একবার এক ছাগল ছাড়া পেয়ে পাশের ক্ষেতের ধান খেয়ে
ফেলেছে। বেচারা বুঝে নাই এইটা নেতার ক্ষেত। কিন্তু ছাগলের মালিক বিপদ টের পেয়েছে।
সে ছাগল দুরে এক আত্মিয় বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে। এখন নেতা থানায় ফোন করে পুলিশ পাঠিয়ে
দিলো। আমাদের দেশের পুলিশ ধরে আনতে দিলে বেধে আনতে যায়। কাজেই অপরাধী ছাগলের খোঁজে
ঐ বাড়িতে গেলো। ছাগলের মালিক কিছুতেই স্বীকার করলো না তার কোন ছাগল ছিলো। পরে
পুলিশ মালিককেই ধরে হাজতে ভরে রাখলো। নেতা ফোন করলে দাঁত কেলিয়ে বলল আসামী গ্রেফতার
করে হাজতে ভরেছে। নেতা অবাক হয়ে জানতে চান ছাগলের হাজত আছে নাকি ? পুলিশ জবাব দেয়
ছাগল না তার মালিক হাজতে। নেতা রেগে গিয়ে বললেন সে কি ধান ক্ষেত খাইছে নাকি ? তুমি
ছাগল গ্রেফতার কর। পুলিশ পড়ল বিপদে। এদিকে ছাগলের মালিক নিশ্চিন্তে বসে আছে কারণ
আসামী না পাইলে মামলা বাতিল। এদিকে পুলিশেরও নেতার কাছে জবাব দিতে হবে। তারা ছাগল
না পেয়ে একটা বিড়াল ধরে নিয়ে আসল। বিড়ালকে পিটায় আর বলে বল আমি ছাগল নেতার ক্ষেতের
ধান খেয়েছি। বিড়াল বলে মিউ। মাইরের এক পর্যায়ে বিড়াল ভ্যাঁ ভ্যাঁ শব্দে চিৎকার
জুড়ে দিলো। পুলিশ বেজায় খুশি। আসামীর স্বীকারুক্তি পাওয়া গেছে। সারাদেশে পুলিশের
সাফল্য নিয়া নিউজ ছাপা হলো। কেউ কেউ বিড়ালের ছবি দেখেও মন্তব্য করলো আজকাল ছাগল ও
ছদ্মবেশ ধরে। কেউ কেউ বলল মাইরের উপরে অসুধ নাই। কেউ কেউ বলল কি দিনকাল পরছে আজকাল
বিড়ালও ধান খায়। এদিকে সারাদেশে ছাগল আর তার মালিকের ফাঁসি চেয়ে মানববন্ধন হচ্ছে।
সব দেখেশুনে ছাগলমালিক আতংকিত। আদালতে বিড়ালের মিউ ডাক শুনে জজসাহেব জিজ্ঞেস করলেন
এভাবে ডাকছে কেন? পুলিশের জবাব মাইলর্ড অতিরিক্ত ধান গাছ খাওয়ার কারণে কন্ঠস্বর
পরিবর্তন হয়ে গেছে। আসামীপক্ষের উকিল বার বার বলার চেস্টা করলো এটা আসলে বিড়াল কিন্তু
আদালত প্রমান চায়। আসামীর জামীন নাামন্জুর। আসামীপক্ষ প্রমান হাজির করার জন্য সময়
চায়। আদালত তা মন্জুর করে। সন্ধ্যায় জজসাহেবের ৮ বছর বয়সী নাতি টিভি নিউজ দেখে
হেসে গড়িয়ে পরে। পাশের সোফাতেই দাদা টিভি নিউজ দেখছেন। নাতি দাদারে জিজ্ঞেস করে
সবাই বিড়ালকে ছাগল বলছে কেন? জজ বলেন আদালত প্রমান ছাড়া কথা বলে না। এটা ছাগল
আদালতে প্রমান আছে। নাতি অবাক হয়ে বলে তোমাদের চোখ কই ?
আমার ও জিজ্ঞাসা 'আমাদের চোখ কই ?
No comments:
Post a Comment