"মেয়েরা তো মায়ের জাত।”...এরকম একটি কথাও প্রচলিত বেশ । মেয়েদের
সম্মান করতে হবে কারণ তারা মা। এখানে ঠিক সম্মান করবার কথাও বােঝানাে হয়
না, যেহেতু কষ্ট করে প্রসব করে তাই তাদের লাথিঝাঁটা দিও না, বেচারাকে
মারধাের না করলেও তো পারো”— ব্যাপারটি এরকম। এখানে মা বলে যে গৌরব করা
হয়েছে, তা অনুমান করি কোনও কন্যার মায়ের গৌরব নয়, বেটা ছেলেদের জন্মের কথা
ভাবা হয়েছে। বেটা ছেলেদের জন্ম দিয়ে মেয়েরা মহৎ কাজ করে, তাই মেয়েদের
একেবারে ছুড়ে না ফেললেও তো চলে... মেয়েদের মায়ের জাত বলবার পেছনে যে টোনটি কাজ করে তা এরকমই।
মেয়েদের সম্মান করাবার জন্য নানারকম যুক্তি টানা হয়, কিন্তু পুরুষকে সম্মান করবার জন্য কোনও যুক্তি টানবার দরকার পড়ে না, মস্তিস্ককে এরকম একটা ধারণা দিতে হয় না যে এরা বাপের জাত, এদের বাপ ভাই-এর মত দেখতে হবে ইত্যাদি। এসব যুক্তির প্রয়োজন হয় না। কারণ মেয়েরা কোনও যুক্তি এবং উদাহরণ ছাড়াই পুরুষকে সম্মান করে, যেহেতু পুরুষেরা ‘মানুষ’, পুরুষকে তারা মানুষের মর্যাদাটুকু দেয়।
নারী মানুষের মর্যাদা পাবে, সে তার নিজের অধিকারেই। পুরুষেরা মা বোন সম্পর্কের কারণে নয়। সেই সম্পর্কের ক্যামোফ্লেজেও নয়।
অনেক বড় বড় বুদ্ধিজীবীও বলেন নারীকে মা এবং বোনরূপে দেখতে। আমি বলি, সম্পর্কের করুণা কেন নারীকে করতে হবে? সে কি কারও মা এবং বােন না হয়েও কেবল মানুষ হয়ে মানুষের পরিচয়ে সম্মান পাবার যোগ্যতা রাখে না? আমরা সবাই জানি নারীর এই অধিকার আছে। যারা তার এই অধিকার খর্ব করতে চায় তারা কেবল লেখাপড়া না জানা মানুষই নয় লেখাপড়া জানা মানুষও ।
প্রতিক্রিয়াশীলদের চেয়ে ভণ্ড প্রগতিশীলদের ব্যাপারে নারীকে সচেতন থাকতে হবে বেশি। মুর্খ পুরুষের চেয়ে ধূর্ত পুরুষ থেকে সাবধান থাকতে হবে। কারণ এরা ধীরে ধীরে নারীকে বিভিন্ন মা-খালা-বোনের খোলসে আবৃত করে ফেলে, এইসব সামাজিক সম্পর্কের বাইরে তার পরিচয় স্বীকার করে না। নারী যেন জন্মজন্মান্তরের মেধাহীন-বুদ্ধিহীন! গোটাকয় সম্পর্কের ফাঁদে ফেলে নারীকে আটার গোলা বানানো হয়। রুটি-পুরি-লুচির মতো সময়-সুবিধামতো নারীকে মা-বোন-খালা ইত্যাদি গড়ে নেওয়া যায়,এতে নারী নামের আটার গোলা নানা আকার হয়ে কেবল সামাজিক তাওয়ায় পোড়ে।
মেয়েদের সম্মান করাবার জন্য নানারকম যুক্তি টানা হয়, কিন্তু পুরুষকে সম্মান করবার জন্য কোনও যুক্তি টানবার দরকার পড়ে না, মস্তিস্ককে এরকম একটা ধারণা দিতে হয় না যে এরা বাপের জাত, এদের বাপ ভাই-এর মত দেখতে হবে ইত্যাদি। এসব যুক্তির প্রয়োজন হয় না। কারণ মেয়েরা কোনও যুক্তি এবং উদাহরণ ছাড়াই পুরুষকে সম্মান করে, যেহেতু পুরুষেরা ‘মানুষ’, পুরুষকে তারা মানুষের মর্যাদাটুকু দেয়।
নারী মানুষের মর্যাদা পাবে, সে তার নিজের অধিকারেই। পুরুষেরা মা বোন সম্পর্কের কারণে নয়। সেই সম্পর্কের ক্যামোফ্লেজেও নয়।
অনেক বড় বড় বুদ্ধিজীবীও বলেন নারীকে মা এবং বোনরূপে দেখতে। আমি বলি, সম্পর্কের করুণা কেন নারীকে করতে হবে? সে কি কারও মা এবং বােন না হয়েও কেবল মানুষ হয়ে মানুষের পরিচয়ে সম্মান পাবার যোগ্যতা রাখে না? আমরা সবাই জানি নারীর এই অধিকার আছে। যারা তার এই অধিকার খর্ব করতে চায় তারা কেবল লেখাপড়া না জানা মানুষই নয় লেখাপড়া জানা মানুষও ।
প্রতিক্রিয়াশীলদের চেয়ে ভণ্ড প্রগতিশীলদের ব্যাপারে নারীকে সচেতন থাকতে হবে বেশি। মুর্খ পুরুষের চেয়ে ধূর্ত পুরুষ থেকে সাবধান থাকতে হবে। কারণ এরা ধীরে ধীরে নারীকে বিভিন্ন মা-খালা-বোনের খোলসে আবৃত করে ফেলে, এইসব সামাজিক সম্পর্কের বাইরে তার পরিচয় স্বীকার করে না। নারী যেন জন্মজন্মান্তরের মেধাহীন-বুদ্ধিহীন! গোটাকয় সম্পর্কের ফাঁদে ফেলে নারীকে আটার গোলা বানানো হয়। রুটি-পুরি-লুচির মতো সময়-সুবিধামতো নারীকে মা-বোন-খালা ইত্যাদি গড়ে নেওয়া যায়,এতে নারী নামের আটার গোলা নানা আকার হয়ে কেবল সামাজিক তাওয়ায় পোড়ে।
No comments:
Post a Comment