Tuesday 21 July 2020

কালো মানুষ

কালো মানুষ অপছন্দ? ব্ল্যাক প্যান্থার এছরের সবচেয়ে হিট মুভি।
প্রতিবন্ধী মানুষ অপছন্দ? স্টিফেন হকিং পৃথিবীর শ্রেষ্ট বিজ্ঞানী মধ্যে অন্যতম।
বেঁটে মানুষকে অপছন্দ?শচীন,আমিরকে চেনো।
গরীব মানুষকে অপছন্দ?কন্ডাক্টর শিবাজী আজ সাউথের সুপার ষ্টার রজনীকান্ত..
ক্লাসের কম নাম্বার পাওয়া ছাত্রদের অপছন্দ?বিল গেটস পৃথীবির সবচেয়ে সবচেয়ে ধনী ব্যাক্তি..
তোতলা মানুষকে অপছন্দ?সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ দার্শনিক এরিষ্টটল।
খারাপ চেহারার মানুষকে অপছন্দ করেন?আমেরিকার প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন।
অন্ধ মানুষকে অপছন্দ?হেলেন কেলারকে দেখুন।
তোমার পছন্দ অপছন্দ কিচ্ছু যায় আসে না।জন্মগত ভাবে কেউ সেরা হয় না,মানুষ সেরা হয় তার নিজ যোগ্যতায়।

একা থাকার সুবিধা

১.
তুমি যদি একা থাকো তাহলে তুমি যখন ঘুমাতে যাবে তখন ভুত এসে তোমার বাসার খালি চেয়ারে বসে থাকবে।
*
২.
যদি তুমি একা বোধ করো তাহলে আলো নিভিয়ে দিয়ে একটা ভুতের ছবি দেখো, তখন অনুভব করবে যে কেউ একজন তোমার পেছনে দাঁড়িয়ে আছে। তোমার আর একা বোধ হবে না।
*
৩.
পান্ডা বিষণ্ণ বোধ করলে কিছুক্ষণ একাকী বসে থাকে।
*
৪.
তুমি যদি এক্সট্রোভার্ট বা ইনট্রোভার্ট না হও তাহলে তুমি অ্যামবিভার্ট। মানে হলো তুমি সামাজিক আড্ডা পছন্দ করো আবার একাকী নিরিবিলি মুহূর্তটাও উপভোগ করো।
*
৫.
যখন অনেক লোক একসাথে একটা দুর্ঘটনা দেখে, তখন কেউ একজন আক্রান্ত ব্যক্তিটির সাহায্যে এগিয়ে আসার সম্ভাবনা কমে যায়। এটাকে বলে বাইস্ট্যান্ডার ইফেক্ট।
*
৬.
যখন তুমি রাত ২টা থেকে ৩টায় বিনা কারণে ঘুম থেকে জেগে ওঠো, ৮০% সম্ভাবনা কেউ একজন তোমার দিকে তাকিয়ে আছে।
*
৭.
বই পাঠের গভীরে ডুবে যেতে পারলে আর তুমি একা বোধ করবে না।
*
৮.
ইঁদুরও মানুষের মতো সামাজিক প্রাণী। একটু দীর্ঘক্ষণ ইঁদুর একা থাকলে বিষণ্ণ হয়ে পড়ে।
*
৯.
তুমি যদি বাড়িতে একা থাকো, প্রায়ই শুনতে পাবে যে অন্য কক্ষে কী যেন পড়ে গেল।
*
১০.
সিংহ রাশির মানুষ যখন খারাপ মুডে থাকে তখন তাকে একাকী থাকতে দাও নতুবা সে তোমাকে পাত্তা দেবে না ও কথাই বলতে চাইবে না।
*
১১.
সিংহ রাশির মানুষ যখন একাকী থাকে বুঝতে হবে তার হৃদয় ভালোবাসায় পরিপূর্ণ হয়েছে নতুবা সম্প্রতি সম্পর্ক ভেঙ্গে গেছে।
*
১২.
তুমি যদি সম্পূর্ণ নির্জন, আশে পাশে জনমানবহীন এক বাড়িতে জোর শব্দেও পর্নো দেখো, তুমি কিন্তু ভয় পাবে ।
*
১৩.
সুইজারল্যান্ডে তুমি মাত্র ১টা গিনিপিগ পুষতে পারবে না, সেটা অবৈধ। কারণ গিনিপিগ সামাজিক প্রাণী, তাকে দলেবলে পুষতে হবে নতুবা ধরা হবে তুমি গিনিপিগকে নির্যাতন করছো।
*
১৪.
নবজাতক শিশুর কান্না কুকুর সহজেই শুনতে পায় ও খুব দ্রুত তার জবাব দেবেই।
*
১৫.
তুমি যখন একা ও নি:সঙ্গ তখন কাউকে মিস করাটা খুবই স্বাভাবিক কিন্তু তুমি অনেক ব্যস্ততা আর ভিড়েও কাউকে মনে করো সেটাই আসল।
*
১৬.
*
( বোনাস )
যখন তুমি বাড়িতে সম্পূর্ণ একা:
----------------------------------------
ক. তর্জনী দিয়ে ইচ্ছে মতো কান খুঁচিয়ে নেবে ও কানের ময়লা
পরিস্কার করে নেবে।
*
খ. কমপক্ষে ১০ টা সেলফি নেবে আর ভাববে মেক আপ ছাড়াও আমি কতো ফ্রেশ।
*
গ. আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে যা খুশি অঙ্গভঙ্গি করবে।
*
ঘ. ময়লা অন্তর্বাস, মোজা এসব হাবিজাবি নাকের কাছে এনে লন্ড্রির ব্যবস্থা করো।
*
ঙ. এই সুযোগে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের প্রাইভেট পার্টস দেখে নিতে পারো।
*
চ. যে আঙ্গুলে দিয়ে কান খোঁচাওনি, সে আঙ্গুলে দিয়ে বয়াম খুলে আচার, নিউটেলা বা পিনাট বাটার চুকচুক করে খেতে পারো।
*
ছ. স্ল্যামডগ মিলিয়নার ছবির ‘জয় হো’ গানটা ছেড়ে দিয়ে নাচতে পারো। এই নাচটা তোমার মন ভালো করে দেবে অথবা জেনিফার লোপেজের ‘ওয়েটিং ফর টু নাইট’।
*
জ. ল্যাপটপ খুলে জোরে একটা চিৎকার করতে পারো।
*
ঝ. দরজা খুলেই বাথরুম করো ও সফল একটা বাথরুম শেষ করে তৃপ্তির ‘ আহ’ করো।
*
ঞ. কেউ যেহেতু শুনছে না, সশব্দে গ্যাস ছাড়তে পারো।
*
ট. বেসুরো গলায় মনের সুখে গলা ছেড়ে গান গাইতে পারো।
*
ঠ. নিজের এলোমেলো ড্রয়ারটা গোছাতে পারো।
*
ড. শব্দ করে চা খাও, শব্দ করে হাপুস হুপুস খাবার খাও ও খেয়ে শব্দ করে ঢেকুর তোলো।
*

এবং
ঢ. নিজের পছন্দের গানটা ১০০ বার শোনো।

ডিমলা ভ্রমণ

সময়টা জুন ২০১১। টানা নয়দিন বৃষ্টি। এর মাঝেই ফিল্ড ওয়ার্কে যেতে হলো উত্তরের সীমান্তবর্তি জেলা নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায়। নীলফামারী জেলাকে নীলের দেশ বলা হয়। এই জেলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও ভু-সংস্থান বেশ সমৃদ্ধ যা অন্যান্য জেলা থেকে এই জেলাকে কিছুটা হলেও আলাদা করেছে। জেলার উত্তরদিক কিছুটা উচু এবং খরা পিরিত অঞ্চল, পূর্ব দিক তিস্তার বালুকাময় এলাকা, এই উচু ও বালুময় ভুমি ধীরে ধীরে দক্ষিনপশ্চিম দিকে উর্বর কৃষি জমিতে পরিনত হয়েছে। এই জেলা অতীত ইতিহাসের অনেক সাক্ষী বহন করে। এখানে সত্য পীরের গান, হাঁস খেলা, মাছ খেলা সহ অনেক উৎসবের আয়োজন হয়।
তিন জনের টিম, তিনদিনে এলাকা কভার করে আসতে হবে। ডিমলা উপজেলা ডাকবাংলোতে আগে থেকেই থাকার ব্যবস্থা করা ছিলো। তিনজন তিনদিকে না গেলে কাজ শেষ হবে না, তাই ওখানে গিয়ে এলাকা ভাগ করে নেয়া হলো। আমার ভাগে পড়েছিলো একাবারে উত্তরের এলাকা, সবগুলো এলাকার নাম মনে না থাকলেও কিছু কিছু এলাকার নাম মনে আছে এখনো। ছাতনাই, শোভনগঞ্জ বালাপাড়া, বালাপাড়া, উত্তর ছাতনাই বালাপাড়া, উত্তর সুন্দরখাতা, নিজ সুন্দরখাতা, মধ্যম সুন্দরখাতা উল্লেখযোগ্য। এলাকার মানগুলো যেমন সুন্দর, মানুষগুলোর মন তার চেয়ে অনেক বেশী সুন্দর।
সত্যি কথা বলতে প্রথমদিন সেখানে পৌঁছে বিশ্রামের পরে কাজে বেরুবার ইচ্ছে থাকলেও বৃষ্টির কারণে বের হতে পারিনি। সন্ধ্যায় উপজেলা বাজারে ঘুরেই সময় কাটিয়ে দিয়েছি। হাতে থাকে দুই দিন। তিনদিনের কাজ দুই দিনে শেষ করতে হবে। মানে কাজের চাপ বেড়ে গেলো দেড় গুন। পরদিন সকালে বৃষ্টির মধ্যেই রেইনকোট গায়ে পেচিয়ে, ছাতা মাথায় বেরিয়ে পড়লাম ছাতনাই, শোভনগঞ্জ বালাপাড়া, বালাপাড়া, উত্তর ছাতনাই বালাপাড়ার উদ্দেশ্যে। ভেবেছিলাম প্রথমদিনে এই এলাকায় কাজ শেষ করবো। প্রত্যন্ত গ্রাম বলে সেই এলাকায় পৌছুতে আমার দুপুর হয়ে গেলো। খাবার জন্য কোন হোটেল/রেষ্টুরেন্ট না থাকায় দোকান থেকে কলা আর রুটিতেই সারতে হলো দুপুরের খাবার। খেয়ে যথারীতি কাজ শুরু। কাজের চাপ এত বেশী ছিলো যে, কখন সন্ধ্যা হয়ে গেছে বুঝতেই পারি নি। ছাতনাইয়ের কাজ শেষ করে তখন পর্যন্ত আমি শোভনগঞ্জ বালা পাড়ায়। ওখানে একটা স্থানীয় মসজিদে মাগরিব নামাজ পড়ে মনে মনে স্থীর করলাম আজ আর নয়, ফিরে যাই ডাক বাংলোয়। মাটির রাস্তা হওয়ায় প্রচন্ড পিচ্ছিল আর কাদাযুক্ত ছিলো পথটি। কিছুদুর এগিয়ে অন্ধকারের মাঝে পিটপিট করে আলো জ্বলতে দেখলাম। রাস্তার পাশের একটি ছোট টং দোকান। পুরো দোকানের সমস্ত মালামালের দাম হবে হয়তো পাঁচশো টাকার মত। ভিতরে শুকনা একজন দোকানী। সেখানে বসে চা খাওয়ার ইচ্ছে পোষন করায় আমাকে কেতলীর ঠান্ডাপ্রায় লিকারের চা খেতে হলো। কথা হচ্ছিল দোকানীর সাথে, নাম লোকমান। তাকে জিজ্ঞাস করলাম এখান থেকে ডিমলা পৌছুনোর ব্যবস্থা কী? আমাকে জানালো এখান থেকে দেড় কিলো গিয়ে পাকা রাস্তা পাবো, সেখান থেকে ডিমলা যাবার ব্যবস্থা হতে পারে। শরীর এত ক্লান্ত যে, সেখান থেকে উঠে অন্ধকার, অপরিচিত ও কর্দমাক্ত পথে দেড় কিলো হাটার শক্তিটুকু হারিয়েছিলাম। কষ্ট পাচ্ছিলাম এই ভেবে যে, পরদিন সকালে আবার আসতে হবে এই এলাকায়।
বাকী কলিগদের সাথে যখন ফোনে কথা বলছিলাম তখন কথায় কথায় বলেছিলাম “এই এলাকায় একটা মসজিদ পেলে থেকে যেতাম সেখানে, আজকে ফেরার এনার্জি নাই”। লোকমান আমার কথাগুলো মন দিয়ে শুনছিলো। কথা শেষে লোকমান নিজ থেকেই আমাকে অফার করলো তার বাড়িতে আজ থেকে পরদিন কাজ সেরে একবারে যেতে। ঢাকার মত এক যান্ত্রিক শহরে বসবাস করি বলে আমি নিজেও মানবিক গুনাবলী হারাতে বসেছিলাম। পরিচিত কেউ এলাকা থেকে আসলে এক দিনের বেশি দুদিন হলেই মনে মনে ভাবতাম কখন যাবে? আর অপরিচিত কাউকে বাসায় আসার কথা বলা তো ভাবাই যায় না। এদিকে রাত আটটা পেরিয়ে গেছে, আমি আর লোকমান ছাড়া কেউ বাহিরে আছে বলে মনে হয় না। এরই মাঝে শুরু হলো তুমুল বৃষ্টি। প্রায় পৌনে নয়টা নাগাদ বৃষ্টি ছাড়লেই লোকমান আমাকে ডিমলা না গিয়ে তার বাড়িতে রাত্রি যাপনের জন্য তাড়া দিতে লাগলো। এক পর্যায়ে আমি তার বাড়িতে যেতে রাজি হই। দোকান থেকে বের হয়ে পাঁচ মিনিটের পথ। বাড়ি বলতে ছোট্ট একটা ঘর। ছনের ছাউনি আর পাটখড়ির বেড়া। অবশ্য ঘরের ভিতরে তিনফুট উচ্চতায় একটা পার্টিশন দিয়ে একপাশে রান্নাঘর বানানো হয়েছে। মেহমান বাড়িতে দেখা লোকমানের বউ কোন প্রকার মন খারাপ তো করেই নি, বরং উৎসাহ নিয়ে রান্নার কাজে চলে গেলো। আমি ঘরে ঢুকে মাচার (বাঁশ দিয়ে তৈরী যা খাটের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা হয়) উপরে বসলাম। একদিকে রান্নার কাজ চলছে, অন্য দিকে রাতে শোবার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ওহ... বলতে ভুলেই গেছি, লোকমানের একটি মেয়েও আছে তিন বছরের (নামটা মনে করতে পারছি না)। খুব কথা বলে মেয়েটি। আমার সাথে আপন হতে তার সময় লেগেছে দুই মিনিট। রান্না শেষে মাচাতেই খাবারের ব্যবস্থা হলো। একটা ডিম রান্না করে দুইভাগ করে দুজনকে দেয়া হয়েছে আর লোকমানের স্ত্রী মেয়েকে কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আমি তাদেরকেও একসাথে খেতে বসতে বললাম। গ্রামের মেয়ে বলে হয়তো বসতে চাচ্ছিলো না। পরে অনেক জোড়াজুড়িতে আমাদের সাথে বসেছে। তিনটি প্লেট আর একটা বাটিতে চারজন খাওয়া শুরু। ডিমের টুকরো দুটোকে চার টুকরো করে চারজনে খাবার শেষ করলাম। রাতে ঘুমানোর জন্য রান্না ঘরে ধানের খড় বিছিয়ে তার উপরে পাটি এবং তার উপরে কাথা বিছিয়ে শান্তির একটা ঘুম দিয়ে পরদিন সেখান থেকে বিদায় নিয়ে সারাদিন কাজ সেরে সন্ধ্যায় ডাকবাংলোতে ফিরলাম।
শুধু মনের মধ্যে আটকে থাকলো লোকমানের পরিবারের মানুষগুলোর সরলতা আর আথিথেয়তা।
একটা ডিম চার টুকরো করে খাওয়ার মাঝে যে আনন্দ, সেটা আসলেই ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।

যে বিদ্যা জ্ঞানচক্ষু উম্মীলিত করে না

যে বিদ্যা জ্ঞানচক্ষু উম্মীলিত করে না
-----------------------------------------------
ভারতের একসময়ের প্রধান নির্বাচন কমিশনার টি এন শেষন এক ছুটির দিনে উত্তর প্রদেশের কোন এক এলাকায় পিকনিকে যোগ দেওয়ার জন্য সস্ত্রীক রওনা হয়েছেন । একটি আমবাগান অতিক্রম করার সময় চোখে পড়ল আমগাছে অজস্র বাবুইপাখির বাসা ঝুলছে। এ ধরণের দৃশ্য তিনি আগে কখনো দেখেন নি। তার স্ত্রী আগ্রহ প্রকাশ করলেন, দুটি বাসা তিনি বাড়িতে নিয়ে যাবেন।
এসকর্টের লোকেরা ওখানে দাঁড়িয়ে থাকা এক রাখাল তরুন কে দুটি পাখির বাসা পেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করল । সে রাজি হল না।
শেষন কত বড় অফিসার, কি তার ক্ষমতা, সব কথা বলা সত্ত্বেও তরুনটির কোন ভাবান্তর নেই। শেষ পর্যন্ত শেষন নিজে এগিয়ে গিয়ে তাকে ১০ টাকা বকশিস দিয়ে প্রলুব্ধ করতে চাইলেন কিন্তু কাজ হলো না ৷ এর পর ৫০ টাকা পর্যন্ত দিতে চাইলেন তবুও সে অনড়।
সে বলল, সাহেব জি এই বাসা গুলোতে একটি করে পাখির বাচ্চা রয়েছে। মা পাখিটা যখন বিকেলে খাবার নিয়ে এসে তার বাচ্চাটিকে পাবে না তখন তার কান্না আমি সহ্য করতে পারব না। আপনি যত কিছুই আমাকে দিতে চান কোন কিছুর বিনিময়েই আমি এ কাজ করতে পারব না।

টি এন শেষন তার আত্মজীবনী তে লিখেছেন, মুহূর্তে মনে হল আমার সমস্ত বিদ্যাবুদ্ধি আই এস এস পদমর্যাদা সবকিছুই এই রাখাল তরুনটির কাছে একদানা শস্যেরও সমতুল্য নয়। শেষন বলেছেন, এই অভিজ্ঞতা তিনি সারা জীবন বয়ে বেড়িয়েছেন ।
যে বিদ্যা জ্ঞানচক্ষু উন্মীলিত করে না, বিবেক জাগ্রত করে না তা অসার-অন্তঃসারশূন্য বোঝামাত্র।

আজ আবার স্কুলে যাবার জন্য ইচ্ছে হচ্ছে......

আজ আবার স্কুলে যাবার জন্য ইচ্ছে হচ্ছে......
সকাল সকাল জলদি উঠে গোসল করতে ইচ্ছে হচ্ছে...
স্কুলড্রেস পড়েতে খুব ইচ্ছে হচ্ছে...।
আজ আবার... লাইনে দাঁড়িয়ে এসেম্বলি ক্লাস করার ইচ্ছে হচ্ছে
অন্যজনকে ধাক্কা দিয়ে দৌড়ে আগে গিয়ে ক্লাসে ঢুকে পড়তে ইচ্ছে হচ্ছে...
ক্লাস পিড়িয়ড চলাকালীন সামনের বেঞ্চের কল্লোল আর উত্তমকে লুকিয়ে চক মারার ইচ্ছে হচ্ছে...
হোমওয়ার্ক না করে অনেক মিথ্যা বাহানা বানাতে ইচ্ছে হচ্ছে...
পিছনের বেঞ্ছে বসে লুকিয়ে কার্টুন আকার ইচ্ছে হচ্ছে...
ব্ল্যাকবোর্ডে কালাম স্যারের ব্যাঙ্গ চিত্র আকতে এবং পরে উনার হাতে কানমলা খেতে খুব ইচ্ছে করছে...।
স্কুলের পিছনে পেঁপে গাছের আধপাকা পেঁপে ছিঁড়তে ইচ্ছে হচ্ছে...
আজ আবার... ধর্ম ক্লাস বাদ দিয়ে ঘুমাতে ইচ্ছে হচ্ছে...
আজ আবার মকবুল স্যারের বাংলা ক্লাশ করতে ইচ্ছে হচ্ছে...
আতিয়ার স্যারের ক্লাশে, কয়েকজন একসাথে কান ধরে বাহিরে দাড়িয়ে থাকতে ইচ্ছে করছে...
কাউকে দেখে মুচকি হাসতে খুব ইচ্ছে হচ্ছে...
সারাদিন বেপরোয়া দুষ্টুমি করতে ইচ্ছে হচ্ছে...।
ছুটির ঘন্টা শুনার অপেক্ষায় বসে থাকতে ইচ্ছে হচ্ছে...।
আজ আবার... ঐসব বন্ধুদের সাথে কথা বলা, লড়াই ঝগড়া করতে ইচ্ছে হচ্ছে...
সবকিছু ভুলে ঝাকানাকা হয়ে যেতে ইচ্ছে হচ্ছে...
আজ আবার স্কুলে যাওয়ার জন্য ইচ্ছে হচ্ছে...

মফিজ নামের ইতিহা

মফিজ নামের ইতিহাস সত্যি এরকম কি না।তবে যুক্তিপূর্ণ। যারা রংপুরের মানুষকে মফিজ বলেন তাদেরকে পড়ার অনুরোধ করছি 
*********************************************
মফিজ বলার কারনঃ গাইবান্ধা জেলার প্রত্যন্ত এক গ্রামের স্বল্পশিক্ষিত অত্যন্ত সৎ ড্রাইভার ছিলেন মফিজ। তাঁর শেষ জীবনের সঞ্চয় এবং বাবার দেয়া সামান্য জমি বিক্রয় করে ঢাকা রুটের একটা পুরাতন বাস ক্রয় করে ঢাকা- গাইবান্ধা রুটে বাসটি চালু করলেন। গরীব দরদী মফিজ সাহেব দিনমজুর লোকদের স্বল্প ভাড়ায় ঢাকা নিয়ে যেতেন। এক সময় বয়সের ভারে মফিজ সাহেব অন্য ড্রাইভার দিয়ে বাস চালনো শুরু করলেন। কিন্তু দিনমজুর শ্রেনীর লোকেরা ভাড়া সাশ্রয়ের জন্য তাঁর বাড়িতে ধর্না দেয়া শুরু করলো। তাদের উপকারের জন্য সাদা কাগজে মফিজ লিখে সুপারভাইজারকে দিতে বলতেন এবং বাসের ছাদে নামমাত্র ভাড়ায় ঢাকা যাতায়াতের সুবিধা করে দেয়ার ব্যবস্থা করতেন। বাসের সুপারভাইজার মফিজ স্বাক্ষরযুক্ত কাগজ সংগ্রহ করে কম ভাড়া আদায় করতেন। তাই বাসের ছাদে উচ্চস্বরে সুপার ভাইজার বলতেন কয়জন মফিজ আছো ছাদে? অথাৎ কয়টা মফিজের স্লিপ আছে? আর এ ভাবে গরীবের  উপকারী বন্ধু মফিজ শব্দটি চালু হয়। আজ আমরা ঠাট্টা করে অনেকে 'মফিজ' শব্দটি উচ্চারণ করি। কিন্তু বুকে হাত দিয়ে বলেন 'মফিজ' হওয়ার যোগ্যতা কি আপনার আমার আছে??? .

এখন আসুন মুল কথায়ঃ ব্যাকডেটেট পিছিয়ে থাকা জনগন ভাইভা বোর্ডে নব্বই ডিগ্রী এ্যাংগেলে ভ্রু  কুঁচকে বলা হয়,"ও...! তোমার বাড়ি উত্তর বঙ্গে। "তারপর রেজাল্ট যা হবার তাই হয়। একটা কমন চিত্র। ব্যাপারটা কি সত্যি এরকম? আসলেই কি এরা ব্যাকডেটেট? যাদের মানসিকতা এমন তারা কি আপডেটেড? আজকের প্রভাবশালি জনপ্রিয় লেখক আনিসুল হক কোথাকার? সৈয়দ শামসুল হক কোথাকার? কবি শেখ ফজলল করিম কোথাকার ছিলেন? ফকির মজনু শাহ? আব্বাস উদ্দীন? তেভাগা আন্দোলনের সফল নায়ক হাজী দানেশের বাড়ি কোন বঙ্গে ছিল?
প্রফুল্ল চক্রবর্তী আর ক্ষুদিরাম বসু জানেন কোথাকার ছিল? যে মেয়ে ম্যাডামটা আজকে ভাইভাতে বসে উত্তরবঙ্গকে ব্যাকডেটেট বলে,সে হয়তো ভুলে গেছে মেয়ে মানুষদের পড়াশুনার ইতিহাস? উত্তরবঙ্গের বেগম রোকেয়া না থাকলে আজ কি হতো? তানিয়া আমিররা আইনজীবী হতে পারতো না বিমানের পাইলট হতে পারতো না কানিজ ফাতেমারা ওয়াসফিয়ার হিমালয় জয় করা লাগতনা। চুলায় আগুন দিতে দিতে জীবন শেষ করতে হতো। মৌর্য সেনদের রাজধানী কোথায় ছিল? ঢাকা তো দু- চার'শ বছর আগে রাজধানী হল। ঢাকা অনেক জুনিয়র সিনিয়র রাজধানী তো মহাস্থানগড়!! . নয় বছর দেশ চালানো এরশাদ সাহেব কোথাকার? শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কোন বঙ্গের? বগুড়ার ম্যাডাম খালেদা জিয়ার জন্ম দিনাজপুর | দেশের সংকট সময়ে সাহসী সেনাবাহিনীর প্রধানরা কোন বঙ্গের ছিল? বিখ্যাত সাংবাদিক থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে যাওয়া মশিউর রহমান যাকে আমরা জাদু মিয়া নামে চিনি তার বাড়িটাও উত্তরবঙ্গের রংপুরে।

বাংলাদেশের বিপদকালীন সময়ে হাল ধরা রাষ্ট্রপতিরা আর সেনাপ্রধানরা কোন বঙ্গের? একবার বাংলা একাডেমিতে আঞ্চলিক বিতর্ক হচ্ছে, এই বিতর্ক নিজের অঞ্চলের ভাষায় করতে হয়।একটু মজাও করতে হয়। রংপুরের পক্ষে বিতর্কের যে অংশটুকু চ্যানেল আই- এ দেখানো হল সেটি ছিল সংক্ষেপে এরকম "হামার দ্যাশের জনক বঙ্গবন্ধুর ছাওয়া শেখ হাসিনা। বিয়ার জন্যে পাত্র খুজিবার নাগচে। কোনোটে ভালো পাত্র পায় নাই। শ্যাষে সবারচাইতে ভালো পাত্র কোটে পাইচে কন তো বাহে? হামার অমপুরে!!" বাদ দেন সারা দেশে শতসহস্র ছেলে থাকতে বঙ্গবন্ধু ওনার মেয়েকে উত্তরবঙ্গের ছেলের সাথে বিয়ে দিল কেন? কারন বঙ্গবন্ধু জানতেন ওয়াজেদ জিনিয়াস, হু ইজ রিয়েলি স্মার্ট!!" দেশ চালায় কোন বঙ্গের মানুষ? কোন বঙ্গের পুত্রবধু? সাবধান ভুলে যাবেননা সামনে সজীব ওয়াজেদ জয় আর তারেক রহমান একজন রংপুর একজন বগুড়া সন্তান। হাসের মত প্যাকপ্যাক করে ভাইভা বোর্ডে উত্তরবঙ্গের মফিজ বলে সবাইকে তাড়িয়ে দিলে প্রেসিডেন্ট জিয়া, জেনারেল এরশাদ, খালেদা জিয়া, আনিসুল হকদের পেত না এই বালাদেশ। ভারত সহ বিশ্বে ১৫০ টির বেশি দেশে পন্য রপ্তানি করে সারা বিশ্বে দেশের সুনাম আনছে প্রান আর এফ এল গ্রুপ,দু:খিত ভাই এটাও উত্তরবঙ্গের,সারাবিশ্বে ফ্যাশন দুনিয়ার রানি
বলে সমাদৃত বিবি রাসেল,এই মানুষ টার বাড়ি রংপুর। অশংখ্য রহিমুদ্দি, করিমুদ্দি ভরসা কিংবা আমজাদ খান চৌধুরি পুরা উত্তরবঙ্গ জুড়ে। মেধার অভাব উত্তরবঙ্গে নেই কিছু কিছু চেয়ারে বসা বিচারকের "সুস্থ মানষিকতার" অভাব আছে। কথিত মহান ব্যাক্তিরা উত্তর-বঙ্গ বলে যখন কাউকে পাঠিয়ে দিলেন তারা হয়তো তখন একজন আনিসুল হক কে কিংবা ভবিষ্যত কোন রাষ্ট্রপতিকে হারিয়ে ফেললেন। সাথে সাথে এক ধাপ পিছিয়ে গেল বাংলাদেশ। আমি একটা কথা সবসময় বলি, ''মনে রাখবেন রাষ্ট্র শাসনের নবাবীত্ব উত্তরবঙ্গ থেকেই এসেছে।''
**********************************************
তাই  রংপুরের মানুষকে মফিজ বলার আগে এই কথাগুলো একবার ভেবে দেখবেন।

বলাৎকার।




ইচ্ছে ছিলো মানুষ হবো
চেষ্টা ছিলো তাই,
এখন দেখি মানুষ হয়ে
বাঁচার উপায় নাই।
রাষ্ট্র যেন যৌনদেবী
লিঙ্গ যাদের মোটা,
তারাই কেবল পেয়ে থাকেন
ভোগ করিবার কোটা।
আমরা সবাই দর্শক তাই
তারা দেখান দৃশ্য,
পেছনে তার লীলা করে
শ্রী রাম কৃষ্ণ।
দলে দলে দলাদলি
যারা করেন সর্বদায়,
তারাই নাকি দূর করিবেন
রাষ্ট্র থেকে সম্প্রদায়।
সমতাকে ধ্বংস করে
লালন করে পুঁজিবাদ,
অস্ত্র দিয়ে শাসন করে
কে করবে আর প্রতিবাদ!
নেই নীতি নৈতিকতা
দুর্নীতির স্রস্টা,
তারাই নাকি বিশ্বজুড়ে
শান্তি করবে প্রতিষ্ঠা!
খাঁচায় বসে রাষ্ট্র চালায়
জাতে জাতে মিলায় হাত,
ক্ষমতাকে ধরে রাখতে
ঘটায় তারা রক্তপাত।
শাসক রুপে রুপ ধরিয়া
শোষণ করে সবি নেয়,
মুল ঘটনা ঢেকে রাখতে
উল্টো করে ব্রিফিং দেয়।
এ সব কথা বলতে মানা
জীবনের ভয় আছে তাই,
লিখতে পারেন পড়তে পারেন
এক্কেবারেই বলতে নাই।
দেশটা যেন নিশিকণ্যা
সোনামাখা রুপ তার,
যার হাতে যায় ক্ষমতা
সে'ই করে বলাৎকার।

পাপিয়া, ক্যাসিনো সম্রাট, জি কে শামীমদের, মতো দুর্নীতিবাজদের বিচারের আওতায় আনার পাশাপাশি তাদের জন্মদাতার সন্ধান করা উচিত।

সাবরিনা, শাহেদ, পাপিয়া, জিকে শামীম, ক্যাসিনো সম্রাট,এরকম অসংখ্য, দুর্নীতিগ্রস্থ দুর্নীতিবাজরা আমাদের দেশের মূল ক্ষমতার খুব আশেপাশে বসবাস করে। কিন্তু এই দুর্নীতিবাজদের পিছনে রয়েছে আমাদের ক্ষমতাবান লোকেরাই। যেমন কোন রাজনৈতিক নেতা, বা প্রশাসনের উচ্চ কর্মকর্তা, মন্ত্রী, বা এমপিদের পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া কখনোই এই দুর্নীতিবাজরা জন্ম নেয়নি।
কিন্তু আমাদের সমাজের সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হল
যখনই, এই দুর্নীতিবাজদের আসল চেহারা, জনগণের সামনে চলে আসে, ঠিক তখনই গাছের ছায়া দেওয়া ক্ষমতাবান লোকরাই তাদের বিপক্ষে কথা বলে। সর্বোপরি সবসময়ই ক্ষমতাবানরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে।
তাই একটি কথা বলতে চাই আমাদের সমাজে সব সময় অবৈধ সন্তান কে দোষ দেওয়া হয়, যে সে জারজ সন্তান, আসল দোষী হচ্ছে অবৈধ সন্তানের জন্ম দেওয়া পিতা মাতা।
তাই আমাদের সামনে থাকা সাবরিনা, শাহেদ,
পাপিয়া, ক্যাসিনো সম্রাট, জি কে শামীমদের, মতো দুর্নীতিবাজদের বিচারের আওতায় আনার পাশাপাশি তাদের জন্মদাতার সন্ধান করা উচিত।

আইনস্টাইন


আইনস্টাইন এর মেয়ের বিয়ে। সবাই চার্চে যাচ্ছিল। পথের মধ্যে আইনস্টাইন ওনার মেয়েকে বললেন তুমি চার্চের দিকে যাও আমি ল্যাবে আমার কলমটা রেখে আসছি।
মেয়ে অনেক বারণ করা সত্বেও উনি গেলেন, ৩০ মিনিটের কথা বলে উনি যখন না এলেন তখন সবাই মিলে ওনার মেয়ের বিয়ে দিয়ে দিলেন। ৭ দিন পর ওনার মেয়ে যখন বাড়িতে এসে মাকে জিজ্ঞাস করলো বাবা কোথায় তখন তার মা বলল ওই যে গেল আর আসে নি।
তখন তাঁর মেয়ে আইনস্টাইন এর খোঁজে ল্যাবে গেলেন। ল্যাবে গিয়ে দেখলেন যে তার বাবা একটা কলম নিয়ে বোর্ড এর সামনে গিয়ে কি জানি চিন্তা করছিল। মেয়ে বাবা কে বলল বাবা কি করছো? তখন আইনস্টাইন বললেন যে মা তুমি চার্চে যাও আমি এই কাজ টা ১০ মিনিটের মধ্যে শেষ করে আসছি।
রবীন্দ্রনাথ ও আইনস্টাইনের সেবার প্রথম সাক্ষাৎ হয়। রবীন্দ্রনাথ ঘর থেকে বেরিয়ে আসার পর সাংবাদিকেরা তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, 'এইমাত্র আপনি একজন বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানীর সঙ্গে কথা বললেন, আপনার প্রতিক্রিয়া কী ?
রবীন্দ্রনাথ উত্তর দিলেন, 'আমি তো একজন বিশ্বখ্যাত কবির সঙ্গে কথা বললাম।'
এরপর সাংবাদিকরা আইনস্টাইনের সঙ্গে দেখা করে বলেন, 'আপনি একজন বিশ্বকবির সঙ্গে আলাপ করলেন, আপনার প্রতিক্রিয়া কী?'
আইনস্টাইন জবাব দিলেন, 'আমি কবির সঙ্গে কথা বলিনি, আমি একজন বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানীর সঙ্গে কথা বলেছি।'
এই পৃথিবী কখনো খারাপ মানুষের খারাপ কর্মের জন্য ধ্বংস হবে না , যারা খারাপ মানুষের খারাপ কর্ম দেখেও কিছু করেনা তাদের জন্যই পৃথিবী ধ্বংস হবে।
-অ্যালবার্ট আইনস্টাইন
শৈশবে তিন বছর বয়স পর্যন্ত আলবার্ট কথা বলতে শেখেননি। নয় দশ বছর বয়সেও তিনি কিছুটা থেমে থেমে কথা বলতেন। এতে পরিবারের লোকেরা যথেষ্ট চিন্তাগ্রস্ত হয়েছিলেন। তারা ভেবেছিলেন হয়ত আলবার্ট বড় হয়ে জড়বুদ্ধি সম্পন্ন হবে। তাছাড়া আলবার্ট ছিলেন খুব শান্তবিষ্ট লাজুক। অন্যান্য সমবয়সীদের থেকে আলাদা। খেলাধুলো, দৌড়ঝাঁপ তিনি বিশেষ পছন্দ করতেন না। ছেলেবেলায় অনেক সময় বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে সৈন্যরা কুচকাওয়াজ করে বাজনা বাজিয়ে শোভাযাত্রা করে যেত। অন্য ছেলেরা এ দৃশ্য দেখার জন্য রাস্তার ধারে জমায়েত হতো। কোন ছেলেই বাদ যেত না। এর ব্যতিক্রম ছিলেন আলবার্ট। পরবর্তীকালে এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, সৈন্যদের কাজ হুকুমে যুদ্ধ করা। আর হুকুম তালিম করতে গিয়ে যুদ্ধে সাহসিকতা প্রমাণ করা। দেশপ্রেমের নামে যুদ্ধ করাকে আমি ঘৃণা করি।
শৈশবে সঙ্গীতের প্রতি আইনস্টাইনের প্রবল আগ্রহ দেখে তাঁর মা তাকে একটি বেহালা কিনে দেন , যেটি তিনি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত শয্যাপাশে রাখেন । আইনস্টাইন বলেছিলেন , ছয় বছর বয়সে আমি হাতে বেহালা তুলে নিই। ১৪ বছর বয়স পর্যন্ত একটানা বেহালা বাজানোর শিক্ষা চলে । খুব ভাল লেগে গেল মোজার্টকে । দেখলাম শিক্ষক যা শেখাতে এতদিন এত চেষ্টা করেছেন , এখন তা আমি অনায়াসে আয়ত্ব করতে পেরেছি । তখনই উপলব্ধি করলাম - কর্তব্যপরায়ণতা নয় , ভালোবাসাই হল সবচেয়ে বড় শিক্ষক ।
ছোটবেলায় যখনই কেউ অঙ্কে ভালো করে বা বিজ্ঞানে তার প্রতিভা দেখায়, তখনই তাকে বলা হয় খুদে আইনস্টাইন। আর একটু বড় হলে, বিশেষ করে হাই স্কুলে বা কলেজে একই ভাবে বলা হয় তরুণ আইনস্টাইন। কেবল ভারতেই নয়, সারা বিশ্বের বেশির ভাগ বাবা-মাই তাদের সন্তানদের আইনস্টাইন বানাতে চান!
কেন? জবাবটা সোজা- বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন । বিশ্ব, সময় ও স্থান সম্পর্কে মানুষের হাজার বছরের ধারণাকে পাল্টে দিয়েছেন। সময়ের সবচেয়ে শ্রদ্ধেয় পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং মনে করেন, কোনো একদিন আসবে, যে দিন সময়ের কিংবা দুনিয়ার সম্পূর্ণ ইতিহাস লিখে ফেলা যাবে চার পৃষ্ঠায়, আর তার তিন পৃষ্ঠা জুড়ে থাকবে কেবল আইনস্টাইনের নাম! কাজেই সব বাবা-মা যদি তাদের সন্তানকে আইনস্টাইন বানাতে চান, তাদের কি দোষ দেওয়া যায়?
আইনস্টাইন সম্পর্কে বলা হয়, তিনি কথা বলতে শুরু করেন দেরিতে, চার বছর বয়সে। আর পড়তে শেখেন সাত বছর বয়সে। চার বছর পর্যন্ত যখন তিনি কথা বলছিলেন না, তখন তাঁর মা-বাবা বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন। একদিন হঠাৎ খাবার টেবিলে নির্বাক আইনস্টাইন বলে উঠলেন, স্যুপটা খুবই গরম!
তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলো, এত দিন কেন কথা বলোনি?
এত দিন তো সবকিছুই ঠিকঠাক চলছিল, আইনস্টাইন তাঁর জীবনের দ্বিতীয় বাক্যটি বললেন।
১৯৩১ সালে চার্লি চ্যাপলিনকে আমন্ত্রণ জানালেন আইনস্টাইনকে। তখন সিটি লাইটস সিনেমার স্কিনিং চলছিল চ্যাপলিনের। তো যখন চ্যাপলিন ও আইনস্টাইন শহরের পথ ধরে যাচ্ছিলেন, অনেক মানুষ ভিড় জমায়।
আইনস্টাইন চার্লি চ্যাপলিনকে বললেন, "তোমার ব্যাপারটা আমার দারুণ ইন্টারেস্টিং লাগে। তোমার ছবিতে তুমি একটা কথাও বলো না, অথচ দুনিয়ার লোক বুঝে যায় তুমি কী বলছ। তারা চার্লি বলতে অজ্ঞান।"
"ঠিক," চ্যাপলিন বললেন । "কিন্তু তোমার ব্যাপারটা আরো বেশি ইন্টারেস্টিং। দুনিয়ার লোক আইনস্টাইন বলতে অজ্ঞান। সায়েন্টিস্ট মানেই আইনস্টাইন। অথচ তারা তুমি যা বলো, তার একবর্ণ বোঝে না।"
একেই বলে ভূবন জয় করা দুই মহামানবের সেন্স অফ হিউমার ..
তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ । হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে ফেলা পারমাণবিক বোমায় মানবতার ব্যাপক বিপর্যয় । আলবার্ট আইনস্টাইন ও দারুণ শোকাহত । হাজার হলেও তাঁর নিজের আবিষ্কারের ভিত্তিতে তৈরি হয়েছিল এই বোমা । পশ্চিমা বিশ্বে ব্যাপক হৈ চৈ , সবার মুখেই পৃথিবীর সেরা বিজ্ঞানীর স্বীকৃতি মিলছে ।
এই সময় তাঁর এক বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে গেলে আইনস্টাইনের দিকে অবাক হয়ে কিছুক্ষণ তাকিয়ে বন্ধুর ছোট নিষ্পাপ শিশুটি চিৎকার করে কেঁদে উঠে ।
আইনস্টাইন ছেলেটির মাথায় হাত রেখে বলেন ,'' গত কয়েক বছরে তুমি একমাত্র বাক্তি , যে আমাকে সঠিকভাবে চিনতে পেরেছে এবং আমার সম্পর্কে সঠিক বর্ণনা দিতে পেরেছে ।''
আমেরিকার প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির প্রধান আলবার্ট আইনস্টাইনকে বেতন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করায় আইনস্টাইন বছরে ৩ হাজার ডলার দাবী করে বসলেন। টাকার অংক শুনে ভার্সিটির প্রধান চুপ হয়ে গেলেন। অন্যদিকে আইনস্টাইন ভাবছেন তিনি হয়তো প্রধানের কাছে কিছুটা বেশি বেতন চেয়ে বসলেন। অবশেষে ১৫ হাজার ডলারে আইস্টাইনের বেতন নির্ধারণ হলো।
নোবেল পুরষ্কার পাওয়ার পর আইনস্টাইন যখন সুইডেনের গোথেনবার্গে বক্তৃতা দিলেন তখন পত্রিকায় এক বিজ্ঞানগবেষক বললেন; এখানে দুই একজন বাদে অন্যকেউ আসলে বোঝেন নি আইনস্টাইনের “থিওরি অফ রিলেটিভিটি” । তবে এটা বুঝতে পারছি তিনি নতুন এক বিষয়ের দরজা খুলছেন মাত্র। আইনস্টাইন প্রথমবার আমেরিকায় যাওয়ার পর তার বন্ধুকে এক চিটিতে আক্ষেপ করে লিখছে; “থিওরি অফ রিলেটিভিটি” নিয়ে আমি ১৫ বছর কাজ করেছি মানুষ তা ১৫ সেকেন্ডে বুঝতে চায়। সবাই আমাকে দেখতে আসে মনে হয় আমি চিড়িয়াখানার কোন জিরাফ। “থিওরি অফ রিলেটিভিটি” জন্যে আইনস্টাইন নোবেল পান নাই আবার এই কাজের জন্যে তিনি পৃথিবীতে বিখ্যাত হয়েছেন।
পাবলিকের যন্ত্রণায় তিনি শেষ পর্যন্ত মানুষকে “থিওরি অফ রিলেটিভিটি” বোঝাতে বলেছেন: তুমি যদি কোন মেয়ের সাথে এক ঘণ্টা বসে থাক তাহলে তোমার মনে হয় তুমি তার সাথে এক মিনিট ছিলে, অন্যদিকে চুলার উপর এক মিনিট বসে থাকলে মনে হয় এক ঘণ্টা বসে আছ। আমাদের কাছেও “থিওরি অফ রিলেটিভিটি” নারী আর চুলাতে গিয়েই ঠেকেছে।
ভার্সিটি পড়া অবস্থায় আলবার্ট আইনস্টাইন হতাশায় পড়ে একবার পিতাকে চিঠিতে লিখেছিলেন যে, "আমার জন্ম না হওয়াই হয়তো ভাল ছিল।" বিখ্যাত হওয়ার পর আইনস্টাইন নিজেকে কখনো খুব জিনিয়াস বলেন নাই তবে অন্যদের থেকে বেশি কল্পনা করার শক্তি তা আছে তা স্বীকার করতেন। অন্যদিকে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের লক্ষকোটি গ্রহের মাঝে কোন এক গ্রহের চিপা গলির মোড়ে দাঁড়িয়ে ধর্ম প্রচারকরা ঘোষণা করতো- "আমি জন্মাবো বলেই ঈশ্বর মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছেন।
আইনস্টাইনের এক সহকর্মী একদিন তাঁর টেলিফোন নম্বরটা চাইলেন। আইনস্টাইন তখন একটি টেলিফোন বই খুঁজে বের করলেন এবং সেই বই থেকে তাঁর নিজের নম্বরটা খুঁজতে লাগলেন।
সহকর্মী তাকে বললেন, ‘কী ব্যাপার, নিজের টেলিফোন নম্বরটাও মনে নেই আপনার।’
আইনস্টাইন বললেন, ‘না। তার দরকারই বা কী? যেটা আপনি বইতে পাবেন, সে তথ্যটা মুখস্থ করে মস্তিস্ক খরচ করবেন কেন?’
মিঃ আইনস্টাইন? আপনি আমাকে চিনতে পারছেন?
– কে আপনি?(বৃদ্ধ আইনস্টাইন জানতে চান)
– এক সময় আপনি আমাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন।
– শেষ পর্যন্ত কি আমাদের বিয়ে হয়েছিল?
স্বামী সম্পর্কে কেমন ধারণা ছিল আইনস্টাইনের স্ত্রীর? তাঁর স্ত্রীকে একবার জিজ্ঞাসা করা হলো, ‘আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্ব কি বুঝতে পারেন?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘না, কিন্তু আমার স্বামীকে বুঝি। আমি জানি, তাঁকে বিশ্বাস করা যায়।’
১৯৫২ সালে আইনস্টাইনকে নবগঠিত ইসরায়েল রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হলে, তিনি বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি রাজনীতির চেয়ে সমীকরণ বেশী গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, রাজনীতি লেখা হয় বর্তমানের খসড়া খাতায় আর সমীকরণ লেখা থাকে মহাকালের অজর গ্রন্থে।’ এমনই বিজ্ঞান অন্তপ্রাণ ছিলেন আলবার্ট আইনস্টাইন।
মানবজাতির সমগ্র চিন্তার ইতিহাসে আইনস্টাইনের মত প্রতিভাবান , উদ্ভাবনী মানুষ জন্ম নেয় নি , সম্ভবত নিবেও না । জীবনের মাত্র ২০ বছর বিজ্ঞান সাধনায় কাটিয়েছিলেন কিন্তু মানবতার কল্যাণে সংগ্রাম করেছিলেন ৪০ বছর ।
পৃথিবীর , সভ্যতার , মানুষের অস্তিত্ব যতদিন থাকবে ততদিন এই ধরিত্রীর সবচেয়ে উজ্জ্বল নামটি আইনস্টাইন হয়েই রবে।

দেশের আইন আদালত


একবার এক ছাগল ছাড়া পেয়ে পাশের ক্ষেতের ধান খেয়ে ফেলেছে। বেচারা বুঝে নাই এইটা নেতার ক্ষেত। কিন্তু ছাগলের মালিক বিপদ টের পেয়েছে। সে ছাগল দুরে এক আত্মিয় বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে। এখন নেতা থানায় ফোন করে পুলিশ পাঠিয়ে দিলো। আমাদের দেশের পুলিশ ধরে আনতে দিলে বেধে আনতে যায়। কাজেই অপরাধী ছাগলের খোঁজে ঐ বাড়িতে গেলো। ছাগলের মালিক কিছুতেই স্বীকার করলো না তার কোন ছাগল ছিলো। পরে পুলিশ মালিককেই ধরে হাজতে ভরে রাখলো। নেতা ফোন করলে দাঁত কেলিয়ে বলল আসামী গ্রেফতার করে হাজতে ভরেছে। নেতা অবাক হয়ে জানতে চান ছাগলের হাজত আছে নাকি ? পুলিশ জবাব দেয় ছাগল না তার মালিক হাজতে। নেতা রেগে গিয়ে বললেন সে কি ধান ক্ষেত খাইছে নাকি ? তুমি ছাগল গ্রেফতার কর। পুলিশ পড়ল বিপদে। এদিকে ছাগলের মালিক নিশ্চিন্তে বসে আছে কারণ আসামী না পাইলে মামলা বাতিল। এদিকে পুলিশেরও নেতার কাছে জবাব দিতে হবে। তারা ছাগল না পেয়ে একটা বিড়াল ধরে নিয়ে আসল। বিড়ালকে পিটায় আর বলে বল আমি ছাগল নেতার ক্ষেতের ধান খেয়েছি। বিড়াল বলে মিউ। মাইরের এক পর্যায়ে বিড়াল ভ্যাঁ ভ্যাঁ শব্দে চিৎকার জুড়ে দিলো। পুলিশ বেজায় খুশি। আসামীর স্বীকারুক্তি পাওয়া গেছে। সারাদেশে পুলিশের সাফল্য নিয়া নিউজ ছাপা হলো। কেউ কেউ বিড়ালের ছবি দেখেও মন্তব্য করলো আজকাল ছাগল ও ছদ্মবেশ ধরে। কেউ কেউ বলল মাইরের উপরে অসুধ নাই। কেউ কেউ বলল কি দিনকাল পরছে আজকাল বিড়ালও ধান খায়। এদিকে সারাদেশে ছাগল আর তার মালিকের ফাঁসি চেয়ে মানববন্ধন হচ্ছে। সব দেখেশুনে ছাগলমালিক আতংকিত। আদালতে বিড়ালের মিউ ডাক শুনে জজসাহেব জিজ্ঞেস করলেন এভাবে ডাকছে কেন? পুলিশের জবাব মাইলর্ড অতিরিক্ত ধান গাছ খাওয়ার কারণে কন্ঠস্বর পরিবর্তন হয়ে গেছে। আসামীপক্ষের উকিল বার বার বলার চেস্টা করলো এটা আসলে বিড়াল কিন্তু আদালত প্রমান চায়। আসামীর জামীন নাামন্জুর। আসামীপক্ষ প্রমান হাজির করার জন্য সময় চায়। আদালত তা মন্জুর করে। সন্ধ্যায় জজসাহেবের ৮ বছর বয়সী নাতি টিভি নিউজ দেখে হেসে গড়িয়ে পরে। পাশের সোফাতেই দাদা টিভি নিউজ দেখছেন। নাতি দাদারে জিজ্ঞেস করে সবাই বিড়ালকে ছাগল বলছে কেন? জজ বলেন আদালত প্রমান ছাড়া কথা বলে না। এটা ছাগল আদালতে প্রমান আছে। নাতি অবাক হয়ে বলে তোমাদের চোখ কই ?
আমার ও জিজ্ঞাসা 'আমাদের চোখ কই ?


সাব্রিনা, শাহেদ, সম্রাট, পাপিয়া পাপলু, জিকে শামিম এগুলিতো বালুর বস্তা !


বল্টু বর্ডার দিয়ে সাইকেল চালিয়ে আসছিলো, পিছনে এক বিশাল বস্তা বাঁধা !
-বিজিবির চৌকষ অফিসার তাকে থামালো।
- বস্তায় কি?
স্যার কিচ্ছু না, বালু!
-খোল।
এই যে দ্যাখেন স্যার, বালু।
-আচ্ছা যা।
দুইদিন পর আবারও বল্টু বস্তা নিয়ে বর্ডার দিয়ে সাইকেল চালিয়ে আসছে। বিজিবির অফিসার আবারও থামালো!
-বস্তায় কি ?
স্যার, বালু।
কিন্তু অফিসারের খটকা লাগলো। সেদিন দেখলাম বালু, আজও বালু? পুরা বস্তা খুলে চেক করলো, কিন্তু বালু ছাড়া কিছুই পেলোনা।
- আচ্ছা যা।
আবারও কয়েকদিন পর বর্ডারের কাছে বস্তা নিয়ে সাইকেল চালিয়ে, বিজিবির অফিসারের মুখোমুখি বল্টু!
-বালু ?
-জ্বে স্যার।
-তুই শুধু বালু নিয়া যাস। সন্দেহ হয়!
অফিসার সব বালু ঘেঁটেও কিছু পেলো না। কিন্তু অফিসারের মনটা খচখচ করেই যাচ্ছে! ঘটনাটা কি? সে কিছু বালু রেখে দিয়ে সেগুলো ল্যাবে পাঠালো। রেজাল্ট কিছুই আসলো না। সব বালু, বালু আর বালু। কিন্তু অফিসারের মনে খটকা রয়েই গেলো।
এভাবে সাইকেলে করে বস্তা নিয়ে বল্টু নিত্যই যায়, কিন্তু বিজিবি অফিসার কিছু কুল কিনারা করতে পারেনা।
হঠাৎ বল্টু আর আসে না! বহুদিন কেটে গেলেও কোনো খবর নাই। সে আর সাইকেল চালিয়ে বালুর বস্তা নিয়ে যায় না। কাহিনী কি? অফিসার নিজেই তাকে খুঁজে বের করলো।
বল্টুর বাড়িতে গিয়ে বললো -
"দেখ, আমি জানি তুই কিছু না কিছু পাচার করছিস, কিন্তু আমি ধরতে পারছিনা। আমার মনে শান্তি নাই। তোর দুইটা পায়ে ধরি, সত্যি কইরা বল তুই কি পাচার করিস!
বল্টু হাসি দিয়া বললো -
"স্যার এতদিন আসলে সাইকেল পাচার করছি" 
শুনে অফিসার বেহুশ!!
সাব্রিনা, শাহেদ, সম্রাট, পাপিয়া পাপলু, জিকে শামিম এগুলিতো বালুর বস্তা ! সাইকেলগুলি কই ?? 


Sunday 12 July 2020

ছাবেদ অালীর গল্প(৮) / আজিজ আহমেদ


/
লোকাল ট্রেনে ছাবেদ আলি
জেলা সদর যায়,
ভীড়ের মাঝে ভ্যাপসা গরম
নতুন মজা পায়।
/
চাপা-চাপি পারা-পারি
খাচ্ছে ঘামে চুবানি,
বাঁকা হবার নাইতো সুযোগ
হাঁটুর তলে চুলকানি।
/
কোন রকম টানা দিয়ে
একটি হাঁটু চুলকায়,
যার হাঁটু সে চুপ থেকে যায়
কারণ,সে মজা পায়।
/
পরের হাঁটু চুলকানিতে
চুলকানি কি কমে,
রাগের চুটে বাড়ায় গতি
চুলকায় দমে দমে।
/
জোরে ঘসায় হাঁটুওলার
গেল নুনা ছাল,
পুড়ানিতে ভীড়ের মাঝে
দিচ্ছে গালা-গাল।
/
ধমক দিয়ে বলল তারে
এমন করছ কে,
ও তাই তো কই এত চুলকায়ে
আরাম পাইনে যে।

Wednesday 8 July 2020

COVID 19

কোভিড ১৯ পজেটিভ অবস্থায় আইসোলেশনে থাকা কালীন সময়েই অনেক স্বজন-বন্ধু অনুরোধ করেছিলেন আমার এই অভিজ্ঞতা যেনো আমি সবার সাথে শেয়ার করি। আমারও মনে হয়েছিল, হ্যা এতে যদি কেউ সামান্যও উপকৃত হন তাহলে আমার লেখাই উচিৎ হবে। কিন্তু বাসার পরিস্থিতি বেশ জটিল হয়ে যাওয়ায় ইচ্ছে থাকলেও সেটা আর হয়ে উঠেনি। তার উপর ভেবেছি অনেকেই তো লিখছে, সেখান থেকেও তো মানুষ জানতে পারবে। পাশাপাশি কিছুটা ভয়ও কাজ করছিলো - শুধুমাত্র নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে জাজমেন্টাল হওয়া উচিত হবে কীনা? একইসাথে চিকিৎসা শাস্ত্র নিয়ে কথা বলে মানুষকে ঝুঁকিতে ফেলে দেয়ার একটা আশংকাতো আছেই।
কিন্তু পজিটিভ রিপোর্ট পাবার পর থেকে গড়ে প্রতিদিন প্রায় ৪০/৫০ টিরও বেশি ফোন কল পাই পরামর্শ চেয়ে। এতো অসহায়ত্ব থাকে তাদের কণ্ঠে। যেটুকু পারি সহযোগিতা করি।
আজ মনে হচ্ছে, অভিজ্ঞতাটা শেয়ার করা আসলে খুবই প্রয়োজন। সাধারণ মানুষ আজ খুবই বিপন্ন। না পারছে টেস্ট করতে না পারছে চিকিৎসকের কাছে যেতে আর হাসপাতাল তো তাদের ধরা ছোঁয়ার বাইরে। মফস্বল শহরের অবস্থা আরো করুণ।
সারাদেশে আজ প্রচুর মানুষ করোনার সিমটমে ভুগছে। টেস্ট না করাতে পেরে অনেকেই দিশেহারা। বাসায় বসেই বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া জ্ঞান নিয়ে নিজেদের চিকিৎসা নিজেরাই করছে। কিন্তু অনেকের কাছে তো এই তথ্যও নেই।
তারিখটা ১০ মে ২০২০। হঠাৎ করেই সাথীর শরীরে জ্বর, মাত্রা ১০১। নরমালই ঔষধ খাওয়া শুরু। পরদিন সকাল থেকে আমার শরীরে একটু একটু জ্বরের ভাব বুঝতে পারছিলাম। বেলা ১১টা নাগাদ জ্বর ১০২.৭। সাথে কাশি আর শরীর ব্যথা। ১৬ তারিখে টেষ্টের জন্য ট্রাই করা শুরু করে ১৮ তারিখে নমুনা দিতে সক্ষম হলাম। জানালো ৫ দিন সময় লাগবে। একে একে পাঁচদিন, ছয়দিন, সাতদিন পেরুলেও রিপোর্ট পাবার কোন লক্ষন না দেখে বাধ্য হয়েই Institute of Epidemiology, Disease Control and Research (IEDCR) রোগতত্ত্ব , রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে যোগাযোগ করি। অনেক খুঁজাখুঁজির পরেও রিপোর্ট সংগ্রহ করতে পারলাম না। এর মধ্যে সকলের জ্বর কিছুটা কমলেও কাশী রয়েই গেছে। ৩১ মে ল্যাব এইড থেকে প্রথম টেষ্ট করাই। তৃতীয় দিন অর্থাৎ ০২ জুলাই দুপুরে সাথীর করোনা পজেটিভের রিপোর্ট পেলাম। টেস্ট করতে দেয়ার ৪/৫ দিন আগ থেকেই (ঈদের দিন থেকে)বলছিল- তোমরা আমার কাছে এসো না, শরীরটা ভালো লাগছে না, জ্বর জ্বর লাগছে। আমি ব্যাপারটা অতো সিরিয়াসলি নেইনি। কারণ তার মাঝে মাঝেই জ্বর জ্বর লাগে, কিন্তু জ্বর আর আসে না। এদিকে সে ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ খাওয়া শুরু করেছে, সাথে শুরু হয়েছে গরম পানি আর মশালা চা খাওয়া। স্যালাইন আর লেবু খাওয়া। আর গরম পানির ভাপ নেয়া।
অবশেষে ০২ জুন দুপুরে ভ্যা ভ্যা করে কান্না করতে করতে আমাকে ফোনে জানালো রিপোর্ট পজেটিভ।
এ পর্যায়ে যা করতে হবে
১. যেকোনো সিমটম দেখা দেয়া মাত্রই আপনাকে সতর্ক হতে হবে।
২. সম্ভব হলে নিজেকে কোয়ারেন্টাইনে নিতে হবে অথবা পরিবারের অন্য সদস্যদের থেকে দূরে থাকতে হবে।
৩. মাস্ক পড়তে হবে সবসময়, পরিবারের সবাইকে।
৪. অবশ্যই টেস্টের জন্য চেষ্টা করতে হবে।
৫. ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ খেতে হবে।
৬, গরম পানি খেতে হবে, দিনে ৩/৪ বার মাসালা চা খেতে হবে, গরম পানির ভাপ নিবেন, প্রচুর ভিটামিন সি ও জিংক সমৃদ্ধ খাবার খাবেন, মেন্যুতে অবশ্যই প্রচুর প্রোটিন রাখবেন, দিনে কমপক্ষে ২ টা করে ডিম অবশ্যই খাবেন (পরিবারের সবাই মিলে)
৭. অবশ্যই সবাইকে হ্যান্ড স্যানিটাইজ করতে হবে বারবার আর আর বাসাকেও জীবানুমুক্ত রাখার চেষ্টা করতে হবে।
মনে মনে আশাবাদী হলেও প্রস্তুত ছিলাম এরকম একটি খবর শোনার জন্য। ভেবে নেয়াই ছিল যা পরিস্থিতি তাতে যে কোনো সময়ে আমরা আক্রান্ত হতে পারি। মন খারাপ হলেও আতংকিত হলাম না। এতদিনের পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে বুঝতে পেরেছিলাম এ রোগ থেকে সুস্থ হবার হার অনেক বেশি, মৃত্যু হার থেকে।
রিপোর্ট পাবার পর নিজেদেরও কিছু ভাবনা চিন্তা করার ব্যাপার ছিলো। বিষয়টা সবাইকে জানাবো কিনা, জানালে রিএকশনটা কেমন হতে পারে। নিজ বাড়ি এবং শ্বশুরালয়ের মানুষগুলো খবরটা শুনলে নিজেদের সামাল দিতে পারবে কিনা এটা ছিল বড় একটা চিন্তার বিষয়।
আরেকটা ভাবনার বিষয় ছিলো হোম ম্যানেজমেন্ট। আমরাও যেহেতু বাইরে যেতে পারবো না আর বাইরে থেকেও কেউ আসতে পারবে না তাহলে আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় বাইরের কাজগুলো কিভাবে সারবো?
এদিকে আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়ে দিলাম সবাইকে। কারণ আমাদের মনে হয়েছিল এটা লুকিয়ে রাখার মতো কোনো বিষয় নয়। বিষয়টি জানা থাকলে সবাই সতর্ক থাকবে। আর আমাদেরও এ অবস্থায় সবার সহযোগিতার প্রয়োজন আছে।
এরপর থেকে আসা শুরু হলো ফোন। দুজনের ফোনেরই কোনো রেস্ট ছিলো না।
নিজেও অল্প অল্প কাশি হচ্ছিল, মাঝখানে ২ রাত কাঁপুনি উঠেছিল, আর ১ দিন জ্বর।
মনে মনে জেনেই গিয়েছিলাম আমার পজেটিভ আসবে। মেয়েটাকে নিয়ে চিন্তিত ছিলাম। বেশ সচেতনভাবেই মায়ের অসুখের শুরু থেকে আমার আর মায়ের কাছ থেকে দূরে দুরেই ছিল। কিন্ত রাতে একা ঘুমাতে ভয় পায় বিধায় ওর মায়ের রুমেই নীচে বিছানা করে দিতে হয়।
১৪ জুন আবার টেষ্ট করালাম, ১৫ তারিখ রাতে রিপোর্ট হাতে পেলাম। এবার বাসার তিন সদস্যই পজিটিভ।
এই পরিস্থিতিতে আক্রান্ত ব্যক্তির পরিবারের যা করণীয় :
১. আতংকিত হবেন না
২. ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন
৩. প্রতিবেশীদের জানান যাতে তারা সতর্ক থাকতে পারে এবং প্রয়োজনে সহযোগিতা করতে পারে
৪. আত্মীয় বন্ধু স্বজনদের জানান, কারণ সবার সহযোগিতার প্রয়োজন আছে। অন্ততঃ তারা আপনাকে নিঃসংগ হতে দিবে না
৫. বাসার পাশের বা এমন ফার্মেসীর/ অক্সিজেন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের ফোন নাম্বার সংগ্রহে রাখুন যারা প্রয়োজনে ওষুধ বাসায় পৌঁছে দিবে।
৬. বয়স্ক কাছের মানুষদের জানানোর ক্ষেত্রে খুব কৌশলী হোন
৭. বর্তমান পরিস্থিতিতে সবারই মানসিক ভাবে তৈরি থাকতে হবে যে আমি/আমরা আক্রান্ত হতে পারি।
৮. পরিবারের বয়স্ক ও ছোটদেরকে খুব সহজ ভাবে আগে থেকেই অসুখটি সম্পর্কে ধারণা দিতে হবে যাতে তারা ভয় না পেয়ে বাস্তবতা বুঝতে পারে।
৯. প্রতিবেশিদের সহানুভূতিশীল আচরণ ও সহযোগিতা এ অবস্থায় সব থেকে বেশি প্রয়োজন।
১০. নমুনা পরীক্ষা করতে ব্যথা লাগে না, খুব অল্প সময়ের বিষয় এটি। আক্রান্ত ব্যক্তির আত্মীয় স্বজন বন্ধুসহ প্রিয়জনদের কাছে অনুরোধ, যতটা পারুন পরিবারটিকে সহযোগিতা করুন। হয়তো মুখ ফুটে তারা অনেক কিছুই বলবে না, সেক্ষেত্রে আপনিই এগিয়ে আসুন। কখনো তারা যেনো নিজেকে অসহায় মনে না করে।
৩০ জুন, রাত ১১টা ২৯ মিনিট। শুয়ে পড়েছি। কিন্তু ঘুম আসছে না। হঠাৎ বেজে উঠলো মোবাইলের মেসেজ টোন। আগ্রহভরে হাতে নিয়ে চেক করলাম। দেখি, সেন্ডার ব্র্যাক। মেসেজ ওপেন করে দেখি করোনা টেস্টের রেজাল্ট নেগেটিভ। সত্যিই তখন যা মনে হচ্ছিল তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। মনে মনে বললাম, আল্লাহ তুমি সত্যিই মহান। এই যাত্রায় প্রাণটা ফিরিয়ে দিয়েছো। শুকরিয়া। কোভিড-১৯ এর সাথে বাস করতে গিয়ে টানা ৫০ দিন যে ধকলটা গেছে, সেটা মুহূর্তেই ভুলে গেলাম।

অভিশপ্ত রজনী

  মৃত মেয়েটিকে ধর্ষণ করার সময় মেয়েটি যে জীবিত হয়ে ওঠে সেটা খেয়াল করেনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় কাব্য।ধবধবে সাদা চামড়ার মেয়েটিকে ভোগ করার...