Thursday, 5 October 2017

এই ভার্চুয়ালের অনেককিছুই বুঝিনা জানেন!

এই ভার্চুয়ালের অনেককিছুই বুঝিনা জানেন! না না,আমি জানি আমি বিশাল বোদ্ধা নই, আর সবকিছু যে আমাকে বুঝতে হবে এমন দিব্যিও তো কেউ দেয়নি। কিন্তু ঐ যে একটা আলপিন লুকিয়ে আছে এককোণে, সেটাতো আর ভার্চুয়াল নয়, সবার আছে-আমার-আপনার সব্বার, মাঝে মাঝেই অস্তিত্ব জানান দেয়, দংশায়। তাই ইগনোরও তো করতে পারিনা। এই যেমন, ফেসবুকে একটু বেশিই সক্রিয় বলে, অনেকেই তো বলে, "বাব্বা! কতো ছবি দাও / দিস?" রাগ হয়না, বিরক্তও হইনা। বেদম হাসি পায়। যে বা যারা এই কথা বললেন, তাদের উগ্র-এডিটেড ছবিতো চারবেলা করে দেখি। সঙ্গে উপরি পাওনা ছবির সাথে বেমানান সব ক্যাপশন। এই যেমন, সেদিনই জিন্স-সানগ্লাস সহযোগে এক সেলফি, আর তার সাথে "কতোবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া"। সত্যিই তো, সবকিছু ভুলে না গেলে এ বোধহয় হয়না। তা হোকনা বাপু! যা মন করো, কিন্তু অন্যকে বলা ক্যনো?
আবার, আরেক শ্রেণির মানুষ আছেন, যারা আনন্দতেও স্টেটাস, রাগ হলেও স্টেটাস, আবার দুঃখেও স্টেটাস। আর কারো সাথে যদি একটু মতান্তর হলো, সেক্ষেত্রে তো যাকে বলে মারাত্মক বিষধর স্টেটাস। আমার আবার এদের ভীষণ ভয় করে। তাই সাত হাত নয়, বেশ বেশ বেশ কয়েক হাত দূরে থাকি তেনাদের থেকে। হুঁ-হুঁ বাওয়া! "কি যাতনা বিষে বুঝিবে সে কিসে, কভু আশীবিষে দংশেনি যারে।"
আরেকটা জিনিসও খুব দেখছি আজকাল, অন্যের চরিত্রের চচ্চড়ি করে দেওয়া। সব্বাই তা দেখে, কেউ কেউ সহমত পোষণ ক'রে লাইকায়, কমেন্টায়। কিন্তু কেউ বলেনা, " হে চরিত্রের ধ্বজাধারী, আয়নায় মুখটা দেখো একবার, নিজের চরিত্র তো চৈত্র সেলে বিক্রী করে বসে আছো।" অবশ্য বলে ফেললেও তো আবার বিপদ। 'স্তাবক' তকমাই বা ক'জন নিতে পারে? তার থেকে বরং তেলা মাথায় তেলও দি, আর আড়ালে একটু-আধটু নিন্দে-বান্দা করলেও ক্ষতি নেই। তাকে আর কেই বা বলতে যাবে?
আসল কথাটাইতো ভুলে গেছিলাম। এটা আমার মাথায় কিছুতেই ঢোকেনা। এই যেমন,একটা লেখা, যেমন ধরুন এই যেটা পড়ছেন, আমার লিখতে বেশ খানিকটা সময় লেগেছে। কিন্তু যেইনা পোস্টালাম, একমিনিটও হলোনা, লাইকের সাথে-সাথেই কমেন্ট "নাইস"। কীভাবে পড়লেন দাদা, রহস্যটা একটু বলবেন, আমি শিখতে চাই। অনেক অনেক বই সময়ের অভাবে পড়া হয়ে ওঠেনি এখনো।
আরেকটা জিনিসও মনে পড়ে গেল। প্রোফাইল নামক একটা বস্তু আছে, যেখানে সব লেখা থাকে, মানে ঐ নাম-ধাম-কাজকম্মো এইসব আরকি! তবু বারে বারে ইনবক্সে ক্যানো জিজ্ঞেস করে সবাই, "কোথায় থাকো?", "কী করো?" অবশ্য আপনাদের বলার একটা শক্তপোক্ত যুক্তিও আছে নিশ্চয়। হয় নিজেদেরটা আসল লেখেননি,কিংবা পরিচিত কাউকে নকল লিখতে দেখেছেন। আমিও দেখেছি " বোদায় থাকি" বলতে লজ্জা করে বলে অনেকের প্রোফাইলেই লেখা আছে, "lives in London/Canada/Dhaka। কারণটা কী? জানিনা, বুঝিনা তো। তবে বলে রাখি, আমার প্রোফাইলের সমস্তটুকুই আসল--একদম নাম থেকে বয়স পর্যন্ত। তাই রিকোয়েস্ট অ্যাকসেপ্ট করার পর বা অন্যন্য নানান সময়েও "ধন্যবাদ মিষ্টি বন্ধু" বা এইধরনের চ্যাটচেটে কথাগুলো বলেন না, ক্যামন? আরে এসবে গলে জল হওয়ার বয়সও নেই, আর আমি এতো মিষ্টি খাইওনা, ডায়বেটিসের ভয় পাই তো।
দেখছেন, সক্কাল-সক্কাল কতোকিছু বলে ফেললাম। হাতে একটু সময় ছিলোতো তাই। আর একটু বোঝার ইচ্ছে ছিল। সব দেখছি, মুখ খুলতে আজকাল বড্ড আলসেমি লাগে। তাই দেখা আর চেনা। চিনছি-চিনছি-চিনছি। তবে বেশিদিন চুপ থাকতে হয়তো পারবোনা--আমার আবার ওল খাওয়া মুখ কিনা!
এভাবেই নাহয় আপনারাও আমাকে চিনুন। পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া রইলো........

No comments:

Post a Comment

অভিশপ্ত রজনী

  মৃত মেয়েটিকে ধর্ষণ করার সময় মেয়েটি যে জীবিত হয়ে ওঠে সেটা খেয়াল করেনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় কাব্য।ধবধবে সাদা চামড়ার মেয়েটিকে ভোগ করার...