এক দেশে এক আয়াদ নামের রাজা ছিল। তার ন্যায় পরায়ণতা, সৌর্যবির্য, উদারতা আর
সব দিক থেকে শাসনে যে যোগ্যতা ছিল। তাতে তার দেশ আর দেশের মানুষ সুখে শান্তিতে ছিল।
জনগণ আয়াদ রাজার উপড় সন্তুষ্ট ছিল ভীষণ।আশেপাশের রাজারা আয়াদ রাজার সুখে ঈর্ষান্বিত
হয়ে তার রাজ্য দখলের জন্য বহুবার আয়াদের রাজ্য আক্রমন করে। কিন্তু ফলাফল একই,
"ব্যর্থ হয়ে ফিরে যেতে হতো তাদের"। একবার আশেপাশের রাজারা ঠিক করলো আয়াদ
রাজাকে কৌশলে মেরে ফেলতে হবে। তারা আয়াদ রাজার মহলের কিছু খাস কর্মচারী আর রক্ষীদের
লোভ দেখিয়ে কিনে নিল। পরিকল্পনা অনুযায়ী আয়াদের নিজের লোকেরাই তার খাবারে বেহুশের ওষুধ
দিয়ে দিল। রাজার বেহুশ হওয়া মাত্রই তারই লোকেরা রাজা আয়াদকে নিয়ে ঘন এক জংগলের এক কোনায়
পাহাড় বেষ্টিত এক খাড়া পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত এক গুহায় নিয়ে গেল,যেখানে আগে থেকেই আয়াদ
এর আসেপাশের রাজারা ছিল। কোন কোন রাজা বললো, "এরে মেরে ফেলে দিই অনেক জালাইছে"।
কোন কোন রাজা বললো, " না এত সহজে এরে মারবো না, তিলে তিলে কষ্ট পেয়ে মরতে হবে
এর"। এক পর্যায়ে তারা সিদ্ধান্ত নিল রাজাকে এই চূড়ার গুহায় রেখে গুহার মুখ ভারী
পাথর দিয়ে বন্ধ করে দিয়ে যাই। ভেতরে অন্ধকার আর খাবার পানি কিচ্ছু নাই।তিলে তিলে এমনেই
মরে যাবে। যেই পরিকল্পনা সেই মোতাবেক বাকি রাজারা আয়াদ রাজাকে এভাবে রেখে সবাই যে যার
মত তাদের রাজ্যে ফিরে যায়। এদিকে হুশ ফিরে এলে আয়াদ অন্ধকার গুহার কূল কিনারা পায় না।
দিনের আলোতে কিছুটা বুঝতে পারে এটাই গুহার দরজা কিন্তু পাথরে ঢাকা।আয়াদ এর দৃঢ় সংকল্প আর নিজের প্রেরণা এই দুইয়ে মিলে যে শ্রমের উদ্ভব হয় তাতে
স্বয়ং স্রষ্টার সাহায্য নেমে আসে। গুহার দরজার পাথর একটু একটু করে সরে গিয়ে হঠাৎ পিছলে
নিচে পড়ে গিয়ে গুহার দরজা উম্মুক্ত করে দেয়।এভাবেই তার জীবন বেচে যায়। জীবনে চলার পথে
আমাদের নানা সমস্যা, ব্যর্থতা,হতাশা আসবে। কেউ আপনাকে মোটিভেট করতে পারবে না, যতক্ষণ
না আপনি আয়াদ রাজার মত নিজেকে নিজে মোটিভেট করতে না পারবেন। মনে রাখবেন স্রষ্টার উপর
ভরসা রেখে আপনার নিজস্ব শক্তি, অনুপ্রেরণা, পরিকল্পনা আর শ্রমকে কাজে লাগাতে পারলেই
আপনি আপনার সাফল্য আর সুখের দরজায় পৌছে যেতে পারবেন।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
অভিশপ্ত রজনী
মৃত মেয়েটিকে ধর্ষণ করার সময় মেয়েটি যে জীবিত হয়ে ওঠে সেটা খেয়াল করেনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় কাব্য।ধবধবে সাদা চামড়ার মেয়েটিকে ভোগ করার...
-
একবার সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলি একটি স্টেশনারী দোকানে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, 'ডায়মন্ড বল পেন আছে?' সেলসম্যান মুখের উপ...
-
জন্মদিনে কেকের উপর মোমবাতি জ্বালানো একটি পুরোনো রীতি , যেটা শুরু হয়েছিল অনেক বছর আগে প্রাচীন গ্রীকে। তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী ,...
No comments:
Post a Comment