দীর্ঘ রাত আমি নিন্ম মানের গুল্প লিখে কাগজ নষ্ট করেছি। দু একজন কাছের
বন্ধুদের লিখা পড়তে দিলাম। তারা ‘ মোটামোটি’ ‘ খারাপ না’ এই জাতীয় মন্তব্য
করার পরেও আমার উৎসাহে ভাটা পড়ে নি।
আমি লিখতে থাকলাম চৌদ্দ বছর বালকের সস্তা চিন্তা ভাবনা।
আমাদের বাড়ির সামনে তখন মিন্টু চাচারা ফুটবল খেলত। তাদের চেয়ে বয়সে অনেক
ছোট না হওয়া স্বত্বেও আমাকে খেলায় নেয়া হত না। কেন নেয়া হত না এই ব্যাপারটা
এখনো জানি না। আমি ছেলেবেলায় ঘুড়ি ওড়ানো শিখি নি; লাটিম ঘুরানোর বিদ্যা
আয়ত্ব করতে অনেক সময় লেগেছে।
জন্ম থেকে একই পাড়ায় বড় হওয়া স্বত্বেও এলাকার ছেলেদের সাথে মিশতে পারিনি।
আমার সমস্যা হল কিছুদিন পরেই পুরনো লিখা পড়ার পর মনে হয় – কী সব হাস্যকর কথা বার্তা! রাত বারটা বাজে বৃষ্টি হচ্ছে; এটা তারিখ দিয়ে লিখার কী আছে! রোদ বৃষ্টি খুবই সাধারণ ঘটনা।
সেই সময় আমার চিন্তা ভাবনায় কী ছিল পুরোপুরি মনে করতে পারছি না। এক সময় সব লিখা ব্যাগ ভর্তি করে মৌসুমী আবাসিকের সামনের ড্রেনে ফেলে দেই।
প্রতি দশজন মানুষের শারীরিক চাহিদার জন্য একজন বেশ্যার দরকার হলেও প্রতি একশজন মানুষের মানসিক চাহিদার জন্য কোন কবিতার দরকার নেই। এদেশের বেশির ভাগ মানুষ বিবিএ পড়ে, ডাক্তারি পড়ে আর অবসরে ম্যাগাজিন।
সব কিছুর বয়স বেড়ে গেল। মিঠু চাচাদের দেখিনা আট দশ বছর। গেটের সামনে এখন পিচ্চি পিচ্চি স্কুলের ছেলেরা খেলে। কে জানে এদের ভেতরে কেউ হয়ত আছে... যাকে খেলায় নেয়া হয় না। একদিন বড় হলে সেও নিশ্চয়ই লিখবে।
কাঠপেন্সিল ছাড়লাম। পুরনো স্কুলের খাতা গুলোতে আমার লিখা কবিতা গুলো কেজি দরে কে কে কিনে নিয়ে চালের প্যাকেট বানিয়ে রেখেছে আমি জানি না।
এখন মাঝে মাঝে জানতে ইচ্ছে করে। চৌদ্দ পনেরো বছর বয়সের পেন্সিলে লিখা চিন্তা ভাবনা গুলো সিডর, নার্গিসে ভিজে কোথায় মরে পরে আছে... আ হা !!!
ছেলে বেলার নিন্ম মানের লিখা গল্প গুলোই আমার শ্রেষ্ঠ আবেগ... শুধু আমার না, আমাদের প্রত্যেকের।
আমার ছোট বিছানা। একটা তিন ফুটের আয়না এমন ভাবে দেয়ালের সাথে ঝুলানো হয়েছে যেন আমি বিছানায় শোবা মাত্রই আয়নার অপজিটে রাখা বই গুলো দেখতে পাই। পুরনো মলাটে বাঁধা শত শত চরিত্র দেখে আমি যে সুখ পাই সে সুখ আর কোন কিছুতে পাই না।
ইদানীং একটা জিনিস নিয়ে খুবই চিন্তিত। বিয়ে করার পর এই রুমের এখানে সেখানে পরে থাকবে বঙ্গ ললনার লাল নীল শাড়ি... পেটিকোট!!!
পুরনো মলাটে বিভূতিভূষণের বইএর পাশেই পরে থাকবে ললনার মেকআপ বক্স!!! আমি লিখতে বসলে সে কিছুক্ষণ পর পর হাসবে... খি খি খি... খি খি খি
মেয়েরা এমন করে কেন হাসে???
আমার সমস্যা হল কিছুদিন পরেই পুরনো লিখা পড়ার পর মনে হয় – কী সব হাস্যকর কথা বার্তা! রাত বারটা বাজে বৃষ্টি হচ্ছে; এটা তারিখ দিয়ে লিখার কী আছে! রোদ বৃষ্টি খুবই সাধারণ ঘটনা।
সেই সময় আমার চিন্তা ভাবনায় কী ছিল পুরোপুরি মনে করতে পারছি না। এক সময় সব লিখা ব্যাগ ভর্তি করে মৌসুমী আবাসিকের সামনের ড্রেনে ফেলে দেই।
প্রতি দশজন মানুষের শারীরিক চাহিদার জন্য একজন বেশ্যার দরকার হলেও প্রতি একশজন মানুষের মানসিক চাহিদার জন্য কোন কবিতার দরকার নেই। এদেশের বেশির ভাগ মানুষ বিবিএ পড়ে, ডাক্তারি পড়ে আর অবসরে ম্যাগাজিন।
সব কিছুর বয়স বেড়ে গেল। মিঠু চাচাদের দেখিনা আট দশ বছর। গেটের সামনে এখন পিচ্চি পিচ্চি স্কুলের ছেলেরা খেলে। কে জানে এদের ভেতরে কেউ হয়ত আছে... যাকে খেলায় নেয়া হয় না। একদিন বড় হলে সেও নিশ্চয়ই লিখবে।
কাঠপেন্সিল ছাড়লাম। পুরনো স্কুলের খাতা গুলোতে আমার লিখা কবিতা গুলো কেজি দরে কে কে কিনে নিয়ে চালের প্যাকেট বানিয়ে রেখেছে আমি জানি না।
এখন মাঝে মাঝে জানতে ইচ্ছে করে। চৌদ্দ পনেরো বছর বয়সের পেন্সিলে লিখা চিন্তা ভাবনা গুলো সিডর, নার্গিসে ভিজে কোথায় মরে পরে আছে... আ হা !!!
ছেলে বেলার নিন্ম মানের লিখা গল্প গুলোই আমার শ্রেষ্ঠ আবেগ... শুধু আমার না, আমাদের প্রত্যেকের।
আমার ছোট বিছানা। একটা তিন ফুটের আয়না এমন ভাবে দেয়ালের সাথে ঝুলানো হয়েছে যেন আমি বিছানায় শোবা মাত্রই আয়নার অপজিটে রাখা বই গুলো দেখতে পাই। পুরনো মলাটে বাঁধা শত শত চরিত্র দেখে আমি যে সুখ পাই সে সুখ আর কোন কিছুতে পাই না।
ইদানীং একটা জিনিস নিয়ে খুবই চিন্তিত। বিয়ে করার পর এই রুমের এখানে সেখানে পরে থাকবে বঙ্গ ললনার লাল নীল শাড়ি... পেটিকোট!!!
পুরনো মলাটে বিভূতিভূষণের বইএর পাশেই পরে থাকবে ললনার মেকআপ বক্স!!! আমি লিখতে বসলে সে কিছুক্ষণ পর পর হাসবে... খি খি খি... খি খি খি
মেয়েরা এমন করে কেন হাসে???
No comments:
Post a Comment