Tuesday, 17 August 2021
বুড়ি নদী
বুড়ি নদী বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ২৬ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৫৪ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা "পাউবো" কর্তৃক বুড়ি নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের নদী নং ১৪। কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নূরনগর ও বরদাখাত পরগনার মাঝখান দিয়ে বিল-ঝিলের উপর দিয়ে সর্পিলাকারে বয়ে চলা মুরাদনগর-কসবা-নবীনগরের সম্মিলন পয়েন্ট এই বুড়িনদী। লাউর ফতেহপুর ইউনিয়নের আশ্রয়ন গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প অবস্থানে মোহনা সৃষ্টিকৌশলে বুড়ী নদীটি নবীনগরের লঞ্চঘাটের কাছে তিতাসের সাথে মিশেছে।
বুড়ি নদীর উৎস হল সালদা নদী। সালদা নদী ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পাহাড়ি অঞ্চল থেকে উৎপত্তি লাভ করে কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তারপর এটি কিছুদুর প্রবাহিত হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার বুড়ি নদীতে পতিত হয়েছে।
এক সময় এ নদীর বুক চিরে বহু পণ্যবাহী নৌকা আসা যাওয়া করত। জনশ্রুতি রয়েছে যে কোন এক পূর্ণিমারাতে এই নদীতে পালতোলা নৌকার মাঝি টলটলে পানিতে চাদের বুড়ির ছবি দেখতে পায় এবং পরদিন অনেক চড়া দামে তাদের পণ্যসামগ্রী হাটে বিক্রি হয়। চাদের বুড়ির দর্শন তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে সহায়ক হয় বলে সেই থেকে নদীর নাম হয় বুড়িনদী।
বুড়িনদী তীব্র স্রোত সম্পন্ন একটি নদী ছিল। বর্ষাকালীন সময়ে নদীটি কানায় কানায় পূর্ণ থাকত। একসময় বুড়ি নদীতে চলতো জাহাজ ও সওদাগরদের বড় বড় নৌকা।
বর্তমানে নদীটি অদৃশ্যপ্রায়। নদীটি খাল, ডোবা, বসতভিটা ও কৃষি জমিতে পরিণত হয়েছে। বুড়ি নদীটি নবীনগর উপজেলা থেকে কসবা উপজেলার কুটি হয়ে ধরখার পর্যন্ত প্রবহমান ছিল। বর্তমানে নদীর প্রায় ১৯ কি.মি. ভরাট হয়ে গেছে।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
অভিশপ্ত রজনী
মৃত মেয়েটিকে ধর্ষণ করার সময় মেয়েটি যে জীবিত হয়ে ওঠে সেটা খেয়াল করেনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় কাব্য।ধবধবে সাদা চামড়ার মেয়েটিকে ভোগ করার...
-
একবার সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলি একটি স্টেশনারী দোকানে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, 'ডায়মন্ড বল পেন আছে?' সেলসম্যান মুখের উপ...
-
জন্মদিনে কেকের উপর মোমবাতি জ্বালানো একটি পুরোনো রীতি , যেটা শুরু হয়েছিল অনেক বছর আগে প্রাচীন গ্রীকে। তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী ,...
No comments:
Post a Comment