Sunday, 15 October 2017

আমেনা থেকে এভ্রিল, মরিয়ম থেকে মারিয়া, জরিনা থেকে জেরিন হতে আমিও দেখেছি অনেক।

আমেনা থেকে এভ্রিল, মরিয়ম থেকে মারিয়া, জরিনা থেকে জেরিন হতে আমিও দেখেছি অনেক। তাই কে বাবা মায়ের আকিকা দেয়া নাম বদলে কি নাম ধারণ করলো সেটা নিয়ে আমার সামান্যতম আগ্রহ ও নেই।
তবে কারো জন্ম পরিচয় থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রে অনর্গল মিথ্যাচার নিয়েই আমার যতো বিরক্তি -
আর সে মিথ্যাচারের ব্যাপারটি যদি দেশের সম্মানের প্রশ্ন, তবে আমি সেটা কখনোই মেনে নেই না বা নেবোও না। আর আমি কখনোই ১০০% যুক্তি এবং সত্যি না জেনে কোন ফালতু কথা নিয়ে লিখিনা। কারণ অকারণে কাউকে ছোট করা বা অপমান করাও আমার নীতি নয়।
বেশ কদিন থেকেই মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগীতার বাংলাদশী মেয়ে আমেনা ওরফে এভ্রিল কে নিয়ে বাংলাদেশের সকল টেলিভশন চ্যানেল, জাতীয় সংবাদ পত্র, অনলাইন নিউজ পোর্টাল, ইউ টিউব, টুইটার, ফেসবুক সহ সকল সোশাল মিডিয়ার এত উত্তেজনা দেখে দেখে ক্লান্ত হয়ে আজ আমি লিখতে বাধ্য হচ্ছি।
আর আমি যখন দেখেছি ডাঃ আবদুর নূর তুষার থেকে থেকে শুরু করে সাংবাদিক তুষার আবদুল্লাহ সহ অনেক শিক্ষিত মানুষ পর্যন্ত - একালের সেরা মিথ্যুক এক নির্লজ্জ নারীর জন্য লিখছে, তবে তো তাদের কাছেও আমার কিছু প্রশ্ন চলেই আসে।
প্রথম মিথ্যে নিজের নাম নিয়ে বলেছে। দ্বিতীয় মিথ্যে - নিজের বাবা কৃষক। আর কৃষক হওয়ার মধ্যে আমি কোন লজ্জা দেখিনা। আমার বাবা যদি কৃষক হতেন তবে তো আমি অহংকার বোধ করতাম। কিন্তু আমেনা ওরফে এভ্রিল নামধারী মিথ্যুক নারী নিজের বাবার পেশা নিয়ে অহংকারের বদলে নির্লজ্জ মিথ্যে পরিচয় দিয়ে, নিজেকে সিংগাপুরে বাবা ভাইদের ব্যাবসা করা ঢাকায় নিজেদের বাড়ি থাকা ধনীর আদুরে দুলালী বলে জানিয়েছে।
এবার আসি তৃতীয় মিথ্যে প্রসঙ্গে যেটা হলো নিজের বিয়ে নিয়ে। বিয়ে হওয়ার পর যখন কোন নারীর ডিভোর্স হয় তখন বিশ্বের উন্নত দেশ গুলোতে নামের আগে মিস জুরে নেয় এটা তাদের কালচার। তবে আমাদের দেশে প্রচলন টা এখনো হয়নি। আর সে কারনেই পাসপোর্ট বা ন্যাশনাল আইডি কার্ডে ম্যারিচুয়াল স্টেটাসের জায়গায় বিবাহিত মেয়ে বুঝতে পারলে সে সব নারীরা যদি স্বামীর নাম না লিখে বাবার নাম লিখতে চায়, তখন ডিভোর্স হলো কিনা সেটা নিশ্চিত হতে ডিভোর্স এর ডকুমেন্ট দেখতে চায় এবং ডিভোর্স না হলে - বাবা / স্বামীর নামের লাইনে বিবাহিত মেয়েদের কিছুতেই বাবার নাম লিখতে দেয়না। বিবাহিত হলে অবশ্যই তার স্বামীর নামই লিখতে হয়, আর এটাই বাংলাদেশের নিয়ম। আমার মতে বাবা এবং মায়ের নাম লেখাটাই উচিৎ।
তাছাড়া আজকাল একজন নারীর ৪/৫ টা বিয়ে হতেও দেখেছি তাই তারা কতো বার কতো স্বামীর নাম বদলাবে এটাও আরেকটা বাড়তি ঝামেলা।
ওহ আচ্ছা তাই বলে কেউ ভাববেন না যে, আমি ৪/৫ টা স্বামী বদলের পক্ষ নিচ্ছি। আসলে আমি  শুধু এটুকু বলছি যে, শিক্ষিত এবং প্রকৃত ভদ্র কোন নারী কোন দিন ও একেবারে সহ্য সীমার বাইরে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক না পৌছালে প্রথম স্বামীর সংসার ভাংতে পারেনা। তারপর ভাগ্য অনেক সময় এমনি খারাপ হয় যে সেখানে হাজার চাইলেও আরেক সংসার পাতলেও তা ধরে রাখতে পারেনা বা সমঝোতা করে জীবন কাটিয়ে দেয় আমি কেবল সে সব ভদ্র নারীদের বিয়ের কথা বলেছি। তবে নষ্টা চরিত্রহীনা বহুগামী নারীদের পক্ষে আমি নই। বরং ওদের চরম ঘৃণা করি।
যা বলছিলাম, আমেনা ওরফে এভ্রিলের কথা। অনেক কিছু তো দেখেছি, অনেকের লেখায় ওর বিয়ের পক্ষে বিপক্ষে অনেক শিক্ষিত মানুষের গর্ধব মার্কা পক্ষপাতিত্ব ও পড়েছি। কেউ কেউ বলেছে সাহসী নারীর প্রতিক। কেউ বলেছে আমেনার অমতে বাল্য বিয়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে প্রমাণ করেছে নিজের যোগ্যতাসহ হাজার হাজার কথা।
এবার তাদের কে আমার প্রশ্ন হলো - এই আমেনা ওরফে এভ্রিলের বিয়ে যে, বাল্য বিয়ে ছিল সেটা আপনারা নিশ্চয়ই ওর মুখেই শুনেছেন তাইনা? আর যে নারী নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে নিজের নাম সহ পিতৃ পরিচয় নিয়ে অবলিলায় মিথ্যে বলেছে। সেই সাথে নিজের ৪ বছর আগে বিয়ের কথা সম্পূর্ণ আড়াল করেছে এবং কক্সবাজার এ গ্রামের এক মুসলমান দরিদ্র কৃষকের মেয়ে হয়ে ফিতা সাইজের বিকিনি আর একই সাইজের প্যান্টি পড়ে নিজেকে প্রবাসী ধনী বাবার সন্তান সাজিয়ে সুন্দরী প্রতিযোগিতার আগে থেকেই ফেসবুকে সেই পোজের ছবি পোস্ট করে নিজের ছবি ভাইরাল করিয়েছে তার মুখে শুনেই তো লিখেছিলেন।
তবে এবার একবার হলেও আমার কথা শুনে ওর ৪ বছর আগের বিয়ের ভিডিও টা একটু ইউটিউব এ গিয়ে দেখুন। ওর বাবা বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার পর বিয়ের প্যান্ডেলে বসে দুজন পুরুষ আর কয়েকজন নারীকে এভ্রিল নিজের হাতে মিষ্টি খাওয়ানোর শটে ওর দুষ্টুমি সহ ওর মুখের এক্সপ্রেশন গুলো খুব ভালো করে খেয়াল করুন। সেই সাথে ওর স্বামীকে মিষ্টি খাওয়ানোর সময় স্বামী স্ত্রীর মধুর দুষ্টুমি আর অমন অকৃত্তিম হাসি দেখেও কে বলবেন যে,ওর অমতে ওর বাবা জোর করে তখন ওকে বিয়ে দিয়েছিল? আমার এই জীবনে আমি মেয়ের মতে / অমতে অনেক বিয়ে হতে দেখেছি। আর যে সব মেয়ের অমতে বিয়ে হয়েছে তাদের কাঁদতে কাঁদতে বিয়ের সাজটা পর্যন্ত লেপ্টে ফেলতে দেখেছি। আর তাদের বিয়ের ভিডিও ফুটেজে একটি বারও চোখ তুলে তাকাতে পর্যন্ত দেখিনি। সারা ভিডিও জুরে গোমড়া মুখে বিয়ের মেকাপ ল্যাপ্টানো চেহারা শুধু দেখেছি। আর এটাই তো বাস্তবতা, মেয়ের অমতে বিয়ে হলে সেই গোমড়া মুখের ভিডিও টা ই সত্যি হবে, এভ্রিলের অমন হাসি মাখা মুখে দুষ্টুমি করে অন্যকে মিষ্টি খাওয়ানর সাথে ক্যামেরার সামনে ওভাবে পোজ দেয়ার পরিস্কার সত্যি হলো বিয়েটা এভ্রিলের পূর্ণ ইচ্ছায় হয়েছিল।
পরে হয়তো আর সেই স্বামীকে ভাল লাগেনি। আর ঐ নারী যখন নিজেই বলেছে যে ছোট বেলা থেকেই সে স্বাধীনচেতা টম বয় টাইপ লাইফ লিড করতে পছন্দ করতো তাই বিয়ের বন্ধনে আটকে না থেকে স্বামীকে ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
এবার বলছি এভ্রিল বয়স নিয়েও চরম মিথ্যে বলেছে, এর প্রমাণ হলো বিয়ের কাবিননামায় ওর জন্ম সাল ছিল ১৯৯০। তারমানে আজ থেকে ৪ বছর আগেই আমেনা ওরফে এভ্রিলের বয়স ছিল ২৩ বছর। এখন আমাকে বুঝান যে, ২৩ বছরের একটা নারী কে কোন হিসেবে আপনারা সহ প্রায় সারা দেশের মিডিয়া অপ্রাপ্ত বয়স্ক নারীর বাল্য বিবাহের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া আদর্শ নারীর প্রতিমা বলে গছিয়ে দিচ্ছেন কোন সাহসে !
এরপরেও যদি কেউ বলে যে,কাবিননামায় ওর বয়স বাড়িয়ে লেখা হয়েছিল তার উত্তর হলো বয়স বাড়ালে জন্ম সাল ১৯৯৫ লিখলেই ১৮ বছর হয়ে যেত। সত্যি বয়স তখনি ২৩ না হলে ওর জন্মদাতা বাবা কখনোই মেয়ের বিয়ের কাবিননামায় ৭ বছর কোন যুক্তিতেই বাড়িয়ে লিখতে দিতো না।
এভ্রিল নামের নষ্টা নারী কথা অনুযায়ী ৪ বছর আগে বিয়ের সময় নাকি ওর বয়স ছিল ১৬ আর আপনারা ও সেটা বিশ্বাস করছেন কি ওর এস এস সি সার্টিফিকেট হিসেবে, তবে এটাও জেনে রাখুন সেখানেই বয়স নিয়ে সবচেয়ে বড় মিথ্যে লিখা হয়েছে যুগের পর যুগ ধরে এমনকি এখনো যারা আগে জন্ম নিবন্ধন করায়নি কিন্তু তাদের বাচ্চাকে কোন বোর্ড এক্সামের জন্য এখন জন্ম নিবন্ধন করাচ্ছে তারা খুব হিসেব করে জন্ম সাল বসিয়ে দিচ্ছে, যাতে ক্লাস নাইনের রেজিষ্ট্রেশনের বয়স ১৪ বছর আর এস এস সি পাশের বয়স মেক্সিমাম ১৬ এর বেশী না হয়।
এবং কয়েক বছর আগেও স্কুলের টিচাররা দিন মাস বছরের হিসেব সহজে মিলাতে তাদের প্রায় সবারই একই সালের সেম মাসের সেম ডে তে জন্ম লিখে রেজিষ্ট্রেশন ফর্ম পুরণ করে দিতো সেই সাথে গ্রামের স্কুলে বাবা মায়ের সাইন পর্যন্ত স্কুল টিচার নিজেই করে দিতো। এভ্রিলের কৃষক বাবার ক্ষেত্রেও তেমনি হয়েছিল তাই এস এস সি সার্টিফিকেট নয় বরং বিয়ের কাবিননামায় কাজী দিয়ে বাবার মুখের কথায় লেখা জন্ম তারিখ হলো সত্যি। এবং ঐ মিথ্যুক নির্লজ্জ নারীর ২৩ বছর বয়সে বিয়ে ওর পূর্ণ সম্মতিতে হয়েছিল এটাই সত্যি। তাই কোন ভাবেই আমেনা ওরফে এভ্রিল কোন ভাবেই ভদ্র বা জীবন যুদ্ধে সংগ্রামী নারীদের আইডল বা দূত হওয়ার সামান্যতম যোগ্যতাও ধারণ করে ণা।
সেই সাথে অন্তর শোবিজ এর কর্ণধার কে বলছি, বন্ধ করুণ এসব নোংরামী। ইতোমধ্যে আপনাদের বাংলাদেশের নারীদের পর্ণ বানিয়ে বিদেশে পাচার সহ আরো অনেক নষ্টামি মানুষ ধরে ফেলছে । এখন যখন একবার সম্মান বাচানোর চেষ্টায় মুকুট ফিরিয়ে নিয়েছেন তবে আবার নতুন করে সংগ্রামী নারীর আইডল বানিয়ে । সারা বিশ্বের সামনে ওর মতো আপাদমস্তক মিথ্যুক একটা নারীকে দিয়ে এসব করে বাংলাদেশের কোটি কোটি নারীদের সম্মানহানীর স্পর্ধা আপনাকে আমরা কোটি কোটি নারীরা দেইনি। তাই এখনি সাবধান হয়ে শুধ্রে যান। এবং এরপরও এমন সাধ হলে নিজের ঘরের বউ আর মেয়েকে নগ্ন করে বিশ্ব বাসীর সামনে আপনার চারিত্রিক পরিচয় প্রকাশ করুন। তাতে আমরা কেউই আপত্তি তুলবোনা।
আমি সত্যি ভেবে অবাক হচ্ছি, এক আপাদমস্তক মিথ্যুক নারী শুধুমাত্র নিজের দেহের এক চতুর্থাংশ ব্রা - প্যান্টি পরে ছবি তুলে তৃতীয়াংশ নগ্ন শরীর আর সুন্দর একটা চেহারা দেখিয়ে ফেসবুক লাইভে গিয়ে কান্নার অভিনয় করে এত গুলো শিক্ষিত মানুষকে মিথ্যের ঘোল খাইয়ে দিলো ! আর সেই নেশার ঘোরে বাংলাদেশের অনেক পুরুষ কি ভাবে তাদের ঘরে থাকা মা বোন এবং কন্যার সম্মান সহ বিশ্ববাসীর সামনে বাংলাদেশের মেয়েদের নষ্টা মিথ্যুক প্রমাণের নোংরা চেষ্টার অংশিদার হয়ে মিথ্যুক আমেনা ওরফে এভ্রিলের পক্ষ নিয়ে কথা বলছে !!

No comments:

Post a Comment

অভিশপ্ত রজনী

  মৃত মেয়েটিকে ধর্ষণ করার সময় মেয়েটি যে জীবিত হয়ে ওঠে সেটা খেয়াল করেনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় কাব্য।ধবধবে সাদা চামড়ার মেয়েটিকে ভোগ করার...