মাস কয়েক আগে একটি ছেলে ম্যাসেজ
করে জানাল আর কিছুদিন পর সে অন্ধ হয়ে যাবে ! ম্যাসেজটি দেখা মাত্র আমার সারা শরীর কেঁপে
উঠল !
একটা মানুষ জানে আর কিছুদিন সে
আয়নায় নিজেকে দেখতে পাবে না... !
এর চেয়ে নির্মম আশ্চর্য আর কী হতে
পারে !!
তার
Macular Dystrophy ধরা পরেছে... পৃথিবীতে এই রোগের কোন চিকিৎসা নেই...
কেউ চোখ দান করলেও কাজ হবে না !!
কেউ চোখ দান করলেও কাজ হবে না !!
......আমি
হাল ছেড়ে তার চোখের দিকে তাকিয়ে রইলাম... সে আমাকে খুব কাছ থেকে তোলা তার চোখের একটি
ছবি দিয়েছে...
আচ্ছা...
একবার ভাবুন তো ... আপনাকে জানানো হল, আকাশের দিকে তাকাও... দশ মিনিট পর আর কখনো আকাশ
দেখা যাবে না... ঈদের চাঁদ দেখা যাবে না !!!
ঘুম
থেকে উঠে বেসিনের গ্লাসে নিজেকে দেখা যাবে না... কাছের মানুষটিকে বলা যাবে না নীল জামায়
তাকে খুব সুন্দর দেখায়...
.....
আশ্চর্য রকমের আশ্চর্য !!!
....যে
ছেলেটির কথা আমি লিখছি তার নাম Shuvo , সে অবসরে বই পড়ে, ফটোগ্রাফি করে , ড্রামস বাজায়...
শখের গীটারটা শেখা হয় নি... আর হবেও না !!
এ প্লাস পেয়েছে... সামনে্ মেডিক্যালে পড়ার শখ ছিল... আর
হবে না !!
......জিজ্ঞাসা করলাম , চোখ নষ্ট হবার আগে কী কী করে যেতে চাও ? তোমার প্ল্যান কী ?
সে যে উত্তরটি দিল তার জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না...
......জিজ্ঞাসা করলাম , চোখ নষ্ট হবার আগে কী কী করে যেতে চাও ? তোমার প্ল্যান কী ?
সে যে উত্তরটি দিল তার জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না...
তার তেমন কোন পরিকল্পনা নেই... তবে অন্ধ হবার আগে আমার সাথে
দেখা করতে চায় !
আমি লাইফে অনেক মানুষের অনেক কমপ্লিমেন্ট পাইছি... এই অচেনা ছেলেটি সব কিছু ছাড়িয়ে গেছে...
....কানামাছি একটা খেলা.. চোখে কাপড় বেঁধে দশ মিনিট খেলা যায়... দশ ঘন্টা না... দশ মাস না... দশ বছর না... পঞ্চাশ বছর না...
আমি লাইফে অনেক মানুষের অনেক কমপ্লিমেন্ট পাইছি... এই অচেনা ছেলেটি সব কিছু ছাড়িয়ে গেছে...
....কানামাছি একটা খেলা.. চোখে কাপড় বেঁধে দশ মিনিট খেলা যায়... দশ ঘন্টা না... দশ মাস না... দশ বছর না... পঞ্চাশ বছর না...
আমি লক্ষ করলাম একটা কথা সে প্রায়ই বার বার বলছে... ' ভাইয়া
আমি ভাল আছি... আমি সুখী !!!'
মনিটরের স্ক্রিনে এই শব্দ গুলো দেখে প্রতিবারই চমকে উঠেছি...
মনিটরের স্ক্রিনে এই শব্দ গুলো দেখে প্রতিবারই চমকে উঠেছি...
এই অবস্থার ভেতরেও তার ভাল থাকার কারণ জানতে চাইলে সে বলল
, ' সুখটাই সব থেকে বড় অসুখ, আমাকে সুখের রোগে পেয়েছে'
...... সত্যি কথা বলতে, এই ছেলেটির কাছ থেকে আমি অনেক কিছু
শিখেছি... মানুষ সারাক্ষণ কারণে অকারণে দুঃখে থাকতে চায়। দুঃখী দুঃখী মুখ করে বাতি
বন্ধ করে শুয়ে থাকে... একটা কিছু হলেই জীবন অসহ্য ভাবতে শুরু করে... অথচ কেউ কেউ আছে...
নিজের দুটি চোখ হারিয়ে যাবার পরেও বেঁচে থাকে অন্য কারো
চোখে দৃষ্টি ফিরিয়ে দেবার নেশায় ! শুভ নামে এই ছেলেটি এখন কাজ করছে , মরনোত্তর চক্ষুদান
নিয়ে।
ভাবা যায় ?
আমাদের
১৬ কোটি মানুষের ৩২ কোটি চোখের চাইতে বেশি দরকার ছিল প্রত্যেকের একটি করে তৃতীয় চোখ
!
স্যালুট ! উই অল রেস্পেক্ট ইউ !
No comments:
Post a Comment