Wednesday, 4 January 2017

মানুষ কেন আত্মহত্যা করে?

মানুষ কেন আত্মহত্যা করে?
এক ধরনের মানুষ আছে যারা কষ্ট তৈরি করে। সব সময় মন খারাপ করে ঘুরে বেড়াবে। ‘আমার ভাল লাগছে না’ এই ব্যাপারটিতেও এক ধরনের ভাল লাগা কাজ করে। প্রায় ৩০ ভাগ মানুষ এই বিষণ্ণতা রোগে আক্রান্ত।
এদের ভেতরে অনেকের শারীরিক মৃত্যুর আগেই মানসিক মৃত্যু ঘটে। এরা শুধু মাত্র মরে যাবার জন্যই আত্মহত্যা করে না; বরং মরে গেলেই এরা বাঁচে!
আনুশে নামে এক মেয়ে সকালে ঘুম থেকে উঠে ক্লাস করল। বিকেলে ফ্যামিলির সাথে ঘুরতে বের হল। ফেরার পথে কিছু গেইমের সিডি কিনল। সন্ধ্যায় খুব তুচ্ছ ব্যাপার নিয়ে মায়ের সাথে ঝগড়া হল। রাতে ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে মেঝেতে মরে পরে আছে!
এই ব্যাপারগুলো কেন ঘটে? মানুষ সাধারণত একটি বিশেষ ঘটনায় সুইসাইড করে না। এই রোগটি সে তার ভেতরে অনেক দিন থেকে লালন করে। কিছু হলেই মরে যাবার চিন্তা... বেঁচে থেকে কী হবে...আমাকে কেউ বুঝে না... আমাকে দিয়ে কিছু হবে না... আমি মরে গেলে সবাই কষ্ট পাবে... তার কথা ভেবে মানুষ তখন কাঁদবে এই ব্যাপারটি তাদের এক ধরনের সুখ দেয়।
এদের আনকন্সাস মাইন্ড সব সময়ই সহানুভূতি চায়। এরা মানুষের মনোযোগ চায় এবং না পেয়ে রাত হলে একা একা কথা বলে।
এরা সাধারণত চিন্তা করার কোন বিষয় না এমন বিষয় নিয়েও অনেক বেশি চিন্তা করে। কে কি মনে করছে... সে এই কথা এইভাবে কেন বলল... সে কী তাকে অনগ্রহ করছে?
একটা উদাহারণ দিলে ব্যাপারটা পরিষ্কার হবে। অফিসের বস তাকে কাজে আরো মনোযোগী হতে বললে সে চিন্তা করবে – সে কী কাজ ঠিক ভাবে করছে না? সে কী আসলে এই কাজের যোগ্য না?
তাহলে কী নতুন কাউকে নিয়োগ করা হবে যে অনেক যোগ্য? তার মানে তার চাকরী চলে যাচ্ছে? চাকরী চলে গেলে উমুকের ঋণের টাকা শোধ করবে কীভাবে? বাড়ি ভাড়া দিবে কিভাবে? তাছাড়া তার স্ত্রীকে এই ব্যাপারটা জানাবে কীভাবে? তার স্ত্রীর নিশ্চয়ই অনেক কষ্ট হবে।
বসের সামান্য কথায় এই পর্যায় এসে সে খুব হতাশায় ভুগতে থাকবে। আগেই বলেছিলাম - এরা যতটা না কষ্ট পায় তার থেকে অনেক বেশি কষ্ট তৈরি করে।
গুরুতর বিষন্নতা বা মেজর ডিসেসিভ ডিসঅর্ডার এ আক্রান্ত ব্যক্তিদের ১৫ শতাংশই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
এই ব্যাপারটি শুধু মানুষের ক্ষেত্রেই ঘটে তা কিন্তু না। পাখিদের ক্ষেত্রেও ঘটে। প্রতি বছর একটি নির্দিষ্ট সময়ে ভারতের একটি বিশেষ জায়গায় এক সাথে অনেক পাখি দলবদ্ধ ভাবে সুইসাইড করে। এর ব্যাখ্যা কী আমি জানি না।
হয়ত পাখিদের ক্ষেত্রেও কেউ কেউ বিষণ্ণতা রোগে ভুগে... কে জানে!

No comments:

Post a Comment

অভিশপ্ত রজনী

  মৃত মেয়েটিকে ধর্ষণ করার সময় মেয়েটি যে জীবিত হয়ে ওঠে সেটা খেয়াল করেনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় কাব্য।ধবধবে সাদা চামড়ার মেয়েটিকে ভোগ করার...