বছর খানেক আগে ব্লগে একজনকে পোষ্ট করতে দেখলাম
'' সুইসাইড করতে চাই। পটাসিয়াম সায়ানাইড কোথায় পাওয়া যায় তা কি কেউ জানেন?''
সেই পোষ্টের কিছু কমেন্ট ছিল এরকম...
*** শেরে বাংলা নগরের বা শ্যামলীর একটু আগে কলেজ গেইটের সামনে লাল সিরামিক ইটের ৩ টি বড় বড় বিল্ডিং দেখতে পাবেন। সেখানের মাঝের বিল্ডিং এ গিয়ে যে কোন কর্মচারীকে বললেই পটাশিয়াম সায়ানাইড পাবেন। তবে আপনার কাছ থেকে সামান্য কিছু দাম রাখতে পারে। পকেটে কমপক্ষে ১০০ টাকা রাখবেন।
*** আমার একটা খুন করার খুব শখ। আপনি এক কাজ করেন আপনার মোবাইল নাম্বার দেন।
*** পটাসিয়াম সায়ানাইড কিনা কঠিন। বরং আপনি নিজেই বানিয়ে নেন। আমি উপায় বলতেছি। পটাশ লাগবে, কার্বন লাগবে আর লাগবে নাইট্রোজেন। কার্বন পাবেন হীরা এর টুকরাতে, কিন্তু আমার মনে হয় না আপনি হীরা কিনার মত বড়লোক। তাইলে আর সুইসাইড করতেন না। তাহলে উপায় ? নো সমস্যা...একটা পেন্সিল জোগার করেন। পেন্সিলের শিষে কার্বন আছে। এবার জোগার করেন একটা সীম গাছ। সীম গাছের গোড়ায় ছোট ছোট ফলের মত আছে, একেকটা নাইট্টোজেনে টইটম্বুর, জোগাড় করেন কিছু। এবার কার্বন আর নাইট্টজেন একটা পলিথিন ব্যাগে ভরে পটাসসসসসসসসস করে ফুটান। ব্যস... এইবার মনের সুখে যত খুশি খান আর মরেন...
*** সুইসাইড নোট লিখতে আবার ভুইলেন না। নয়ত আবার থানা পুলিশ হবে।
*** ভাই আপনি কি এখনো বেঁচে আছেন? অনেকদিন হল কোন মৃত্যু সংবাদ পাই না।
*** একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেন ।তারা মানুষের প্রতিটা পার্টস নিয়ে পড়াশোনা করে বলে আপনাকে কার্যকরী টিপস দিতে পারবে ।নিজে নিজে আলতু ফালতু পদ্ধতিতে মরতে গেলে মিশন সাকসেসফুল হওয়ার সম্ভবনা কম ।
'' সুইসাইড করতে চাই। পটাসিয়াম সায়ানাইড কোথায় পাওয়া যায় তা কি কেউ জানেন?''
সেই পোষ্টের কিছু কমেন্ট ছিল এরকম...
*** শেরে বাংলা নগরের বা শ্যামলীর একটু আগে কলেজ গেইটের সামনে লাল সিরামিক ইটের ৩ টি বড় বড় বিল্ডিং দেখতে পাবেন। সেখানের মাঝের বিল্ডিং এ গিয়ে যে কোন কর্মচারীকে বললেই পটাশিয়াম সায়ানাইড পাবেন। তবে আপনার কাছ থেকে সামান্য কিছু দাম রাখতে পারে। পকেটে কমপক্ষে ১০০ টাকা রাখবেন।
*** আমার একটা খুন করার খুব শখ। আপনি এক কাজ করেন আপনার মোবাইল নাম্বার দেন।
*** পটাসিয়াম সায়ানাইড কিনা কঠিন। বরং আপনি নিজেই বানিয়ে নেন। আমি উপায় বলতেছি। পটাশ লাগবে, কার্বন লাগবে আর লাগবে নাইট্রোজেন। কার্বন পাবেন হীরা এর টুকরাতে, কিন্তু আমার মনে হয় না আপনি হীরা কিনার মত বড়লোক। তাইলে আর সুইসাইড করতেন না। তাহলে উপায় ? নো সমস্যা...একটা পেন্সিল জোগার করেন। পেন্সিলের শিষে কার্বন আছে। এবার জোগার করেন একটা সীম গাছ। সীম গাছের গোড়ায় ছোট ছোট ফলের মত আছে, একেকটা নাইট্টোজেনে টইটম্বুর, জোগাড় করেন কিছু। এবার কার্বন আর নাইট্টজেন একটা পলিথিন ব্যাগে ভরে পটাসসসসসসসসস করে ফুটান। ব্যস... এইবার মনের সুখে যত খুশি খান আর মরেন...
*** সুইসাইড নোট লিখতে আবার ভুইলেন না। নয়ত আবার থানা পুলিশ হবে।
*** ভাই আপনি কি এখনো বেঁচে আছেন? অনেকদিন হল কোন মৃত্যু সংবাদ পাই না।
*** একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেন ।তারা মানুষের প্রতিটা পার্টস নিয়ে পড়াশোনা করে বলে আপনাকে কার্যকরী টিপস দিতে পারবে ।নিজে নিজে আলতু ফালতু পদ্ধতিতে মরতে গেলে মিশন সাকসেসফুল হওয়ার সম্ভবনা কম ।
পটাসিয়াম সায়ানাইড কিনতে চাওয়া এই ছেলেটি শেষ পর্যন্ত ইঁদুর মারার ওষুধ
খেয়ে সাত দিন হাসপাতালে পড়ে ছিল। তাকে জিজ্ঞাসা করা হল, তোমার সমস্যা কী ?
সে জবাব দিল - বাঁচতে ইচ্ছে করছে না।
মাস তিনেক আগে আমাকে একজন ইনবক্স করে। তার এক বন্ধু সুইসাইড করতে যাচ্ছে টাইপ সারমর্ম। আমার সাথে কথা বলতে চায়। খুব ব্যস্ত ছিলাম; কোন রকমের এক লাইনের জবাব দিয়ে কেটে পরলাম। পরের সপ্তাহে সে আমাকে আবার ম্যাসেজ করে। এবারও আমি একই কাজ করলাম। একদিন জানা গেল তার বন্ধুটি সত্যি সত্যি সুইসাইড করেছে। সেদিন রাতে আর ঘুমাতে পারিনি।
কেমন একটা গ্লানিবোধ !! কেমন যেন গ্লানি গুলো ! বোঝাতে পারব না।
কেউ শখ করে ইচ্ছে করে মরে যেতে চায় না। ইঁদুর মারার বিষ খেলে বুক জ্বলে পুড়ে যাবে জেনেও সে খায়।
গলায় ফাঁস নিলে কেমন টাইপ কষ্টের ভেতরে তাকে যেতে হবে সেটি জেনেও সে ফাঁস নেয়।
তারা অনেকেই সুইসাইড করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসে। আমরা তাদের নিয়ে মশকরা করি। ইয়ার্কি করি। আমাদের প্রাণহীন আড্ডা প্রাণ ফিরে পায় ! আমাদের মনে থাকে না, তাদের নিয়ে করা এইসব কুটুক্তিই আবার তাদের নতুন ভাবে সুইসাইড করতে উৎসাহিত করে।
এই মানুষ গুলো বোকা মানুষ। বড্ড অভিমানি। এরা কামনা চায় না। খ্যাতি চায় না। একটু এটেনশন চায়। কেউ একজন তার কথা শুনুক। এক বিকেলে সব কাজ ফেলে গালে হাত দিয়ে শুনবে...! জ্বর গ্রস্ত কপালে হাত রেখে বুঝিয়ে দিবে - পৃথিবীটা একটা চমৎকার গ্রহ ! এখানে আষাঢ়ের সন্ধায় রেল লাইনে বসে কেউ গল্প শুনলে শত বছর বাঁচতে ইচ্ছে করে !
সে জবাব দিল - বাঁচতে ইচ্ছে করছে না।
মাস তিনেক আগে আমাকে একজন ইনবক্স করে। তার এক বন্ধু সুইসাইড করতে যাচ্ছে টাইপ সারমর্ম। আমার সাথে কথা বলতে চায়। খুব ব্যস্ত ছিলাম; কোন রকমের এক লাইনের জবাব দিয়ে কেটে পরলাম। পরের সপ্তাহে সে আমাকে আবার ম্যাসেজ করে। এবারও আমি একই কাজ করলাম। একদিন জানা গেল তার বন্ধুটি সত্যি সত্যি সুইসাইড করেছে। সেদিন রাতে আর ঘুমাতে পারিনি।
কেমন একটা গ্লানিবোধ !! কেমন যেন গ্লানি গুলো ! বোঝাতে পারব না।
কেউ শখ করে ইচ্ছে করে মরে যেতে চায় না। ইঁদুর মারার বিষ খেলে বুক জ্বলে পুড়ে যাবে জেনেও সে খায়।
গলায় ফাঁস নিলে কেমন টাইপ কষ্টের ভেতরে তাকে যেতে হবে সেটি জেনেও সে ফাঁস নেয়।
তারা অনেকেই সুইসাইড করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসে। আমরা তাদের নিয়ে মশকরা করি। ইয়ার্কি করি। আমাদের প্রাণহীন আড্ডা প্রাণ ফিরে পায় ! আমাদের মনে থাকে না, তাদের নিয়ে করা এইসব কুটুক্তিই আবার তাদের নতুন ভাবে সুইসাইড করতে উৎসাহিত করে।
এই মানুষ গুলো বোকা মানুষ। বড্ড অভিমানি। এরা কামনা চায় না। খ্যাতি চায় না। একটু এটেনশন চায়। কেউ একজন তার কথা শুনুক। এক বিকেলে সব কাজ ফেলে গালে হাত দিয়ে শুনবে...! জ্বর গ্রস্ত কপালে হাত রেখে বুঝিয়ে দিবে - পৃথিবীটা একটা চমৎকার গ্রহ ! এখানে আষাঢ়ের সন্ধায় রেল লাইনে বসে কেউ গল্প শুনলে শত বছর বাঁচতে ইচ্ছে করে !
No comments:
Post a Comment