Sunday 19 November 2017

ইনবক্সে মাঝে মাঝে কিছু ম্যাসেজ আসে, যার সারমর্ম হল সে খুব কষ্টে আছে।

ইনবক্সে মাঝে মাঝে কিছু ম্যাসেজ আসে, যার সারমর্ম হল সে খুব কষ্টে আছে। মরে যেতে চায়। আমি মানুষের কষ্টকে সব সময় সমীহের চোখে দেখি।
কেউ যদি বলে ভাই, খুব কষ্ট হইতেছে আমার... হাত বুলিয়ে দেই।
বেশির ভাগই প্রেম ঘটিত সমস্যা। কেউ তাকে রেখে চলে গেছে। যেখানে রেখে গেছে বান্দা ঠিক সেখানটায় দাড়িয়ে মরার পরিকল্পনা করে।
আমি খুব অবাক হই।
পৃথিবীতে অনেক সংগঠন আছে যারা মৃত্যুপথ যাত্রীদের বোঝায় এক দিনের জন্য বেঁচে থাকুন। ২৪ ঘণ্টা অনেক সময়’
তাদের যুক্তি হল , একটি দু ঘণ্টার মুভিতে এত কিছু ঘটে গেলে ২৪ ঘণ্টাতো প্রায় ১২ টা মুভি !
যারা খুব অসুস্থ তারা একদিন বেশি বেঁচে থাকার জন্য আইসিইউতে প্রতিদিন ত্রিশ হাজার টাকা খরচ করে...
ন্যাশনাল হাসপাতালের আইসিউতে আমি এক যুবকে দেখেছিলাম লাইফ সাপোর্টে। ডাক্তার বলে দিয়েছে কোন ভাবেই তাকে আর বাঁচানো সম্ভব না।
ডাক্তারের এ কথা শোনার পরেও, গহনা বিক্রি করে আরও তিনদিন মানুষটাকে লাইফ সাপোর্টে রেখেছেন তার স্ত্রী।
এই তিনদিন মানুষটার সাথে কোন কথা হয় নি... নির্জন ব্যাডের সামনে প্রায় মৃত মানুষটির সামনে দাড়িয়ে সান্ত্বনা খুঁজেছেন - ' এখনো বেঁচে আছে মানুষটা '
......ক্যান্সারে আক্রান্ত নাহিয়ান নামে একজনকে আমি চিনি যে একসময় নিশ্চিত মৃত্যু আঁচ করতে পেরে মরার আগে সমুদ্রে যেতে চেয়েছিল।
নাহিয়ানের সাথে মাঝে মাঝে কথা হত আমার। একদিন আমাদের একটি গান শুনে বলল, ভাই সুস্থ হয়ে আপনার সাথে ড্রামস বাজাব।
আমি তখনো বুঝিনি এই ছেলে আর মাত্র ১৮ দিনের আয়ু নিয়ে এ কথা বলছে!!
আমার আত্মবিশ্বাসের দরকার হলে আমি এই ছেলের প্রোফাইলে উঁকি দেই।
...সকাল ৭ টায় মায়ের মৃত্যু দেখে সকালে ৯ টায় এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে এরকম একজনকেও আমি চিনি। যখন সে প্রশ্নে কী কমন পড়েছে তা দেখছে তখন তার মাকে গোসল করানো হচ্ছে।
যখন সে এক নং প্রশ্নের উত্তর লিখতে যাবে তখন মনে পড়ল, মায়ের শেষ কথাটা ছিল- ‘ ‘লিখা শেষ করে সব আবার revision দিবি’
এই ছেলেটিরও ইচ্ছে করেছিল সবার মত উঠানে হামাগুড়ি দিয়ে কাঁদতে। আসমান জমিন এক করে ‘ মা আসলে মরে নি’ টাইপ প্রলাপ বকতে’ ...
......বেঁচে থাকার জন্য মানুষকে কত কিছু করতে দেখলাম। শরীরের ৯০ ভাগ আগুনে ঝলসে যাওয়া কোন মানুষ স্বপ্ন দেখছে... একদিন সুস্থ হবে... ! সকালে চা খাবে... বই পড়বে... ! 'ট্রেন টু পাকিস্তান' পড়া হয়নি এখনো আহা !
মিনিট দুয়েক আগে জবাই হওয়া কোন মানুষ ফ্লোরে ছটফট করছে...
পানি খাবে ?
একে পানি দিলে পিপাসা মিটবে। হাসপাতালে নিলে বেঁচে যাবে...
তাকে এই অপশন দেয়া হলে সে কী করত ?
নিশ্চয়ই পেট ভরে পানি খেয়ে পিপাসা মিটিয়ে মরতে চাইবে না। বরং পিপাসার কষ্ট নিয়েই সে বেঁচে থাকবে... কিছু পিপাসা থাকবেই...
চামড়া কেটে গেলে দাগ একদিনে শুকায় না... প্রথমে হালকা হয়..তারপর নতুন চামড়া গজায়।

No comments:

Post a Comment

অভিশপ্ত রজনী

  মৃত মেয়েটিকে ধর্ষণ করার সময় মেয়েটি যে জীবিত হয়ে ওঠে সেটা খেয়াল করেনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় কাব্য।ধবধবে সাদা চামড়ার মেয়েটিকে ভোগ করার...