Wednesday, 7 September 2022

একজন চন্দ্রাহত যুবক

 ১. নৈঋতা!

এক অষ্টাদশী যুবতী
প্রতি পুর্ণিমায় যার নাভিতে চন্দ্র অস্ত যায়
সেই জ্যোৎস্নায় যুবতীর নাভিমূলে
সাপ ও পদ্ম একসাথে খেলা করে।
২. একজন চন্দ্রাহত যুবক
প্রতি পুর্ণিমায় গাঙ্গে নামে
টলমলে জলে সে চাঁদ টা গিলে খেতে চায়।
৩. একটা বার্ধক্যগ্রস্থ কাক
ডানাভাঙা শিমুল গাছে
শ্মশান ও গাঙ্গের সাক্ষী বহুকাল।
ভরা পুর্ণিমায় যুবতীর গাঙ্গে জোয়ার আসে
শইল থেকে খসে পড়ে মুঠো মুঠো জ্যোৎস্না।
বাঁকে বাঁকে কোলাহল মেতে ওঠে
জ্যোৎস্না ও বন্য জলের জোয়ার।
মধ্যরাতে চন্দ্রাহত যুবকের ঘোর লাগে নিশির ডাকে;
যুবক ঘর ছাড়ে, যুবক গাঙ্গে নামে ।
বুড়ো কাক ডানা ঝাপটায়।
যুবক আরো গভীরে যায়,
গাঙ্গের, চাঁদের, যুবতীর সুগভীর নাভির।
চন্দ্র ডুবে, জ্যোৎস্না ঘুমায়।
যুবক আরো গভীরে যায়..

জ্যোৎস্না শিকারে চন্দ্রগ্রস্থ যুবক আবার কাম শিকারে শিকার হয়।

 সমুদ্রের বিষণ্নতম বাতাসে নোনা নোনা সুর

ক্যানাবিসের ধোঁয়াশা ধোঁয়াশা চোখে
যুবক জ্যোৎস্না ধরতে শুণ্যে হাতায়....
যুবক আকাশ পানে চায়
আকাশের চাঁদটা বেশিক্ষণ চাঁদ থাকে না।
কান্দুপট্টির খানকি মাগীর উদ্ধত স্তনের লাহান
মোচড় দিয়া জাগে
নেশাক্ত বোঁটায় কাম ঝইরা ঝইরা পড়ে
জ্যোৎস্নাগুলান কামাসক্ত হয়ে উঠে
তির তির করে লাফায়
ছেনালি করে যায় তীব্র আবেগে।
যুবক জ্যোৎস্না শিকারে যায়
কান্দুপট্টির খানকি মাগীর উদ্দাম কামে
কামাসক্ত জ্যোৎস্নায় যুবক নিজেকে হারায়।
যুবক হারাতে চেয়েছে বহুকাল।
অতঃপর
জ্যোৎস্না শিকারে চন্দ্রগ্রস্থ যুবক
আবার কাম শিকারে শিকার হয়।

বালিকা স্মৃতি

 উফ! বড্ড শীত পড়ছে বালিকা, কাছে এসো... ভাগাভাগি করি কিছু উষ্ণতা।

- কী সাধ! খালি ছলনা করে।
ছলনা তো করেছে নজরুল, "আমি গোপন প্রিয়ার চকিত চাহনি, ছল করে দেখা অনুক্ষণ,
আমি চপল মেয়ের ভালোবাসা, তা'র কাঁকন-চুড়ির কঙ্কণ।"
ব্যাটা খালি চুরি করে দেখলোই না, আবার হাত ও ধরতে চাইছে।
-কবিরা সবাই খারাপ, তুমিও কবিদের মত লুম্পেন হয়ে গেছো।
আমি কবিদের মত না, কবিরা বালিকাদের কামনা করে, কিন্তু স্পর্শ করেনা।
- তুমি কী কর?
আমি বালিকাদের স্পর্শ করি, কামনা করিনা।
- কামনা যদি নাইবা কর, তবে স্পর্শ করতে চাও কেন?
ক্যানভাস স্পর্শ না করে, কোন তুলি কি স্রষ্টা হতে পারে?
- চারপাশে এত ক্যানভাস থাকতে তুমি বালিকাকে ক্যানভাস বানাতে চাও কেন?
মৃত ক্যানভাসে আমার তুলিতে রঙ আসে না।
আমার চাই জীবন্ত ক্যানভাস, আনকোরা,
ধবধবে সাদা ক্যানভাস.....
যার গন্ধ আছে, তীব্র গন্ধ;
কাঁঠালচাঁপার মত।
অনুভূতি আছে, তুলির ছোঁয়ায় অনুভবের প্রকাশ আছে।
অতঃপর ঘর ছেড়ে আসা বালিকা চলে গেছে,
ঘর না পেয়ে, বার বার পিছু ফিরে, বুনো বাতাসে চুল উড়িয়ে,শুষ্ক তুলিতে গাঢ় নীল রঙ ঢেলে,
দ্বিতীয় মৃত্যুর পথে।
আসলে কেউ বোঝেনা
বালিকা ও বোঝেনি, কতটা অনলে পুড়লে জীবন,
খুঁজে পায় তুলি লেমন ইয়েলো শেডে লাল- নীল কিংবা ডার্ক অম্বর।

ক ন ফে শ ন ২.

 প্রার্থনায় :

দংশিবে যত দংশাও ,
তবুও নীরব থেক না রমণী!
আমি এক চারণ কবি , জানি
তবুও রমণের ছন্দ জানি ।
জিজ্ঞাসায় :
দংশিয়াছে সাপে,
দংশিয়াছে পাপে ;
পূর্বজন্মের পাপে
এই জন্মে নিয়তির শাপে ।
প্রত্যাশায় :
তবুও রমণী তুমি , চুষে নাও বিষ যত
জমেছে জন্মান্তরের স্রোতে ।
অতঃপর রমণী চলে গেছে
আরো বিষ ঢেলে, রমণীর আবেশে......।
বিষগ্রস্ত কবি তবু ছুটে চলে
অসমাপ্ত পঙক্তিমালার পথে।।

শরীর জেগে ওঠে মধ্যরাতে


নৈঃশব্দ অন্ধকারে মেতে ওঠে কাম
শরীরের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে
এক গলি থেকে অন্য গলিতে
বিছানায় এলিয়ে পড়ে
নারীর নরম শরীর ,
ধবধবে সাদা ত্বকের স্পর্শ।
দিনের আলোর সবচেয়ে ভদ্র
মার্জিত ব্যক্তিও হিংস্র হয়
কাম পিপাসায় ।
নারীই পৃথিবীর একমাত্র সৌন্দর্য ,
নারীই একমাত্র আনন্দ ,
বেঁচে থাকার আকর্ষণ ।
শরীর জেগে ওঠে সেইসব
মধ্যরাতে ,
যাদের নারী নেই
তাদেরও শরীর জেগে ওঠে ,
নগ্ন নারীদেহ মনে আসে কেবল
কামাতুর ঘোরে ।
শইলকবির মতই
শইল জাগে , মধ্যরাতে
অথবা ভর দুপুরে ।
হে কবি!
কবিতা অথবা নারী
নাকি দুটোই দরকার আজ
শইল জাগাতে ?
তুমি কোন বীর ?
কবিতা নিয়ে পড়ে থাকো
এই মধ্যরাতে
ফেলে নারীর শরীর ?

অসমাপ্ত পংক্তিমালা/কোন এক বসন্তে

 অতঃপর

চলে যায় বসন্ত, চলে যায় বাসন্তীরা
শইলে নতুন রৌদ্রের ঘ্রাণ মেখে...।
দ্রোহ আর দহনের অক্ষরে
অসমাপ্ত কিছু পংক্তিমালা
মাঝে মাঝে ভোগাবে, ভোগায়
সময়ে অসময়ে, বেলা - অবেলায়।
বিদায়ী বসন্তে
তবুও বেঁচে থাকে, বেঁচে থাকা ;
নীল আকাশ
সবুজ ঘাস অথবা চন্দ্রমল্লিকার রাত।

প্রার্থনা ! এক ফোঁটা বৃষ্টির


কামার্ত সাপের গন্ধে
পুষ্পমল্লিকা ফোটে হাঁড় হতে হাঁড়ে
প্রেমিক তো শূকর পুরাতন
আর প্রেমিকারা !
প্রাণরসায়নী তারা
শূলদন্ড বরণ করে পাপ ও পূর্ণিমা রাতে।
তপস্যায়
তপোবনে
আমায় অন্ধ কর হে প্রভু
তীরবিদ্ধ চাতক আমি !
চাইনি সমুদ্র সঙ্গম , জলের ভালোবাসা
মরু-খন্ডে চেয়েছি শুধু কয়েক ফোঁটা বৃষ্টি ,
জলের শুশ্রূষা............।

কাঁঠালচাঁপার সন্ধ্যা

 সেই সব

ঘোর ঘোর
ঘোরলাগা সন্ধ্যায়...
বৃষ্টি নামলেই
তার শইলভর্তি কাঁঠালচাঁপা জন্ম নিতো।
আমি
জন্মান্তরের পাপে দগ্ধ
গন্ধকাতর সর্পবংশ
বর্ষা এলে
সফেদ সফেদ জ্যোৎস্না ভাঙতাম
কাঁঠালচাঁপার বনে।
সে এক অন্য জীবনের গল্প
আলো - আঁধারিতে,
আবেগের সায়াহ্নে, নিষিদ্ধ সব পরিব্রাজন।
সেখানে ছিল জ্যোৎস্না ও জোনাকিরা
ছিল বাতাসভর্তি কাঁঠালচাঁপা।
সেইসব
ঘোর ঘোর
ঘোরলাগা সন্ধ্যায়..
বৃষ্টি নামলেই আমি বুকভরে গন্ধ নিতাম
জ্যোৎস্না জোনাকি আর বাতাসভর্তি কাঁঠালচাঁপার বনে।
আসলে ভালোবাসার গল্পগুলো এমনই
হারিয়ে যায় অসময়ে
শুধু বাতাসভর্তি গন্ধ রেখে যায়।
গন্ধরা পোড়ায়, বর্ষা এলেই
সুখফড়িঙ এর পাখনা পোড়ায়।

দ্বিতীয় চুম্বনের গল্প

 প্রথম চুম্বনের সময় পারকিন্সসনের মতো হাত পা কেঁপেছিল। কম্পমান শইলের সাথে ঠোঁট, কপাল ছুঁয়ে ঠোঁটের উপর সামান্য স্পর্শই দিতে পেরেছিল।অনুভূতির বারুদে তীব্র কটাক্ষ হেনে রিনিঝিনি হাসিতে লুটিয়ে পড়তে পড়তে বলেছিল এক এলোকেশী,

"এটাকে চুম্বন (kiss) বলে!!
এর জন্য বছর ধরে এত কিছু!!!
আমাদের স্বপ্নের যৌথ খামারে
চুম্বনকে ভেবেছিনু প্রথম স্বাক্ষর।
ভীষণ লজ্জায় আমি কুঁকড়ে গেছিলাম। যেভাবে মহাদেশ জয়ের পর, প্রতিবার জোসেফাইনের কাছে কুঁকড়ে যেত বিশ্বজয়ী আরেক বীর। আসলে আমি চুম্বন শিখেছিলাম শিশুদের কাছে। শইলী চুম্বনের আগ্রাসী টান তখনো আমাকে স্পর্শ করেনি।
আমি আমার সেই প্রিয়তমাকে দ্বিতীয়বার চুম্বন করেছিলাম ত্রিশ দিন পর। এ সেই চুম্বনের গল্প।
কোন এক
ঘোর ঘোর
ঘোর লাগা
শীত শীত
শীতার্ত!
ঘোর ঘোর
ঘোরাচ্ছন্ন!
কুয়াশা লাগা সন্ধ্যায়...।
বুনো বাতাসে এলোকেশী
এলোমেলো চুলে
নির্জন সন্ধ্যায়..
এলোকেশীর চুলে তখন ভারি কুয়াশা
তৃষ্ণার্ত ভারি ঠোঁটে
দূরবর্তী লোকালয়ের শব্দ। গান। উচ্ছ্বাস।
ও ঠোঁট ! কেঁপে কেঁপে ওঠে
আমি গন্ধলোভী
গন্ধকাতর অনার্য বংশ
আমার জন্ম সোঁদামাটিতে।
আমি মৃত্তিকাপূজারীর উত্তরসর।
আমাকে টানে সোঁদামাটির ঘ্রাণ।
এলোকেশীর চুলে জড়ানো, ঘামে ছড়ানো
বুনো বুনো উদ্দাম।
ও ঘ্রাণ! কেঁপে কেঁপে ওঠে
এলোকেশীর মুখে বুকে ঠোঁটে।
ও ঘ্রাণ! নেশা নেশা লাগে
নেশাতুর সেই সন্ধ্যা।
ঠোঁট খোঁজে ঘ্রাণ, ঘ্রাণ খোঁজে ঠোঁট
ঠোঁট মুখ বুক,
এলোকেশীর পাতলা চিবুক।
সব মিলেমিশে যায়।
যুবক চুম্বনে হারায়..
এলোকেশীর ঠোঁটে তখন ঝড়ো বাতাস
বাতাসে বাতাসে ঘর্ষণ, চমকায় বিজলি!
একজোড়া ঠোঁটের মাঝে জন্ম নেয়
ঠোঁটেদের, আমাদের,
ঘোরলাগা এক অদ্ভুত আকাশ!
দ্বিতীয় চুম্বন!
আমার প্রথম প্রেম।
প্রথম শইলী আবিষ্কার।

উইডি অভিসার


আমার উইড চাই, কবিতা চাই, চাই রমণী
খাবো, পড়বো, লাগাবো।
(সরি, লাভ মেকিং করবো)
উইডগুলো কড়া হতে হবে,
গতবছর কেরু কোং এর পেছন দরজায় ব্ল্যাকে কেনা
ঝাঁঝালো বাংলা মদের মত অসহ্য কড়া।
কাব্যদের হতে হবে তীব্র
স্বমেহনের ক্লাইম্যাক্সের চেয়েও তীব্রতম
আকাঙক্ষা জাগা জাগা
খসে খসে
ভেঙ্গে ভেঙ্গে পড়া
সব জীবন্ত উচ্ছ্বাস ।
আর রমণী!
ওরা হবে কামকাতুরে।
ভরদুপুরে! ওদের উদাম গতরে
জন্ম নেবে প্রাগৈতিহাসিক সব পাপ-তাপ
ভেঙ্গে চুরে
এঁকে বেঁকে
বুনো খরস্রোতা শইলের
গগনভেদী উল্লাস।

কথপোকথন ৩

 ঠক ঠক..

কে?
শীতগ্রস্ত নগরে নির্বাসিত যুবরাজ।
আমার কাছে কী চাই?
এখানে প্রচন্ড শীত।
ওম চাই, তীব্র ওম।
চাদর জড়াও, পেয়ে যাবে।
আমার দরকার সুতীব্র ওম।
দোজখের ওম।
আগুনের কাছে যাও।
সব আগুন তোমার কাছে,
তোমার দূরবর্তী উপকূলীয় নগরে ;
কাছে হলে ঠিক চলে যেতুম।
তাই মনে হচ্ছে তোমার?
নিমন্ত্রণ দিলে ঠিক পৌঁছে যেতুম,
আমি পুরুদস্তুর ভদ্দরলোক।
আমিও ভদ্রমহিলা , পুরোপুরি।
উপযাচক হয়ে প্রেমিককে প্রেম নিবেদন করতে পারি না।
আসলে এটা কথার কথা।
এটাই নাকি সভ্যতা।
প্রেমিক কি সভ্য হয়!!
হওয়া উচিত?
আমার ভাষায় শুনতে চাও?
আদিমতম পুরুষের ভাষায়?
সে তোমার ইচ্ছে।
আসলে আমি তোমাকে লাগাতে চাই
তোমাতে লেগে যেতে চাই।
রোদ্দুরে পোড়া কার্লি চুল থেকে
উত্তেজক গাঢ় নেইল পলিশের তলায় লুকানো নখ,
ভারি ওষ্ঠ, অাঁকাবাঁকা উপত্যকা গিরিখাত,
জলজ, স্থলজ সমগ্র শইলী জ্যামিতিতে লেগে যেতে চাই।
পাগল!
তুমি একটা।

জল


সব জলেতে হয় না সাধন
হয় না সিদ্ধ পাপী মন।
জলের তলে জলজ পদ্ম
ডুব দিয়ে তুই দ্যাখ না ক্ষণ।
সমুদ্র,
"রমণীর কাছে কখনো নাবিক বিদ্যার
বড়াই করিয়ো না"
রমণী
কামের পেয়ালা হাতে দেবী আফ্রোদিতি
সমুদ্রসঙ্গমে বিষ আর মধুর চাষাবাদ করে।
প্রাচীন নাবিক,
"রমণীরা সমুদ্রতনয়া
ওখানে কারো চিরস্থায়ী মালিকানার রেওয়াজ নাই "।
কবি
জলসাধক
জলজ পদ্মে সহস্রবছরের প্রাগৈতিহাসিক লিপির অনুবাদ করে।
প্রতি শ্রাবণের ভরা পূর্ণিমায় কবি ও প্রাচীন নাবিক সমুদ্রের কাছে রমণীদের গল্প শোনে।
তাদের সামুদ্রিক শইলের গল্প।

শইলকবি পৌত্তলিক

 শইলকবি পৌত্তলিক

পৌত্তলিক?
হ্যাঁ, সে শইলপূজারী।
শইলপূজারী?
সে লিলিথের নাভিতে পূজা দিছে।
সে লিলিথের নাভিতে রক্তলাল গোলাপ রাখে,
মন্ত্রপাঠের সাথে তপ্ত মোম গলিয়ে ফেলতে থাকে
ফুলের চারপাশে, নাভির চারপাশে।
লিলিথের শ্বাস ভারি হয়!
গলন্ত মোম! নাভীর চারপাশে?
হ্যাঁ, মোমের তাপে বেচারি লিলিথ চমকে চমকে ওঠে
যন্ত্রণায়, কাতরায়.. এঁকেবেঁকে যায়..
গোঙানির শব্দে বাতাস ভারি হয়
তৃষ্ণার্ত লিলিথের শুকনো ঠোঁট খরখরে হয়ে উঠে;
জল পিপাসায়, লিলিথ কাতরায়!!
তবুও তার মায়া হয় না। সে বলে তৃষ্ণা বাড়ুক।
নিশ্চিত সে পূর্বজন্মা লুসিফার!
অর্ধচেতন লিলিথের নাভিতে সে শরাব ঢালে,
ফোটায় ফোটায়,
লিলিথ কেঁপে কেঁপে উঠে,
লিলিথ গোঙায়..
সে পান করে। জন্তুর মতো ;
জিহ্বা দিয়ে , ঠোঁট দিয়ে, নাক দিয়ে..
লিলিথ ভেঙেচুরে পড়ে
লিলিথ গোঙায়!!!
কী পান করে?
আমরা দেখি শরাব, সে বলে নাভী।
লিলিথের গোঙানি বাড়তে থাকে
সে গন্ধ শোকে, কুকুরের মতো, ইঁদুরের মতো
ঠোঁট -নাক ঘষতে থাকে নাভীর চারপাশে
লকলকে জিহ্বা দিয়ে চাটে , পান করে
লিলিথের শইল, শরাব, কাম- ঘাম, ঘ্রাণ ।
জান্তব পীড়নে লিলিথের গোঙানি চিৎকারে পরিণত হয়।
গোঙানি বাড়তেই থাকে..
চাপা চাপা,
হাঁসফাঁস
ভাঙা ভাঙা
দম লাগা ,
নেশা নেশা , অবর্ণনীয় উল্লাস!!!
লিলিথের চিৎকারে কেঁপে উঠে জিহোভার আরশ;
ইশ্বরের চেয়ার। ভেঙে পড়ে প্যারাডাইসের সুসজ্জিত পবিত্র গম্বুজ,
ইট পাথর, ঘর বাড়ি, দালান অট্টালিকা, গাছ ঘাস।
অতঃপর
পৌত্তলিক শইলকবিকে নাভীপূজার অপরাধে স্বর্গ থেকে বিতাড়িত করা হয়।

দহনকাল

 যুবক সিদ্ধি খায়

যুবক সেক্সটিং এ মজে
রাইত নামে, গভীর রাইত
হাজার বছরের পুরান রাইত।
যুবক ক্যানাবিসের ধোঁয়ায় উষ্ণতা খোঁজে,
লাল নীল ছবি, হলুদ -গোলাপি পর্ন, চটিতে হারায়।
যুবক বিস্ফোরণে বিস্ফোরণে ক্লান্ত হতে চায়,
রাইত আরো গভীর হয়
হাজার বছরের নিষিদ্ধ রাইত।
ধুনে ধুনে মগ্ন যুবক
বিস্ফোরিত হয় স্বমেহনের তীব্র সুখে।
যুবক ক্লান্ত হতে চায়,
যুবকের আরো ক্লান্তি চাই;
যুবক ঘুমায় না বহুকাল।
রাইত যত গভীর হয়, যুবকের ঘুম পালায়।
নিউরনে - নিউরনে,
শইলে - শইলে
তীব্র ক্লান্তি,
অবশ অবশ অবসাদ।
যুবকের ঘুম আসে না, যুবক ঘুমায় না বহুকাল।
যুবক জেগে থাকে ক্লান্তিতে,
যুবক জেগে থাকে অবসাদে।
শুধু নষ্ট সময়ের নষ্ট গল্পে
অভিশপ্ত যুবকের বুকে জেগে থাকে রাইত;
হাজার বছরের নিষিদ্ধ যত রাইত..।

নাভীপূজার দ্বিতীয় প্রহর

 নাভী পূজার জ্যোৎস্না রাতের দ্বিতীয় প্রহরে

তোমার নাভীমূলের ঘ্রাণে, কুফরী কালাম ফোটে জাদুকরী ঠোঁটে
জ্বলজ্বলে আগুন ঘিরে বিনিদ্র শিকারীর চোখে
ফুটে ওঠে শতফুল। জাদুকর পান করে, ঘোরাতুর হয়
যেন মরুভূমির নিদারুণ তৃষ্ণা বুকে,
চেটে খায় তার ধারালো আদিম জিভে,
যেমনটা শুনেছিল সিংহশিকারের গল্প
পিতামহের আলোক উৎসবের রাতে---
জাদুকরের মন্ত্রপাঠ দ্রুততর হয়।
চাঁদের আলোয় পিতামহের বল্লম ঝলসে উঠে,
সিংহের গলার ঘড়ঘড়ে আওয়াজে
প্রকম্পিত হয়ে ওঠে দূরের লোকালয়;
জাদুকরের স্নায়ুতে ভর করে শিকারী আত্মারা।
জাদুকর মন্ত্র পাঠ করতে থাকে। মন্ত্রপাঠ দ্রুততর হয়..
ধীম ধীম শব্দে দম লাগে নির্জন বনে, অগ্নিশিখারা কাঁপতে থাকে
তোমার নাভীর ঘ্রাণে।
শিকারী সামনে আগায়..।
জাদুকর জ্ঞান হারায়, লুটিয়ে পড়ে তোমার নাভীমূলে।

নরক ফেরত রমণীর উপখ্যান....


১.
- মাই ডে-তে এরকম ছবি দিবেন না।
- কেন?
- আপ্নে সেক্সি।
- কিছুটা জানি।
- আপনার নিপল দেইখাই জিহ্বা লাগানোর তীব্র বাসনা জাগছে।
- এই জন্যই তো দিছি।
- সিডিউস করলেন কিন্ত।
২.
- আমি কিন্ত সাইজে ছোট, দেখলেই বলবেন পিচ্চি মেয়ে।
- পিচ্চিই তো ভালো, কিশোরী ফ্লেভার।
- হা হা হা হা
- বসে লাগানো যায়, দাঁড়িয়ে লাগানো যায়,
কোলে তুলে, বুকে রেখে লাগানো যায়।
বাথরুম, কমোড, চেয়ার, টেবিল, সোফা- সবখানে লাগানো যায়।
- ইশশশ...

১.
- আজ তোমাকে উপরেই রাখবো,
- আমি না, বরং তুমিই লাগাও।
- কেন! কেন!
- আজ হোক ইতিহাস, ঘটুক বিপ্লব
এই বৃষ্টিকাতর রাতে, সরকারী লাল দালানের
সুসজ্জিত বাথটাব, বিছানা, গালিচায়
ফ্যাসিস্ট প্রেমিক চোদা খাক কমিউনিস্ট প্রেমিকার ঠাপে।
২.
স্মোকিং আফটার সেক্স:
- কবি, একটা জিজ্ঞাসা
- বলো প্রিয়তমা, প্রিয় লিলিথ
- কবি কি লাগানোর পর স্ক্রিপ্ট লিখে, নাকি স্ক্রিপ্ট লিখে লাগায়?
- কখনো আগে, কখনো পরে, আজ দু'টাই।

- রাতটা অসাধারণ ছিল।
- কতটা অসাধারণ?
- আজ্রাইল যেদিন প্রাণ নিতে আসবে, আমার আত্নাকে টেনে হিঁচড়ে বাহির করবে
তখন আমি তীব্র যন্ত্রণায় সম্ভবত এই রাতের স্মৃতিই মনে করতে চাইবো।
- তাহলে কথা রাখছে প্রিয় শয়তান!
লুসিফারে সাথে তৃতীয় চুক্তি সফল অবশেষে।
- তুমি কিন্ত নিয়ম মানোনি,
দুই বার লাগাইছো, একবার কম।
শাস্ত্রে আছে, প্রিয়তমার সাথে প্রথম অভিসারের তীব্র রাতে
তিন বার লাগাতে হয়, তিনে-তিন আসনে।
- তাহলে কি অপরাধ হয়ে গেছে?
- অপরাধ না, অনিয়ম।
নরক ফেরত রমণীর উপখ্যান....
- ২৫ বছরের জীবনে আমার
সেরা পুরুষ তুমি, দু'জন পেয়েছি এমন তবে এক নম্বরে তুমি।
- আগে তো দুই নম্বরে রাখছিলা?
তারও কারণ ছিল, আমরা প্রেম থেইকা লাগালাগি করিনি
তবে লাগানোতে তুমিই সেরা।
- মানপত্র লিখে দাও, বাঁধিয়ে রাখি।
- লুসিফারে প্রেরিত পুরুষের মানপত্র কেন লাগবে?
- লাগে, অন্তত লিলিথেরটা লাগবে।
নইলে ভক্সোদ ঈশ্বরের চেয়ে লুসিফারের অথেন্সিটির এভিডেন্স কই!
- কসম আমার প্রিয় নিপলের
যা এতোটা ল্যাসেরেট হয়নি আগে।
কসম পদ্মবনের, পদ্মপাপে পাপি আমি,
" হে প্রিয় কবি! প্রিয় লুসিফারের অবতার।
এতো আদরে, এতো ভাপে, এতো তাপে
ভগাংকুরে তির তিরে কাঁপন তুলে, নরকদর্শন কেউ করাতে পারেনি আগে" ।
মরনের আগে সখা, আর একবার নরক দর্শনে যেতে চাই তোমার সাথে।

তোমার মতো, একদিন আমিও মরে যেতে চাই
রাগমোচনের পর গভীর ঘুমে...
নরক ফেরত এক রমনীর উপাখ্যান

নিশ্চিত সে পূর্বজন্মা লুসিফার!

 অতঃপর সে লিলিথের নাভিতে রক্তলাল গোলাপ রাখে,

মন্ত্রপাঠের সাথে তপ্ত মোম গলিয়ে ফেলতে থাকে
ফুলের চারপাশে, নাভির চারপাশে।
লিলিথের শ্বাস ভারি হয়...
গলন্ত মোম! নাভীর চারপাশে?
হ্যাঁ, মোমের তাপে বেচারি লিলিথ চমকে চমকে ওঠে
যন্ত্রণায়, কাতরায়.. এঁকেবেঁকে যায়..
গোঙানির শব্দে বাতাস ভারি হয়
তৃষ্ণার্ত লিলিথের শুকনো ঠোঁট খরখরে হয়ে উঠে;
জল পিপাসায়, লিলিথ কাতরায়!!
তবুও তার মায়া হয় না। সে বলে তৃষ্ণা বাড়ুক।
নিশ্চিত সে পূর্বজন্মা লুসিফার!

নিদানকাল

 শইলের মাঝে প্রেম

গতরের মাঝে ঝড়
আহা! আসতে থাকে,আসা হয়ে যায়!
বুকঠুকে বুক ঠুকছে পুরুষ,
আঙুর দানায় আঙুল বোলায়,
আহা! রোগ সারে,রোগ সেরে যায়!
শইলের মাঝে শইল ঢুকে
আঁচড় দাগে প্রেম শুঁকে
আহা! ঈশ্বর নামে, নামে লুসিফার ।
রোগ সারে, রোগ সেরে যায়..

আহা ! শইল।

 মাঝে মাঝে মইরা যাইতে ইচ্ছা করে।যেমন এখন এই শাড়ী পরাটারে দেইখা মইরা যাইতে ইচ্ছা করতাছে।মামা তুমি লেখক হও। অনেক অচোদা লেখকে দেশ ভইরা গেছে। দে ডোন্ট নো হাউ টু এক্সপ্রেস ফিলিংস, হাউ টু রাইট,

হাউ টু এক্সপ্রেস, শটগান। বারুদ।
শইল -শরাব- উইড ।
কাম। ঘাম। ঘ্রাণ..
"সীমান্ত উত্তপ্ত হচ্ছিলো,
আমি বারুদ চিনতে শুরু করছিলাম.."
আহা ! উত্তাপ।
আমি নগরে আসলাম
নগর উত্তপ্ত হতে শুরু করলো।
আমি শইল চিনতে শুরু করছিলাম।
আহা ! শইল।
তবে শোন।
সেই সব শইলের গল্প।
ইট পাথর কংক্রিট ফুটপাতে
নগরে নগরে,
নাগরিক ভোজসভায়, পানশালায়
চিপা চাপা আন্ধার রাস্তায়
ফেরোমন ছড়িয়ে চলে..
নাগরিক তরুণী।।
আহা! তরুনী।
আমি সেই সব নাগরিক তরুণীর গল্প বলি,
যাদের বোতলভর্তি জোনাকপোকা
কিলবিলিয়ে জ্বলে।
অতঃপর
জোনাকির আলোতে আরো সামনে আগাও..
কিছুদূর অতিক্রম করলে দেখবা নিয়ন আলোর একটা সাইনবোর্ড ঝুলতাছে
লেখা আছে,
কেয়ারফুল! কার্ভ এহেড..

"গোপন "

 

তীব্র
মৃত্যুর মতন।
কাক ডাকা ভোরে পটল ক্ষেতে কাকতাড়ুয়া মেরামতের সময় উত্তরপাড়ার মোরগটি দু'বার ডেকে উঠে।
কাকতাড়ুয়াটা জ্যান্ত হয়ে যায়। হাতের লাঠি দিয়ে মাটিতে দাগ কাটতে কাটতে বলে, আমার ক্যানভাসে সূর্যমুখী ছাড়া অন্য কুনু শাকসবজি চাষবাস ক্ষ্যাত খামার লাগাবিনা মাঙ্গির পুত। আমি কি বাল ছিঁড়তে সূর্যমুখীর জন্য মরেছিলাম!!
নগরায়ন
নগরটা বড় হচ্ছিলো
ছলে বলে, কলা কামে, ঘষা ঘামে বড় হচ্ছিলো।
রাতে ইঁদুর বিড়াল বেওয়ারিশ কুত্তাদের মতো
অসভ্য আদমি কালা চিকন লুলা ঝুলা রোগাক্রান্তদের
ঘাম, মুত, রক্ত, বমি, লাশ আর আত্মা পরিষ্কারে এক্সট্রা শিফট চালাচ্ছিল নাগরিক নগর সভা।
যাপিত জীবন
লোকাল ট্যাবলয়েডের হকার চিকু রবিনের
আস্তানায় সেদিন ঘটেই গেল অঘটনটা।
ওইযে সেই চিকু রবিন! গতবার যার সিফিলিস হয়েছিল, ট্যাবলয়েডের বিক্রি বেড়ে গেলো চারগুণ। গুনগুন কানাকানি শেষে, গোপনে স্বীকার করে, জীবনে একবারই সে রাষ্ট্রীয় ভবন চুদেছিলো কনডম ছাড়া।
বমন প্রতিরোধী ও পরিষ্কার সংক্রান্ত উচ্চ ক্ষমতার এক্সট্রা শিফটের বুদ্ধিজীবী স্যার সুখময় আচারী অযথায় জড়িয়ে গেলো চিকু রবিনের সাথে বাহাসে। শিল্প সাহিত্য, যৌনরোগ, ভায়াগ্রা, কালচার, ট্র্যাডিশনের তীব্র যুদ্ধ শেষে চিকু রবিন একটি রাজনৈতিক আলাপে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে বসে। নাগরিক, অনাগরিক, সুনাগরিক, কু-নাগরিকের মতো মানব আদমির ক্যাটাগরি অনুসারে যেহেতু ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণীর ভায়াগ্রা পারমিটেড। তাই তার সেক্স পারসেপশন আর সুখময়ের সেক্স পারসেপশন এক না। সে তার দাঁতে খিলান দিতে দিতে খিলখিলিয়ে বলে, এককালে তার সিফিলিস হইলেও সেই সুখস্মৃতি তার অমর। মৃত্যু ও রাষ্ট্রীয় ভবন কনডম ছাড়া চোদার মধ্যবর্তী ভ্রমণের উপ্রে একটা দলিল সে লিখবেই।
গোপন খবর
গুলিবিদ্ধ চিকু রবিনের লাশের চারপাশে রক্ত ছিল।
জমাট বাধা সব রক্ত, শুধু রক্তের রঙ হলুদ ছিল।
সমতায়ন
কনডম ও সিফিলিসের প্রবাবিলিটির উপ্রে শতবছরের গবেষণা শেষে নগরের সায়েন্স একাডেমী একদিন ঘোষণা করলো, কনডম একটি ডাইনামিক গণিত। কৃষিবিজ্ঞানীরা পটল আর সূর্যমুখীর বিচির মধ্যে মিল খুঁজে না পেলেও কৃষকেরা একমত যে, ভেজে খেলে পটল ও সূর্যমুখী, দুটোর বিচিতেই পটাশ পটাশ শব্দ হয়।
"লাল টুকটুক ঝুঁটিওয়ালা, উত্তরপাড়ার বেহায়া মোরগ
সূর্যমুখীর চাক -চাক বুক ও তার বুক ভর্তি প্রলাপ "।
আপনে বলবেন বাকোয়াজ মশাই, গোপন বটে অতটা তীব্র না। আমি বলবো, মোরগটিকে অবশ্যই দ্বিতীয়বার ডাকতে হবে। তবেই সে কনডম ছাড়া লাগাবে। আপনার মুখ বলবে ইরোটিক, আপনার মগজের সফটওয়্যার বলবে কনডম একটি ডাইনামিক গণিত, আপনার বিচি দুইটা ফিসফিসিয়ে বলবে সিফিলিস। এতো তীব্রতা আপ্নে নিতে পারবেন না।
আপনারা যারা স্ট্রেইট, বাইসেক্সুয়াল ট্রাইসেক্সুয়াল না, সিদা আলিফের মত সোজা, তারা বলবেন কনডম ছাড়া লাগালাগি আমার কাছে কেন এত গুরুত্বপূর্ণ। আমি আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দিবো না কারণ কনডম ছাড়া লাগানোর কসমিক অধিকার সংক্রান্ত জটিলতার পর প্রাণী আর অ- প্রাণী লাগানোর ন্যারেটিভে আপনার আলিফ ধ্বজভঙ্গের মতো কেলিয়ে যাবে।আর আপনারা যারা লাস্ট স্ট্যান্ড ডিফেন্স, ফুল-টাইম পার্ট টাইম মগজের পবিত্র ধোপাদার, ন্যাশ ইকুলিব্রিয়ামের দিব্যি দিয়া বলবেন চিকু রবিন এনার্কিস্ট, এন্টি মোরাল। তাই বলে রাষ্ট্রীয় ভবন! কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এটা ডিপ স্টেট ম্যাটার। চিকু রবিন কে ভুলে যান, ওটা এনভায়রনমেন্টাল মিউট্যান্ট। নগরের লগবুকে চিকু রবিন বলে কেউ ছিলনা। কেউ নাই। আপনে বরং শইলকাব্যে ফিরে যান।
পটলচাষীর ক্ষেতগুলানে
কাকতাড়ুয়া জ্যান্ত হলে
সূর্যমুখী ফোটে।
গোপন
তীব্র
মৃত্যুর মতো;
সূর্যমুখীর বুক ছিল, আর তার বুকজুড়ে আলাপ।

অভিশপ্ত রজনী

  মৃত মেয়েটিকে ধর্ষণ করার সময় মেয়েটি যে জীবিত হয়ে ওঠে সেটা খেয়াল করেনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় কাব্য।ধবধবে সাদা চামড়ার মেয়েটিকে ভোগ করার...