Thursday, 24 December 2020
নদী কথা- নরসুন্দা নদী বা নাগচিনি নদী
নদী কথা- ইছামতি নদী।
নদী কথা- গোমতী নদী।
নদী কথা- কুমার নদ
নদী কথা- কর্ণফুলী নদী
কর্ণফুলী
নদী বাংলাদেশ-ভারতের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী। এটি বাংলাদেশের
দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের একটি প্রধান নদী। নদীটির বাংলাদেশ অংশের দৈর্ঘ্য ১৬১
কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৪৫৩ মিটার এবং এর প্রকৃতি সর্পিলাকার। বাংলাদেশ পানি
উন্নয়ন বোর্ড বা "পাউবো" কর্তৃক কর্ণফুলী নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর হলো
পূর্ব-পাহাড়ি অঞ্চলের নদী নং ০৩।
কর্ণফুলী নদী ভারতের মিজোরামের
মমিত জেলার শৈতা গ্রাম (লুসাই পাহাড়) হতে শুরু হয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম ও
চট্টগ্রামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে চট্টগ্রামের পতেঙ্গার কাছে
বঙ্গোপসাগরে মিলিত হয়েছে। এই নদীর মোহনাতে বাংলাদেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর
চট্টগ্রাম বন্দর অবস্থিত। এই নদীর দৈর্ঘ্য ৩২০ কিলোমিটার। রাঙ্গামাটি
জেলার বরকল উপজেলার থেগা নদীর মোহনা বা ঠেগামুখ হতে বড় হরিণার মুখ পর্যন্ত
এই ৬ কিলোমিটার কর্ণফুলী ভারত বাংলাদেশের সীমানা নির্ধারণ করেছে। এই ছয়
কিলোমিটার নদীর ডান পাশে ভারত এবং বাম পাশে বাংলাদেশ।
১৮৮৩ সালে
কর্ণফুলীর মোহনায় সৃষ্টি হয় লুকিয়া চর। ১৮৭৭ সালে জুলদিয়া চ্যানেল।
জুলদিয়া চ্যানেলটি আড়াই মাইল দীর্ঘ এবং দেড় মাইল প্রশস্ত। ১৯০১ সাল থেকে
১৯১৭ সালের মধ্যে পতেঙ্গা চ্যানেলটি জুলদিয়া চ্যানেল থেকে প্রায় দেড়
হাজার ফুট পশ্চিমে সরে যায়। হালদা নদীর সাথে কর্ণফুলীর সংযোগ স্থলে আছে
বিশাল চর। যা হালদা চর হিসাবে পরিচিত। নদীর প্রবাহের কিছু অংশ নাজিরচর
ঘেঁষে, কিছু অংশ বালু চ্যানেলের মধ্যে দিয়ে এবং কিছু মুল স্রোত হিসেবে
প্রবাহিত হচ্ছে। ১৯৩০ সালে কালুরঘাট রেলওয়ে সেতু নির্মাণের আগে নদীর মূল
প্রবাহ প্রধানত কুলাগাঁও অভিমুখে বাম তীর ঘেষেই প্রবাহিত হত। কালুরঘাট সেতু
হওয়ার পর সেতুর ডান দিকে আরও একটি প্রবাহের মুখ তৈরি হয়। ফলে নদীর মাঝ
পথে সৃষ্টি হয় বিশাল একটি চর- যা কুলাগাঁও চর নামে পরিচিত।
কর্ণফুলী
নদীর উপর বাঁধ দিয়ে রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলায় কাপ্তাই বাঁধ তৈরি
করা হয় ১৯৬৪ খ্রীস্টাব্দে। এই বাঁধে সঞ্চিত পানি ব্যবহার করে কাপ্তাই
জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হয়।
কবি ওহীদুল আলম ১৯৪৬
সালে কর্ণফুলীর মাঝি নামে একটি কাহিনী-কাব্য রচনা করেন। ঔপন্যাসিক,
প্রাবন্ধিক, কবি আলাউদ্দিন আল আজাদ ১৯৬২ সালে রচনা করেন তার উপন্যাস
কর্ণফুলী। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম তার কবিতায় লিখেছেন,
“ ওগো ও কর্ণফুলী
তোমার সলিলে পড়েছিল কবে কার কানফুল খুলি
তোমার স্রোতের উজান ঠেলিয়া কোন তরুণী, কে জানে
সাম্পান নায়ে ফিরেছিল তার দয়িতের সন্ধানে। ”
এছাড়াও চট্টগ্রামী ভাষার গানে এবং লোক-সংস্কৃতিতে এই নদীর প্রভাব অনেক। চট্টগ্রামী ভাষার ক’টি জনপ্রিয় গান,
১. ছোড ছোড ঢেউ তুলি পানিত ছোড ছোড ঢেউ তুলি
লুসাই ফা-রত্তুন লামিয়ারে যারগই কর্ণফুলী’।
২. ‘ওরে সাম্পানওয়ালা,
তুই আমারে করলি দিওয়ানা’।
নদী কথা- যমুনা নদী।
নদী কথা- মগড়া নদী।
নদী কথা- করতোয়া নদী
নদী কথা- মাতামুহুরী নদী।
নদী কথা - বেতনা নদী বা বেত্রাবতী নদী
নদী কথা- পাগলা নদী।
নদী কথা- বিষখালী নদী
নদী কথা- বাঙালি নদী।
নদী কথা- চিত্রা নাদী
নদী কথা- হালদা নদী
নদী কথা- বংশী নদী।
Tuesday, 17 November 2020
বিয়ে খুবই একটা ইন্টারেস্টিং জিনিস তবে আমার কাছে এইটাকে ইন্টারেস্টিং এর থেকেও বেশি রহস্যময় মনে হয়!!
বিয়ে খুবই একটা ইন্টারেস্টিং জিনিস তবে আমার কাছে এইটাকে ইন্টারেস্টিং এর থেকেও বেশি রহস্যময় মনে হয়!!
নোয়াখালীর ছেলে বাইডেন
সে নাকি নোয়াখালীর রত্ন
আপনি জানেন কী হাট্টিমাটিম’ আসলে ৫২ লাইনের একটি ছড়া, চার লাইনের নয় l
নদী কথা- রূপসা নদী
নদী কথা - মধুমতি নদী
গোপালগঞ্জের উপর দিয়ে প্রবাহমান মধুমতি নদী (কুষ্টিয়ার উত্তরে হার্ডিঞ্জ ব্রিজের ১৯ কিলোমিটার ভাটিতে তালবাড়িয়া নামক স্থানে গড়াই নদীর উৎপত্তি। এই গড়াই নদী অনেক পথ অতিক্রম করে মধুমতি নাম নিয়ে মাগুরা, ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জ জেলার সীমানা বরাবর প্রবাহমান। মধুমতি নদী পদ্মার একটি শাখা নদী এবং বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ নদীর একটি। মধুমতি নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে অনেক জনপদ। এক সময় নদীতে প্রচুর পরিমাণ মাছ পাওয়া যেত এবং মাছ আহরণ করে এ অঞ্চলের মানুষ জীবীকা নির্বাহ করত তাই এই নদী তীরবর্তী অনেক জেলে পল্লী লক্ষ্য করা যায়। মধুমতি নদীর ইলিশ খুব সু-স্বাদু। ইলিশ মাছের পাশাপাশি বড়বড় রুই, কাতলা, আইড়, বাঘাইড়, চিতলসহ অনেক প্রজাতির কচ্ছপ পাওয়া যেত। বর্তমানে নদীর নাব্যতা ও গভীরতা কমে যাওয়ায় মাছের পরিমাণ বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছে। নদী তীরবর্তী মৎস্যজীবীরা অনেক কষ্টে জীবনধারণ করছে তারা মাছ ধরার পাশাপাশি অন্যান্য পেশায় আত্মনিয়োগ করছে। মধুমতি তীরবর্তী অঞ্চল খুব উর্বর এবং ফসল উত্পাদনের জন্য অনকূল। এখানে ধান পাটসহ অর্থকরী ফসল প্রচুর পরিমাণ ফলে। মধুমতির দৈর্ঘ্য ১৩৭ কিলোমিটার, প্রস্থ ৫০০ কিলোমিটার এবং গভীরতা প্রায় ১০.৫ মিটার।একসময় সুন্দরবন অঞ্চল থেকে বাওয়ালীরা এই নদী দিয়ে মধু সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করত। এই নদীর নামকরণ নিয়ে কথিত আছে- এ নদীর সুমিষ্ট জল বা মধু বহনকারী নদী বলে এই নদীর নাম হয়েছে মধুমতি । একসময় এ নদীতে বিভিন্ন ধরনের রঙ বেরঙের পালতোলা নৌকা দেখা যেত। মাঝি-মাল্লারা ভটিয়ালি, ধূয়া গানসহ বিভিন্ন ধরণের গান গাইতে দেখা যেত। নদীটির প্রবাহপথে যেসব গুরুত্বপূর্ণ স্থান রয়েছে সেগুলো মধ্যে মাগুরা জেলা মোহাম্মদপুর উপজেলা, ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারি, আলফাডাঙ্গা উপজেলা, নড়াইল জেলার লোহাগড়া ও কালিয়া উপজেলা, গোপালগঞ্জ জেলা শহর, গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোবরা ইউনিয়নের গোবরা মালোপাড়া, টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতী, বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট, চিতলমারী ও কচুয়া উপজেলা। পূর্বে নড়াইল জেলার ইতনা, ধলুইতলা ও বড়দিয়া, গোপালগঞ্জ জেলার মানিকদাহ, গোপালগঞ্জ লঞ্চঘাট, গোবরা লঞ্চঘাট, বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট স্টিমার স্টেশন ও লঞ্চ ঘাট ছিল। আজ আর স্টিমার চলে না। লঞ্চ মাঝেমধ্যে দেখা যায় তবে ইঞ্জিনচালিত নৌকা, পণ্যবহনকারী নৌযান সারা বছর চলে। প্রতিবছর কিছু কিছু পরিবারের ঘর-বাড়ি, ফসলী জমি এই নদীগর্ভে বিলীন হয়। নড়াইল জেলার মহাজন গ্রাম সম্পূর্ণ বিলীন হয় নদী ভাঙনে। বর্তমান সে নাব্যতা দেখা যায় না। ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোবরা ইউনিয়ন ও বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাটকে মিলাতে নদীর উপর নির্মিত হয়েছে মোল্লাহাট সেতু।মধুমতি নদীকে নিয়ে বহু কবিতা, গান ও চলচিত্র নির্মিত হয়েছে।
নদী কথা- ডাকাতিয়া নদী
বাংলাদেশ-ভারতের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী। নদীটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের চাঁদপুর ও কুমিল্লা জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ১৪১ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৬৭ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা "পাউবো" কর্তৃক ডাকাতিয়া নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের নদী নং ০৭।
ডাকাতিয়া নদী মেঘনার উপনদী। নদীটি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পাহাড় থেকে উৎপন্ন হয়ে কুমিল্লা জেলার বাগসারা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে এবং পরবর্তীতে চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুর জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। নদীটি কুমিল্লা-লাকসাম চাঁদপুর হয়ে মেঘনা নদীতে মিশেছে। যা লক্ষ্মীপুরের হাজিমারা পর্যন্ত বিস্তৃত। দৈর্ঘ্য-২০৭ কিলোমিটার। মেঘনা নোয়াখালীতে প্রবেশের পর ডাকাতিয়া নাম ধারণ করেছে। যার দক্ষিণের অংশ নোয়াখালী খাল হিসেবে প্রবাহিত। চাঁদপুর থেকে এই ডাকাতিয়া নদী যোগ হয়েছে কুমিল্লার গোমতীর সঙ্গে ইহা ২৩০.২০ অক্ষাংশে এবং ৯১০.৩১ দ্রাঘিমা (২৩ ডিগ্রী ২০ মিনিট অক্ষাংশে এবং ৯১ডিগ্রী৩১ মিনিট দ্রাঘিমা) বিস্তৃত। যা বামদিকে দক্ষিণে প্রবাহিত হয়ে ফেনী নদীতে মিশেছে।
সম্ভবত এই নদী দিয়ে মগ-ফিরিঙ্গি জলদস্যুরা নোয়াখালী ও কুমিল্লা জেলায় প্রবেশ করতো। এই নদীতে তাদের মাধ্যমেই ডাকাতি হতো। ডাকাতির উপদ্রবের কারণে নদীটির নাম ডাকাতিয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। তৎকালীন কলকাতাস্থ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাউন্সিলের পক্ষে কোর্ট অব ডিরেক্টর সভার কাছে ১৭৫৮ খ্রিষ্টাব্দের ১০ জানুয়ারি পেশকৃত একটি চিঠির মাধ্যমে জলদস্যুদের উপদ্রবের চিত্র পাওয়া যায়। সেখানে লেখা হয়:
“Being advised from Lakshmipur that the Maghs and other robbers are making depredations in their neighbourhood and that they are apprehensive that they attempt our factory itself which is in no state of defece we have ordered the gentlemen at Dacca to send part of their sepoys to Lakshmipur and shall supply them from hence with a few pieces of cannon and ammunition. Vide liong's selections from the unpublished records of the government. Letter No. 276, p.116.”
ডাকাতিয়া নদীর নামকরণ নিয়ে লোকমুখে আরেকটি মতামত শোনা যায়, একসময় ডাকাতিয়া নদী তীব্র খরস্রোতা ছিল। মেঘনার এই শাখা নদী ডাকাতিয়ায় মেঘনার উত্তাল রূপ ফুটে উঠত। ফলে ডাকাতিয়ার করালগ্রাসে নদীর দুই পাড়ের মানুষ সর্বস্ব হারাত। ডাকাতিয়া পাড়ি দিতে গিয়ে বহু মানুষের সলিল সমাধিও ঘটেছে। ডাকাতের মতো সর্বগ্রাসী বলেই এর নাম হয়েছে ডাকাতিয়া।
অভিশপ্ত রজনী
মৃত মেয়েটিকে ধর্ষণ করার সময় মেয়েটি যে জীবিত হয়ে ওঠে সেটা খেয়াল করেনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় কাব্য।ধবধবে সাদা চামড়ার মেয়েটিকে ভোগ করার...
-
একবার সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলি একটি স্টেশনারী দোকানে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, 'ডায়মন্ড বল পেন আছে?' সেলসম্যান মুখের উপ...
-
জন্মদিনে কেকের উপর মোমবাতি জ্বালানো একটি পুরোনো রীতি , যেটা শুরু হয়েছিল অনেক বছর আগে প্রাচীন গ্রীকে। তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী ,...