সাধারণত যারা মিথ্যে কথা বলে না বলে দাবী করে তারাই সব থেকে বড় মিথ্যাবাদী।

১ – মেয়েদেরকে এবং হেড ফোনের তার কোন ভাবেই ঠিক রাখা যায় না। যত সুন্দর করেই রাখুন না কেন প্যাচ খাবেই। আপনারা কী লক্ষ করেছেন – ‘প্যাচ’ বানানটিতেও প্যাচ আছে।
২ – সাধারণত যারা মিথ্যে কথা বলে না বলে দাবী করে তারাই সব থেকে বড় মিথ্যাবাদী।
৩ – কিছু না করে মানুষ থাকতে পারে না। একেবারে কিছু না করলেও বুঝতে হবে সে নখ খুঁটছে অথবা মোবাইলে সাপের গেইম খেলছে।
৪ – আমার ইন্টারেস্টিং লিস্টের তালিকায় পাবলিক টয়লেট আছে। কত বিচিত্র মানুষ পকেটে কলম নিয়ে হাগু করতে ঢুকে। কত কিছু লিখা থাকে দেয়ালে। সমকামী খুঁজছেন? অথবা নিজের নাম লিখে + দিয়ে লিখবে প্রেমিকার নাম। আচ্ছা কেন লিখে? কোন একদিন তার প্রেমিকা এই ভৈরবমুখী ট্রেনের এই বাথরুমে আসবে এবং এই লিখা দেখে চমকে যাবে!??
আসল কথাটাই বলা হল না। যত বিশ্রী লিখাই হোক, কমেডে বসে প্রায় সবাই খুব আগ্রহ নিয়ে দেয়ালের লিখা পড়ে। পড়ে হয়ত আনন্দ পায়। না পেলে পড়ত না।
৫ – পদ্মা নদীর মাঝি কে না পড়েছে। এ দেশের যুবকরা ছবি আঁকলে সেই ছবিতে কোন মাঝি থাকবে না এরকম হয় না। মানুষের আবেগের বড় একটা অংশে মাঝিরা থাকলেও স্বপ্নে থাকে পাইলট।
৬ – বাঙ্গালিকে প্রিয় খাবার কী জিজ্ঞেস করলে বলবে ডাল আলু ভর্তা এইসব। শুধু বিয়ের অনুষ্ঠানে চোখ থাকে বড় চিংড়ির দিকে। আমি কয়েকজনকে জিজ্ঞেস করেছি – তারা চিংড়ী খেয়ে খুব একটা মজা পায়নি। তবু আগ্রহ নিয়ে খায়। বড় চিংড়ির দাম অনেক এই কারণে খেতে হয়।
৭ – একটা বয়সে অনেকেই ডাইরী লিখার চেষ্টা করে। প্রথম দিকে বেশ গোছানো হয়। একটা হবে ‘ স্বপ্ন ডাইরী’ – ঘুম থেকে উঠেই স্বপ্ন লিখে ফেলবে। আরো আছে – দুঃখ ডাইরী, গানের ডাইরী... ব্যাস এই পর্যন্তই। দু তিন পৃষ্ঠার পর সাধারণত আর লিখা হয় না। হয়ে উঠে না। শুধু একদিন বড় হয়ে গেলে হাসি পায়।
৮ - ক্লাস রুমে দেখবেন খুব তুচ্ছ ব্যাপারেও সবাই খুব হাসছে। মেডাম বলল – এইই তুমি মেয়েদের বেঞ্চে বসেছ কেন? হাসতে হাসতে সব গড়াগড়ি খাবে। একদিন এক মেডাম বলল – সুমন তুমি ক্লাসে আসো না কেন? বিয়ে করছ নাকি?
সাথে সাথে পঞ্চাশ জন স্টুডেন্ট হাসতে হাসতে শেষ। ছেলেরা হাসছে হা হা হা, মেয়েরা হাসছে খি খি খি...
দুটা মিলিয়ে দাড়াল – হা- খি খি -হা -খি খি -হা- খি খি...!