Tuesday 22 August 2017

একটি স্বপ্নের বর্ণনা, আবেগ ও ইশারা




অপরাধ শরীরে রেখে ঘুমাতে পারিনা; বেহাল জমিন ক্ষুব্ধ নায়িকা স্বপ্নের দেশ কব্জা করেছে তার তুষ্টি নেই বিচ্যুত শব্দের বলিদানে, বিকশিত আবেগের প্রতি অধীর হিংসায় তাকিয়ে আছে- পাতালঘর থেকে চিলেকোঠার দৈর্ঘ্য মাপছে, তাচ্ছিল্যে; দেহভঙির নগ্নতা, নারাজ একটিও বন্ধ কপাটের খেদ রেখে দিতে, তার অবিরাম জেদের বিচ্ছুরনে ভীত এই উন্মোচিত দালান- যদিও নিখাদ সন্ত্রাস হুহু বেড়েই চলেছে, কম্পনের উৎস হয়েও সেই দেবী সদর দরজার কাঠ খুলে চলে যেতে উদ্যত, অবশিষ্ট করাল ঘৃণায় ছিঁড়ে নাড়ি, বিভক্ত হবে মহাকম্প ভয়ের জননী- শুষে নিয়েছিল হয়তো সম্ভাব্য কুহকগুলো নিবিড় রাত্রির, যেসব কূট ডাক অবহেলা করে আমরা ঘুমাই; আমার তীব্র রাত্রিকে ছঁইয়ে সকালেই, তার অস্পষ্ট স্মৃতি মিশে গেল বিস্ময়ের বিষণ্ণ অসীমে- যাবৎ স্মৃতিরা যেখানে থাকে
যত্তোসব মারমুখী শৃঙ্খলার তেজ নিয়ে, সে, নতুন মনসা, আমাকে চাঁদবনিকের কোঁকড়া শৈশব দিতে চেয়েছিল, যাতে আমার স্থাণ হয়- প্রতিদ্বন্দী প্রণয়ী কল্পে- লৌকিক কথায়- ভবিষ্য কবিতায়
জানিনা কেন শীবমন্দিরেও নামকীর্তন, ধ্যানের বদলে হুহু হুল্লুড়ে ঢুলে?- নীল বিষ্ণু আর অতিনীল মনসার নীলিম আঁতাতের প্রয়াস-বিষে? হতে পারে আমার সন্দেহ ক্ষমাহীন ভুল, তবু আমি নিজেই আমার স্বপ্নের রচয়িতা- সেখানে তারা ছিল; স্বপ্নধূলিতে লিপ্ত হয়েও সেখানে আমি ছিলাম না, কোথায় আমি ছিলাম তাহলে- কোন অজাত ঊষার সাথে প্রায় নীরব কথোপকথনে!?!


No comments:

Post a Comment

অভিশপ্ত রজনী

  মৃত মেয়েটিকে ধর্ষণ করার সময় মেয়েটি যে জীবিত হয়ে ওঠে সেটা খেয়াল করেনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় কাব্য।ধবধবে সাদা চামড়ার মেয়েটিকে ভোগ করার...