Monday, 16 November 2020

নদী কথা- খলিশাডাঙ্গা নদী


নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার বৃহত্তর নদী খলিসাডাঙ্গা। নদীর দৈর্ঘ্য ১৭ কিমি। এই নদী নাটোর জেলার লালপুর ও বাগাতিপাড়া উপজেলা দিয়েও প্রবাহিত হয়েছে। খলিশাডাঙ্গা নদীটি এক সময় অত্যন্ত গভীর ছিল এখানে অনেক মাছ পাওয়া যেতো । এখান থেকে মাছ আহরন করে অনেক জেলে পরিবার তাদের জীবিকা নির্বাহ করতো কিন্তু বর্তমানে নদীর গভীরতা কমে যাওয়ায় বর্ষাকালেও পানি থাকে না। যাহার কারনে এখন আর বেশি মাছ পাওয়া যায় না। এভাবে যদি আর কয়েক বছর চলতে থাকে তাহলে এই নদী ভরাট হয়ে তার গভীরতা হারাবে পানি পাওয়া যাবে না। এ খানে কোন মাছ উৎপাদন হবে না, এবং সর্বপরি প্রচুর পরিমান পানি না থাকার কারনে কৃষি ভৃত্তিক এই অঞ্চলটি মরুভূমীতে পরিনত হবে। সেচ কার্যাদী পরিচালনা করতে না পারলে ফসর উৎপাদন হবে না এবং কৃষিতে তা ব্যপক প্রভাব পরবে। তাই সরকার যদি এই নদীটাকে একটু খনন কাজ করে গভীরতা তৈরী করে তাহলে নদী তীরবর্তী প্রায় ৪৩ হাজার জনগন উপকৃত হইবে। এছাড়াও পচা বড়াল প্রায় ৩কিঃমিঃ মরা বড়াল প্রায় ১৫কিঃমিঃ এলাকায় বেষ্টিত, নদী মাতৃক উপজেলা হিসাবে পরিচিত এই উপজেলা। উত্তর এলাকার পানি নিস্কাশন কল্পে চিনিডাঙ্গা বিল হইতে মরা বড়াল নদী হয়ে একটি নতুন খাল(প্রায় ৫কিঃ মিঃ) খনন করে খলিশাডাঙ্গা এবং চিকনাই নদীর সঙ্গে সংযোগ করা হইয়েছে যাহা কাটা গাঙ্গ হিসাবে পরিচিত। সাতইল এবং চিনিডাঙ্গা বিলের অংশবিশেষ নগর ইউনিয়নে অবস্থিত। ঠেঙ্গামারা,বোয়ালিয়া, পাতিয়ার, চাড়ালের বিল সহ আরও কয়েকটি বিল আছে। উক্ত স্থানে মৎস্য অভয়ারণ্য প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য একটি প্রকল্পের কাজ চলছে। এই নদী খাল বিলে বর্ষার শেষ সময় প্রচুর মৎস্য পাওয়া যায়, প্রায় চারশত মৎস্যজীবি পরিবার উক্ত মৎস্য আহরণ করিয়া এলাকার চাহিদা পুরণ শেষে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রয় করিয়া জিবিকা নির্বাহ করিয়া থাকে।

উল্লেখ্য, আমার নিজ বাড়ি এই নদীটির পাড়েই। 

No comments:

Post a Comment

অভিশপ্ত রজনী

  মৃত মেয়েটিকে ধর্ষণ করার সময় মেয়েটি যে জীবিত হয়ে ওঠে সেটা খেয়াল করেনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় কাব্য।ধবধবে সাদা চামড়ার মেয়েটিকে ভোগ করার...