আবার আকাশের গায়ে গায়ে গোমড়া মুখো
মেঘেদের দল। আবারো বৃষ্টি এলো। বাতাস ভেজা ভেজা, সোঁদা মাটির গন্ধ
মেখে তুমিও গোড়ালি ডুবিয়ে দিলে জলের ঢেউয়ে। চুপ করে সে ছবিটি দেখতে
দেখতে টের পেলাম সমুদ্র ফুঁসে উঠছে দূরে কোথাও। ঝাউপাতার আড়ালে তোমার আনত
অভিমানী মুখে রাগের জ্যামিতিক ছায়া। ওই মুখে আমি ঠোঁট ছুঁইয়ে দিতেই তুমি
বলে উঠলে- ‘না’।
তোমার ওই একটি ‘না’ শব্দে কিরকম ১৪৪ ধারা
জারি করা ন্যারেশনে আমি হঠাৎ
থম্কে গেলাম। চুপকথায় ভর করে আমি
তোমার গায়ে আলোর খেলা দেখতে দেখতে
আনমনা হলাম। একদিন একটা আলোমাখা বিকেলে
আমি কাশবনে হারিয়ে ফেলেছিলাম
নিজেকে। ঘুড়ির নাটাই ছিল হাতে কিন্তু
ঘুড়িটি কোথায় যেন হারিয়ে গেছে তখন
আমারই মত। শেষ বিকেলের লালচে নরম রোদে
তখন তুমি এলে, প্রবল নৈশব্দের মাঝে
তোমার পায়েল থেকে শব্দ উঠে এসেছিল- ঝুম, ঝুম, ঝুম। আর আমার চোখ
দুটো প্রবল বিস্ময়ে দেখেছিলো নরম ঘাসে মুখ ডুবিয়ে আছে দুটো নরম পায়ের
পায়েল। এই তো এখন, এখনো জানলা থেকে চৌখুপি আলো এসে পড়েছে তোমার পায়ে, কতটুকু আলো আর, তাতেই যেন চাঁদের নরম আলো তোমার পা ধুয়ে দিচ্ছে বলে মনে হয়।
ভীতু পায়রাদের ডানা ঝাপটানোর শব্দে হাওয়ার মৃদুকম্পনে আর একটিবার
তবে তোমায় দেখি,তুমি বরং দেখো মেঘ ছোঁয়া জলের অনন্ত দহন।
No comments:
Post a Comment