চন্দনা-বারাশিয়া নদী বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ এবং ফরিদপুর জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ১২৫ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৪০ মিটার এবং প্রকৃতি সর্পিলাকার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা "পাউবো" কর্তৃক ঘাঘর নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নদী নং ৩২।
চন্দনা-বারাশিয়া নদীটি রাজবাড়ি জেলার রাজবাড়ি সদর উপজেলার খানগঞ্জ ইউনিয়নে প্রবাহিত পদ্মা নদী থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে। নদীটি সদর
উপজেলা থেকে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলা পর্যন্ত চন্দনা নামে পরিচিত এবং মধুখালী থেকে কাশিয়ানী উপজেলা পর্যন্ত বারাশিয়া নামে পরিচিত। চন্দনা-বারাশিয়ার জলধারা গোপালগঞ্জ জেলার
কাশিয়ানী উপজেলার কাশিয়ানী ইউনিয়নে মধুমতি নদীতে পতিত হয়েছে। উৎপত্তি স্থান হতে পাংশা উপজেলার ভেতর
দিয়ে কালুখালি পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিমি প্রবাহ একেবেকে প্রবাহিত হয়েছে। তারপর
প্রায় সোজা দক্ষিণ দিকে ২০ কিমি প্রবাহিত হয়ে কুমারখালি ও মধুখালির মধ্যবর্তী
আড়কান্দি গ্রামে বারাশিয়া নদীর সঙ্গে মিলিত হয় এখানে এই নদীর নাম চন্দনা-বারাশিয়া বা চন্দনা আড়কান্দি। চন্দনা ও
বারাশিয়ার মিলিত স্রোত আরো দক্ষিণে বোয়ালমারী ও কাশিয়ানী উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ভাটিয়াপাড়া
বাজারের উত্তর পাশে মসলন্দপুর গ্রামের মধুমতি নদীতে মিলিত হয়েছে।
অতীতে চন্দনার সাথে কুমার ও গড়াই নদীর সংযোগ ছিলো। কুমার ও গড়াই উভয়ই পদ্মার শাখা। বর্তমানে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, নদীর গতিপথ পরিবর্তন, ভূমির বন্ধুরতার পরিবর্তন ইত্যাদির কারণে
চন্দনার সাথে এদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ফরিদপুরের চিনিকলে আখ পরিবহনের জন্য শুকনো মৌসুমে চন্দনার
কয়েকটি স্থানে বাঁধ দেয়া হয়। তখন এটি ক্ষুদ্র জলাভূমিতে পরিণত হয়।
No comments:
Post a Comment