Wednesday, 10 January 2018

অতি বিত্তবান কিংবা বিখ্যাত ব্যক্তিদের ব্যাপারে আমরা সব সময় মানসিক ভাবে দুর্বল হয়ে থাকি।

অতি বিত্তবান কিংবা বিখ্যাত ব্যক্তিদের ব্যাপারে আমরা সব সময় মানসিক ভাবে দুর্বল হয়ে থাকি। এটা ঠিক না। বেশ কিছুদিন আগে সাবেক একজন মন্ত্রী আমাদের ড্রাইভার রাজ্জাক ভাইকে বলেছিল ; তুই কেমন আছিস রে রাজ্জাক?
ব্যাস ঘটনা এই খানেই শেষ রাজ্জাক মিয়া এই ঘটনা আজকে ছয় মাস ধরে প্রচার করে আসতেছে। কথায় কথায় কোন ভাবে এই মন্ত্রীর নাম আসা মাত্রই রাজ্জাক মিয়া বলবে ; ফেরেশতার মত মানুষ! এরকম বিনয়ী মানুষ ইহকালে দেখিনি! আমাকে কিনা জিজ্ঞেস করে তুই কেমন আছিস রে!
এই সাবেক মন্ত্রীকে আমি খুব ব্যক্তিগত ভাবে চিনি। তিনি বাসায় যে চা খান সেই চায়ের পাতা আসে দেশের বাইরের বিভিন্ন দেশ থেকে। মোবাইলে লোড করতে হলেও সেই টাকা মানুষ থেকে চাঁদা তুলে নিবে। এই হল ফেরেশতার মত মানুষের বর্ণনা
একজন বড় শিল্পপতি রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় হঠাৎ এলাকার টঙ্গের চায়ের দোকানে বসে এক কাপ চা খেলে প্রচার হবে; বাপরে বাপ! মানুষটার কোন অহংকার নাই! একজন কমিশনার পঞ্চাশ লক্ষ কর্পোরেশনের টাকা হাতিয়ে নিয়ে রাতে বিয়ের অনুষ্ঠানে খাবার পর বাবুর্চিকে এক হাজার টাকা দিলে প্রচার হবে এই লোক স্বর্গ থেকে আসা হাজী মোহাম্মদ মহসিন।
এরকম কেন হয়! কেন একজন ব্যান্ড তারকা ইচ্ছাকৃত মুড ধরে বসে থাকলে প্রচার হবে আইশালা! বসের ভাব কী! ... সালাম !
ব্যক্তিগত ভাবে আমি এরকম অনেক মিউজিসিয়ানকে চিনি যারা ফোন আসলে ইচ্ছে করেই রিসিভ করে না। ফ্রী থাকলেও না! ম্যাসেজ দিলে খুব আগ্রহ নিয়ে পড়ার পর রিপ্লায় দিবে না।
কেন এরকম করে? ভাবের জন্য।
পৃথিবী বিখ্যাত বড় মাপের মানুষদের খোঁজ আমি রাখি। বিশ্বাস করুন; এরা মানুষকে ভালবাসে। কৃত্তিম চরিত্র তৈরি করার মত হাস্যকর কাজ করে না।
এদেশের অনেক সমস্যা আছে। সাদা চামড়ার বিদেশী দেখলেই এরা গোল হয়ে দাড়িয়ে যায়।
বিদেশী কি করে... এগুলা দেখে খুব মজা পায়, আর ভাবে ইশ! এরা কতই না সুখে আছে! পাজেরো থেকে কেউ নামলে আড়চোখে তাকায়! অতি সূক্ষ্ম আড়চোখ! আপনে নিজেও টের পাবেন না।
এরকম কেন হয়!
ছেলে বেলা আমি দেখেছি আমাদের এলাকার কমিশনার যখন রাস্তা দিয়ে হেঁটে যেত, আমার সব বন্ধু উঠে দাড়িয়ে উনাকে সালাম করত। আমার সমস্যা সেই পিচ্চি বয়স থেকেই ছিল। আমি সালামের দিকে যেতাম না।
কেন? আমি কি বেয়াদব? বড়দের সন্মান করব না?
জী... অবশ্যই সন্মান করব। কমিশনার সাহেব ছাড়াও ঐ রাস্তা দিয়ে অনেক মুরুব্বী হেঁটে যেত... অনেক নিরীহ ভাল মানুষ অবেলায় বসে থাকত... আমার বন্ধুদের তাদেরকে দাড়িয়ে সালাম দিতে দেখিনি।
আমাদের সমস্যা হল আমরা বড়দের সন্মান করি না... সন্মান করি ক্ষমতাকে। জ্ঞানীকে না ; বিখ্যাতকে... এর থেকেও বড় সমস্যা হল এই কাজটা যে আমরা করি এটা আমরা জানি না।

No comments:

Post a Comment

অভিশপ্ত রজনী

  মৃত মেয়েটিকে ধর্ষণ করার সময় মেয়েটি যে জীবিত হয়ে ওঠে সেটা খেয়াল করেনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় কাব্য।ধবধবে সাদা চামড়ার মেয়েটিকে ভোগ করার...