Wednesday 25 April 2018

প্রতিবাদী বেশ্যা



বিছানাতেই হড়হড় করে বমি করে ফেলল গনেশ। চোলাই টা আজ বেশী টানা হয়ে গেছে। সাথের ফুলুরি টাও শালা ঠান্ডা ছিল, অম্বল হয়ে গেছে নির্ঘাত।
..শালা ঢ্যামনা, দিলি তো শালা বিছানা ভাসিয়ে? সকাল থেকে গিলে বসে আছিস নাকি বে? চুল্লুখোর শালা। সন্ধে সন্ধে দিল শালা সব একশা করে। ধুপ দিলাম এই সবে, দিল হারামী টা বারোটা বাজিয়ে....
বকবক করেই চলেছে বিজলী। গনেশ জানে এখন কিছু বলতে গেলেই আরও খিস্তি খাবে। তাই কাচুমাচু হয়ে চুপ করে রইল।
..এই শালা,শুয়োরের বাচ্চা, বসে আছিস কি? ওঠ। নাম খাট থেকে। তোর বাপ এসে সব পরিস্কার করে দেবে নাকি রে গান্ডু....
তড়িঘড়ি খাট থেকে নেমে এল গনেশ। বাথরুমে যেতে হবে একবার, বলতে সাহস হলনা।চুপচাপ নিজেই চলে গেল।ভালো করে মুখ হাত ধুতে ধুতে ভাবল, কিছু টাকা এক্সট্রা দিয়ে দেব বিজলী কে। আজ টোটো চালিয়ে নেহাত মন্দ রোজগার হয়নি।
..এই শালা,আর বমি করলে কেলিয়ে বৃন্দাবন দেখিয়ে দেব।
..না না আর হবেনা।
বিজলী এইটুকু সময়ের মধ্যেই সুন্দর করে চাদর পাল্টে,সব ধুয়ে,বেশ কটা ধুপ জ্বালিয়ে দিয়েছে।
আধখন্টা পর....
..নে নে...এবার ফোট। অন্য খদ্দের আসবে।
গনেশ পকেট থেকে পাঁচটা একশ টাকার নোট বের করল।
..এই নে।
..পাঁচটা কেন বে? আজ কি এমন মধু পেলি বাবা যে একশ বেশি?
..ওসব না। তোর ঘর নোংরা করলাম। আর আজ রোজগার ভালোই হয়েছে রে।এক বিয়েবাড়ির ভাড়া ছিল.....
..আজ কিছুই লাগবেনা।ফিরি।
..ফ্রি? কি?
..হ্যাঁ, ফিরি। কানের মাথা খেয়েছিস নাকি?
..কিন্তু কেন?এরকম তো কোনদিন.....
..আজ, কাল দুদিন ফিরি করে দিয়েছি আমরা। এই পুরো মহল্লা। ওই যে, রেপ হয়েছে না কোথায়, তাই।
হাসি চাপতে গিয়েও পারলনা গনেশ।
..তার জন্য তোরা ফ্রি কেন করলি? প্রতিবাদ? তা মোমবাতি নিয়েও নামবি নাকি? ভুখ হড়তাল করবি?
..না। ওসব শালা পতিবাদ টতিবাদ না। এত ক্ষিদে নিয়ে ঘুরছিস তো তোরা...আট বছরের বাচ্ছাটাও বেশ সুড়সুড়ি দিল তোদের..এতই কামড় তোদের। তাই আর কি।এই দুদিন তোদের মতো ব্যাটাছেলেদের জন্য আমরা ফিরি। কত ক্ষিদে তোদের মিটিয়ে যা মাগনায়।বাচ্ছাগুলোকে ছাড়ান দে, এই দুদিন না হয়.....
কথা নেই গনেশের মুখে।ব্যাটাছেলে হয়ে জন্মে,এই প্রথম লজ্জা করছে। নির্বিকার বিজলি.....
..নে নে।অনেক ভড়ং হল।ফোট এবার।পরের মালকে আসতে দে......
বেশ্যাপট্টি থেকে বেড়িয়ে গনেশের মনে হল, এরকম ভাবে সবাই যদি ভাবতে পারত। ওই বেশ্যাগুলোর জন্য একজনও যদি রেহাই পায়..... কপালে দুহাত ঠেকিয়ে প্রণাম করল গনেশ।কার উদ্দেশ্যে?   জানেনা।।

No comments:

Post a Comment

অভিশপ্ত রজনী

  মৃত মেয়েটিকে ধর্ষণ করার সময় মেয়েটি যে জীবিত হয়ে ওঠে সেটা খেয়াল করেনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় কাব্য।ধবধবে সাদা চামড়ার মেয়েটিকে ভোগ করার...