Wednesday, 11 January 2017

আমরা যারা বাঙালি

আমরা যারা বাঙালিঃ-
১ - বাঙ্গালির ব্যক্তিত্ববোধ নেই। সাদা চামড়ার কোন বিদেশি রাস্তা দিয়ে হেঁটে গেলে বাঙালি গোল হয়ে তাকিয়ে থাকে। বিদেশি দাড়িয়ে পেশাব করলে বাঙালি সেটাও আগ্রহ নিয়ে দেখে। দেখে আরাম পায়। ধানমন্ডি ৮ এ আমি একবার এক বিদেশিকে দেখলাম গাড়ির গ্লাস নামিয়ে এক বাঙ্গালিকে হাত ইশারায় ডাক দিল।
চা দোকানে বসে থাকা এক বাঙালি দৌড় দিয়ে আসার পর তাকে নোট দিয়ে বলল – এক প্যাকেট বেনসন নিয়ে আসতে। লুঙ্গি পরিহিত বীর বাঙালি বুক ফুলিয়ে সিগারেট এনে দিল। বিদেশি চলে যাবার পর বেশ কিছুক্ষণ সেই দোকানের টপিক ছিল – বিদেশিরা ও তাহলে বেনসন খায় !
২ – বাঙালি মাত্রই চোর। একটা উদাহারণ দেই... আপনি একটা হোটেলে গিয়ে আপনার মোবাইলটি টেবিলে রেখে আসুন। দশ মিনিট পর গিয়ে মোবাইলটি পাওয়া যাবে এই আশা কোন বাঙালিই করে না।
এই পরিসংখ্যানটি কিন্ত ভয়াবহ। অর্থাৎ হোটেলে সুন্দর জামা কাপড় পরিহিত ব্যস্ত যেসব মানুষ সিঙ্গারা কিংবা ডাল পুরি খাচ্ছে এদের কেউই চোর না; তবে সুযোগ পেলেই মোবাইল সরিয়ে ফেলবে।
৩ –মানুষের পেছনে কথা বলা। কে চুল বড় রাখছে... কার বিয়ে হয় নি... কে রাতে বাইরে থাকে... আশে পাশের সব মানুষের ব্যক্তিগত ব্যাপারে এদের খুব উৎসাহ... গ্রামে এখনো কোন অচেনা মানুষকে দেখলেই হারিকেন মুখের কাছে এনে জিজ্ঞাসা করবে – ভাই কোন গ্রামের?
বিনয়ের দিক থেকে চিন্তা করলে ব্যাপারটি ঠিক আছে। তবে একটা দেশের বেশিরভাগ মানুষের মূল কাজ হল চা দোকানে বসে বসে অন্যের ব্যাপারে ফিসফিস করা... এ দেশে কোন যাত্রী ছাউনি খালি পাওয়া যায়না... সারাক্ষণ এরা বসে থাকে... বসে বসে চা খায়... আর দেশ নিয়ে সমালোচনা করে। তবে এদের সমালোচনা যুক্তি নির্ভর না; সমর্থক নির্ভর...
৪ – ভিড়ের ঠেলায় মেয়েদের গায়ে হাত দেয়া এদেশের খুব প্রাচীন নিয়ম। রমনাতে ৭১ নিয়ে চেতনা হচ্ছে... এরা সেখানে গায়ে হাত দিবে। লোকাল বাসে উঠে তাকিয়ে থাকবে লেডিস সীটের দিকে... সুন্দর কোন মেয়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় এরা একবার উপর থেকে নিচে তাকাবে
একবার নিচের থেকে উপরে। একটা পরিসংখ্যানে পড়েছিলাম – এদেশের বেশির ভাগ মানুষ পরনারী আসক্ত। তাদের বেশিরভাগই আবার বিবাহিত !
৫ –এদেশের বেশির ভাগ মানুষ বিনোদন বলতে বুঝে হলে গিয়ে ছিনেমা দেখা আর পার্কে পার্কে ঘুরা... বাঙালি সাধারণত বই পড়ে না। যারা পড়ে তাদের সংখ্যা খুবই কম। নতুন প্রজন্মকে দেখা যায় রাস্তার মোড়ে ক্যামেরা কিংবা গীটার হাতে। পাবলিক লাইব্রেরীতে এদের দেখা যায় না...
এদেশের মেয়েরা অবসরে বিনোদন ম্যাগাজিন পড়ে, মুরব্বিরা পত্রিকা আর নতুন প্রজন্ম চেতনা নিয়ে কি সব যেন বলে... দু দিন পর তাদের খুঁজে পাওয়া যায় না...
৬ – এদেশে এখনো শিল্পকে মূল্যায়ন করা হয় না। চারুকলা থেকে পাশ করার পর টেলেন্ড আর্টিস্ট দের কাজ জোটে বিলবোর্ডে ... এদেশের মানুষ দশজন নেতার নাম বলতে পারবে... ক্লোসআপ ওয়ানের তারকাদের নাম বলতে পারবে...
পাঁচজন আর্টিস্টএর নাম বলতে পারবে না। পাঁচজন আলেম এর নাম বলতে পারবে না। দশজন লেখক এর নাম বলতে পারবে না। চিন্তাবিদ বুদ্ধিজীবী শব্দ গুলোকে নিয়ে এরা এখনো হাসাহাসি করে। আবু সায়িদ এর মত মানুষ এই দেশের হিরো না; হিরো হয় ছিনেমা জগতের পাপী রা...
• সব বাঙালিকে বলা হয় নি... এই নিয়ে নিন্ম মানের কমেন্ট করার দরকার নেই।

No comments:

Post a Comment

অভিশপ্ত রজনী

  মৃত মেয়েটিকে ধর্ষণ করার সময় মেয়েটি যে জীবিত হয়ে ওঠে সেটা খেয়াল করেনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় কাব্য।ধবধবে সাদা চামড়ার মেয়েটিকে ভোগ করার...