Thursday, 1 December 2016

বিয়ে করার পর তারা মেক্সিকো চলে যাবে



 বিয়ে করার পর তারা মেক্সিকো চলে যাবে। মেক্সিকোর নীল সমুদ্র সৈকতে একটি বাসা বানাবে। মাছ ধরে রাতে ক্যাম্পফায়ার করে খাবে। তাদের দুজনের একটি তাবুও আছেএকদিন জার্মানির ব্ল্যাক ফরেস্টে ফ্লাক্স ভর্তি চা নিয়ে তাবু টানানো হবে। দিন তারিখ ঠিক করা আছে।
বিয়ের দু মাস পর মেয়েটিকে বার্নইউনিটে ভর্তি হতে হয়। শরীরের ৯০ ভাগ পুড়ে গেছে। চোখ দুটি অক্ষত আছে। সেই অক্ষত চোখে তাকিয়ে তাকিয়ে সে অভিশাপ দেয়।
মেক্সিকোর নীল সমুদ্র হয়ে গেল বার্নইউনিটের শাদা বিছানা। গল্প উপন্যাসের মত একটা সুন্দর সমাপ্তি হতে পারত ; সেটা হয় নি।
বাজারের পাশে একটি ছোট পুকুরের পাড়ে মেয়েটিকে দাফন করা হল। তারপর থেকে ছেলেটি রোজ সন্ধায় আধা বোতল ফেন্সিডিল খেয়ে চিত হয়ে ফ্লোরে শুয়ে থাকে।
.....অন্য একটি ছেলের কথা বলছি। সন্ধ্যা থেকেই তার বাবার সামান্য প্রেশার ছিল। মা মারা যাবার পর থেকে তার বাবা অল্পতেই খুব হই হুল্লোড় করে। পুরো ঘর ফাটিয়ে চিৎকার চেঁচামেচি করে তারপর একসময় শান্ত হয়।
কাজের মেয়েটি পানি আনতে দেরি করেছে দেখে ফ্লোরে গ্লাস ছুড়ে মেরেছে। সুন্দর একটি গ্লাস এভাবে ভেঙ্গে গেল দেখে ছেলেটির একটু খারাপই লেগেছে। সে বাবাকে কিছু ওষুধ খাইয়ে দিয়ে ঘুমাতে গেল।
রাতে আবার বাবার সামান্য প্রেশার উঠেছে। তিনি হসপিটালে যেতে চাইছেন।
প্রেশার তেমন বেশি ছিল না। পরদিন অফিস আছে। ছেলেটি মাথায় হাত বুলিয়ে ক্লোনাট্রীল টু এমজি খাইয়ে দিয়ে ঘুমাতে গেল।
.....খুব ভোরে এলার্ম ঘড়িতে ঘুম ভাঙ্গল। আইরন করা চেক শার্টটি বাবার রুমের ব্যালকনিতে। সেটি নিতে গিয়ে দেখে ইজিচেয়ারে তার বাবা বসে আছেন। এত সকালে জেগে আছে কেন ? জিজ্ঞাসা করার পরও কথা বলছেন না।
কেমন ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে। তার খুব মায়া হল। কাছে গিয়ে একটু হাত দিয়ে ধরতে গিয়ে বোঝা গেল - বাবাটি রাতে কাউকে না বলে চুপচাপ ইজিচায়ারে মরে পরে আছে।
.....এক একটি মানুষ ভহাবহ এক ট্র্যাজেডি বুকে নিয়ে আমাদের চারপাশেই ঘুরে বেড়ায়। বার বার হেরে যাবার পর কেউ কেউ হয়ত একদিন সিন্দাবাদের হাত দিয়ে টেনে উঠায়। দুশো রাত সান্ত্বনার কথা শুনিয়ে তারাও একদিন চলে যায়।
এই পৃথিবীর প্রিয় মানুষেরা এক সময় চোখ রাঙিয়ে চলে যায়। তুমি কাঁদবে খুব... চিৎকার করে কাঁদবে। একদম নিঃশব্দে ঠোঁট কামড়িয়ে কাঁদবে।
একদিন তৃতীয় কেউ এসে তোমাকে টেনে উঠাবে। তুমি যখন দাড়িয়ে যাবে ; একটু একটু হাঁটা শুরু করবে... তাকে নিয়ে একটা দু রুমের সংসারের মাস্টার প্ল্যান করে ফেলবে - দেখবে সেও চলে গেছে।
কিছু কিছু মানুষের লাইফে ডেল কার্নেগীর বই কোন কাজে আসে না। একশ মনিষীর গল্প শুনিয়ে এদের জাগ্রত করে কী হবে ? জীবন যাদের দু হাত মেলে কিছু দেয় না ; আপনি তাদের কী দিবেন ?
হৃদপিণ্ডে আগুন লেগেছে ? ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসে নি ? প্রিয় মানুষেরা চলে গেছে? মরে গেছে? থেতলে গেছে ? 
ঠকিয়ে... কাঁদিয়ে ...শাসিয়ে...চলে গেছে ? ভরসা রাখবেন।
' আমার আল্লাহ্‌ই যথেষ্ট'
রাজা চেক খাবার পরেও সব রাজা মরে না। ভরসা রাখবেন।

No comments:

Post a Comment

অভিশপ্ত রজনী

  মৃত মেয়েটিকে ধর্ষণ করার সময় মেয়েটি যে জীবিত হয়ে ওঠে সেটা খেয়াল করেনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় কাব্য।ধবধবে সাদা চামড়ার মেয়েটিকে ভোগ করার...