ভৈরব নদ বাংলাদেশের মেহেরপুর জেলা, চুয়াডাঙ্গা জেলা, ঝিনাইদহ জেলা, যশোর জেলা, নড়াইল জেলা, খুলনা জেলা, কুষ্টিয়া জেলা, ও মাগুরা জেলা অবস্থিত অন্যতম নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ২৪২
কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৬০ মিটার
এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা "পাউবো" কর্তৃক ভৈরব নদীর প্রদত্ত
পরিচিতি নম্বর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের
নদী নং ৬৮। এটি বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাংশের একটি নদ। ভৈরব নদের
তীরে খুলনা ও যশোর শহর অবস্থিত। এছাড়া এর তীরে অবস্থিত
গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোর মধ্যে রয়েছে মুজিবনগর, মেহেরপুর, গাড়াবাড়ীয়া, চুয়াডাঙা, বড়বাজার, কোটচাঁদপুর, চৌগাছা, দৌলতপুর, ও
বাগেরহাট। হিন্দুদের কাছে নদটি পবিত্র হিসাবে সমাদৃত।
নদটির নাম "ভৈরব" এর অর্থ "ভয়াবহ", এক সময় গঙ্গা/পদ্মা নদীর মূল প্রবাহ এই নদকে প্রমত্তা
রূপ দিয়েছিলো, সেই
থেকেই নামটির উৎপত্তি। নদটির দুইটি শাখা রয়েছে ইছামতি নদী এবং কপোতাক্ষ নদী। খুলনা-ইছামতীর কিছু অংশ ভারতে, এবং বাকিটুকু বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলায় পড়েছে, এই নদীটি সেখানে বাংলাদেশ ও
ভারতের সীমানা নির্দেশ করে।
ভৈরব নদটি তার যাত্রাপথের একেক স্থানে একেক নাম নিয়েছে। কালীগঞ্জ হতে কৈখালি পর্যন্ত নদীটির নাম 'কালিন্দি'। এর পর এটি 'রায়মঙ্গল' নামে পরিচিত। তার পর নদীটি দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায়। পশ্চিমের অংশটি 'হরিভাঙা', এবং পূর্বেরটি 'ভৈরব' নামে প্রবাহিত হয়। কৈখালির পরে নদটি 'খুলনা-ইছামতি' নামে প্রবাহিত হয়। দক্ষিণের অংশটি 'রায়মঙ্গল-হরিভাঙা' নামে পরিচিত। ভৈরব নদের মোট দৈর্ঘ্য ২৫০ কিলোমিটার।
বর্তমানে নদটি অনেকাংশে শুকিয়ে এসেছে। যশোর জেলার বাঘেরপাড়া উপজেলা পার হলে নদীটি আর নাব্য থাকে না। বর্ষা মৌসুমে এটি নাব্য থাকলেও শুষ্ক মৌসুমে নদটি শুকিয়ে যায়। তবে নদটির ভাটি অঞ্চলের নওয়াপাড়া থেকে নদীটির নাব্যতা থাকে জোয়ার ভাটার প্রভাবে।
No comments:
Post a Comment