Sunday 22 January 2017

ইতিহাস ভুলে গেলে চলবে না।



ইতিহাস ভুলে গেলে চলবে না এদেশের মানুষ এক সময় মাটিতে বসে ভাত খেত তারপর পিঁড়িতে বসে পিঁড়ি থেকে পাটি... সব শেষে টেবিল আমাদের পূর্বপুরুষেরা আইরন করা জামা গায়ে দিয়ে ঘুরে বেড়াত না একান্ত দরকার হলে জামা বালিশের নিচে রেখে ঘুমিয়ে যেত এতেই নাকি কাজ হয়
যাদের ঘরে আলনা ছিল সেটা সামনের ঘরে রাখা হত। সেখানে সব জামা কাপড় ভাজ করে রাখার নিয়ম। সামনের ঘরে অনেক মানুষ আসে। তাদের জানা দরকার এই ঘরে অনেক জামা কাপড় আছে।
এক সময় এল ফ্রিজ। প্রথম দিকে সেটাও ড্রয়িং রুমে রাখা হত। মেহমান এলেই পানি বের করা টাস্কি দেখানোর মত অবস্থা।
বাবার কাছ থেকে শুনলাম আমাদের গ্রামে প্রথম রেডিও আনে বাবলু ভাইএর বাবা। দশ গ্রামে আর কারো কাছে রেডিও নেই।
দূর গা থেকে মানুষ ছুটে আসত রেডিও শোনার জন্য। এই টুকু এক যন্ত্রে ঢাকার মানুষের কথা কিভাবে আসে? কোনদিক দিয়ে আসে? অনেকের ধারণা এটা কোন মানুষের কথা না। রেডিওতে জিন কথা বলে!
দেশের ৯৫ ভাগ মানুষের পূর্বপুরুষ ছিলকৃষক অথবা জেলে। আগেই বলেছিলাম আমার দাদা ছিলেন মাদ্রাসার শিক্ষক। একি সাথে তার একটি নৌকা ছিল। তিনি সময়ে অসময়ে নৌকা বাইতেন।
আমার বাবার একটা বাইক ছিল। তিনি সময়ে অসময়ে বাইকে করে ভার্সিটি যেতেন। আমি হলাম তৃতীয় পুরুষ। আমি সময় অসময়ে গাড়ি নিয়ে বের হই। নৌকা থেকে বাইক... বাইক থেকে গাড়ি। এই হল বাংলাদেশের সামগ্রিক অবস্থা।
এক সময় সবার অবস্থা প্রায় কাছাকাছি ছিল। সেদিনেরই কোন এক চাষার ছেলে হয়ত আজকে মন্ত্রী হয়েছে। চাষার বন্ধুর ছেলে হয়ত চাষাই রয়ে গেছে। পার্থক্য শুধু এখানে।
তবুও একজন মানুষ হতে অন্য একজন মানুষ কত ভিন্ন। প্রত্যেকেই তো বড় হয়েছে কাজলা দিদির গান শুনে...তবুও কাজলা দিদি জানে না তার শিশুরা একদিন বড় হয়ে কত বদলে যায়।
এই ব্যাপারটি শুধু মানুষের ভেতরেই আছে। পশুদের ভেতরে ধনী গরীব নেই। জাতে ভেদাভেদ নেই। এই দিক থেকে চিন্তা করলে তারা মানুষ থেকে অনেক উন্নত। অনেক উন্নত।
আচ্ছা রাস্তায় যেসব মানুষ ঘুমায় কেন ঘুমায়? তাদেরকি কোলবালিশ জড়িয়ে ঘুমানোর সাধ জাগে না? ঘুম থেকে উঠে এক কাপ ব্যাড টি!
হঠাৎ বৃষ্টি হলে নিশ্চয়ই ঘুম ভেঙ্গে যায়। আমরা হয়ত ব্যালকনিতে দাড়িয়ে বৃষ্টি দেখি। বৃষ্টি ভাল লাগে। টুপ টুপ ফোঁটা পড়ে।
বৃষ্টির ফোঁটা ভাল লাগে। কত পথের মানুষের ফোঁটা মুছে যায় পাঁজেরোর চাকায়; জানতে ইচ্ছে করে না
অনেক বছর আগে আমি রিবোকের সামনে বসে থাকা এক মানুষকে আমার গাড়িতে করে ঘুরালাম। তাকে কোন টাকা পয়সা দেই নি। শুধু গাড়িতে বসিয়ে গান ছেড়ে দিলাম। কোন খরচই হয়নি আমার।
কত সাদামাটা একটা ঘটনা অথচ এই মানুষটার জন্য এই ঘটনা একটা ইতিহাস। যতদিন বেঁচে থাকবে মানুষটা এই গল্প করে যাবে।
কে বলে আমরা সাধারণ? আমরা চাইলে আমাদের ছোট ক্ষমতা দিয়েই কারো লাইফে ট্র্যাজেডি সৃষ্টি করতে পারি। ওবামার সাথে হেলিকাপ্টারে করে ঘুরার মত ট্র্যাজেডি। একবার করেই দেখুন...

No comments:

Post a Comment

অভিশপ্ত রজনী

  মৃত মেয়েটিকে ধর্ষণ করার সময় মেয়েটি যে জীবিত হয়ে ওঠে সেটা খেয়াল করেনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় কাব্য।ধবধবে সাদা চামড়ার মেয়েটিকে ভোগ করার...