থল, নাগরাজাদের বাড়ি, মঠ ও দীঘি, মঠ, নাওড়া, শাহরাস্তির (রহ.) মাজার, তিন গম্বুজ মসজিদ ও প্রাচীন কবর।



চট্টগ্রাম বিভাগ

চট্টগ্রাম
ফয়স লেক, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা, চট্টগ্রাম শিশুপার্ক, জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘর, আগ্রাবাদ, বাটালি হিল, ডিসি অফিস (পরীর পাহাড়), কোর্ট বিল্ডিং, ওয়ার সিমেট্রি (কমনওয়েলথ যুদ্ধসমাধি), ডিসি হিল, কদম মোবারক মসজিদ, শাহ্ আমানতের (রহ.) দরগা, বদর আউলিয়ার (রহ.) দরগা, বায়েজিদ বোস্তামির (রহ.) মাজার, শেখ ফরিদের চশমা, ওলি খাঁর মসজিদ, আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ, হামজার মসজিদ, হামজারবাগ, পাথরঘাটা রোমান ক্যাথলিক গির্জা, চট্টগ্রাম বৌদ্ধবিহার, নন্দনকানন, কৈবল্যধাম, চন্দ্রনাথ পাহাড় ও মন্দির, সীতাকুন্ড, বাঁশখালী ইকোপার্ক, সীতাকুন্ড ইকোপার্ক, পতেঙ্গা।

কুমিল্লা
শালবন বিহার ও প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত সৈনিকদের সমাধিক্ষেত্র ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড) শাহ সুজা মসজিদ, জগন্নাথ মন্দির, ধর্মসাগর, বৌদ্ধবিহারের ধ্বংসাবশেষ, রূপবানমুড়া ও কুটিলামুড়া, বার্ডসংলগ্ন জোড়কানন দীঘি, জগন্নাথ দীঘি, বীরচন্দ্র গণপাঠাগার ও নগর মিলনায়তন, শ্রী শ্রী রামঠাকুরের আশ্রম, রামমালা পাঠাগার ও নাটমন্দির, লাকসাম রোড, নবাব ফয়জুন্নেছার বাড়ি, সঙ্গীতজ্ঞ শচীনদেব বর্মণের বাড়ি, রাজেশপুর বন বিভাগের পিকনিক স্পট, গোমতি নদী, পুরাতন অভয়াশ্রম (কেটিসিসিএ লি.), বাখরাবাদ গ্যাস ফিল্ড, কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী বেগম নার্গিসের বাড়ি, নবাব ফয়জুন্নেছার পৈতৃক বাড়ি।

কক্সবাজার
সমুদ্র সৈকত, হিমছড়ি, অগে্গ্মধা ক্যাং, আদিনাথ মন্দির, সোনাদিয়া দ্বীপ, রামকোর্ট, লামারপাড়া ক্যাং, ইনানী, প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন, মাথিনের কূপ, বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক।

ফেনী
সোনাগাজী মুহুরি সেচ প্রকল্প, পাগলা মিয়ার মাজার, শিলুয়ার শীল পাথর, রাজাঝির দীঘি, মোহাম্মদ আলী চৌধুরী মসজিদ ও বাসভবন, চাঁদগাজী মসজিদ, ফেনী সরকারি কলেজ ভবন, মহিপালের বিজয় সিংহ দীঘি।

খাগড়াছড়ি
আলুটিলা, আলুটিলার সুড়ঙ্গ বা রহস্যময় গুহা, দেবতার পুকুর, ভগবানটিলা, দুই টিলা ও তিন টিলা, আলুটিলার ঝরনা, পর্যটন মোটেল, খাগড়াছড়ি, পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, মহালছড়ি হ্রদ, শতায়ু বটগাছ।

লক্ষ্মীপুর
দালালবাজার জমিদারবাড়ি, কামানখোলা জমিদারবাড়ি, তিতা খাঁ জামে মসজিদ, জিনের মসজিদ, খোয়া সাগর দীঘি, মটকা মসজিদ।

নোয়াখালী
পাবলিক লাইব্রেরি, গান্ধী আশ্রম, বজরা শাহী জামে মসজিদ, বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোঃ রুহুল আমিন গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর, নিঝুম দ্বীপ।

রাঙ্গামাটি
কর্ণফুলী হ্রদ, পর্যটন মোটেল ও ঝুলন্ত সেতু, সুবলং ঝরনা, উপজাতীয় জাদুঘর, কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান, জেলা প্রশাসক বাংলো, জেলা প্রশাসক এলএইচ নিবলেটের সমাধি।

ঢাকা বিভাগ
ঢাকা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর, আহছান মঞ্জিল, বায়তুল মোকাররম মসজিদ, রাস্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মা/মেঘনা, ঢাকেশ্বরী মন্দির, কাজী নজরুল ইসলামের মাজার, বিমানবন্দর, সোনারগাঁও, বিজয় সরণি ফোয়ারা, বসুন্ধরা সিটি, বাকল্যান্ড বাঁধ, বলধা গার্ডেন, অপরাজেয় বাংলা ভাস্কর্য, জাতীয় ঈদগাহ ময়দান, শাহআলী বোগদাদির মাজার, ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন, জাতীয় জাদুঘর, ক্রিসেন্ট লেক, শিশুপার্ক, বাংলাদেশ-জাপান মৈত্রী সেতু-১, বাংলাদেশ-জাপান মৈত্রী সেতু-২, বাংলাদেশ-জাপান সেতু, বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম, হোটেল সোনারগাঁও, কবিভবন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, শাহী মসজিদ, জয়কালী মন্দির, আসাদ গেট, বড় কাটারা, শাপলা চত্বর ফোয়ারা, ঢাকা শহররক্ষা বাঁধ, স্বোপার্জিত স্বাধীনতা ভাস্কর্য, পল্টন ময়দান, অস্ত্র তৈরির কারখানা, শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তন, লোকশিল্প জাদুঘর, গুলশান লেক, ওসমানী উদ্যান, গণভবন, জাতীয় সংসদ ভবন, জাতীয় স্মৃতিসৌধ, বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়াম, হোটেল শেরাটন, বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবন, ধানমন্ডি ঈদগাহ, কমলাপুর বৌদ্ধবিহার- কমলাপুর, সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল, ঢাকা তোরণ, বাংলা একাডেমী গ্রন্থাগার, ছোট কাটারা-চকবাজারের দক্ষিণে, কদম ফোয়ারা, বিমাবন্দর রক্ষাবাঁধ, জাগ্রত মুক্তিযোদ্ধা ভাস্কর্য, স্বাধীনতা জাতীয় স্কোয়ার, মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি, বাংলাদেশ বিজ্ঞান জাদুঘর, রমনা লেক-রমনা পার্ক, যমুনা ভবন, তিন নেতার স্মৃতিসৌধ, মিরপুর স্টেডিয়াম, হোটেল পূর্বাণী-মতিঝিল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, গুলিস্তান পার্ক, বিনত বিবির মসজিদ, শাক্যমুনি বৌদ্ধবিহার, খ্রিস্টান কবরস্থান, বিমানবাহিনীর সদর দফতর গেট, আওরঙ্গবাদ দুর্গ-লালবাগ, সার্ক ফোয়ারা, দুরন্ত ভাস্কর্য-শিশু একাডেমী, বিশ্ব ইজতেমা ময়দান-টঙ্গী, ধানমন্ডি লেক-ধানমন্ডি, বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ, প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়, চক মসজিদ, গুরুদুয়ারা নানক শাহী, হোসনি দালান, বলাকা ভাস্কর্য, মহানগর নাট্যমঞ্চ, সামরিক জাদুঘর, রাজারবাগ শহীদ স্মৃতিসৌধ, শিখা অনির্বাণ, সাত গম্বুজ মসজিদ, কাকরাইল চার্চ, দোয়েলচত্বর ভাস্কর্য, মহিলা সমিতি মঞ্চ, হাইকোর্ট ভবন, মহাকাশবিজ্ঞান ভবন, নভোথিয়েটার, তারা মসজিদ, লালবাগ দুর্গ, বাহাদুর শাহ পার্ক, পুলিশ মিউজিয়াম, বোটানিক্যাল গার্ডেন, জাতীয় আর্কাইভস, রাজউক, ফ্যান্টাসি কিংডম, নন্দন পার্ক, ওয়ান্ডারল্যান্ড, শিশুপার্ক, শ্যামলী শিশুমেলা।

ফরিদপুর
গেরদা মসজিদ, পাতরাইল মসজিদ ও দীঘি, বাসদেব মন্দির, পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের বাড়ি ও কবরস্থান, নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট, জগদ্বন্ধু সুন্দরের আশ্রম, সাতৈর মসজিদ , ফাতেহাবাদ টাকশাল মথুরাপুর দেউল, বাইশ রশি জমিদার বাড়ি, জেলা জজ কোর্ট ভবন , ভাঙা মুন্সেফ কোর্ট ভবন, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আবদুর রউফ জাদুঘর।

গাজীপুর
জাগ্রত চৌরঙ্গী, ছয়দানা দীঘি ও যুদ্ধক্ষেত্র, উনিশে স্মারক ভাস্কর্য, আনসার-ভিডিপি একাডেমী স্মারক ভাস্কর্য, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কর্নার, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, রাজবাড়ি শ্মশান, শৈলাট , ইন্দ্রাকপুর, কপালেশ্বর, রাজা শিশুপালের রাজধানী, একডালা দুর্গ (প্রাচীন ও ধ্বংসপ্রাপ্ত), মীর জুমলার সেতু, সাকাশ্বর স্তম্ভ, বঙ্গতাজ তাজউদ্দিনের বাড়ি, বিজ্ঞানী মেঘনাথ সাহার বাড়ি, রবীন্দ্র স্মৃতিবিজড়িত কাওরাইদ বাংলো, ভাওয়াল রাজবাড়ি, বলধার জমিদারবাড়ি, পূবাইল জমিদারবাড়ি, বলিয়াদী জমিদারবাড়ি, কাশিমপুর জমিদারবাড়ি, দত্তপাড়া জমিদারবাড়ি, হায়দ্রাবাদ দীঘি, ভাওয়াল কলেজ দীঘি, রাহাপাড়া দীঘি, টেংরা দীঘি, তেলিহাটী দীঘি, সিঙ্গার দীঘি (পালরাজাদের রাজধানী নগরী), সিঙ্গার দীঘি, কাউছি টিহর, কর্ণপুর দীঘি, চৌড়াদীঘি, মাওনা দীঘি, ঢোলসমুদ্র দীঘি ও পুরাকীর্তি, রাজবিলাসী দীঘি, কোটামুনির ডিবি ও পুকুর, মনই বিবি-রওশন বিবির দীঘি (চান্দরা), মকেশ্বর বিল, বিল বেলাই, উষ্ণোৎস, গঙ্গা (সরোবর) তীর্থক্ষেত্র, ভাওয়াল রাজশ্মশানেশ্বরী, টোক বাদশাহী মসজিদ, সমাধিক্ষেত্র (কবরস্থান), চৌড়া, কালীগঞ্জ সাকেশ্বর আশোকামলের বৌদ্ধস্তম্ভ (ধর্মরাজিকা), পানজোড়া গির্জা, ব্রাহ্মমন্দির, সমাধিক্ষেত্র, গুপ্ত পরিবার, সেন্ট নিকোলাস (চার্চ), বক্তারপুর, ঈশা খাঁর মাজার, তিমুলিয়া গির্জা।

গোপালগঞ্জ
বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ, চন্দ্রভর্ম ফোর্ট ( কোটাল দুর্গ), মুকসুদপুরের ঐতিহাসিক নিদর্শন, বহলতলী মসজিদ, ধর্মরায়ের বাড়ি, থানাপাড়া জামে মসজিদ, খাগাইল গায়েবি মসজিদ, কোর্ট মসজিদ, সেন্ট মথুরানাথ এজি চার্চ, সর্বজনীন কালীমন্দির, বিলরুট ক্যানেল, আড়পাড়া মুন্সীবাড়ি, শুকদেবের আশ্রম, খানার পাড় দীঘি, উলপুর জমিদারবাড়ি, ’৭১-এর বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধ (স্মৃতিস্তম্ভ)।

মাদারীপুর
হজরত শাহ মাদারের দরগাহ, আলগী কাজিবাড়ি মসজিদ, রাজা রামমন্দির ঝাউদিগিরি, আউলিয়াপুর নীলকুঠি, মিঠাপুর জমিদারবাড়ি, প্রণব মঠ, বাজিতপুর, মঠের বাজার মঠ, খোয়াজপুর, খালিয়া শান্তি কেন্দ্র, পর্বতের বাগান, শকুনী লেক, সেনাপতির দীঘি।

মানিকগঞ্জ
বালিয়াটি প্রাসাদ, তেওতা জমিদারবাড়ি, তেওতা নবরত্ন মঠ, মানিকগঞ্জের মত্তের মঠ, রামকৃষ্ণ মিশন সেবাশ্রম, শিব সিদ্ধেশ্বরী মন্দির, শ্রী শ্রী আনন্দময়ী কালীবাড়ি, গৌরাঙ্গ মঠ, নারায়ণ সাধুর আশ্রম, মাচাইন গ্রামের ঐতিহাসিক মাজার ও পুরনো মসজিদ, বাঠইমুড়ি মাজার।

মুন্সীগঞ্জ
বল্লাল সেনের দীঘি, হরিশ্চন্দ্র রাজার দীঘি, রাজা শ্রীনাথের বাড়ি, রামপাল দীঘি, কোদাল ধোয়া দীঘি, শ্রীনগরের শ্যামসিদ্ধির মঠ, সোনারংয়ের জোড়া মঠ, হাসারার দরগাহ, ভাগ্যকূল রাজবাড়ি, রাঢ়ীখালে জগদীশচন্দ্র বসুর বাড়ি, কুসুমপুরে তালুকদার বাড়ি মসজিদ, তাজপুর মসজিদ, পাথরঘাটা মসজিদ, কাজীশাহ মসজিদ, পোলঘাটার ব্রিজ, পাঁচ পীরের দরগাহ, সুখবাসপুর দীঘি, শিকদার সাহেবের মাজার, বার আউলিয়ার মাজার, শহীদ বাবা আদমের মসজিদ, ইদ্রাকপুর কেল্লা, অতীশ দীপঙ্করের পন্ডিতভিটা, হরগঙ্গা কলেজ গ্রন্থাগারে কলেজের প্রতিষ্ঠাতা আশুতোষ গাঙ্গুলীর আবক্ষ মার্বেল মূর্তি।

নারায়ণগঞ্জ
লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন, হাজীগঞ্জে ঈশা খাঁর কেল্লা, কদমরসুল দরগাহ, পাঁচ পীরের দরগাহ, ইপিজেড আদমজী, মেরিন একাডেমী, লাঙ্গলবন্দ, সুলতান গিয়াসউদ্দিন আজম শাহের সমাধি, সোনাকান্দা দুর্গ, সালেহ বাবার মাজার, গোয়ালদী মসজিদ, সুলতান জালাল উদ্দিন ফতেহ শাহের এক গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদ, পাগলা ব্রিজ, বন্দর শাহী মসজিদ, মেরী এন্ডারসন (ভাসমান রেস্তোরাঁ), বিবি মরিয়মের মাজার, রাসেল পার্ক, জিন্দাপার্ক।

নরসিংদী
উয়ারী বটেশ্বর, বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান জাদুঘর, সোনাইমুড়ি টেক, আশ্রাবপুর মসজিদ, ইরানি মাজার, দেওয়ান শরীফ মসজিদ, গিরিশ চন্দ্র সেনের বাস্ত্তভিটা।

রাজবাড়ী
চাঁদ সওদাগরের ঢিবি (মনসামঙ্গল কাব্যের প্রধান চরিত্র চাঁদ সওদাগরের স্মৃতিচিহ্ন), মথুরাপুর প্রাচীন দেউল, শাহ পাহলোয়ানের মাজার, দাদ্শী মাজার, জামাই পাগলের মাজার, নলিয়া জোডা বাংলা মন্দির, সমাধিনগর মঠ (অনাদি আশ্রম), রথখোলা সানমঞ্চ, নীলকুঠি, মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি কেন্দ্র, দৌলতদিয়া ঘাট।

শরীয়তপুর
মগর, মহিষারের দীঘি, রাজনগর, কুরাশি, বুড়ির হাটের মসজিদ, হাটুরিয়া জমিদারবাড়ি, রুদ্রকর মঠ, রাম সাধুর আশ্রম, জমিদারবাড়ি, মানসিংহের বাড়ি, শিবলিঙ্গ, সুরেশ্বর দরবার, পন্ডিতসার, ধানুকার মনসাবাড়ি।

টাঙ্গাইল
আতিয়া মসজিদ, শাহ্ আদম কাশ্মিরির মাজার, পরীর দালান, খামারপাড়া মসজিদ ও মাজার, ঝরোকা, সাগরদীঘি, গুপ্তবৃন্দাবন, পাকুটিয়া আশ্রম, ভারতেশ্বরী হোমস, মহেড়া জমিদারবাড়ি/পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার, মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ, পাকুল্লা মসজিদ, কুমুদিনী নার্সিং স্কুল/কলেজ, নাগরপুর জমিদারবাড়ি, পুন্ডরীকাক্ষ হাসপাতাল, উপেন্দ্র সরোব, গয়হাটার মঠ, তেবাড়িয়া জামে মসজিদ, পাকুটিয়া জমিদারবাড়ি, বঙ্গবন্ধু সেতু, এলেঙ্গা রিসোর্ট, যমুনা রিসোর্ট, কাদিমহামজানি মসজিদ, ঐতিহ্যবাহী পোড়াবাড়ি, সন্তোষ, করটিয়া সা’দত কলেজ, কুমুদিনী সরকারি কলেজ, বিন্দুবাসিনী বিদ্যালয়, মধুপুর জাতীয় উদ্যান, দোখলা ভিআইপ রেস্ট হাউস, পীরগাছা রাবারবাগান, ভূঞাপুরের নীলকুঠি, শিয়ালকোল বন্দর, ধনবাড়ি মসজিদ ও নবাব প্যালেস, নথখোলা স্মৃতিসৌধ, বাসুলিয়া, রায়বাড়ী, কোকিলা পাবর স্মৃতিসৌধ, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ।
ময়মনসিংহ বিভাগ

ময়মনসিংহ
শশী লজ, গৌরীপুর লজ, আলেকজান্ডার ক্যাসেল, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা, স্বাধীনতাস্তম্ভ, ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী পার্ক, ময়মনসিংহ জাদুঘর, বোটানিক্যাল গার্ডেন, নজরুল স্মৃতি কেন্দ্র, মুক্তাগাছা জমিদারবাড়ি, মহারাজ সূর্যকান্তের বাড়ি, গৌরীপুর রাজবাড়ি, বীরাঙ্গনা সখিনার মাজার, রামগোপাল জমিদারবাড়ি, ফুলবাড়িয়া অর্কিড বাগান, চীনা মাটির টিলা, আবদুল জববার স্মৃতি জাদুঘর, কুমিরের খামার, তেপান্তর ফিল্ম সিটি।

জামালপুর
হজরত শাহ জামালের (রহ.) মাজার, হজরত শাহ কামালের (রহ.) মাজার, পাঁচ গম্বুজবিশিষ্ট রসপাল জামে মসজিদ (উনবিংশ শতাব্দী), নরপাড়া দুর্গ (ষোড়শ শতাব্দী), গান্ধী আশ্রম, দয়াময়ী মন্দির, দেওয়ানগঞ্জের সুগার মিলস, লাউচাপড়া পিকনিক স্পট।

কিশোরগঞ্জ
ঈশা খাঁর জঙ্গলবাড়ি, এগারসিন্ধুর দুর্গ, কবি চন্দ্রাবতীর শিবমন্দির, দিল্লির আখড়া, শোলাকিয়া ঈদগাহ, পাগলা মসজিদ, ভৈরব সেতু, হাওরাঞ্চল, সুকুমার রায়ের বাড়ি, জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ, দুর্জয় স্মৃতিভাস্কর্য।

নেত্রকোনা
উপজাতীয় কালচারাল একাডেমী, বিজয়পুর পাহাড়ে চিনামাটির নৈসর্গিক দৃশ্য, রানীখং মিশন, টংক শহীদ স্মৃতিসৌধ, রানীমাতা রাশমণি স্মৃতিসৌধ, কমলা রানী দীঘির ইতিহাস, নইদ্যা ঠাকুরের (নদের চাঁদ) লোক-কাহিনী, সাত শহীদের মাজার, হজরত শাহ সুলতান কমরউদ্দিন রুমির (রহ.) মাজার, রোয়াইলবাড়ি কেন্দুয়া।

শেরপুর
গড় জরিপার দুর্গ , দরবেশ জরিপ শাহের মাজার, বারদুয়ারী মসজিদ, হযরত শাহ কামালের মাজার, শের আলী গাজীর মাজার, কসবার মুগল মসজিদ, ঘাঘরা লস্কর বাড়ী মসজিদ, মাইসাহেবা মসজিদ, নয়আনী জমিদারের নাট মন্দির, আড়াই আনী জমিদার বাড়ি, পৌনে তিন আনী জমিদার বাড়ি, গজনী অবকাশ কেন্দ্র।

খুলনা বিভাগ

বাগেরহাট
ষাট গম্বুজ মসজিদ, খানজাহান আলীর (রহ.) মাজার, সিঙ্গাইর মসজিদ, বিবি বেগনী মসজিদ, চুনখোলা মসজিদ, পীর আলী মুহাম্মদ তাহেরের সমাধি, এক গম্বুজ মসজিদ, নয় গম্বুজ মসজিদ, সাবেক ডাঙ্গা পুরাকীর্তি, রণবিজয়পুর মসজিদ, জিন্দাপীর মসজিদ, রেজা খোদা মসজিদ, খানজাহানের বসতভিটা, ঢিবি, কোদলা মঠ, ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী শহীদ কৃষক রহিমুল্লাহর বাড়ি, মোরেলের স্মৃতিসৌধ, ১৮৬৩ সালে তৎকালীন এসডিও মংলা পোর্ট, চিলা চার্চ, কবি রুদ্র মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর সমাধি, প্রফুল্ল ঘোষের বসতবাড়ি, নীলসরোবর, জমিদার ক্ষিতিষ চন্দ্রের বসতবাড়ির ধ্বংসাবশেষ, শাহ আউলিয়াবাগ মাজার, হজরত খানজাহান আলীর (রহ.) সহচর পীর শাহ আউলিয়ার মাজার, নাটমন্দির, রামজয় দত্তের কাছারিবাড়ি। ব্রিটিশ সেনাদের পর্যবেক্ষণ টাওয়ার। কৃষ্ণমূর্তি, গোপাল জিউর মন্দির, লাউপালা, যাত্রাপুর, দুবলার চর, কটকা, কচিখালি, সুন্দরবন।

চুয়াডাঙ্গা
ঘোলদাড়ি জামে মসজিদ, তিয়রবিলা বাদশাহী মসজিদ, আলমডাঙ্গা রেলস্টেশন, হজরত খাজা মালিক উল গাউসের (রহ.) মাজার (গড়াইটুপি অমরাবতী মেলা), দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোং লি., দর্শনা রেলস্টেশন, দর্শনা শুল্ক স্টেশন, দর্শনা ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস চেকপোস্ট, নাটুদহ আটকবর, নাটুদহ, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ, চারুলিয়া, কার্পাসডাঙ্গা, তালসারি, দত্তনগর কৃষি খামার, ধোপাখালী মুক্তিযোদ্ধা কবরস্থান, কাশিপুর জমিদারবাড়ি, ধোপাখালী শাহী মসজিদ।

যশোর
হাজী মুহাম্মদ মহসিনের ইমামবাড়ী, মীর্জানগর হাম্মামখানা, ভরত ভায়না মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ি, ভাতভিটা, সীতারাম রায়ের দোলমঞ্চ, গাজী-কালু-চম্পাবতীর কবর, বাঘানায়ে খোদা মসজিদ, পাঠাগার মসজিদ, মনোহর মসজিদ, শেখপুরা জামে মসজিদ, শুভরাঢ়া মসজিদ, মীর্জানগর মসজিদ, ঘোপের মসজিদ, শুক্কুর মল্লিকের মসজিদ, নুনগোলা মসজিদ, কায়েমকোলা মসজিদ, বালিয়াডাঙ্গা সর্বজনীন পূজামন্দির, দশ মহাবিদ্যামন্দির, অভয়নগর মন্দির, পঞ্চরত্ন মন্দির, ভুবনেশ্বরী দেবীর মন্দির, রায়গ্রাম জোড়বাংলা মন্দির, লক্ষ্মীনারায়ণের মন্দির, মুড়লি শিবমন্দির, জোড়বাংলার দশভুজার মন্দির, চড়ো শিবমন্দির।

ঝিনাইদহ
নলডাঙ্গা মন্দির, মিয়ার দালান, কেপি বসুর বাড়ি, গোড়ার মসজিদ, মিয়ার দালান, গলাকাটা মসজিদ, জোড়বাংলা মসজিদ, সাতগাছিয়া মসজিদ, জাহাজঘাটা হাসিলবাগ গাজী-কালু-চম্পাবতীর মাজার, বলু দেওয়ানের বাজার, দত্তনগর কৃষি খামার, শৈলকুপা শাহী মসজিদ ও মাজার, শৈলকুপা রামগোপাল মন্দির, মরমি কবি পাঞ্জু শাহের মাজার, শৈলকুপা শাহী মসজিদ, কামান্না ২৭ শহীদের মাজার, সিরাজ সাঁইয়ের মাজার, ঢোলসমুদ্র দীঘি, মল্লিকপুরের এশিয়ার বৃহত্তম বটগাছ।

খুলনা
সুন্দরবন, রেলস্টেশনের কাছে মিস্টার চার্লির কুঠিবাড়ি, দক্ষিণডিহি, পিঠাভোগ, রাড়ুলী, সেনহাটি, বকুলতলা, শিরোমণি, বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের সমাধি সৌধ, চুকনগর, গল্লামারী, খানজাহান আলী কর্তৃক খননকৃত বড় দীঘি, মহিম দাশের বাড়ি, খলিশপুর সত্য আশ্রম।

কুষ্টিয়া
শিলাইদহ কুঠিবাড়ী, লালন শাহের মাজার, মীর মশাররফ হোসেনের বাস্ত্তভিটা, ঝাউদিয়ার শাহী মসজিদ, আড়-য়া পাড়ার নফর শাহের মাজার, কুমারখালী বাজারে দরবেশ সোনা বন্ধুর মাজার এবং সাফিয়ট গ্রামের জঙ্গলী শাহের মাজার, জর্জবাড়ী, মুহিষকুন্ডি নীলকুঠি, কালীদেবী মন্দির, মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ‘মুক্তবাংলা’।

মাগুরা
রাজা সীতারাম রায়ের রাজধানীর ধ্বংসাবশেষ, সুলতানী আমলে প্রতিষ্ঠিত মাগুরা আঠারখাদা মঠবাড়ি, সিদ্ধেশ্বরী মঠ, ভাতের ভিটা পুরাকীর্তি, শ্রীপুর জমিদারবাড়ি, মোকাররম আলী (রহ.) দরগাহ, শত্রুজিৎপুর মদনমোহন মন্দির।

মেহেরপুর
মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ ও ঐতিহাসিক আম্রকানন, মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স, পৌর ঈদগাহ, মেহেরপুর পৌর কবরস্থান, মেহেরপুর পৌর হল, মেহেরপুর শহীদ স্মৃতিসৌধ, আমদহ গ্রামের স্থাপত্য নিদর্শন, সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দির, আমঝুপি নীলকুঠি, ভাটপাড়ার নীলকুঠি, সাহারবাটি, ভবানন্দপুর মন্দির।

নড়াইল
সুলতান কমপ্লেক্স, বাধাঘাট, নিরিবিলি পিকনিক স্পট, অরুনিমা ইকো পার্ক, চিত্রা রিসোর্ট, বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ নূর মোহাম্মদ শেখ কমপ্লেক্স।

সাতক্ষীরা
সুন্দরবন, মান্দারবাড়িয়া সমুদ্রসৈকত, যশোরেশ্বরী মন্দির, হরিচরণ রায়চৌধুরীর জমিদারবাড়ি ও জোড়া শিবমন্দির, যিশুর গির্জা, মোজাফফর গার্ডেন অ্যান্ড রিসোর্ট, মায়ের মন্দির, মায়ি চম্পার দরগা, জোড়া শিবমন্দির, শ্যামসুন্দর মন্দির, চেড়াঘাট কায়েম মসজিদ, তেঁতুলিয়া জামে মসজিদ, বনশিপুর শাহী মসজিদ, গুনাকরকাটি মাজার, বুধহাটার দ্বাদশ শিবকালী মন্দির, টাউন শ্রীপুর, দেবহাটা থানা, প্রবাজপুর মসজিদ, নলতা শরীফ, কাথান্ডা ও নিলডুমুর (বুড়ি গোয়ালিনী)।

Tuesday 12 December 2017

স্কয়ার হাসপাতালে মৃত্যুর আগে এক রোগীর লেখা চিরকূট ও কিছু প্রশ্ন



স্কয়ার হাসপাতালে মৃত্যুর আগে এক রোগীর লেখা চিরকূট ও কিছু প্রশ্ন
ঢাকা: কী হচ্ছে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে? সে প্রশ্ন তুলেছে এই হাসপাতালে ১৭দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর গত বুধবার মৃত্যুবরণকারী এক ব্যক্তির পরিবার।
কেবল পরিবারই নয়, এই প্রশ্ন তুলে গেছেন মৃত ব্যক্তি নিজেই। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে চিকিৎসার অব্যবস্থাপনা নিয়ে নিজেই ছোট ছোট নোট লিখে যান এই রোগী।
ঠাণ্ডাজনিত কারণে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। ভর্তি হওয়ার পরপরই তাকে লাইফ সাপোর্টে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাদের বক্তব্য ছিলো তাকে বাঁচাতে হলে লাইফ সাপোর্ট দিতে হবে। কিন্তু এরপর ১৭দিন ওই সাপোর্টে থেকে ইন্তেকাল করেন রোগীটি।
৫১ বছর বয়সী টিঅ্যান্ডটি কর্মকর্তা ওই রোগীর মেয়ে, যিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগের ফাইনাল ইয়ারের শিক্ষার্থী, বাংলানিউজের কাছে তারা বাবার লেখা ছোট ছোট চিরকূটগুলো তুলে ধরেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, তার বাবার চিকিৎসার সময়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের চরম অবহেলা তিনি নিজেও প্রত্যক্ষ করেছেন। বারবারই তিনি বিষয়টিতে ডিউটি ডক্টর বা অন্যদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও কোনও প্রতিকার পাননি। উপরন্তু তার সঙ্গে ধমকাধমকি ও দুর্ব্যবহার করা হয়েছে।
বাবার মৃত্যুশয্যার পাশে থেকে তার সকল কষ্ট দেখে, চিকিৎসকদের কাছ থেকে সামান্য সেবাটুকু না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ এই তরুণী। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, ‘আমি আমার বাবাকে হারিয়েছি, একটি নামকরা, দামী হাসপাতালে স্রেফ অবজ্ঞা, অবহেলা ও অযোগ্যতার কারণে তাকে ধীরে ধীরে মরে যেতে দেখেছি। কিন্তু আমি চাই আর কারো বাবার ক্ষেত্রে, আর কারো রোগীর ক্ষেত্রে যেনো এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।’
অবজ্ঞা ও অবহেলার কথা বলতে গিয়ে বাবার লেখা চিরকূটগুলো বাংলানিউজকে দেখান এই ক্ষুব্ধ তরুণী। তিনি বলেন, বাবার লেখা চিরকূটগুলো পড়লেই বুঝা যাবে ওখানে তিনি পর্যাপ্ত সেবা পাচ্ছিলেন না।
অভিযোগের পাশাপাশি যারা তাকে সহযোগিতা করেছিলেন, তাদের ভালো চেয়েও চিরকূট লিখেছেন আমার বাবা। এতে নিশ্চিত ধরে নেওয়া যায় তিনি যা লিখেছেন তা সত্য, বলেন তিনি।
একজন মৃত্যু পথযাত্রী রোগীর এই অভিযোগগুলো গুরুত্বের সঙ্গে দেখা উচিত বলেই সংবাদমাধ্যমের কাছে তুলে ধরতে চাই, বলেন ওই তরুণী।
একটি চিরকূটে তার বাবা লিখেছেন: ‘আজকি আপনাদের বন্ধ: লোক কম কেনো? শ্বাসকষ্ট হলে কাকে জানাবো, কীভাবে জানাবো। অন্য যেকোনো সমস্যা হলেও বা কিভাবে জানাবো। মুখ বন্ধ থাকার কারণে আমি কথা বলতে পারি না কিন্তু আপনাদের কথা বুঝি’
আরেকটি নোটে তিনি লিখেছেন: গতকাল ডাঃ দেখে বললো অনেক সুস্থ। সিটিস্ক্যান রিপোর্ট ভালো। কিন্তু আজ যে ডিউটি ডক্টর দেখলো সে ওষুধ দেওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়ি।’
আরেকটি চিরকূটে লেখেন: শ্বাসকষ্ট হচ্ছে ছাকিং করতে হবে। প্রতিদিন আপনারা ফিনিশিং দেওয়ার পর ঘুম হয়, আজ হচ্ছে না।
অপর একটি চিরকূট, ‘বমিটিং ভাব হচ্ছে। জরুরি ছাক করা দরকার।’
এসব চিরকূট লিখে রাখলেও কোন চিকিৎসক কিংবা অ্যাটেন্ডেন্ট তা গুরুত্ব দেয়নি। পরে মৃত্যুর আগে সেগুলো পরিবারের সদস্যদের কাছে দেন এই রোগী।
একটি চিরকূটে তিনি নিজের কিছু ব্যক্তিগত দেনা-পাওনার কথাও লিখে যান। এছাড়া হাসপাতালের তিন জনের নাম উল্লেখ করে লেখেন তারা খুব ভালো। সুস্থ হলে তাদের সাহায্য করবেন। তাদের জন্য দোয়া করেন।
রোগীর মেয়ে জানান, একদিন তিনি নিজেই কাচঘেরা কক্ষের দূর থেকে তার বাবাকে দেখতে পান হাত-পা ছোড়াছুড়ি করছেন। কিন্তু কেউ সেদিকে লক্ষ্য করছে না। বাইরে দুই জন অ্যাটেন্ড্যান্ট হাসি-গল্প করছেন। তিনি ছুটে গিয়ে তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও তারা প্রথমে ভ্রুক্ষেপ করেননি। কয়েক মিনিট পর আবারও একইভাবে ‍হাত পা ছোড়াছুড়ি করলে আবার তাদের গিয়ে বলেন। তখন একজন ভেতরে যান এবং ফিরে এসে জানান কৃত্রিম শ্বাসের মেশিন কাজ করছিলো না, ঠিক করে দিয়ে এসেছেন।
এতক্ষণ কেনো করলেন না? সে প্রশ্ন করে পাল্টা ধমক খেয়েছেন রোগীর ছোট্ট মেয়েটি। অ্যাটেন্ড্যান্টরা তাকে বলেছেন, এটা তার দেখার বিষয় নয়।
আরেক দিন চিরকূটে শ্বাসকষ্টের কথা লেখা দেখে তিনি ছুটে যান ডিউটি চিকিৎসকের কাছে। চিকিৎসক চিরকূট হাতে নিয়ে বলেন, ‘কিছুই পড়তে পারছি না, যান আবার লিখিয়ে নিয়ে আসেন।’
‘একজন মৃত্যুপথযাত্রীকে নিয়ে চিকিৎসকের এই আচরণ স্রেফ মসকরা,’ বাংলানিউজকে বলেন মারিয়া নামের এই তরুণী।
তিনি আরও বলেন, স্কয়ার হাসপাতালে তার বাবাকে ভর্তির পরের মিনিটেই লাইফ সাপোর্টে দেওয়া হয়। তবে প্রথম দিন ব্রিফিংয়ে জানানো হয় তার বাবার অবস্থা স্ট্যাবল। আশঙ্কার কিছু নেই। তাকে কৃত্রিম শ্বাস দিয়ে ফুসফুস বিশ্রামে রাখা হয়েছে। চিকিৎসা চলছে, ফুসফুস ঠিক হলে তাকে আবার নিয়মিত শ্বাস-প্রশ্বাসে আনা হবে।
প্রথম দিকে চিকিৎসকরা তাদের সকল কনফিডেন্টের প্রকাশ দেখালেও পরে তারা আমার বাবাকে নিয়ে বিভিন্ন রকমের পরীক্ষা-নিরীক্ষাই চালিয়েছেন। এমনকি তাকে সোয়াইন ফ্লুর চিকিৎসাও দেওয়া হয়েছে। এর কী কারণ থাকতে পারে আমি জানি না, বলেন মারিয়া।
চিকিৎসা নিয়ে আমি কোনও প্রশ্ন তুলতে চাই না, কারণ আমি চিকিৎসা জানি না, কিন্তু সেবার মান নিয়ে আমি প্রশ্ন তুলতে চাই কারণ এই হাসপাতালে মৃত্যুর আগের ১৭ দিন আমার বাবা সেবা পাননি। আর আমি সেটা বুঝতে পারি, বলেন এই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের লাখ লাখ টাকার বিল আদায় করতে যতটা সক্রিয় ও সতর্ত চিকিৎসা ও সেবার বেলায় ততটাই নিষ্ক্রিয় ও অসতর্ক, বলেন তিনি।


মাহমুদ মেনন, হেড অব নিউজ 2015-05-30 14:40:00

অ্যাডিশনাল কোন ফ্যাক্টর কখনো ফোকাস হতে পারে না

আমার পরিচিত একজন ভাই আছেন , যিনি তার পুরো বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে এক ই মেয়েকে মোট সাতান্নটা চিঠি দিয়েছিলেন ;যার একটা জবাবও তিনি পাননি । ক্যাম্পাসে যতবার তার সাথে মেয়েটির দেখা হত ততবার কোন এক জটিল চিন্তা মেয়েটির মাথায় ভর করত আর উদাস মেয়েটি অন্য কোন দিকে
তাকিয়ে গটগট করে তার পাশ দিয়ে হেঁটে যেত । পাস করার পর অনেক জায়গায় অনেক চাকরির পরীক্ষা দিতে দিতে জুতোর আয়ু খরচ করেছেন , লাভ হয়নি । পুরো দুনিয়ার কাছে
তিনি কিছুই না ।

তারপর ধুপ করে এক সন্ধ্যায় তিনি জানতে পারেন তিনি আর সাধারণ কেউ নন , এমুহুর্ত থেকে তিনি অ্যাসিস্টেন্ট কমিশনার অব পিপলস রিপাবলিক অব বাংলাদেশ , সোজা কথায় ম্যাজিস্ট্রেট। ব্যাস , সবকিছু কেমন বদলে গেল । বন্ধুদের আড্ডায় তাকে বন্ধু কম আর স্যার স্যার টাইপ ট্রীট করা বেড়ে গেল । যে মেয়েটা চিঠির জবাব দিতো না সে ও "congress vaiya,I'm so happy" লিখে মেসেজ দিতে শুরু করলো । আত্মীয় স্বজনদের বাসায় খালি চা এর বদলে সাত আট পদের খাবার আসতে লাগলো ।দ্রুত ঘোর কাটার পর ছেলেটা লাইফকে একবার রিওয়াইনড করে জুম করে দেখে নিল । সাতান্ন চিঠি যে কাজ পারলো না , একটা পদবী সে কাজটা যে শুধু করে দিল তাই না , বরং বলতে গেলে প্লেটে করে সামনে এনে হাজির করে দিল ।

তুমি তোমার লাইফের ফোকাসটা ঠিক করো , অ্যাডিশনাল কোন ফ্যাক্টর কখনো ফোকাস হতে পারে না । শুধুমাত্র আবেগ দিয়ে একটা জীবন কখনোই সাজানো সম্ভব না । বৃষ্টিতে শখ করে ভেজা আনন্দের হতে পারে তবে বাধ্য হয়ে ছাতার অভাবে ভেজা কষ্টের , ভয়ংকর কষ্টের ।তোমার কাছে যখন মধু থাকবে তখন অসংখ্য শুভাকাংখী তোমার খোঁজ খবর নিবে , ভালো মন্দ জানতে চাইবে । এগুলোর অ্যাটিওলজী তুমি না , তোমার কাছে থাকা মধুটা । তাই নিজের কাছে থাকা এই মধুর ডিব্বাটার যত্ন নিও । মনে রেখো , ভোমরার অভাব না থাকতে পারে পৃথিবীতে ,মধূ কিন্তু সবার কাছে থাকে না । কষ্ট করলে ঐ মধু সংগ্রহের জন্য করো , আশে পাশের ভোমরা গুলাকে আটঁকে রাখতে করো না।

এয়ারটেলের অ্যাড দেখে বন্ধুত্ব শিখো না , তাহসান এর নাটক দেখে প্রেম শিখো না । এগুলোতে হাজারটা জ্ঞানের কথা থাকতে পারে , তবে সবার অভিভাবক টাকা কিংবা অবস্থানের কথা কখনো লেখা থাকে না ।

অভিশপ্ত রজনী

  মৃত মেয়েটিকে ধর্ষণ করার সময় মেয়েটি যে জীবিত হয়ে ওঠে সেটা খেয়াল করেনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় কাব্য।ধবধবে সাদা চামড়ার মেয়েটিকে ভোগ করার...