প্রেমিক প্রেমিকারা সারা রাত মোবাইলে কথা বলে। কী কথা বলে? এত কী কথা?
পরিচয়ের প্রথম দিকে থাকে ইতিহাস। ইতিহাস মানে তিনশো বছরের ইতিহাস। একেবারে সম্রাট বাবর থেকে তার তিন পুত্র।
একসময় সেই তিন পুত্রের একজন হয় সম্রাট আকবরের পিতা। এবার সেই আকবরের দা গ্রেট হয়ে উঠার বর্ণনা।
এই পর্যায় এসে প্রেমিক মানুষ হিসেবে কতটা গ্রেট সেই বর্ণনায় যায়। সে মানুষ ঠকানো মানুষ না... ভিখারি দেখলে তার মনে হাহাকার সৃষ্টি হয়।
সেই হাহাকার সৃষ্টি হওয়া হৃদয় কাঁপানো দু একটি ঘটনার বর্ণনা থাকে। বর্ণনা শুনে প্রেমিকার চোখ ভারী হয়ে আসে।
তার মনে এক ধরনের আনন্দ জন্ম নেয়। একজন ভাল মানুষকে কাছে পাবার আনন্দ।
একটা পর্যায় তারা তাদের সব কিছু জেনে যায়। ছেলেটি বিকেলে চা খেতে বের হয়েছে শুনলেই মেয়েটি বুঝতে পারে সে গিয়েছে জুবলী রোডের টঙের দোকানে।
ছেলেটির সামনে মিড টার্ম শুনলেই মেয়েটি বুঝতে পারে তার এখনো পাঁচ বিষয় রিটেইক জমে আছে। এবার তাকে মন দিয়ে পড়তে হবে।
কথায় কথায় আর ইতিহাস টেনে আনার ঝামেলা থেকে আপাতত মুক্ত।
সব স্বপ্নের কথা বলা এক সময় শেষ হয়ে যায়। বাড়ি হবে।
ছোট বাড়ি। মেয়েটি বলে বাড়ির রঙ হবে নীল।
গাঢ় নীল। বাড়ির সামনে বাগান হবে। বাগানের মালী কে হবে তা নিয়ে আপাতত চিন্তা না থাকলেও কথা এগোতে থাকে।
তুমি অফিস করে এসে আমার জন্য রোজ কিছু একটা আনবা ঠিক আছে? এই ধরো একটা রজনী ফুল হলেও আনবা। এই টাইপ আহ্লাদী শেষ হবার পর তারা ঠিক করে তাদের ছেলে মেয়ে হবে। দুটা হবে।
ছেলে বলবে আমার মেয়ে পছন্দ। মেয়ে বলবে আমার ছেলে। এর পর তাদের স্কুলে ভর্তি করানো পর্যন্ত কথা বার্তা ফাইনাল হয়ে যায়।
এই পর্যায় এসে সব স্বপ্নের কথা বলা এক সময় শেষ হয়ে যায়। ইতিহাস গেলো। গেট আকবরের স্বপ্ন গেলো। এবার অফ টপিক...
হমম এই যাত্রা বড় দীর্ঘ যাত্রা। দিনের পর দিন খাইছো? ঘুমাইছো? শরীর খারাপ? কী কর? কিছু না... এই সব বলে বলে শেষ করতে হয় এক একটা দিন।
ঘুম থেকে উঠেই আবার সেই একি যাত্রা... ঘুম কেমন হল! সকালে কিছু খাইছো?
এদেশের প্রেমিক প্রেমিকারা গড়ে প্রতিদিন কয় ঘণ্টা কথা বলে আমি ঠিক জানি না। সব থেকে কম করে ধরলেও তিন ঘণ্টা হবে। কেন জানি না...
একটা মানুষ দিনের পর দিন ২৪ ঘণ্টা সময়ের ভেতরে তিন ঘণ্টা সময় মোবাইলে কথা বলবে... এই ব্যাপারটা আমি মেনে নিতে পারিনা।
প্রতিদিন তিন ঘণ্টা বেহালা বাজানো প্র্যাকটিস করলে ছয় মাসের মাথায় তুমি খুব ভাল বেহালা বাদক হয়ে যাবে।
প্রতিদিন তিন ঘণ্টা করে পড়লে চার বছরের মাথায় তুমি খুব ভাল ইঞ্জিনিয়ার হতে পারবে।
সব থেকে বড় কথা তিন ঘণ্টা সময় দিলে মাসে ত্রিশটা বই পড়া যায়!!! কোথায় মানিকের পুতুল নাচের ইতিকথা আর কোথায় - নেলপালিশের গল্প!!!
পরিচয়ের প্রথম দিকে থাকে ইতিহাস। ইতিহাস মানে তিনশো বছরের ইতিহাস। একেবারে সম্রাট বাবর থেকে তার তিন পুত্র।
একসময় সেই তিন পুত্রের একজন হয় সম্রাট আকবরের পিতা। এবার সেই আকবরের দা গ্রেট হয়ে উঠার বর্ণনা।
এই পর্যায় এসে প্রেমিক মানুষ হিসেবে কতটা গ্রেট সেই বর্ণনায় যায়। সে মানুষ ঠকানো মানুষ না... ভিখারি দেখলে তার মনে হাহাকার সৃষ্টি হয়।
সেই হাহাকার সৃষ্টি হওয়া হৃদয় কাঁপানো দু একটি ঘটনার বর্ণনা থাকে। বর্ণনা শুনে প্রেমিকার চোখ ভারী হয়ে আসে।
তার মনে এক ধরনের আনন্দ জন্ম নেয়। একজন ভাল মানুষকে কাছে পাবার আনন্দ।
একটা পর্যায় তারা তাদের সব কিছু জেনে যায়। ছেলেটি বিকেলে চা খেতে বের হয়েছে শুনলেই মেয়েটি বুঝতে পারে সে গিয়েছে জুবলী রোডের টঙের দোকানে।
ছেলেটির সামনে মিড টার্ম শুনলেই মেয়েটি বুঝতে পারে তার এখনো পাঁচ বিষয় রিটেইক জমে আছে। এবার তাকে মন দিয়ে পড়তে হবে।
কথায় কথায় আর ইতিহাস টেনে আনার ঝামেলা থেকে আপাতত মুক্ত।
সব স্বপ্নের কথা বলা এক সময় শেষ হয়ে যায়। বাড়ি হবে।
ছোট বাড়ি। মেয়েটি বলে বাড়ির রঙ হবে নীল।
গাঢ় নীল। বাড়ির সামনে বাগান হবে। বাগানের মালী কে হবে তা নিয়ে আপাতত চিন্তা না থাকলেও কথা এগোতে থাকে।
তুমি অফিস করে এসে আমার জন্য রোজ কিছু একটা আনবা ঠিক আছে? এই ধরো একটা রজনী ফুল হলেও আনবা। এই টাইপ আহ্লাদী শেষ হবার পর তারা ঠিক করে তাদের ছেলে মেয়ে হবে। দুটা হবে।
ছেলে বলবে আমার মেয়ে পছন্দ। মেয়ে বলবে আমার ছেলে। এর পর তাদের স্কুলে ভর্তি করানো পর্যন্ত কথা বার্তা ফাইনাল হয়ে যায়।
এই পর্যায় এসে সব স্বপ্নের কথা বলা এক সময় শেষ হয়ে যায়। ইতিহাস গেলো। গেট আকবরের স্বপ্ন গেলো। এবার অফ টপিক...
হমম এই যাত্রা বড় দীর্ঘ যাত্রা। দিনের পর দিন খাইছো? ঘুমাইছো? শরীর খারাপ? কী কর? কিছু না... এই সব বলে বলে শেষ করতে হয় এক একটা দিন।
ঘুম থেকে উঠেই আবার সেই একি যাত্রা... ঘুম কেমন হল! সকালে কিছু খাইছো?
এদেশের প্রেমিক প্রেমিকারা গড়ে প্রতিদিন কয় ঘণ্টা কথা বলে আমি ঠিক জানি না। সব থেকে কম করে ধরলেও তিন ঘণ্টা হবে। কেন জানি না...
একটা মানুষ দিনের পর দিন ২৪ ঘণ্টা সময়ের ভেতরে তিন ঘণ্টা সময় মোবাইলে কথা বলবে... এই ব্যাপারটা আমি মেনে নিতে পারিনা।
প্রতিদিন তিন ঘণ্টা বেহালা বাজানো প্র্যাকটিস করলে ছয় মাসের মাথায় তুমি খুব ভাল বেহালা বাদক হয়ে যাবে।
প্রতিদিন তিন ঘণ্টা করে পড়লে চার বছরের মাথায় তুমি খুব ভাল ইঞ্জিনিয়ার হতে পারবে।
সব থেকে বড় কথা তিন ঘণ্টা সময় দিলে মাসে ত্রিশটা বই পড়া যায়!!! কোথায় মানিকের পুতুল নাচের ইতিকথা আর কোথায় - নেলপালিশের গল্প!!!
No comments:
Post a Comment