সন্দেহের ভাইরাস একটা মানুষকে কতোটা কাবু করতে পারে চোখের সামনে দেখি৷ পরিচিত এক দম্পতির জীবন পুরাই ছারখার সন্দেহের ভাইরাসে৷ স্ত্রীটি মনে করেন পতিধন চাকরি বাকরি বাদ দিয়ে সারাক্ষণ পরনারীদের নিয়ে বিজি থাকে৷ পতিধনটির ধারনা তিনি যখন অফিসে থাকেন স্ত্রীটি পরপুরুষের সন্ধানে বেড়িয়ে পড়েন৷ ফলে পাড়ার মুদির দোকান থেকে শুরু করে পান বিড়িওলার কাছে মিনিটে কল দিয়ে তাকে আপডেট থাকতে হয় বউ কোথায় যায় না যায় সে বিষয়ে৷
একবার বসুন্ধরার কাছে কলেজ লাইফের এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সাথে দেখা ৷ আমরা একসময় বিড়ির শেষাংশ শেয়ার করেছি, একসাথে পর্বত সিনেমা হলে এক টিকেটে দুই ছবি দেখতে গেছি৷ দেখা হবার পর বন্ধুটি 'আরিশ্লা কি খব্বর' বলে করমর্দন করল, তারপর ওয়ালেট থেকে ভিজিটিং কার্ড বের করে হাতে ধরিয়ে দিল৷ পিছনে ছিল তার সুন্দরী স্ত্রী ও বাচ্চা ৷ আমি বাচ্চাকে হাই বলে যেই না 'ভাবি কেমন আছেন' বলে দাঁত বাইর করতে গেছি সে বাচ্চাকে ছোঁ মেরে কোলে উঠিয়ে, বউকে প্রায় ঠেলতে ঠেলতে প্রস্থান করল ৷ ঐটুকু সময়ের মধ্যে তার বউয়ের সাথে চোখ টেপাটেপি, প্রেম অতঃপর পালিয়ে যাওয়ার মতো কোনো সুযোগ সেখানে ছিল না তাও সে কেনো এমন করলো আজো ব্যাখ্যা পাই না৷
সন্দেহ মানুষকে ছাগল বানিয়ে দেয়৷ যে অমুলক সন্দেহের শিকার সেও হতাশায় ছাগলে বিবর্তিতে হতে শুরু করে৷ সম্প্রতি হুমায়ুন আহমেদের নাম বসিয়ে দেয়া একটি বাণী নিউজফিজে ঘুরে বেড়াচ্ছে তা হলো, 'পৃথিবীতে যে তোমাকে বেশি সন্দেহ করবে বুঝে নাও সে তোমাকে তার জীবনের চাইতে বেশি ভালবাসে।' খুবই লেইম কথা সন্দেহ নেই, কিন্তু সন্দেহের ঠেলায় যাদের লাইফ তামা তামা তারা এই কথা স্মরণ করে কিছুটা হলেও সান্ত্বনা পেতে পারে৷
No comments:
Post a Comment