পাগারিয়া-শিলা নদী বা পাগারিয়া নদী বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার ময়মনসিংহ সদর, ত্রিশাল ও গফরগাঁও উপজেলায় প্রবাহিত একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৯৫ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৪১ মিটার এবং প্রকৃতি সর্পিলাকার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা "পাউবো" কর্তৃক পাগারিয়া-শিলা নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর উত্তর-কেন্দ্রীয় অঞ্চলের নদী নং ৩৩।
পাগারিয়া-শিলা নদী ময়মনসিংহ সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নে প্রবহমান সুতিয়া নদী থেকে উৎপত্তি লাভ করে ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার নিগাইর ইউনিয়নের ত্রিমোহনী পর্যন্ত প্রবাহিত হয়ে পুনরায় সুতিয়া নদীতে পতিত হয়েছে। এই নদীটি বারোমাসি প্রকৃতির নয়। বর্ষাকালে পানি প্রবাহ বেড়ে যায়, নদীটি বর্ষার পানিতে প্লাবিত হয়। শুষ্ক মৌসুমে স্থানীয় লোকেরা নদীতে আড়াআড়িভাবে মাটির বাঁধ দিয়ে পানি আটকে রাখে এবং সেই পানি সেচের কাজে ব্যবহার করে। এখন লোকজন কর্তৃক নদীর পাড় ভরাট করায় এর প্রশস্ততা দিন দিন কমে আসছে। এছাড়া পলির প্রভাবে এর তলদেশ ভরাট হওয়ায় অতীতের তুলনায় পানির প্রবহমানতাও হ্রাস পাচ্ছে। এই নদীতে জোয়ারভাটা খেলে না।
নদীটি উৎসমুখ থেকে পূর্বদিকে প্রবাহিত হয়ে বাড়েরা ইউনিয়নে প্রবেশ করেছে এবং বাড়েরা-ঘাগরা অঞ্চলে এটি বাড়েরা নদী নামে পরিচিত। ভাবখালি ইউনিয়নে এটি পাগারিয়া নাম ধারণ করেছে। নদীটি ত্রিশাল উপজেলার কানিহারি ইউনিয়নে এসে দুটি শাখায় বিভক্ত হয়েছে। বিভক্ত শাখা দুটি বালিপাড়া ইউনিয়নে গিয়ে পুনরায় একত্রিত হয়েছে। নদীটি আরো দক্ষিণমুখে প্রবাহিত হয়ে ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার নিগাইর ইউনিয়নের ত্রিমোহনী পর্যন্ত প্রবাহিত হয়ে পুনরায় সুতিয়া নদীতে পতিত হয়েছে। প্রবাহপথে নদীটি সদর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে বাড়েরা নামে, ভাবখালি ইউনিয়ন এবং ত্রিশাল উপজেলা উপজেলার সীমানা পর্যন্ত পাগারিয়া নদী নামে এবং গফরগাঁও উপজেলায় শিলা নদী নামে পরিচিত।
No comments:
Post a Comment