Wednesday, 1 November 2017

একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, চার্টার্ড একাউন্ট্যান্ট কিংবা ব্যারিস্টারকে আমাদের রাষ্ট্র এত সন্মান দেয় কেন জানেন ?



একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, চার্টার্ড একাউন্ট্যান্ট কিংবা ব্যারিস্টারকে আমাদের রাষ্ট্র এত সন্মান দেয় কেন জানেন ?
তারা না জন্মালে দেশ অচল হয়ে যেত... কালো বোরখা গায়ে লাগালেই কামাল হোসেন হওয়া যায় না... অবশ্যই তারা মেধাবী... আমারা তাদের দেখে আর্মি স্টাইলে যেভাবে দাড়িয়ে স্যালুট দেই ; এই সন্মানটা তাদের প্রাপ্য...
কারো নামের আগে 'ডক্টর' শব্দটি থাকলে আপনা আপনিই এক ধরনের সমীহ চলে আসে... আমরা এই শব্দটির মানে জানি...
কেউ অর্থনীতিতে এক্সপার্ট, কেউ ফিজিক্সে... এই মানুষ গুলা না থাকলে সত্যি সত্যি দেশ অচল হয়ে যেত... আমাকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর করা হলে আমি সমাজ সচেতন মূলক অর্থনীতি নিয়ে কবিতা লিখে ভর্তি করে ফেলব...
বছর শেষে দেশে দুর্ভিক্ষ শুরু হবে; সন্দেহ নেই...
এবার আসি মূল পয়েন্টে...
আইন বিষয় , চিকিৎসা বিষয় , সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ইত্যাদি ইত্যাদি সেক্টরে যারা এক্সপার্ট তারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বই গুলো নিয়ে দিনরাত পড়ালেখা করেছেন... তাদের রাষ্ট্র স্বীকৃত দেয় ; আমরাও দেই...
......
পৃথিবী স্বীকৃত সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বই কোরআন... এই বিষয়ে যারা এক্সপার্ট তাদের আমরা পাত্তা লাগাই না...তারা ইংরেজি জানে না... লম্বা পাঞ্জাবী গায়ে দিয়া ঘুরে... তারা ক্ষেত...
ক্রিকেটে কেউ ভাল করলে আমরা তাকে সাকিব আল হাসান বানিয়ে দেই... লক্ষ লক্ষ আইডি থেকে প্রোফাইল পিকচার দেই...
......ভাল ফিল্ম মেকার হলে তাকে মোস্তফা সারোয়ার ফারুকি বানিয়ে দেই... পিপিলিকা দেখতে দলে দলে যাই হলে...
কিছুদিন আগে মিশরে বিশ্বের পঞ্চাশটা দেশের হাফেজদের নিয়ে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়... সেখানে প্রথম হয় বাংলাদেশের হাফেজ মুহাম্মদ জাকারিয়া !!
......
হাফেজ মুহাম্মদ জাকারিয়ার নাম বিলবোর্ডে আসে নি... রেডিওতে আসে নি... বিনোদন ম্যাগাজিনে সে আজ কী দিয়ে ভাত খেয়েছে টাইপ কোন ইন্টার্ভিউ ছাপানো হয় নি...
আমরা আসলেই বড় অভাগা !
...সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারপতির গাড়ি ট্রাফিক না জেনে থামিয়েছিল দেখে বিচারপতি গাড়ি থেকে নেমে ট্রাফিককে রাস্তায় কানে ধরে উঠা বসা করিয়েছেন...
আর একজন হাফেজকে টঙের দোকানে চা বিক্রী , শাহবাগ মোড়ে বাংলাদেশ প্রতিদিন বিক্রী করে পেট চালাতে হয়...
এর চেয়ে বড় আফসোস আর কী হতে পারে !
আমি অপেক্ষা করি...
একদিন রাস্তায় কোন হাফেজকে দেখা মাত্র ব্যারিস্টার তার গাড়ি থামিয়ে ফেলবে... তিনি যে রিকশায় যাবেন সেই রিকশা প্রতিটি মোড় ক্রস করার সময় ট্রাফিক ভাইয়েরা হাত উঁচু করে স্যালুট দিবেন...
......
রমজানে খতম তারাবি নামাজের পরে তাদের সাথে একটু কথা বলার জন্য ভীড় লেগে থাকবে... হাফেজের হাতের সাথে হাত মেলানোর জন্য ছুটে আসবে মানুষ মাইল মাইল দূর থেকে...
পুলিশ এসে উৎসুক জনতাকে শান্ত করবে......

No comments:

Post a Comment

অভিশপ্ত রজনী

  মৃত মেয়েটিকে ধর্ষণ করার সময় মেয়েটি যে জীবিত হয়ে ওঠে সেটা খেয়াল করেনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় কাব্য।ধবধবে সাদা চামড়ার মেয়েটিকে ভোগ করার...