Tuesday 5 November 2019

বাইক বা গাড়ির নাম্বার প্লেটের ক, খ, হ, ল ইত্যাদি অক্ষরগুলো কি অর্থে ব্যবহৃত হয়

আমরা হয়তো অনেকেই জানি না যে, বাইক বা গাড়ির নাম্বার প্লেটের ক, খ, হ, ল ইত্যাদি অক্ষরগুলো কি অর্থে ব্যবহৃত হয়।
BRTA-এর অনুমোদিত সকল যানবাহনে নাম্বারপ্লেট ব্যবহারের নিয়ম চালু হয় ১৯৭৩ সালে। আসলে এই নাম্বার প্লেট কি অর্থ বহন করে? নাম্বারপ্লেট অনেক মজার তথ্য বহন করে, যা আমাদের অনেকেরই ধারনা নেই।
বাংলাদেশের যানবাহনগুলোর নাম্বারপ্লেটের ফরম্যাট হচ্ছে- ‘শহরের নাম-গাড়ির ক্যাটাগরি ক্রম এবং গাড়ির নাম্বার’।
যেমন, ‘ঢাকা মেট্রো য-১১২৫৯৯। এখানে, ‘ঢাকা মেট্রো’ দ্বারা বোঝানো হয়েছে গাড়িটি ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার আওতাধীন।
‘য’ হচ্ছে শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গাড়ির চিহ্নকারী বর্ণ। অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আওতাধীন সব গাড়ি ‘য’ বর্ণ দ্বারা চিহ্নিত করা হবে। পরবর্তী ‘১১’ হচ্ছে গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন নাম্বার এবং ‘২৫৯৯’ হচ্ছে গাড়ির সিরিয়াল নাম্বার।
সাধারণত বাংলা বর্নমালার ‘অ, ই, উ, এ, ক, খ, গ, ঘ, ঙ, চ, ছ, জ, ঝ, ত, থ, ঢ, ড, ট, ঠ, দ, ধ, ন, প, ফ, ব, ভ, ম, য, র, ল, শ, স, হ অক্ষরগুলো ব্যবহার করা হয়। উপরের প্রতিটি বর্ণ আলাদা আলাদা গাড়ির পরিচয় বহন করে।
চলুন জেনে নিই এগুলো দ্বারা কী বুঝায় –
ক – ৮০০ সিসি প্রাইভেটকার
খ – ১০০০-১৩০০ সিসি প্রাইভেটকার
গ – ১৫০০-১৮০০ সিসি প্রাইভেটকার
ঘ – জীপগাড়ি
চ – মাইক্রোবাস
ছ – মাইক্রোবাস / লেগুনা (ভাড়ায় চালিত)
জ – বাস (মিনি)
ঝ – বাস (কোস্টার)
ট – ট্রাক (বড়)
ঠ – ডাবল কেবিন পিকআপ
ড – ট্রাক (মাঝারী)
ন – পিকআপ (ছোট)
প – ট্যাক্যি ক্যাব
ভ – ২০০০+ সিসি প্রাইভেটকার
ম – পিকআপ (ডেলিভারী)
দ – সি এন জি (প্রাইভেট)
থ – সি এন জি (ভাড়ায় চালিত)
হ – ৮০-১২৫ সিসি মোটরবাইক
ল – ১৩৫-২০০ সিসি মোটরবাইক
ই – ট্রাক (ভটভটি)

আমার আকাশে একাই থেকে যাব আমি!

তারাবাতি আর জ্বলবে না!!
তামাক পাতা কেও ধরাবে না!!
পাখি উড়বে না!!
সে আমারে আমার হতে দিবে না!!
দুশো ছ রাত ঘুম হবে না!!
ধুলাবালির মত মুছে যাব আমি!!
আমার আকাশে একাই থেকে যাব আমি!

আমি অকৃপন ভেসে যাই তোমার গভীরে !

এসেছো?
দাঁড়াও দুহাতে আকাশকে ধরে
আমি অকৃপন ভেসে যাই তোমার গভীরে !
চলে যাবে?
যাও তবে বিছানা মাড়িয়ে
বালিশের মৃতদেহ,
পড়ে থাক কাভার ষ্টোরিতে l

কাশেম চাচার মোমবাতি

পূর্ব রাজাবাজারে একাটা মুদি দোকানের মালিক কাশেম চাচা, গত ৩০ বছরের দোকানি তার। কেউ কোন দিন তাকে তার দোকান ছাড়া অন্য কোথাও দেখেনি। বয়স ৭০ ছুঁইছুঁই । আজ ও ভোর হতেই সবার আগে দোকান খুলে বসেছেন তিনি। কিন্তু অবাক ব্যপার হল সাত সকালেই পাশের বাসার ছোট ৯/১০ বছরের অর্চি আজ তার প্রথম খরিদ্দার। এসেই বলল নানা মোমবাতি দেও, না না একটা না এক প্যকেট। কাশেম চাচা বুঝে পান না যে এত সকালে এই মেয়ে মোমবাতি দিয়ে কি করবে? তাছাড়া গত মাসেই তো তার জন্মদিন গেল।
এত মোমবাতি দিয়ে কি করবে?
ও তুমি বুঝবেনা।
কিছুক্ষণ পরেই এলেন রাহেলা বেগম, মহিলা অঙ্গন নামে তার একটা ছোট দর্জি দোকান আছে রাজাবাজারে। সেও এসেছে মোমবাতি নিতে। চাচা ভাবলেন রাত জেগে হয়তো সেলাই এর কাজ করতে হবে, কারেন্ট চলে গেলে যেন বসে থাকতে না হয় হয়তো তার পূর্ব প্রস্তুতি।
কিন্তু তার ঘণ্টা খানেক পরে যখন অপর্ণা বউদি গেলেন মোমবাতি আনতে তখন কাশেম চাচার অবাক হবার ই কথা। সবাই কেন মোমবাতি কিনছে আজ? আজ তো হিন্দুদের দীপাবলি ও না । এবার কিন্তু সে বুদ্ধি খাটিয়ে বেশ চড়া দামেই বিক্রি করলেন। কারনটা না বুঝলেও সহজেই বুঝে ফেললেন আজ মোমবাতির ব্যপক চাহিদা আছে ।
সকাল ১০ টায় সেখানে লাঠিতে ভর দিয়ে ঠুকঠুক করে হাতড়ে হাতড়ে পৌঁছালেন জন্মান্ধ আজিজ সাহেব। মেইন রোডেই তার ৬ তলা বিল্ডিং। সবার খুব শ্রদ্ধেয় তিনি। তিনিও যখন মোমবাতি চাইলেন তখন দোকানি কাশেমের মুখ থেকে বেফাঁস কথা বেরিয়ে যায়-
আপনি তো চোখে দেখেন না, মোমবাতি জ্বালিয়ে কি করবেন?
মুহূর্তেই বুঝে গেলেন কি ভুল তিনি করেছেন। কারন ততক্ষণ এ আজিজ সাহেবের অন্ধ দু চোখে থেকে জল গড়িয়ে পরেছে।
তিনি বলতে লাগলেন অন্ধ বলে আজ তুমিও আমাকে অবহেলা করলে? আমি যে তোমাদের ই একজন। আমারোতো ইচ্ছে হয় সবার মত আজ আমিও মোমবাতি জ্বালি। আমি জানি এ শুধু মোমবাতি নয় এ আমাদের চেতনার প্রজ্জলন। আর চেতনা মানেই ৫২, চেতনা মানেই ৬৯, চেতনা মানেই ৭১। নব প্রজন্ম আজ নব চেতনার ডাক দিয়েছে। আজ বাংলার মাটিতে নতুন চেতনার উন্মেষ ঘটেছে। এ চেতনার একবিংশের ,২০১৩ আজ তেমনই ইতিহাস হতে চলেছে কাশেম। আমি আমার বড় ছেলে কে হারিয়েছি ৭১ এ।
কাল যেন ও আমার সুপ্নে এসে ও বলে গেল-- আমার সোনার বাংলা আজ খাঁটি সোনা হতে চলেছে বাবা। বল কাশেম শহীদের পিতা হয়ে আমি কিভাবে চুপ থাকি? তাই তো শাহাবাগের ডাকে প্রতিটি শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আজ আমিও মোমবাতি জ্বালাবো সন্ধ্যা ৭ টায়।
কাশেম চাচার চোখ দুটিও ভিজে এলো, সহসাই মনে পরে গেল গ্রামের বাড়ির বন্ধু কমলেশের কথা । সেও যুদ্ধে যাবার আগে কাশেমকে বলেছিল স্বাধীনতা না নিয়ে সে আর ফিরবেনা। কিন্তু কথা রাখেনি কমলেশ, সে আর ফিরে আসেনি। স্বাধীনতা পেলেও প্রিয় বন্ধুকে ফিরে পাওয়া হয়নি তার।
এবার কিন্তু মোমবাতির বাড়তি দাম আর তিনি রাখলেন না।
প্রতিদিনের মত ভিক্ষুক রমিজের মা দোকানের সামনে দাড়াতেই তিনি ১ টাকার একটি কয়েন বের করে দিলেন। কিন্তু রমিজের মা আজ তার কয়েন না নিয়ে বরং হাতে ২ টাকার ৩ টা নোট দিয়ে বললেন-
আইজ ভিক্ষা চাইতে আহিনাই ভাইজান, সকাল থেক্কা ফার্মগেট এর মোড়ে দাঁড়াইয়া এই কডা টাহা পাইছি। ক্ষিদায় টিকবার না পাইরা ৫ টাহার অ্যাটটা রুডি কিনা খাইছি। দেহেন তো এই টাহায় মোমবাতি হইব কিনা। আমিও মোমবাতি জালামু।
কাশেম চাচার কমলেশের স্মৃতি আর চোখের জল তখনো মুছে যায়নি। তিনি এবার রমিজের মায়ের কাছ থেকে কোন টাকাই আর নিলেন না। দুটো মোমবাতি এমনিতেই দিয়ে বললেন-
এর জন্য তোমায় টাকা দিতে হবেনা । টাকা ফিরিয়ে দিয়ে তিনি রমিজের মাকে আজ আদর করে দোকানের কলা রুটি খাওয়ালেন। বললেন সন্ধ্যায় মোমবাতি জ্বালানোর সময় শহিদদের কথামনে করো॥॥

সন্দেহ

সন্দেহের ভাইরাস একটা মানুষকে কতোটা কাবু করতে পারে চোখের সামনে দেখি৷ পরিচিত এক দম্পতির জীবন পুরাই ছারখার সন্দেহের ভাইরাসে৷ স্ত্রীটি মনে করেন পতিধন চাকরি বাকরি বাদ দিয়ে সারাক্ষণ পরনারীদের নিয়ে বিজি থাকে৷ পতিধনটির ধারনা তিনি যখন অফিসে থাকেন স্ত্রীটি পরপুরুষের সন্ধানে বেড়িয়ে পড়েন৷ ফলে পাড়ার মুদির দোকান থেকে শুরু করে পান বিড়িওলার কাছে মিনিটে কল দিয়ে তাকে আপডেট থাকতে হয় বউ কোথায় যায় না যায় সে বিষয়ে৷
একবার বসুন্ধরার কাছে কলেজ লাইফের এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সাথে দেখা ৷ আমরা একসময় বিড়ির শেষাংশ শেয়ার করেছি, একসাথে পর্বত সিনেমা হলে এক টিকেটে দুই ছবি দেখতে গেছি৷ দেখা হবার পর বন্ধুটি 'আরিশ্লা কি খব্বর' বলে করমর্দন করল, তারপর ওয়ালেট থেকে ভিজিটিং কার্ড বের করে হাতে ধরিয়ে দিল৷ পিছনে ছিল তার সুন্দরী স্ত্রী ও বাচ্চা ৷ আমি বাচ্চাকে হাই বলে যেই না 'ভাবি কেমন আছেন' বলে দাঁত বাইর করতে গেছি সে বাচ্চাকে ছোঁ মেরে কোলে উঠিয়ে, বউকে প্রায় ঠেলতে ঠেলতে প্রস্থান করল ৷ ঐটুকু সময়ের মধ্যে তার বউয়ের সাথে চোখ টেপাটেপি, প্রেম অতঃপর পালিয়ে যাওয়ার মতো কোনো সুযোগ সেখানে ছিল না তাও সে কেনো এমন করলো আজো ব্যাখ্যা পাই না৷
সন্দেহ মানুষকে ছাগল বানিয়ে দেয়৷ যে অমুলক সন্দেহের শিকার সেও হতাশায় ছাগলে বিবর্তিতে হতে শুরু করে৷ সম্প্রতি হুমায়ুন আহমেদের নাম বসিয়ে দেয়া একটি বাণী নিউজফিজে ঘুরে বেড়াচ্ছে তা হলো, 'পৃথিবীতে যে তোমাকে বেশি সন্দেহ করবে বুঝে নাও সে তোমাকে তার জীবনের চাইতে বেশি ভালবাসে।' খুবই লেইম কথা সন্দেহ নেই, কিন্তু সন্দেহের ঠেলায় যাদের লাইফ তামা তামা তারা এই কথা স্মরণ করে কিছুটা হলেও সান্ত্বনা পেতে পারে৷

বিস্মৃতির অতলে একদিন সব হারিয়ে যাবে, যতোটা হারালে আর খুঁজে পাওয়া যায় না!

অবহেলা / বিশেষ্য / অবহেলন; অবজ্ঞা, উপেক্ষা; অনায়াস, অযত্ন; অবলীলা, অনাদর৷ /অব + হেড্ + অন /৷ বিশেষন/ অবহেলিত ৷
অভিধান খুলে 'অবহেলা' শব্দের এইসব অর্থ পাই৷ অবহেলিতের কাছে এই শব্দগুলো বিশেষ কোন অর্থ বহন করে না৷ অবহেলা অনুধাবন করার জিনিষ, বর্ণনার না৷ দেরিদা দেখিয়েছেন মুখের ভাষা এবং হাতের লেখা দুই বাইনারি অপজিট, যেখানে মুখের ভাষা সেন্ট্রাল ও প্রাকৃতিক, এবং হাতের লেখা মার্জিনাল এবং কৃত্রিম। লেখা ও মুখের ভাষার বাইরে আরেকটি ভাষা আছে, হৃদয়ের৷ সেখানে বলা হচ্ছে অবহেলা মানে জিঘাংসা৷ বি. বধ করার বা হত্যার ইচ্ছা।
ধীরে ধীরে হলেও বুঝতে শিখেছি, এইভাবে আমাদের সবকিছু অতীত হয়ে যাবে ৷ বিস্মৃতির অতলে একদিন সব হারিয়ে যাবে, যতোটা হারালে আর খুঁজে পাওয়া যায় না!

বুঝলে বুঝ পাতা,না বুঝলে তেজপাতা



একবার সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলি একটি স্টেশনারী দোকানে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, 'ডায়মন্ড বল পেন আছে?'
সেলসম্যান মুখের উপর বলে দিলো, 'নেই!'
চলে যাচ্ছিলেন। একটু পর নিজেই ফিরলেন। সৈয়দ মুজতবা আলি তাদের বোঝালেন, সেলসম্যানশিপ কি? যখন তিনি জিজ্ঞেস করেছিলেন, ডায়মন্ড বলপেন আছে কি, তাদের বলা উচিত ছিল ডায়মন্ড বলপেন নেই তবে পাওয়ার, সুলেখা, ব্রাইট ইত্যাদি আছে। ক্রেতাকে বিকল্প না দেখিয়ে বিদেয় করা ঠিক নয়। সেলসম্যান লজ্জিত হলো এবং কিছু শিখলো।
কিছুক্ষন পর সাহিত্যিক অন্নদাশংকর রায় এসেছেন। জিজ্ঞাসা করলেন, 'টয়লেট পেপার আছে?'
সৈয়দ মুজতবা আলির দীক্ষিত সেলসম্যান উত্তর দিলেন, 'টয়লেট পেপার একটু আগে শেষ হয়েছে।
তবে শিরীষ কাগজ আছে, দেবো?'
______©
কিছু বুঝলেন?
বুঝলে বুঝ পাতা,না বুঝলে তেজপাতা😊

কৌতুকময় জীবন


গতকাল এক বন্ধুকে বলছিলাম, হাসির কথা আর হাস্যকর কথা এক নয়। তারপর এল কৌতুক আর কৌতুকাভিনেতাদের কথা। তবে বন্ধুর সাথে কথা বলে অবাক হয়েছিলাম এমনটা জেনে, কৌতুকাভিনেতাদের দিকপাল ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়কে ও চিনে না।
আজ আপনাদেরকে আমার পছন্দের কৌতুকাভিনেতা সম্পর্কে একটু বলব।
বাংলা ভাষাভাষী কৌতুক অভিনেতাদের মধ্যে আমার প্রথম পছন্দ ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর জহর রায়, তুলশি চক্রবর্তী, টেলি সামাদ, দিলদার, কাঞ্চন মল্লিকসহ আরো অনেকে। অবশ্য কিছু জাত অভিনেতার অনিয়মিত কৌতুক অভিনয়ও আমার বেশ ভালো লেগেছে। তাদের মধ্যে উৎপল দত্ত, হুমায়ুন ফরীদি, এটিএম শামসুজ্জামান, শঙ্কর চক্রবর্তী, রুদ্রনীল ঘোষ অন্যতম।
এখনকার চিত্র অবশ্য পাল্টে গেছে। আফজাল শরীফ, কাবিলা, এজাজুল, হারুন কিসিঞ্জার, চিকন আলীদের কৌতুকাভিনয়ে আমার মধ্যে কোনো চমক জাগে না। সত্যি বলতে এপার বাংলার বর্তমান কৌতুক অভিনেতাদের অভিনয় দেখলে রীতিমতো রাগ হয়। একি অভিনয়, নাকি অ-বিনয়? ওদের অশিক্ষা, অপেশাদার আচরণ আর ভাঁড়ামি দেখে হাসির বদলে ভেতরে ভেতরে বিরক্তি কাজ করে।
ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে একটু বলি—
ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় [২৭ আগস্ট, ১৯২০-৪ মার্চ, ১৯৮৩] ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বাংলা চলচ্চিত্রের অত্যন্ত জনপ্রিয় অভিনেতা। বিশেষ করে বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে হাস্যকৌতুকময় অভিনয়ের ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন অগ্রগণ্য। চলচ্চিত্রে আসার আগে ছিলেন সাম্যময় বন্দ্যোপাধ্যায় নামে পরিচিত। ঢাকা, পূর্ববঙ্গ অর্থাৎ বর্তমান বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাই উনাকে ‘ঢাকার ভানু’ বলা হতো।
ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুইটা কথোপকথনময় কৌতুক শেয়ার করছি আপনাদের সাথে।
ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় চাকরির জন্য তার গুরুদেবের কাছে যায়—
কৌতুক- ১
ভানু : গুরুদেব পেন্নাম।
গুরুদেব : পেন্নাম নয়, কথাটা প্রণাম। একটা র-ফলা দাও।
ভানু : ভেম হইয়া গেছে।
গুরুদেব : ভেম নয়, ভ্রম। এটাতেও র-ফলা লাগবে।
ভানু : বাহ বাহ। পেত্তেক কথায় র-ফলা লাগবে?
গুরুদেব : পেত্তেক নয়, প্রত্যেক। এটাতেও র-ফলা দাও।
ভানু : ব্রেশ ব্রেশ।
গুরুদেব : এটাতে আর র-ফলা দিও না।
ভানু : না, দ্রিমু য্রখন ত্রখন স্রবট্রাটেই দ্রিমু।
গুরুদেব : বেশ তাই দিও। এখন বলো তোমার দিদি কেমন আছে?
ভানু : আপনার আশীর্বাদে সকলেই ভালো আছে।
গুরুদেব : তোমার হাতে ওটা কী?
ভানু : এটা, এটা এক জোড়া স্যান্ডেল। আসনের সময় দিদি কিনা দিছিল।
গুরুদেব : বাহ্‌, বাহ্‌ চমৎকার পাদুকা তো। বেশ দেখতে কিন্তু।
ভানু : গুরুদেব আপনি নিবেন? যখন আপনার পছন্দ হইছে। নেন না।
গুরুদেব : না না, সে কী, তোমার পাদুকা আমি নেব কেন? লোকে বলবে কী?
ভানু : আরে না, কেউ জানতেই পারব না। আপনারে দিয়া আমি ধন্য হই।
গুরুদেব : না না। কেউ যদি জিজ্ঞাসা করে তোমার পাদুকা কোথায়? তখন কী বলবে?
ভানু : না না। কেউ জিজ্ঞাসা করব না। আর একান্তই যদি কেউ জিজ্ঞাসা করে, তখন কমু, কুত্তায় লইয়া গেছে।
গুরুদেব : অ্যা?................ সে হোক, শোনো তোমার দিদি আমাকে তোমার চাকরির কথা লিখেছিলেন। যাও ওই উল্টো দিকের ঘরে কর্নেল চ্যাটার্জি আছেন। গিয়ে দেখা করো।
ভানু : ইংরেজিতে কথা কইবো না তো?
গুরুদেব : না না। বাঙালি। ইংরেজি কথা বলবেন কেন?
ভানু : মাইরদর করব না তো?
গুরুদেব : না না। তুমি নির্ভয়ে যাও।
কৌতুক- ২
কর্নেল চ্যাটার্জি : কে? হুজ দেয়ার?
ভানু : কাম সারছে। আইজ্ঞা আমি ঢাকার ভানু।
কর্নেল চ্যাটার্জি : ও হা, গুরুদেব তোমার কথা বলেছিলেন বটে। তা তুমি যুদ্ধে যেতে রাজি আছো তো?
ভানু : আইজ্ঞা হ।
কর্নেল চ্যাটার্জি : বাংলাদেশের বাইরে পাঠালে যেতে রাজি আছো তো?
ভানু : আইজ্ঞা হ।
কর্নেল চ্যাটার্জি : ভারতবর্ষের বাইরে পাঠালে যেতে রাজি আছো তো?
ভানু : চাকরির লাইগা দেখেন, আমি সৌরজগতের যেকোনো জায়গায় যাইতে রাজি আছি।
কর্নেল চ্যাটার্জি : বেশ বেশ বেশ। তাহলে তোমাকে মিলিটারিতে ভর্তির ব্যবস্থাই করে দেবো।
ভানু : তবে যুদ্ধে যাইতে হলে আমার দুইখান কথা আছে।
কর্নেল চ্যাটার্জি : কী কথা?
ভানু : যুদ্ধে যদি আমি মরি। বিদেশে মরলে কোনো কথা নাই। কিন্তু যদি নিজের দেশে মরি তবে দুইখান কথা আছে।
কর্নেল চ্যাটার্জি : নিজের দেশেই মরবে।
ভানু : আইজ্ঞা নিজের দেশে যদি মরি, আমার দেহ থাকব কই? মাটির উপরে নাকি মাটির তলে? মাটির উপরে থাকলে কোনো কথা নাই। যদি তলে থাকে তবে দুইখান কথা আছে।
কর্নেল চ্যাটার্জি : মাটির তলাতেই থাকবে।
ভানু : সেই মাটি যে চাষ হইব, লাঙল দিয়া হইব নাকি ট্রাক্টর দিয়া হইব? যদি লাঙল দিয়া হয় তবে কোনো কথা নাই, ট্রাক্টর দিয়া হইলে দুইখান কথা আছে।
কর্নেল চ্যাটার্জি : ট্রাক্টর দিয়াই হবে।
ভানু : আইচ্ছা। ট্রাক্টর দিয়া হইলে আমার দেহ, অর্থাৎ কঙ্কাল তো ওইঠা আইব। সেই কঙ্কাল পাঠান হইব কই? ফার্টিলাইজারে নাকি কাগজের কলে? যদি ফার্টিলাইজারে পাঠান হয় তবে কোনো কথা নাই, আর যদি কাগজের কলে পাঠানো হয় তবে দুইখান কথা আছে।
কর্নেল চ্যাটার্জি : কাজগের কলেই পাঠান হবে।
ভানু : বেশ। সেই কাগজ দিয়া, অর্থাৎ আমার হাড়ের গুড়া দিয়া কী কাগজ তৈরি হইব? রাইটিং পেপার নাকি টিস্যু পেপার। যদি রাইটিং পেপার হয়, কোনো কথা নাই। আর যদি টিস্যু পেপাপ হয় তবে দুইখান কথা আছে।
কর্নেল চ্যাটার্জি : টিস্যু পেপারই হবে।
ভানু : বেশ কথা। সেই টিস্যু পেপার পুরুষে ব্যবহার করব নাকি স্ত্রীলোক ব্যবহার করব? যদি পুরুষে ব্যবহার করে কোনো কথা নাই আর যদি স্ত্রীলোক ব্যবহার করে তবে দুইখান কথা আছে।
কর্নেল চ্যাটার্জি : স্ত্রীলোকই ব্যবহার করবে।
ভানু : তেইলে হালায় যুদ্ধেই যামু না।
* ছবিতে ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় ও জহর রায়

এই দুনিয়াতে প্রকৃত জ্ঞান ছাড়া তুমি যা কিছু দেখছো...যা কিছু ভাবছো সবটাই নকল ও মিথ্যে

এক স্বর্ণকারের মৃত্যুর পর তার পরিবারটা বেশ সংকটে পড়ে গেল। খাদ্য-বস্ত্রে দেখা দিল চরম অভাব।
স্বর্ণকারের বিধবা স্ত্রী তার বড় ছেলেকে একটা হীরের হার দিয়ে বললো--এটা তোর কাকুর দোকানে নিয়ে যা, বলবি যে এটা বেচে কিছু টাকা দিতে।
ছেলেটা হারটি নিয়ে কাকুর কাছে গেল।
কাকু হারটা ভালো করে পরীক্ষা করে বললো- বেটা, তোমার মাকে গিয়ে বলবে যে এখন বাজার খুবই মন্দা, কয়েকদিন পর বিক্রি করলে ভাল দাম পাওয়া যাবে। কাকু কিছু টাকা ছেলেটিকে দিয়ে বললেন--আপাতত এটা নিয়ে যাও আর কাল থেকে তুমি প্রতিদিন দোকানে আসবে আমি কোন ১দিন ভাল খদ্দোর পেলেই যেন তুমি দৌড়ে হার নিয়ে আসতে পার তাই সারাদিন থাকবে।
পরের দিন থেকে ছেলেটা রোজ দোকানে যেতে লাগলো।সময়ের সাথে সাথে সেখানে সোনা-রুপা-হীরে কাজ শিখতে আরম্ভ করলো।
ভাল শিক্ষার ফলে অল্প দিনেই খুব নামি জহুরত বনে গেল। দূর দূরান্ত থেকে লোক তার কাছে সোনাদানা বানাতে ও পরীক্ষা করাতে আসত। খুবই প্রসংশীত হচ্ছিল তার কাজ।
একদিন ছেলেটির কাকু বললো-- তোমার মাকে গিয়ে বলবে যে এখন বাজারের অবস্থা বেশ ভালো, তাই সেই হারটা যেন তোমার হাতে দিয়ে দেন। এখন এটা বিক্রি করলে ভালো দাম পাওয়া যাবে।
ছেলেটি ঘরে গিয়ে মায়ের কাছ থেকে হারটি নিয়ে পরীক্ষা করে দেখলো যে এটা একটা নকল হীরের হার। তাই সে হারটা আর কাকুর কাছে নিয়ে যায় নি।
কাকু জিজ্ঞেস করলো-- হারটি আনো নি ?
ছেলেটি বললো-- না কাকু, পরীক্ষা করে দেখলাম এটা একটা নকল হার।
তখন কাকু বললো- তুমি যেদিন আমার কাছে হারটি প্রথম নিয়ে এসেছিলে সেদিন আমি দেখেই বুঝে নিয়েছিলাম যে এটা নকল, কিন্তু তখন যদি আমি তোমাকে এই কথাটা বলে দিতাম, তাহলে তোমরা হয়তো ভাবতে যে আজ আমাদের মন্দ সময় বলেই কাকু আমাদের আসল জিনিষকে নকল বলছে। আজ যখন এ ব্যাপারে তোমার পুরো জ্ঞান হয়ে গেছে, তখন তুমি নিজেই বলছো এটা নকল হার।
এই দুনিয়াতে প্রকৃত জ্ঞান ছাড়া তুমি যা কিছু দেখছো...যা কিছু ভাবছো সবটাই এই হারের মতই নকল, মিথ্যে।
জ্ঞান ছাড়া কোন জিনিসের বিচার সম্ভব নয়। আর এই ভ্রমের শিকার হয়েই অনেক সম্পর্ক শেষ হয়ে যায়। আমি সেই সম্পর্কটা নষ্ট হোক তা চাইনা।

মধুর শৈশব

যে ছেলে কোনোদিন
ন্যাংটা হয়ে স্রোতের নদীতে লাফালাফি করে নাই,
ঠ্যালা জাল দিয়ে মাছ ধরে নাই,
বরশি, ফাঁশি জাল দিয়ে মাছ ধরে নাই,
স্কুল পালিয়ে ফুটবল খেলে নাই,
মারবেল খেলে বাবার মার খায় নাই,
অন্ধকার রাতে চুরি করে সিনেমা দেখতে যায় নাই,
চাল চুরি কইরা সেই চাল ব্রিক্রি করে সিডি ভাড়া করে রাতভর সেচের ঘরে সিনেমা দেখে নাই,
সেলো মেশিনে ডিজেল ভরে জমিতে জল দেয় নাই,
বাবার সাথে জমিতে মই দিতে গিয়া মইয়ে উইঠা উষ্টা খেয়ে পরে নাই,
জীবনেও ডাংগুলি, দাঁড়িয়াবান্ধা, বউ ছি, গোল্লাছুট খেলে নাই,
কলাপাতার ঘর বানিয়ে চড়ুইভাতি করে নাই,
কলাগাছের ভেলা বানিয়ে সেই ভেলায় ইচ্ছামত ভাসে নাই,
সাঁতার শিখতে গিয়া অল্পের জন্য জলে ডুবেও ডুবে নাই,
কলাগাছের ওপর ভর করে নদীতে ভাসে নাই,,
যে ছেলে কখনো তিন চাকার বেয়ারিং এর গাড়ি চালায় নাই,
যে ছেলে কখনো নারকেল এর পাতায় বানানো হাতঘড়ি পরে নাই, পাতা দিয়া সাপ বানায় নাই,
যে ছেলে হাতে বাটুল নিয়া সারাদিন কড়া রৌদ্রে পাখির পিছে ছুটে নাই,
যে ছেলে পড়ন্ত বিকেলে গরুরে খাওয়ানোর জন্য সবুজ সতেজ ঘাস কেটে অানে নাই,
যে ছেলে দুই টাকার চানাচুর কিংবা চকলেটের বিনিময়ে বড় ভাই/বোনের প্রেমের চিঠি অাদান প্রদান করে নাই...
.
তার আবার কীসের শৈশব?

দেড়লাখ কিলোই গোরস্থান

ওহে রাজ্য ওহে রাজা
সেলাই করো আমার ঠোট,
বালু চাপা দিয়ে মগজ
আমায় বানাও পক্ষী উট।
কেমনে করি বন্ধ দুচোখ
কেমনে করি রুদ্ধ কান,
অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখি
দেড়লাখ কিলোই গোরস্থান।
আমার নীরব পদশব্দে
কেমনে নড়ে রাজার ভীত,
ঘর হতে আজ পা বাড়ালেই
চোখে ভাসে বিশ্বজিৎ ।
ন্যায্য কথায় ত্যাজ্য করো
জানো কথায় মানলে হার,
হারিয়ে দিয়ে বাংলাদেশকে
ওপার গেলো এক আবরার
কোথায় গিয়ে বাঁচবো বলো
কোথায় পাবে রক্ষে প্রাণ,
অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখি
দেড়লাখ কিলোই গোরস্থান।
ওহে রাজ্য ওহে রাজা
আমরা প্রজা ক্ষুদ্র কীট,
পাওনা দাবী চাইতে গেলেই
ঝাঁঝরা কেন আমার পীঠ।
রক্তে যদি দেশটা ভাসে
একটু হলেই ভিন্ন মত,
কিসের দায়ে দাঁড়িয়ে আছে
রাজ্য ভরা আদালত।
স্তব্ধ আমার কলম খাতা
যায়না লিখা পদ্য গান,
অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখি
দেড়লাখ কিলোই গোরস্থান।

আসিয়া বিবি এবং এক বালতি পানি


লেখার শিরোনামটি বেশ অদ্ভুত শোনাচ্ছে, তাই না? কিন্তু আজকের এই দিনটিতে এটাই পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় খবর। যা নিয়ে পাকিস্তান কার্যত দু'ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে।
আসিয়া বিবি ৪৭ বছর বয়সী একজন খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী মহিলা। যার ২০১০ সালে ধর্ম অবমাননার দায়ে পাকিস্তান লোয়ার কোর্টে ফাঁসির রায় হয়ে যায়। অভিযোগ ছিল যে, তিনি গ্রামের একজন প্রতিবেশীর সাথে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়ে এক বালতি পানি নিয়ে। জানা যায়, অমুসলিম হয়ে সে কেনও মুসলমানদের বালতির পানি পান করে তা নোংরা করল, এমন একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই গ্রামের মহিলাদের মধ্যে ঝগড়া বেঁধে যায়। পরবর্তীতে আসিয়াকে দল বেঁধে মেরে গ্রামের মহিলারা জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত মুসলমান হতে বলে; কিন্তু তাকে রাজি করাতে না পেরে ধর্মের অবমাননা এবং নবী মোহাম্মদকে কটুক্তি করার অভিযোগ এনে আসিয়া বিবির বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে দেয়। লক্ষ্য করবেন, সময়কাল কিন্তু ২০০৯, অর্থাৎ মাত্রই ৯ বছর আগের ঘটনা, ৯০ বছর আগের নয়।
আসিয়া বিবি প্রথম থেকেই নিজেকে নির্দোষ দাবি করে এসেছে। গত ৮ বছর ধরে তাকে কারাগারে অন্তরীণ করে রাখা হয়। যার ধারাবাহিকতায় আজ আসিয়া বিবি নির্দোষ প্রমাণিত হলে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সাকিব নিসার্ম তাকে মুক্তির নির্দেশ দেন। তবে এই রায়ের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের কট্টরপন্থীরা এরই মধ্যে তীব্র বিক্ষোভ শুরু করেছে। পাকিস্তানের কট্টরপন্থী ইসলামী গোষ্ঠীগুলো ব্লাসফেমি বা ধর্ম অবমাননার অভিযোগের জন্য কঠোর সাজার পক্ষে। তারা কোনও অবস্থাতেই আসিয়ার মুক্তি মেনে নিতে পারছে না।
এই রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের জন্য পাকিস্তানের করাচী, লাহোর এবং পেশাওয়ার শহরে কট্টরপন্থীদের জড়ো হতে দেখা যাচ্ছে। যার একটি খণ্ডিত ভিডিও চিত্র এই লেখার সাথে সংযুক্ত করলাম।
বিগত ৯ বছরে আসিয়া বিবির এই ঘটানটিকে কেন্দ্র করে অনেকগুলো ঘটনা ঘটে যায়, যেকারণে পাঞ্জাব রাজ্যের গভর্নর সালমান তাসিরকেও প্রাণ দিতে হয়। তিনি ব্লাসফেমি আইনের বিরুদ্ধে কথা বলায় তাকে গুলি করে হত্যা করে তারই দেহরক্ষী মুমতাজ কাদরি। হত্যাকারী দেহরক্ষী মুমতাজ কাদিরকে এই হত্যার দায়ে ফাঁসি দেয়া হলেও তিনি পরবর্তীতে কট্টরপন্থীদের নেতাতে পরিণত হন। এমনকি মুমতাজ কাদরির সমর্থকরা একটি রাজনৈতিক দল পর্যন্ত গঠন করে ফেলে। যারা গত নির্বাচনে প্রায় বিশ লাখ ভোট পেয়েছে।
আসিয়ার বিষয়টি নিয়ে ইমরান খানের সরকার অন্তর্জাতিক চাপে রয়েছে। তাই ধারণা করা হচ্ছে যে, আসিয়াকে হয়তো রাষ্ট্রীয় সহায়তায় অন্যকোনো দেশে পাঠিয়ে দেয়া হবে। ইতিমধ্যে অনেক দেশই তাকে আশ্রয় দেয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
বিধর্মী আসিয়ার এক বালতি পানি ছুঁয়ে নোংরা করে দেয়ার 'অপরাধে' এই ২০১৮ সালে এসেও ফাঁসির আদেশ হয়ে যায়, ভাগ্যক্রমে তা বাতিল হলেও মৌলবাদীদের তাণ্ডবে হয়তো এবার তাকে চার সন্তান সহ পরিবার সমেত দেশত্যাগ করতে হবে।
৪৭ বছর হল আমাদের দেশের নাম পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ হয়েছে। এই প্রায় অর্ধশত বছরে আমরা পাকিস্তান থেকে কতটা বাংলাদেশ হতে পেরেছি? কতটা আলাদা হতে পেরেছি পাকিস্তান থেকে? কতটা মানবিক হতে পেরেছি? অনেকে বলবেন, হয়তো অনেকটাই পেরেছি। তাহলে তাদের কাছে আমার প্রশ্ন, আমাদের দেশেও কি ধর্ম অবমাননার অভিযোগে নির্বিচারে মানুষ কোপানো হয় না? এখানেও কি নারীদের ধর্মের নামে অপয়া কুলটা বলে ফতোয়া জারি করে গাছে ঝুলিয়ে পেটানো হয় না? এখানেও কি ব্লাসফেমি বা শরিয়া আইন প্রতিষ্ঠার জন্য লক্ষ লক্ষ মুসলমান রাস্তায় নেমে আসে না? শুধুমাত্র লেখালেখির জন্য এদেশেও কি ফাঁসি বা মাথার দাম ধার্য করা হয় না? দেশত্যাগ করতে বাধ্য করা হয় না? -- সবই হয়, আমাদের দেশেও হয়।
আসিয়া বালতির পানি ছুঁয়ে দিয়ে পাকিস্তানের মুসলমানদের যেমন বালতি ভরা ঈমান নষ্ট করে দেয়। তেমনি আমাদের দেশের মুসলমানদেরও ধর্মের মন্দ দিকগুলোর সমালোচনা করে দু'এক লাইন লিখলেই ঈমানের কলকব্জা উড়ে যায়, ধসে পড়ে সব। কোথায় কোথায় আর আলাদা হলাম আমরা? আমি তো দেখি না!

অভিশপ্ত রজনী

  মৃত মেয়েটিকে ধর্ষণ করার সময় মেয়েটি যে জীবিত হয়ে ওঠে সেটা খেয়াল করেনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় কাব্য।ধবধবে সাদা চামড়ার মেয়েটিকে ভোগ করার...