সত্য ঘটনা অবলম্বনে...
আমার জীবন টার কঠিন সময় শুরু
হয় বিয়ের পর থেকে।
আর ৫, ১০ টা মেয়ের মতোই বিয়ে
হয় শশুর বাড়ি যায়।
আমি সেই বউ যে আমি নিজের শশুর
এর ধারা সেক্সচুয়ালি অপমান হয়েছি।
আমি জানি না নিজের শশুর এর দ্বারা
কেউ এমন হয়েছে কিনা। আমি আজ আমার নিজের জীবনি বলছি কারন যাতে অন্যেরা শিক্ষা নিতে পারে৷
আমার চুপ থাকা টায় আমার কাল
হয়েছিলো।
বিয়ের পর শশুর বাড়িতে যায়।বর
আমার বিয়ের পর থেকেই ভালো। ভালো বলতে সে শহরে কাজের সূত্রে থাকতো আর আমি গ্রামে থাকতাম
শশুর শাশুড়ী কে নিয়ে।
আমার ১ টা জা ছিলো সে বিষ খেয়ে
মারা গেছে আর সেজন্য আমার ভাসুর এর জেল হয়ছে ১৪ বছর এর জন্য।
আমার বর মাসে আসতো ১ বা ২ দিন
থেকে চলে যেতো। তার মধ্যে গ্রামে আসতো অনেক কাজের জামেলা থাকতো। যে ২ দিন থাকতো সারাদিন
বিভিন্ন কাজে বিজি।রাতে আসতো ক্লান্ত হয়ে ২ টা খেয়ে কোনো রকম ঘুমাতো আমার ও তাকে বিরক্ত
করতে ভালো লাগতো না কারন আমি দেখি সারাদিন সে কত বিজি থেকে। মাঝে মাঝে শারীরিক সম্পক
হতো। আবার কোনো মাসে হতেও না।
এই হচ্ছে আমার ভালো থাকা আর
আমার ভালো বর আপনারাই বুজে নেন।আমি তেমন গরীবের মেয়ে না হলে ও লোকলজ্জা আর সামাজিকতার
ভয়ে কিছু কখনও বলতাম না। কারন আমার পরিবারে শিক্ষা টা ছিলো যা হোক তুমি সবুর করবা আর
আল্লাহ কে
ডাকবে সুখ জীবনে অবশ্যই আসবে।
আর মেয়েরা বিয়ের পর এমনিতেই
বাবা মায়ের বোজা হয়ে যায়।
বিয়ের পর থেকেই খেয়াল করতাম
আমার শশুর আমার দিকে যেন কিভাবে তাকায়। ব্যাপারটা ভালো না লাগলেও বলতাম বাবা হয়ত ওনার
তাকানো টাই এমন।
আমার শশুর আমার সাথে কথা বলতো
অথচ ওনার চোখ থাকতো আমার বুকের দিকে। আমি ওনার সামনে একদম শালীন ভাবেই থাকতাম।
পুকুরে গোসল করতেছি ওনি দেখা
যেতো পুকুর ঘাটে বিভিন্ন কাজের অযুহাতে আসতো।
আমি আমার শাশুড়ি কে কথার ছলে
নানা রকম ভাবে বুজিয়ে বললেও ওনি কিছু বলতো না।
আমার শশুর বিভিন্ন অযুহাতে সবসময়
আমার গায়ে হাত দিতো ওনি বেশির ভাগ সময়ই আমাকে জড়িয়ে ধরতো।
অনেকেই খারাপ ভাবে নিবেন যে
শশুর জড়িয়ে ধরতেই পারে।
আসলে আমরা মেয়ে কোনটা ভালো উদ্দেশ্য
জড়িয়ে ধরা আর কোনটা এমনি সেটা আমাদের ভালো জানা আছে।
আমার বর বাড়ি আসলে তাকে বললে
সে আমাকে নানা রকম কথা বলতো আর বলতো তোমার মাইন্ড এত খারাপ কেন আমার বাবা সম্পর্ক এগুলো
কি বলো।
হেন তেন হাবিজাবি বলতো আমি ও
আর কিছু বলতাম না।
একবার বাড়িতে কেউই ছিলো না।
আমার শশুর ও না।
ওনি আমার শাশুড়ির সাথে বোনের
বাড়িতে গেছে।
ওমা ২ ঘন্টা পর দেখি আমার শশুর
চলে আসছে৷
আমি আমার রুমে কি একটা কাজ করতে
ছিলাম।
আমার শশুর পিছন থেকে জড়াই ধরে।
ছি বলতে ও লজ্জা করতেছে।
ওদিন আমি ওনাকে বলছি বাবা আমি
আপনার ছেলের বউ আপনার মেয়ে।
ওনি তারপর ও মানে নাই। আমাকে
মারে অনেক আমি যখন হাতাহাতি করতে ছিলাম। তারপর ওনার চাহিদা মিটিয়ে আমাকে গালি দিয়ে
বলে কাউকে বললে তোর খবর আছে..
শশুর যখন চা *হিদা শেষ করে আমার
গায়ের উপর থেকে উঠে। আমি তখন দৌড়ে রান্না ঘরে যায় আর ব *টি টা নিয়ে আসি তাকে কো* প
দেও য়ার জন্য।কিন্তুু তার শ *ক্তির সাথে পেরে উঠি না।
সে আমার হাত ধরে ফেলে আর আমার
চু *ল ধরে বলে কাউকে যদি বলিস আমার চেয়ে খা *রাপ কেউ হবে না। সংসার করতে দিবো না।
আপনারা হয়ত জানেন যে একটা মেয়ে
কখনও একটা পু *রুষের শ *ক্তির সাথে পেরে উঠে না।
তারপর আমার শাশুড়ি আসে। আর আমি
সারাদিন মন ম *রা হয়ে থাকি আমার বরের অপেক্ষাই বর আসলে সব বলবো।
কিন্তুু ওইদিন এর পর থেকে আমার
শশুর সবসময়ই আমাকে শা *সিয়ে যায়। যাতে কাউকে আমি কিছু না বলি আর আমি ও ভয় পা *য়। কাকে
বলবো আমি। কেউ বিশ্বাস করবে না আমার কথা।
এর পর থেকে আমার শশুর নানা অযুহাতে
আমার শ: *রীরে হাত দিতো। আর আমার শা *শুড়ীর সামনে ও আমার শাশুড়ি কিছুই বলতো না।
২৮ দিন পর আমার বর আসে। বর এসেই
বিজি নানান কাজে কথা বলার ও সময় পায় না। ২ দিন থেকেই চলে যায়।
আর যাওয়ার সময় আমায় বলে আমার
বাবাকে দেখো সে তোমার বাবার মত। তার আবদার পুরন করো সে আর কয়দিন বাঁচবে।
আমি আমার বরকে ও বলতে পারলাম
না আর এদিকে আমার কাছে আমার শশুর বাড়িটা দো *যখ খানা।
আমার বর চলে যাওয়ার পর আমার
শশুর রাতে আমার রুমে আসে। আর আমার মুখটা শ *ক্ত করে ধরে। আমি চিৎকার করতে চেয়ে ও পারি
নী। কিভাবে পারব বলুন তার সাথে কি পেরে উঠি।
আমি তাকে কোনো রকম খামছিয়ে আমার
উপর থেকে উঠায় আর ধাক্কা দি। আসলে ওই আমারই ভুল হয়েছে আমি রুমের দরজা বন্ধ করি নী।
সকাল বেলা অহেতুক আমার শশুর
কে ভাত দিতে দেরি হওয়াই উনি আমাকে আমার শাশুড়ির সামনে মা *রে।
বলে মন কোথায় থাকে। আসলে রাতের
বেলার ঘটনাটার জন্য তিনি আমায় এই অহেতুক ঘটনা টার জন্য মারে।
রাগ করে এক কাপড়ে শুধু বোরকাটা
পরে বাপের বাড়ি যায়।
বাপের বাড়ি গিয়ে দেখি দুপুরে
খাবার ভাত টুকু ও নেই। আমার ছোট ছোট ভাই বোনরা কান্না করতেছে।
আমি যাওয়ার পর ভাই বোনরা আমাকে
জিজ্ঞেস করতেছে আপু কি আনছো আমাদের জন্য আমরা কাল রাতে ও কিছু খাই নি।
ওদের কথা শুনে নিজের কস্ট গুলো
নিমিষে ভুলে গেলাম।
আকাশের দিকে তাকিয়ে আল্লাহ কে
বললাম হাই আল্লাহ এটাই কি আমার নিয়তি।
কেন আমাদের উপর এত অবিচার।
বিকেল বেলা মা অন্য বাড়ি থেকে
কাছ করে ১ কেজি চাউল আনলো। আমি ভাত রান্না করলাম।
তখন মাগরিব পার হলো। বাড়ির পিছন
থেকে আমার ছোট বোন কচু আনলো কচু রান্না করলাম।
আমি রাতে দরজা না খোলার কারনে
সকালে আমার শশুর আমাকে যাতা বললও বিভিন্ন কাজের অযুহাত দিয়ে।
আমি ও বললাম বাবা আজ রাতে খোলা
রাখবো। তারপর আমার শশুর আর কিছু বললও না।
বিকালের দিকে দেখলাম আমার বর
আসলো। সাথে বোরকা পড়া একটা মেয়ে।
মেয়েটা খুব সুন্দরি আমার চাইতে
ও খুব বেশি সুন্দর।
আমি কিছু বললাম না চুপচাপ আছি।
আমার শশুর শাশুড়ী জিজ্ঞেস করলো
মেয়েটা কে?
তখন আমার বর বললও
আব্বা বিয়ে করছি ৩ মাস আগে।
এখন বাড়ি আসছি।
আমার শশুর আর শাশুড়ী বললও কোথা
কার মেয়ে কে আর আমাদের না বলে এটা কি করলি।
পরে দিয়ে আমার শশুর শাশুড়ী অনেক
ঝামেলা করে।
আর আমি অনেক কান্না করি। আসলে
যার বর ২য় বিয়ে করে সে জানে কস্ট কতো টা।
তাও নিজের সামনে যখন বউ আরেকটা
আনে।
আমার বর আমায় বললও এই শুনো তুমি
পাশের ঘরটা একটু গুছিয়ে দিবা।
বিশ্বাস করেন কসম তখন আমার বুকটা
কস্টে ফেটে যাচ্ছি লো।
আমি একটা শব্দ ও করিনি।
আমি রুম টা গুছিয়ে দিলাম তাদের
খেতে দিলাম। তারা খেলো।
আমার শশুর শাশুড়ীর রুমে গেলো
আমার বর তাদের কি বুজালো আমি জানি না তবে তারা আগে থেকে একটু নরম হলো।
রাতের বেলা আমি আমার রুমে একা
ঘুমালাম। ঘুম আমার আসে নি সারা রাত কেঁদেছি নামাজে।
আসলে কস্ট টা বুজবে না যার বর
বিয়ে আরেকটা করে পাশের রুমে নতুন বউকে নিয়ে ঘুমায় সে বুজবে কস্ট টা।
আমার ইচ্ছে করতে ছিলো ওই রাতেই
মরে যায়। কিন্তুু যা হোক না কেন মৃত্যুকে আসলেই ভয় পায়।
সকালে উঠলাম ৫ টা বাজে গ্রাম
হওয়াই বাথরুম বাহিরে বাথরুমে যাওয়ার সময় দেখলাম আমার বরের ২য় বউ গোসল করতেছে।
তখন কলিজাটা ছিড়ে যাচ্ছিলো।
আমি আগুন দিলাম চুলায় নাস্তা
বানালাম। হাঁস-মুরগিকে ছাড়লাম খাবার দিলাম।
উঠোন ছাড়ু দিলাম এগুলো করতে
করতে সকাল ৮ টা বেজে গেলো।
কোনো কাজ করতে ইচ্ছে করছিলো
না তাও করলাম।
শাশুড়ী আমায় বললও ছেলেরা এমন
করে সমস্যা নাই।
আমি ও বললাম আপনার বর করলে বুজতেন।
আমার বর আর বরের ২য় বউ উঠলো
১০ টা বাজে নাস্তা টেবিলে দিলাম কিন্তুু কোনো কথা বললাম না।
দুপুরের রান্না করলাম।
দুপুরের দিকে আমার বর রান্না
ঘরে এসে আমায় বলতেছে
শোনো কখনও তোমায় আমি অবহেলা
করবো না। তুমি ও থাকো মাসে ৩ দিন তোমার কাছে যাবো।
আমি বললাম আপনার দরকার আর আমার
জীবনে নেই আপনি মারা গেছেন।
আর কিছুই বললাম না।
অনেক কাঁদলাম আর ভাবলাম গরীবের
মেয়ে যাওয়ার তো কোনো জায়গা নেই কয় যাবো।
বাপ মায় তো ২ টা খেতে দিতে ও
পারবেনা ঘরে ছোট ছোট ২ টা ভাই বোন।
নিজেকে নিজের সাথে যুদ্ধ করে
বাঁচতে হবে।
আমার শশুর আমাকে শান্তনা দিলো।
আমি ও বললাম বাবা সমস্যা নাই
আপনি আছেন তো।
তারপর বর আমার ৭ দিন থেকে বউ
নিয়ে শহরে চলে যায়।
তার সাথে আমার দরকার ছাড়া কথাই
হতো না।
এদিকে বিভিন্ন কৌশলে আমি আমার
শশুর থেকে টাকা হাতিয়ে নিতাম।
সময় যায় আমার একাকিত্ব বেড়ে
যায়।
আমার বরের ২য় বিয়ের ৮ মাস পর
আমার শাশুড়ি মারা যায়।
আমার শশুর একা হয়ে যায় তখন আমি
তাকে সঙ্গ দিতাম।
বাড়িটা ছিলো আমার শশুর এর নামে।
আসলে কি জানেন আমরা অল্পতে ধৈর্য্য
হারিয়ে ফেলি। এটা ঠিক না আমি মনে করি।
তখন আমার পরিকল্পনা হয় আমার
শশুর এর কাছ থেকে বাড়িটা আমার নামে নিয়ে ফেলি।
কিন্তুু আমার শশুর কোনো রকমই
বাড়িটা আমাকে দিবে না।
আমি ও বিভিন্ন ছলে বলে কৌশলে
বাড়িটা আমার নামে নিয়ে ফেলি।
আর আমার শশুরের কিছু জায়গা জমিন
ছিলো। সেগুলো ও বিভিন্ন কৌশলে আমার বরের অজান্তে বিক্রি করাই আমার শশুরকে দিয়ে। আর
টাকা গুলো নিজে হাতিয়ে দি
মোটামুটি প্রায় ২০ লাখ টাকার
মতো হাতিয়ে নি৷
একটা কথা বলি নিজের জীবন থেকে
বলছি বাঁচতে হলে বাঁচার মতো বাঁচবেন৷
কারো জন্য মরবেন না। তবে যার
জন্য নিজের জীবন শেষ করবেন অবহেলা সহ্য করবেন তাকে ছলে বলে কৌশলে শেষ করবেন। তার আগে
নিজে শেষ হবে না।
আমার শশুর আমার মৌহে এত বিভোর
হয়ছে য সবসময় বলত উনাকে বিয়ে করতে। একটা বাচ্চা নিতে।
কিন্তুুু আমি সবসময় এগুলো এড়িয়ে
যাই। ইদের ছুটিতে আমার বর তার বউকে নিয়ে বাড়ি আসে।
বাড়ি আসার পর আমার বর আমায় বলে
কি ব্যাপার এত সুন্দর হয়ে যাচ্ছো।
আমি বললাম তাহলে কি আপনার চিন্তায়
মরে যাবো। সে রাতে আমার বর আমায় কাছে চাইলো। আমি ধরা দিলাম না। রাতে দরজা ও খুললাম
না।
বরের ২য় বউ আমার সাথে কথা বলতে
চাইলে আমি তেমন একটা কথা বলতাম না।
রেঁধে বেড়ে তাদের খাওয়াতাম।
তারা ১৫ দিন ছিলো এই ১৫ দিন
আমার শশুর এর সাথে কোনো সম্পক হয়নি।
এর মধ্যে তারা আবার চলে যায়।
আমি আমার শশুরকে বলি আমার বাবার বাড়ি যেতে ইচ্ছে করতেছে কি করবো।
কয়দিন গিয়ে থেকে আসি।
আমার শশুর বললও আচ্ছা আমি ও
যাবো চলো।
তারপর কয়েকদিন আমার শশুর এর
সাথে বিছানাই যেতাম না।
রাগ আর মন খারাপ করে রাখতাম।
তিনি জিজ্ঞেস করলে বললাম আমাদের
বাপের বাড়ির ঘরটা অনেক ভাঙা বৃষ্টি হলে পানি পড়ে।
ভালো লাগেনা এত কস্ট
তখন আমার শশুর বলে আচ্ছা আমি
ঠিক করে দিবো। পরে দিয়ে আমার শশুর সেমি পাক্কা ঘর বেঁধে দেয়। আর আমি ও বাড়িটা নিজের
নামে লিখি নি।
আমি যদি তা না করতাম তাহলে আমাকে
অকাদনে কাদতে হতো।
তার মধ্যে আমি অনেক স্মার্ট
হয়ে গেলাম শশুর এর টাকায় ভালো ভালো জামা কাপড় কিনতাম। অনেক গহনা বানাতাম আর সাজতাম
অনেক।
আমার শশুর তো সবসময় আমাকে বউ
ডাকতো।
বলে রাখি শশুর আর বলব না তার
নাম সবুর।
তাকে আমি নাম ধরে ডাকা শুরু
করলাম।
সবুর এর সাথে আমি শহরে গেলাম
আমার বর এর বাসায়।
আমরা বিকেলে ডাক্তার দেখানোর
নাম করে বেড়াতে যেতাম৷
একবার আমরা আখতারুজ্জামান মার্কেট
যাওয়ার সময় এক আপা মাথা ঘুরাই পড়ে যায়।ওখানে মেয়ে বলতে আমি ছিলাম পরে দিয়ে উনাকে পানি
দি আর ছায়ায় বসায় আর একটু যত্ন করে সাহায্য করি।
উনি অনেক ভালো মানুষ ছিলো ওনি
ওনার নাম্বার আমায় দেয় আর আমাকে বোন ডাকে।
আমি উনার নাম্বার যত্ন করে রেখে
দি হয়ত পরে কাজে আসবে মনে করে।
বরের বাড়ি ৩ দিন থাকার পর চলে
যায় গ্রামে। শশুর এবার উঠে পরে লাগে বিয়ে করার জন্য।
আমি ও বলি করব। বাড়িটা বেচে
আমরা অন্য কোথাও বাড়ি করব।
তারপর আমার শশুর বাড়িটা বিক্রি
করে ফেলে ২৫ লাখ টাকায়।
যাদের কাছে বাড়ি বিক্রি করি
তাদের কাছ থেকে সাত দিন সময় নেওয়া হয় আমরা বলি সাত দিন পর বাড়ি ছেড়ে দিবো।
আমার শশুর বাড়ি বিক্রির টাকা
ঘরে এনে রাখে।
আমি দুপুর এর দিকে আমার শশুর
কে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে রেখে টাকা গুলো সহ গহনা সহ ঘর থেকে অচেনা উদেশ্য বেরিয়ে
পরি।
রাতে বা খুব ভোরে বের হতে পারতাম
কিন্তুু তখন টাকা নিয়ে বের হওয়াটা রিস্ক এর ব্যাপার ছিলো।
টাকা গুলো ব্যাংকে জমা দিলাম।
আর ব্যাংক এত গুলো টাকা দেখার
পর জিজ্ঞেস করে কোথায় পাইছি তখন জায়গা বিক্রির কাগজ দেখায়।
পুরো ২৫ লাখ টাকা থেকে ২০ হাজার
টাকা নিজে রেখপ বাকি গুলো জমা দিয়ে ফেলি।
তারপর শহরে ওই আপাটা বাসায় উঠি।
আর উনাকে টাকা পয়সার ব্যাপারে
কিছু বলি না।
উনাকে নিজের দুঃখোর কথা বানিয়ে
বানিয়ে বললাম উনি খুব আফসোস করলো।
উনার বাসায় অনেক লোকের যাতায়াত
দেখতাম সবসময়। আপাটাকে বললাম আপা আমাকে একটা চাকরির ব্যবসথা করে দিবেন।
উনি বললও একটা কাজ করবি টাকা
দিবো।
আমি বললাম কি বলে তোকে একটা
প্যাকেট দিবো তুই প্যাকেট টা জায়গা মত দিয়ে আসতে পারলে ৫০০ টাকা।
আমি তো শহরের কিছু চিনি না কিভাবে
যাবো।
ঠিক আছে সমস্যা নাই একদিন গিয়ে
চিনাই দিয়ে আসবো।
উনি তারপর চিনাই দিয়ে আসলো।
আর উনি সবসময় বলতো লোকাল বাসে চড়বি সবসময়। আমি তাইহ করতাম।
প্যাকেট টা একটা ছেলের হাতে
দিয়ে আসলাম। ছেলেটা ৪ হাজার টাকা দিলো। আপাকে ৪ হাজার টাকা দিলাম আর উনি ৫০০ দিলো আমায়।
পরে উনি আমায় বললও প্যাকেট টা
হিরোইনের।
আর এই কাজ করলে অনেক টাকা পাওয়া
যায়
ধীরে ধীরে আমি ও নেশার জগতে
ডুকে গেলাম।
এর মধ্যে আমি ইংরেজি পড়তে জানি
না।
আপা টা একটা স্কুলে উন্মুক্ত
ভর্তি করাই দিলো।
কারন এ লাইনে একটু পড়তে জানতে
হয়।
সময় যায় আর আমি ও মাদক ব্যবসায়ী
হয়ে উঠে।
আপাটা আমায় সব শিখিয়ে দেয়।আর
উনি ও নিজের ইচ্ছেই এইহ লাইনে আসে নি। উনার জীবনের গল্প টা আরো ভয়াবহ।
এর মধ্যে ২০০৮ সালে হিরোইন দিতে
গিয়ে আমি পুলিশ এর হাতে ধরা খায় আপা টা ৩ দিন পর ছুটাই আনে।
সময় তার গতিতে চলে।
আমি ও পড়ালেখা ছাড়লাম না।
মোটামুটি অনেক টাকা কামায় আমি।
মাল নিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায়
যায়।পুলিশ এর চোখ ফাঁকি দিয়ে। কিন্তুু পুলিশ ধরতে পারেনা।
আর এই খানে পুলিশ দের সাথে ও
হাত থাকে। পুলিশ দের ও মাসে একটা বড় অংকের টাকা দিতে হয়। না হলে ব্যবসা করা যাবে না।
এর মধ্যে আমি ও মাঝে মাঝে মদ
টদ খায়।
আমার জীবন টা এখন অন্য রকম চলার
ফেরা সব অন্য রকম। ২০১২ সালে একটা নিজের গাড়ি কিনি।
কোনো রকম অনার্সটা কমপ্লিট করি।
তাও সেটা টাকা আর আমার হ্মমতার
জোরে পাশ করি।
জীবনে একা থাকা যায় না। বিয়ের
আর কোনো ইচ্ছা নেই। কিন্তুু তার পরেও দিন শেষে একাকিত্ব ভীড় করে।
এই লাইনে অনেক পুরুষ এর সাথে
পরিচিত হয়।
আর এই লাইনে বেশির ভাগ মানুষই
সমাজের উচ্চ পযার্য়ের মানুষ।
কারন এই লাইনে সহজে গরীবরা আসতে
পারে না। আর তাদের তো শুধু ব্যবহার করা হয়।
এই লাইনে যারা আছে তারা উচ্চ
পযার্য়ের মুখোশধারী মাফিয়ার।
আর সবাই বিদেশে সেটেল৷ কারন
দেশে কিছু হলেই তারা বিদেশে গা ঢাকা দেয়।
কোট কোটি টাকা কামিয়েছি।কিন্তুু
পাপের পথের টাকা কোন দিক দিয়ে আসে আর কোন দিক দিয়ে যায় কেউ বলতে পারে না।
২০১৬ তে খবর পেলাম সবুর মানে
ওই শশুর কে তার ছেলে মেরে কিছু রাখে নি। তার ছেলে তাকে দেখে না কারন জায়গা সমপওি সব
বিক্রি করে ফেলছে তাই।
সে এখন একজনের গোয়াল ঘরে থাকে
কথাটা শুনে খুব খারাপ লাগলো আর এটা ভাবলাম জীবনে ছেলে মেয়ে রেখে কি লাভ সামান্য সমপওির
জন্য নিজের বাবাকে দুরে ঠেলে দেয়।
অনুশোচনা থেকে সবুর এর খবর নিলাম।
তিনি অনেক অসুস্থ ঠিক মতো খেতেও পারেনা৷
তাকে শহরে আমার কাছে নিয়ে আসলাম।
সে আমায় দেখে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দিলো।
আমি তাকে ডাক্তার দেখালাম৷ সুস্থ
করে তুললাম৷
আর তার গ্রামে একটা জায়গা দেখে
আগের চেয়ে বড়ো ৬০ লাখ টাকা দিয়ে একটা বাড়ি কিনে দিলাম। কিন্তুু বাড়িটা আমার নামেই কিনালাম।
২০১৬ তে শেষের দিকে একজন শীর্ষ
রাজনৈতিক নেতা খুন হয়।
আর সেটার সাথে খুব বাজে ভাবে
আমার নাম জড়িয়ে যায়।আর আমাকে মার্ডার কেসের ১ম আসামি করে ডিবি আর সেনাবাহিনী আমার নামে
মামলা করে।
তখন আমি পালিয়ে আফ্রিকা চলে
আসলাম। আর এখানে আসার পর এক বাঙালি কে বিয়ে করি ২০১৭ তে আলহামদুলিল্লাহ খুব সুখে আছি
আমি এখন ৭ মাসের গর্ভবতী।
দোয়া করবেন আমার জন্য
পরিশেষে এটাই বলব বাঁচলে বাঁচার
মত বাঁচবেন না হলে বিষ খেয়ে মরে যান।
এই পৃথিবী লড়াই হ্মেএর।
এখানে যে লড়াই করে বাঁচতে পারবে
সে টিকে থাকবে৷
ভয় পাবেন না এগিয়ে যান আর মনোবল
শক্ত রাখবেন৷
কোনো কিছু নিয়ে কস্ট পাবেন না
উল্টো কস্ট দিয়ে মারবেন।
আমি পাপী আমি খারাপ আমি সেটা
জানি কিন্তুু সময় আমায় খারাপ হতে বাধ্য করেছে।
দোষ আমার না আমার ভাগ্যর।
আর আমার জীবনে ওই ঘটনা না ঘটলে
আমি কখনও আজ এত সুখি হতাম না।
আমার সুখ আমি নিজে অর্জন করেছি।
আল্লাহ সহায় ছিলো।
No comments:
Post a Comment